দাঁড়া...! দাঁড়া! ওরে থা...ম! দাঁড়া বলছি!আরে কে কার কথা শোনে! যত বলি দাঁড়া তত জোরে ছোটে!- কে রে? কার কথা বলছিস?কে আবার! আমাদের পাড়ার পুরুতমশাই বাবু কাকার ছেলে সন্টা। আর ছুটবে নাই বা কেন? বড় কাকিমার ঘরে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে জলের কুঁজো ভেঙেছে যে! সারা ঘর জলে জলাক্কার! খাটের তলায় টানা বিছানা আর গদি গুটোনো ছিল। সেগুলোর যে কি হাল সে বলাই বাহুল্য।দেখতে দেখতে সে মেজকাকার ঘরের পেছনে ঘুড়ি ধরার নেড়া ছাদ থেকে ঠাকুমার ঘরের সামনের বড় দালান পেরিয়ে, পুবের বারান্দা দিয়ে দৌড়ে, দোতলা থেকে তিনতলায় ওঠার সিঁড়ি এক ধাপ, দু ধাপ বড় বড় পায়ে টপকে সোজা ছাদে। আর আমাকে ... ...
রোববার সকাল বেলা ফেসবুকটা খুলেই মাথাটা গরম হয়ে গেল উজ্জয়িণীর। ’মা’-পোস্টে একেবারে ছেয়ে গেছে। ক্যানোরে বাবা! মা মা করে এত আদিখ্যেতা না করলেই নয়? মাদারস ডে বলে কি একেবারে মাথা কিনে নিয়েছে? বছরে আর ৩৬৪ দিন এত মাতৃভক্তি থাকে কোথায়? যত্তোসব! বিরক্তির সঙ্গে মোবাইলটা বন্ধ করে সোফায় ছুঁড়ে রাখতে যাবে এমন সময় নীচ থেকে ভেসে আসে শাশুড়ির উচ্ছ্বসিত কন্ঠস্বর –”কি ভালো মাছটা পেয়েছিস রে সমর, একেবারে টাটকা আর পরিস্কার!” উজ্জয়িণী বুঝতে পারে যে তার ভাসুর সমর বাজার নিয়ে ফিরেছে। আর মা সংক্রান্ত কিছু হলেই এবাড়িতে বাঁধা মেনু – কুচো মাছের বাটিচচ্চড়ি! সে শাশুড়ির জন্মদিনই হোক বা বিবাহবার্ষিকী! বাটিচচ্চড়ি হবেই হবে। কখনো ... ...
- সে কি...... আ...লু নে...ই??? বনমালী বাবুর আর্তনাদে দুর্গাপুরের পুরনো রেল কোয়ার্টার কেঁপে উঠল। মনে হল কেউ যেন ওনার পাঁজরার একটা হাড় খুলে নিয়েছে।সবেমাত্র বদলি হয়ে বনমালী বাবু আজ দুর্গাপুর পৌঁছেছেন। স্নান শেষ করে সবে আরাম কেদারায় গা এলিয়ে বসেছেন, অধস্তন দীপক এসে সুখবরটা দিল যে নতুন সাহেবের আসা উপলক্ষে বাবুর্চি রামশরণ বিরিয়ানী দমে বসিয়েছে। ... ...
চৌর্যবৃত্তির স্বদেশ ও বিদেশ - ১ মাঘের মধ্যরাত। সারা কলকাতা লেপ-কাঁথার ওমে নিদ্রামগ্ন। সৌদামিনী গভীর ঘুমের মধ্যেই যেন একবার ক্ষীণ বাসনের শব্দ পাইলেন। বিড়াল অথবা ছুঁচো হইবে – ইহা ভাবিয়া উহাকে অগ্রাহ্য করিয়া তিনি পাশ ফিরিয়া শুইলেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফের শব্দ হইল। এইবার তাঁহার বোধ হইল যে ইহা তো একতলার কলতলায় এঁটো বাসন বা হাঁড়ী-কড়ার শব্দ নহে, পিতলের বাসনের শব্দ। মুহূর্তের মধ্যে স্মরণে আসিল যে সংক্রান্তির পুজার জন্য পিতল, তামা ও রূপার বাসনাদি ... ...