আগের পর্বে অনেকটাই লিখেছি,কিন্ত নোটপ্যাডে টাইপ করে ফোনেই লিখি বলে একটা নোটে পুরো লেখাটা ধরছিল না,তাই এই পার্টটা আলাদা করে লিখলাম। তো যাইহোক ,এই শকটা থেকে যখন নিজের ভেতরে নিজে রিকভার করছি,একটা বাচ্চা যে নিজেকে ছোট থেকে জেনে এসেছে সেও একদিন খালি নিজের ইচ্ছাতে মেয়ে হয়ে জীবনযাপন করবে ভবিষ্যতে ,সে যদি জানতে পারে তার ভবিষ্যৎটা কোনদিনই তার স্বপ্নের মতো ,মনের মতো হবার কোন সুযোগই নেই (তখনো ট্রান্সজেন্ডার,সেক্স চেঞ্জ এসব সম্বন্ধে কিছুই জানি ,ক্লাস ফোর-ফাইভের মফস্বল বাসী একজন পড়ুয়ার পক্ষে অত জানা সম্ভব ও নয়, ... ...
এই পর্বটা শুরু করছি,মনে অনেক দ্বিধা,অনেক আশঙ্কা নিয়ে,ভয় না হোক ঠিক,বুক দুরুদুরু করছেই-এসব লেখা গুরুর বাইরে গেলে বা গুরুতেই চেনা কেউ পড়ে আমার পরিচয় বুঝে গেলে কপালে দুঃখু আছে,অনার কিলিং না হোক,মানসিক অত্যাচার হতেই পারে বিবিধভাবে,অলরেডি সন্দেহ অনেকেই করে-কারণ যতই নিজেকে ঢেকে,লুকিয়ে রাখতে চাই,নিজের ইচ্ছাগুলো অন্ধকারে ঘুম পাড়িয়ে ,দমিয়ে রাখতে চাই,শাক দিয়ে তো আর মাছ ঢাকা যায় না,সত্যকেও মিথ্যের ক্যামোফ্লেজ পরিয়ে ধুলো দেওয়া যায় না ... ...
রবীন্দ্রনাথের লাইন দিয়েই শুরু করি, সুখে-দুখে-প্রেমে - গানে তিনিই তো আশ্রয় আমার - " যাঁর বেড়ি তাঁরে ভাঙা বেড়িগুলি ফিরায়ে বহুদিন পরে আজ মাথা তুলে উঠেছি "। সেই উত্থান, সেই মুক্তির প্রাথমিক অভিজ্ঞান এই লেখার সূত্রপাত। জানি এখনো অনেক বাঁধন-ছেঁড়ার সাধন বাকি, তাও এই ছোট্ট ধাপটুকু আমার ব্যক্তিগত মনোজগতে এক বিপুল অভিঘাত, এক বিপ্লব ঘোষণার সামিল। এই লেখাটা শুরু করছি, ধারাবাহিক আকারে চলবে, ... ...
Just testing ... ...
সিসা নামটা নিলাম pen-name হিসেবে। I guess this is good to go ,for now. ... ...