কমিউনিস্ট মহলে “বিপ্লবী পরিপক্কতা” বলে এক শব্দবন্ধের চল আছে। সাধারণ ভাবে এই “পরিপক্কতা” বলতে উৎপাদন ব্যবস্থার পরিপক্কতাই বোঝানো হয়। সোজা বাংলায়, পুঁজিতন্ত্রের বিকাশ হয়েছে কি না? পুঁজিতন্ত্রের পরিপূর্ণ বিকাশ হ’লে, তবেই সর্বহারা শ্রেণিকে পাওয়া যাবে। এখন পুঁজিতন্ত্রের বিকাশের মাপকাঠি কী? জিডিপি? পার ক্যাপিটা? এইচডিএই? তাহলে বলতে হয়, হাতে গোনা উন্নত দেশেই একমাত্র বিপ্লবী পরিপক্কতা আছে। বিশেষত নর্ডিক দেশগুলিতে। যেখানকার শ্রমিক সবচেয়ে স্বচ্ছল অবস্থায় আছে, তারাই আসল সর্বহারা!অনেকে বলবে, ব্যাপারটা এতটা সহজ না। এই যে ভারতের মতো দেশে, অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে যুক্ত, অথচ জাতীয় আয়ের সামান্য অংশই কৃষিজ উৎপাদন থেকে আসে, এটাই বলে দেয় ভারতে পুঁজিতন্ত্রের আসলে বিকাশ ঘটেনি। পাল্টা ... ...
নতুন শতকের আমরা ২৫ বছর পার করে ফেলেছি। গত শতাব্দীর শুরু হয়েছিল সর্বহারা বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ ও কয়েক কোটি মানুষের মৃত্যু পেরিয়ে, অনেক রাষ্ট্রে বিপ্লব এসেছে, কিন্তু সর্বহারার মুক্তি ঘটেছে কি? শতাব্দী শেষে সোভিয়েত ইউনিয়ান উবে গেছে ও চীনসহ অন্যান্য “সমাজতান্ত্রিক” রাষ্ট্রে ব্যক্তি পুঁজির চাষ চলছে। উল্টো দিকে, নতুন শতকে ফ্যাশিবাদ আবার ফিরে এসেছে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে বিশ্বযুদ্ধ ও গণহত্যার আতঙ্ক।কেন এমন হ’ল? যদি আরও তলিয়ে দেখি, তাহলে মার্ক্সিয় মহলে ঘুরতে থাকা এক ধারণার কথা বলতেই হয়। ফ্যাশিবাদ হ’ল, অবক্ষয়ের পুঁজিতন্ত্র। অর্থাৎ, পুঁজিবাদী সমাজ তার অবক্ষয়ের সময় ফ্যাশিবাদকে আঁকড়ে ধরে। এখন, এক শতাব্দীর ব্যবধানে পুঁজিতন্ত্র ও তার অবক্ষয় ... ...