‘দোস্তজী’ দেখলাম, এবং মুগ্ধ হলাম ।একেবারে অন্য রকম বাংলা ছবি। শুধু ছোট্ট দুই বন্ধুর গল্প বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গল্প বলে দেগে দিলে, কিছুই বলা হবে না এই সিনেমা সম্পর্কে । শহুরে মধ্যবিত্ত জীবনের বাইরে যখন পা ফেলার কথা ভাবতেই পারেন না হাল আমলের বাঙালি পরিচালকেরা, তখন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামে। তিন চাকার ভ্যানে ঘোড়া জুতে আশ্চর্য এক গতি আসে এই ছবিতে, গতি পায় এই ছবির ছোট্ট দুই চরিত্রও। জন্ম হয় অবাক করা সব দৃশ্যের । সিনেমা যে মূলত দৃশ্যের সমাহার তা আরো একবার মনে করিয়ে দিলএই ছবি । দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, গ্রামের আটপৌরে জীবনকে ... ...
বেড়িয়েছিলাম । ঠাকুর দেখতে নয়, উৎসবে পরিবেশের হাল কেমন, সেটার খোঁজ নিতে। বাড়ির কাছেই, সোনারপুর অঞ্চলে।রাস্তায় বড় বড় তোরণ, কিছু পরে পরেই। ফ্লেক্সে মোড়া। মোড়ে মোড়ে ফ্লেক্সের বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপনী ব্যানার। ফ্লেক্স non-biodrgradable, অপচনশীল। দিন পাচ-সাত পরেই এই বিপুল পরিমাণ ফ্লেক্সের কী গতি হবে, ভাবলেই আশঙ্কা জাগে।কয়েকটা পুজো মণ্ডপে উঁকি দিলাম। সুন্দর কারুকাজ। কিন্তু মণ্ডপসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে থার্মোকল, যার পোষাকী নাম Styrofoam । বস্তুটা অপচনশীল, পুনর্ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কী না তৈরি হয়েছে এই বিপজ্জনক বস্তুটি দিয়ে। এক মণ্ডপ রয়েছে শত খানেক শিবলিঙ্গ । প্রায় সমান মাপের, দেড়-দু ফুটের। কোনো শিবলিঙ্গই ঢালাই করে বানানো না । অর্থাৎ ... ...