তমসা অরণ্যকে ভাবতে নিলে ক্যান্সার হাসপাতালের দোতলায় একটা দুপুর মনে পড়ে যায়। সারে সারে পর্দার আড়ালে শুয়ে আছে চেয়ার পাশাপাশি, কাছাকাছি। কেউ কাউকে দেখছি না অথচ টের পাচ্ছি পানির বোতল খুললো কেউ, একজন ফোনে নাতীর জুতোর মাপ জানাচ্ছে, খুুক করে কাশি, আল্লাহ বলে পাশ ফিরলো কেউ, একজন বানান করছে C cat, B boy, D David, W water, J joy 804-333, বাঁধের মতোন খুলে গেল চিপসের একটা প্যাকেট, নাক ডাকছে কেউ যেন একটা খেঁকশিয়াল দরজা খুলে হুক্কাহুয়া ডেকে দুম করে আবার বন্ধ করে দিল দরজা। আমার পাশের চেয়ারে এক বৃদ্ধা এসেই জানালার পর্দা সরিয়ে খবর ছড়িয়ে দিলেন- what a pretty sky! ... ...
--- ... ...
----- ... ...
মুজবান হকের প্রস্থান ওরা কখনো দেখেনি। তবে মাছের পেট চিরে যেমন পেটি গড়ায়, তেমনি প্রকাশ পেত ওর না থাকাটুকু। বাড়ির উঠোনের চার কোণে বিনীত অথচ অদম্য সেনাপতির মতন কাঠের ফ্রেমে ঝুলে থাকতো চারটে সাদা পাঞ্জাবী। প্রতিবার একই রকম নির্ভুল কাকতাড়ুয়া দৃশ্য রেখে মুজবান হক হারিয়ে যেত। প্রথমবার নিখোঁজের দিনগুলিতে স্ত্রী জয়তুন ভয়ে, অনিশ্চিয়তায়, সন্দেহে -স্বামী বশীকরণ, পলাতক লোক ফিরে পাওয়া, হারানো মানুষের সন্ধান, একান্তে কাছে পাওয়া, আশেকের সাথে মিলন, বাড়ি বন্ধ, শত্রু দমন, জ্বীন তাড়ানো, সুখ শান্তি লাভ- এরকম পঞ্চাশ রকমের তাবিজ গাছে ঝুলিয়েছিল, মাটিতে পুঁতে ছিল। ওদের ছেলে পানু ভাবতো পানি দিলে একদিন সারে সারে তাবিজের গাছ হবে ওদের ... ...