বাহারী প্লেট গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করছে কান্তা। বিলাসী খাবারের উচ্ছিটাংশ ফেলছে একটা কালো পলেথিনে। ড্রইং রুমে একটা বাচ্চা ছেলে খেলনা গাড়ী নিয়ে খেলছে। বাচ্চাটার বার্থ ডে পার্টি ছিল গতকাল। চুপসে যাওয়া বেলুন গুলো এখনো ঝুলে আছে। পার্টিতে আসা অতিথিদের আধো খাওয়া প্লেট গুলো মুচ্ছে সে। অফিসে বেরুবার মুখে সাহেবের নজর পরে কান্তার দিকে। কামুক হেসে খোলা বুকের দিকে ইশারা করে। লাজুক হেসে আঁচলটা ঠিক করে নেয় কান্তা। ... ...
আকাশ ফেটে বৃষ্টি পড়ছে। ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি পড়ছে গাছের ডালে, টিনের চালে, সবুজ ঘাসে, ধুলিমাখা পথে। ভেসে যাচ্ছে খানা-খন্দ, নর্দমা। কালো পিচের রাস্তায় উঠে এসেছে ময়লা-আবর্জনা, নোংরা পানি। সেই পানি শরীরে লাগিয়ে হেটে যাচ্ছে একদল মানুষ। কই তাদের গায়ে তো পাপ লাগছে না, দাগ লাগছে না। জীবন চালোনার তাগিদে চালাতে হচ্ছে জীবিকা। তারা যদি পারে আমরা কেন পারব না! আমি কেন পারব না! আমাদেরও তো জীবন চালাতে হবে, আমারও চালাতে হবে। ... ...
হাঁফাতে হাঁফাতে গাড়িটা যখন বসুমতি কটেজে এসে পৌঁছাল, তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামি নামি করছে। সূর্যটা নিভু নিভু করছে। একটু পরেই পাহাড়ের খাঁদে আত্তহত্যা করবে। উঁচু পাহাড়ের ভিড়ে লুকিয়ে থাকা কটেজটা, তোফায়েলের পছন্দ হল। ওরই এক ভক্তের কটেজ। বলেছিলো- "আপনাদের তো নিরবতা, নির্জনতা পছন্দ। রাঙামাটিতে আমার একটা কটেজ আছে। চারপাশে উঁচু পাহাড় ছাড়া আর কিছু নেই। সবচেয়ে কাছের গ্রামও ৫কি:মি: দূরে। আপনি চাইলে যেতে পারেন। আপনার ভালো লাগবে। সেখানে আমাদের এক কাজের লোক আছে, নাম সুতং। কটেজটা ওই দেখাশোনা করে। সর্ব ঘাটের কাঁঠালি কলা, রান্নাবান্না সব পারে। আপনার কোন অসুবিধা হবে না।" অফারটা শুনেই লোভনীয় লেগেছিলো তোফায়েলের। জিহ্বা বেরিয়েইছিলো কিন্তু সময় ... ...
নিস্তব্দ কনফারেন্স রুম। আশফাক আলীর শরীর থেকে ঘাম ঝড়ছে। স্ত্রী আয়েশা পাশেই বসে আছে। আজকের এই পার্টির কাছে মাল বেচঁতেই হবে যে করেই হোক। এর আগেও কয়েকটা পার্টি দেখে গেছে, পড়ে জানাবে বলে আর জানায়নি। ফোন দিলেও ধরে না হারামজাদারা। একবার তো এক পার্টি প্রায় ফেঁসে গিয়েছিলো। আশফাক আলী ভালো জাল বিছিয়ে ছিলো। পার্টিও কথা দিয়েছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কেনেনি বদমাইশের বাচ্চা। আশফাক আলী বারবার ঘড়ি দেখছে। স্ত্রীর দিকে চিন্তিত মুখে তাকাচ্ছে। বারবার পানি খাচ্ছে। ম্যানেজার এসে খবর দিলো পার্টি এসে গেছে। আশফাক আলী তরতরিয়ে ঘামতে লাগলো। স্ত্রী রোকেয়া আর ছেলে সমসের কে নিয়ে উছমাত মোল্লা কনফারেন্স রুমে প্রবেশ ... ...
আমি একারৌদ্র দুপুরে ক্লান্ত ছায়ার মত,আমি দুঃখ পেলামআমারি ছিড়ে যাওয়া কায়া যত। আমি উপেক্ষিতউঠোন কোন থেকে উপরে ফেলা বৃক্ষের মত । আমি সুরক্ষাঅন্যদের জন্য। আমি একাএখানে কেউ নেই,কেউ ব্যথা দেখতে পায় নাআমি কাঁদি,আমি একলা ডাহুকের মত ডাকিকেউ শুনতে পায় না।আশা শেষ হয়ে গেলে -আমি একাঅপেক্ষার মত চিরন্তন একা। ... ...
এক নিবিড় রাতে আকাশের বুক থেকে চুরি হয়ে গেল অহংকারী চাঁদ। মুহূর্তেই অন্ধকারে ঢেকে গেল সমগ্র পৃথিবী। মৌ মৌ করে রটিয়ে গেল খবরটা। টিভির পর্দা থেকে ফেসবুকের পাতা হৈহৈ পড়ে গেল। যথারীতি সরকারি দল দোষ চাপিয়ে দিল বিরোধী দলের উপর। বিরোধী দল ফুঁসে উঠে বলল, সরকারের পদত্যাগ চাই। রাজপথে নামলো একদল মানুষ। উচ্ছৃঙ্খল হল শহর, উত্তাল রাষ্ট্র, বিশৃঙ্খল দেশ। কেউ কেউ আর্তনাদে হায় হায় করে উঠলো। কেউ কেউ বিদ্রুপ করে বলল, ঠিক হয়েছে, রোজ রাতে বেড়োয় কেন? এক পৌঢ়া নারী ব্যঙ্গ করে বলল, রূপের কি দেমাগ। যুবক আক্ষেপ করে বলল, ইশ, আমি যদি চুরি করতে পারতাম ঐ জৌলুস চাঁদটা। ... ...
Shah Alam Ranzu আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ হন্ডুরাসের হায়না ... ...
অত করে ডেকো নাঅমন ভেঙ্গে-চিড়ে ডুকো না,আমারও তো সহ্য আছেকাতর বুকে কাম আছে। একদম আগলে ধরবোবুকের খাঁচে আটকে নেব। এমন করে এসো নাচন্দ্র রাতে জোস্না বুকে পুষো না,মাতাল হলে জাপটে ধরবোহাতের মুঠোয় আঁকড়ে নেব। উঁহু... বলছি তোফিরে চাও ফিরে যাও,আমার হলে বিপাকে পড়বে। প্রেমের ছলন, সবি আমার জানামিথ্যা খোলস গুড়িয়ে দিওনইলে বিপদে পড়বে।এমন করে কষিয়ে বাঁধবোতীব্র সুখের অসুক হবে,জড়িয়ে নেবার আগে- ভাবো এমন দহন সইতে পারবে? ... ...