মশাররফ সাহেবের অফিসে আমি গিয়েছিলাম সেইদিন বিকেলের দিকে। অনেক গোপনে যেতে হয়েছিল। মিডিয়ায় আমার ব্যাপারে নিউজ হয়েছে, পুলিশ খুঁজছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল, ওই অবস্থায় আমাকে একমাত্র সাহায্য করতে পারেন সাইকিয়াট্রিস্ট মশাররফ সাহেব। বিশ্ববরেণ্য এই সাইকিয়াট্রিস্ট এর অফিসে আমাকে অপেক্ষা করতে হলো না, গিয়ে দেখলাম অপেক্ষারত অন্য কোন রোগীও নেই। সম্ভবত ঐদিন বিকেল হয়ে গিয়েছিল ... ...
আবছা অন্ধকারে, রূপালী জ্যোৎস্নায় স্নাত বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়াতেই যেন দমকা এক ঠাণ্ডা বাতাস এসে প্রবেশ করল গোলাম নবীর ভেতরে, সে বাতাসের তেজে গোলাম নবী স্থির থাকতে পারল না, তার পা টলে গেল, মাথা ঝিমঝিম করে উঠল। সে দু হাত দিয়ে মাথার দু'পাশে চাপ দিয়ে এক পা পিছিয়ে গেল এবং প্রায় এক মিনিটের মত চোখ বন্ধ করে রইল ধাতস্থ হতে। ... ...
কালা চশমা আমি একবার কাজ করছিলাম একটা সফটওয়ার কোম্পানিতে। সেইখানের কাহিনী। আগে কখনো বলা হয় নাই। আজ মনে হইতেছে এই কাহিনীটা বলে ফেলি। কোম্পানিটার নাম না বলি। সফল একটা ব্যবসা হিসাবে তাদের নামডাক আছে। ভালো কাজ করতেছে, ঢাকায় ছিল অফিস। আমি তখন ঢাকায় গেছি, অফিসের কাছেই বাসা নিয়া থাকি। অফিস শুরু হয় নয় টায়। সকাল সকাল সবাই আইসা গোল হইয়া দাঁড়াইয়া মিটিং করেন, এটা তাদের নিয়ম। ... ...
নিশাপুর গ্রামে এক দুপুর বেলায় সবার সামনে শামসুকে ন্যাংটা করা হলো, এবং তারে পুরা নিশাপুর গ্রাম ঘুরানো হল। উলঙ্গ অবস্থায় মাথা নিচু করে শামসু হেঁটে গেল। তার পেছনে পেছনে উৎসুক গ্রাম জনতা, তাদের নেতৃত্বে বিচারকবৃন্দ, তবারক আলি, করিম মিয়া, মুতাহার হুসেন ও আফতাব শেখ। শামসুর শাস্তি কী হবে এ নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল। গতকাল রাতে, টিনের বাড়ির সামনের বিস্তৃত উঠানের এক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে, এতে পোড়া কাঠ, বাঁশপাতা ইত্যাদি দিয়ে আগুন ধরিয়ে বসেছিলেন বিচারকেরা। শীত পড়া শুরু হয়েছে, এমন আবহাওয়ায়, এমন ঠান্ডা ঠান্ডা রাতের বাতাসে আগুনের সামনে বসে গল্প করতে ভাল লাগে গ্রামবাসীদের। চা আর মুড়ি খেতে খেতে করিম মিয়া প্রসঙ্গটা তুলেন। ... ...
.. ... ...