বেশ কিছুদিন হল আমাদের বাঙ্গালিদের মূত্ররোগ ধরা পড়েছে। কিন্তু কন্ট্রোল নহি হোতা গোছের ব্যাপার আর কি। বাঙ্গালি বলতে এখানে আমি বাঙ্গালি পুরুষদের কথাই বলছি। কলকাতার যে কোনও রাস্তায় দিন বা রাতের যে কোনও সময়ে তাকাবেন দেখবেন critical ও strategic মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করছে মূত্ররোগীরা, সব বয়সের পুরুষ ভদ্র অভদ্র চাকুরে ফুটপাথবাসী খুচরো ভেন্ডার থেকে মায় পুলিশ সিপাহী সব্বাই। আমার ছেলেবেলায় এসব মফস্বল বা পাড়াগাঁয় হত, শহরে খুব নির্জন গলি বা বেশি রাত দুপুরে কেউ দাগ রেখে যেত কিন্তু যখন তখন যেখানে সেখা ... ...
নজরুল ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন? এলিটরা তাঁকে নিয়ে বিড়ম্বিত বোধ করেন। রবিবাবুও নন ম্যাট্রিক কিন্তু তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত, দ্বারকানাথের লাতি, দেশে বিদেশে সম্বর্ধিত। নজরুল লোকটা ছ্যাঁচড়া, অস্থান কুস্থানে গতায়াত, না মুসলমান না হিঁদু, হাবিলদার ছিল, একটাও বিদেশি রেফারেন্স নেই কোনও লেখায়, মফস্বলি টাইপ, তার উপর দায়িত্বজ্ঞানবিরহিত, বাজারের থলি হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে শিয়ালদহ ইষ্টিশন থেকে ট্রেনে চেপে ঢাকা চলে যায়, বাঙ্গালি বোদ্ধাদের চায়ের পেয়ালা নয় এ বস্তু।
নজরুলের জনপ্রিয়তা আজও বুদ্ধিজীবী সীমা ... ...
আমি বোকা পাঠক। অনেক পরে অক্ষয় মালবেরি পড়লাম। আমার একটি উপন্যাস চির প্রবাস পড়ে দেবারতি মিত্রর খুব ভাল লাগে। উনিই বললেন, তুমি ওনার অক্ষয় মালবেরি পড় নি? আজি নিয়ে যাও, তোমার পড়া বিশেষ প্রয়োজন। আমি সম্মানিত বধ করলাম। তাছাড়া মনীন্দ্র গুপ্ত আমার প্রিয় কবি প্রিয় মানুষ। যদিও দুঃখের বিষয় একদম শেষের কটি দিন তাঁকে দেখার সুযোগ হয়েছে। যেইমাত্র আমার দ্বিতীয় কবিতার বই " যাই" দেবারতি ও মনীন্দ্রকে উৎসর্গ করেছি ধানসিঁড়ি বই মেলায় প্রকাশ করার অনতিপরেই কবি যাই বলে অন্তর্ধান করলেন।
অক্ষয় মালবেরি অখণ্ড পড়লাম ... ...