বুকের ভেতরের হাহাকার গুলোকে ছোট্ট ঢোক গিলে খেতে খেতেআমি এখন একটা আগাগোড়া প্রস্তরের মন্যুমেন্ট।আমি ভাত ছড়াই না তবু অনাহুত পাখিরা আমার গায়ে বসেতথাকথিত মানুষেরা পাশ কাটিয়ে চলে যায়।কোনো কিছুতেই আমার চোখের পাতা নড়ে নাএক দৃষ্টে চেয়ে থাকি কোনো অশ্বত্থ চারার দিকেযে আমার গা বেয়ে উঠে শেকড় গেড়ে আমাকে ধ্বংস করেমুক্ত করবে আমার এই অস্তিত্বের অবয়বকে।আমি মাটিতে মিশে যাব, আমার গায়ে গজাবে সবুজ ঘাঁসতাদের বুকের ... ...
এন্টেনা ভুলেছে বিমূঢ় কাটা ঘুড়ি শেষ ঠিকানায় শুধু বাতাসে ভর দিয়ে যতটুকু যাওয়া যায়,তারপর মাটির চুম্বন। ধাওয়া করা খালি গায়ের ছেলেটা সব উৎসাহ হারিয়েথেমে গেছে মাঠের আলপথের কোনো এক দূর দিগন্তে। সূতোর বন্ধনে জড়িয়ে উড়বার দিন অতীতের মতো বুকে নিয়ে কাটাকাটির প্রতিযোগিতা শেষে মাঞ্জার দোষে সমস্ত বন্ধন কাটিয়ে উড়ে চলা পথের নিম্নমুখী গতি। হাওয়ার ইচ্ছেয় নির্ধারিত হয় আর কতক্ষণ আকাশ ছুঁয়ে থাকা যায় বেলা যায়, চারিদিকে নিস্তব্ধ ... ...
কমে আসে এ নশ্বর পথ প্রতিনিয়তই খড়কুটোর মতো সময়ের গতি আমার অলস স্থূল অস্তিত্বকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অতিবাহিত জীবন নাম দিয়ে অতিবাহিত জুড়ে থাকে মুহূর্তদের রমরমা বাজার, স্মৃতির পানঘুমটি দুঃখদের আঁশটে দুর্গন্ধ, ঘেন্নার খোসা তবু নেশা নেশা লাগে খামচে ধরি বিষাদ-বিষণ্ণতায় একটি পায়জামার প্রান্ত পায়জামার ভেতর আস্ত একটা নিভৃত জীবন সকাল হলেই ঠিক হাতে থলি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বাজার ঘুরে ঘুরে ... ...
ধেয়ে আসে বিষাদের ঢেউ ঝিঁঝিঁদের নূপুরের সুরে মগ্ন হয় রাত্রির অন্ধকার শুকনো পাতার মতো কামনার স্তুপের নিভৃত আড়ালের আশ্রয়ে বাসা বাঁধে ভালোবাসা; হৃদয়ের উচ্ছৃঙ্খল কীট গভীর নাভিকমলের উষ্ণ ঘ্রাণে ভনভন করে বিভ্রান্ত হয়ে তোমার হাসির রেনু মাখা ঠোঁটের পাপড়িতে গিয়ে বসে জুড়ায় অনন্ত ঊর্ধ্বশ্বাস তোমার কোমল শিথিল শরীরে একমুঠো চেনা হৃদস্পন্দন যত্ন করে মেখে নেয় ডানায় তারপর নিঃশব্দ সেবায় নিয়োজিত করে পরবর্তী শূন্য পথের রেখায় সবটুকু উড়ে চলা। ... ...
সাঁঝবাতির তেল শেষ হয়ে সদ্য নিভিয়েছে। ঘর জুড়ে পলতে পোড়ার একটা গন্ধ। পোষ না মানা বিড়াল টা জানলা দিয়ে এসে তক্তায় ঝাঁপ দিয়ে শব্দ করে নেমে ঘরের ভেতর খাবারের সন্ধানে মেঝেতে নিঃশব্দে পা ফেলে ওঘরে চলে গেল।এতে দীপকের কোনো হেল দোল নেই। ও জানে রাতের অভ্যস্ত এই রুটিন। সন্ধ্যের দীপটা এতক্ষণ না জ্বললেও বিড়ালটা ঠিকই আসে, শব্দ করে জানলা থেকে তক্তায় ঝাঁপ দেয় তারপর নিঃশব্দে ওঘরে চলে যায়। এতক্ষণ প্রদীপটার দিকেই চেয়ে ছিলো সে। ভাবছিলো এই ঘরের অন্ধকারের ... ...
কবিতা চিরকালই নগ্ন নারীর মতো সামনে এসে দাঁড়ায়অথচ দু'হাতের সংকোচ দিয়ে ঢেকে ফেলতে চায় তার সূক্ষ্ম যোনি, সংবেদনশীল স্তন, দৃষ্টির গভীরতা বিভ্রান্ত করতে চায় তার বাহ্যিক আবরণে অভ্যন্তরের সুপ্ত বীজটুকু খুঁজে নেয় শুধু সেই প্রেমিকযার শরীরের অসংখ্য ডালপালায় সাজানো থাকে সবুজ পাতাঅনুভবের হাওয়ায় শিরশিরিয়ে ওঠে যারা একসাথে। ... ...
শুধু ভক্তি থাকলেই হবে না, ইউনিক ড্রেস কম্বিনেশনে পোঁদ দোলাতে দোলাতে র্যাম্প ওয়াক করে রাস্তার ওপর দিয়ে না হাঁটলে দেবীর কৃপা লাভ হয় না। ... ...
একটি ক্ষুদ্রতম স্নায়ুর সংযুক্তিও / সবুজ রেখা এঁকে দেয় গাছেদের মৃতপ্রায় দেহে। ... ...
ইহলোকের অস্তিত্ব সমুদ্রের নুন জলে ফেলে এসেছি / মহাকাশের আলো-অন্ধকারের অনস্তিত্বে ভাসতে ভাসতে ... ...