বাস থেকে নামতেই চারপাশটা গুমোট দেখায়। কী যে ভীমরতি চাপে আকাশটার। সুন্দরী বউয়ের গুঁতো খেলে অনেক পুরুষকে এমন দেখায়। কুশলের বড্ড ভয় করে। আজ সাধনাদের বাড়ি যেতে হলো। ক'দিন মেয়েটা অফিস যাচ্ছে না। জ্বর। খবরটা শুনে কুশল স্বস্তিতে ছিল না। বুকে একটা চিনচিনে ব্যথা। অনেকবার চেষ্টা করেও মোবাইলে পাওয়া গেল না। টেনশানে নিজের রুমে অনেকক্ষণ পায়চারি করল সে। কলিগরা কী বুঝল কে জানে! আড়ালে-আবডালে হাসে। সুযোগ পেলে দু-একটা চুটকি ঝাড়ে। কুশল অবশ্য এসব গায়ে মাখে না। সবাই কী না ভাবে! তবু সাধনা ছাড়া চলে না। ক্লার্ক হয়েও তার অনেক অসুবিধায় পাশে আসে মেয়েটা। ... ...
এ অরণ্যে পাখি নেইশুধু তোমার দিগন্ত ডুব শরীর, বিরোধী মিছিল থেকে তোমার বাবা বেপাত্তা হল যেদিন ... ...
সকাল থেকে টেনশনটা হচ্ছিল। অনেকদিন পর নিজের ছোটবেলার ছোঁয়া পাবে, এ কি কম? হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে বার-দুই ঘর-বাহির করে তোর্সা। মা-ও ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, কী রে অনেকটা পথ তো, জামাইয়ের এত দেরি হচ্ছে কেন? তোর্সা আবার মোবাইলে আবিরকে ধরার চেষ্টা করে। আবার পরিষেবা সীমার বাইরে। মায়ের প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে থমথমে মুখে ঘরে ঢুকে যায়। একটা ফোন তো করা উচিত। একটা পোলিও মেয়েকে নিয়ে দু-আড়াই ঘন্টা রাস্তা তো কম নয়। শোকেস আলমারির সামনে এসে দাঁড়ায় চেয়ারটা। তোর্সা মুখ তোলে, যেখানে উজ্জ্বল হয়ে হাসছে আবিরের মুখ। ছবিটা এতটাই সজীব। মানুষটার দিকে তাকিয়ে তোর্সা নিজের চোখদুটো বোজে। ... ...