এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌস্তভ ভট্টাচার্য | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ২১:৩৫377228
  • [ রবীন্দ্রনাথের 'রবিবার' গল্পটি আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে অক্টোবর মাসে। পরে তিনসঙ্গী গল্পসংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়। যারা মূল গল্পটি পড়েননি দয়া করে নীচের লিঙ্ক থেকে পড়ে নেবেন ।
    https://bit.ly/2uUzr4C
    এই লেখাটা প্যাস্টিশ কিম্বা পাকামো কোনটাই নয়। অতিপ্রিয় গল্প নিয়ে নেহাৎ ছেলেখেলা। সেভাবে পড়লেই খুশি হবো। ]

    ।।।আগামী রবিবার।।।

    (১)

    সাজানো স্বপ্নের মতো বুধবারের দুপুর। ভরা আশ্বিণের আলোয় বাঁধানো রাজপথেরা উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে ভিস্তিওয়ালাদের জলে মুখ ধুয়ে পরিপাটি হাসি হাসে রাস্তাগুলো সারা দিনভর। স্বাধীন দেশের স্বাধীন মহানগরী উজ্জ্বল হয়।

    তারপর আসে মানুষ , শয়ে শয়ে , হাজারে হাজারে । ট্রামে বাসে ঝুলে , ট্রেনে স্টিমারে চড়ে। যশোস্বিনী রাজপথের লাঞ্ছনা চলে দিনমান।

    তবে এখনো পুজোর ছুটি শেষ হয়নি । জনস্রোত কিছু কম । দেশভাগের আঘাতে পুরনো বহু বনেদী পরিবার এখন বিগতগরিমা। শারোদৎসব তাই এখন সর্বজনীন। সেই আমোদ কাটিয়ে মহানগরী এখনো পুরোপুরি কাজে ফেরেনি , কর্মহীনতার মায়া কাটানোর বিশ্রাম উদযাপনে এখনো সময় কাটাচ্ছে বেশিরভাগ নাগরিক।

    একশো বছর আগে কোলকাতা শহরে হাড়গিলে দেখা যেতো নাকি যত্রতত্র। এতদিনে তারা সব মরেহেজে গেছে , তা নাহলে গতকয় বছরে মানুষ নিধন যেভাবে পাইকারি ব্যাবসায় দাঁড়িয়েছে, তাদের ভোজ বড়ো কম হতনা।

    বিভাদের পাড়াটা সেই অর্থে দাঙ্গা বিধ্বস্ত নয় , গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষই এখানে একেশ্বরবাদী ব্রাহ্ম। দুই একঘর যে সনাতন হিন্দুরা আছেন , তারাও আলোকপ্রাপ্ত নির্বিবাদী।

    তবে বিভার কল্যাণেই দাঙ্গার কিছুটা আঁচ এসে লেগেছিল - পথেঘাটে তখন সন্ত্রস্ত মেয়ে দেখলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা বিভার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো প্রায় । প্রতিটা রাষ্ট্রবিপ্লব দেশের মেয়েদের নির্যাতন করে কি প্রমাণ করতে চায় , বিভার জানা নেই । কিন্তু এই মেয়েদের জন্য এসেছিলো একদল। কাছের থানার দারোগা বিভার বাপ শচীশের বাল্যবন্ধু , খবর পাওয়ামাত্র দলবল নিয়ে চলে আসেন সশস্ত্র হয়ে, তার আগে বিভাদের বাগানের গেট ভাঙতে পারেনি ওরা । সে যাত্রা বিভা মেয়েগুলোকে নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলো।

    এখন সেই কাজই বাড়তে বাড়তে বাড়ির এক অংশ জুড়ে লেডিস হোস্টেল - বিভার বিশ্বহিতৈষা শেষমেশ কাজে এসেছে একরাশ সবখোয়ানো মেয়েদের ।

    জানলার বাইরে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো বিভা। পাশের বাড়ির ছাদের পাঁচিল দেখা যায় তার দোতলার ঘরখানি থেকে । ছাদে যে পাখিটা বসে আছে সেটা শঙ্খচিল । এদেশের পাখি নয় , পূর্ব পাকিস্তানে প্রায়ই দেখা যেত।

    কে যানে কার খোঁজে এসেছে - হয়তো বিভার হোস্টেলেরই কোন মেয়ের স্বজনের খবর নিয়েই এসেছে ।

    সুস্মি ঘরে এসে ঢুকলো - সে সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে । দীর্ঘাঙ্গী - রং ঈষৎ চাপা। এখন কলেজে পুজোর ছুটি। তাই সুস্মি বিভার সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গীনি।

    'পিসিমা' - সুস্মি ডাকলো। সে জানে এই সময়টা পিসিমার ঐকান্তিক ।

    সুস্মির গলার স্বরে চাপা উত্তেজনা শুনে বিভা ফিরে তাকালো।

    'চিঠি এসেছে'।

    বিভা একপলক হতবুদ্ধি হয়ে সুস্মির দিকে তাকালো। পরক্ষণেই ব্যাপারটা বুঝে ওর শরীরের সমস্ত রক্ত জমা হলো যেন মুখে। দশ বছরের ছোট সুস্মি এখন ধারেভারে তার পিসিমার প্রায় বান্ধবী ।

    চিঠিটার সাথে বিভাকে একা ছেড়ে নিমেষেই বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে ।

    বিভা খামটা খোলার আগে যদি একবার আয়না দেখতো তাহলে বুঝতো মুখে নিমেষে জমা হওয়া রক্ত তার চাপা লাবণ্যকে এখন বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে । প্রায় বিগতযৌবনা বিভাকে এখন হয়তো সুন্দরীই বলা চলে ।

    (২)

    সাতদিন আগের চিঠি। বিমানে এসেছে। অভীক লিখেছে

    সদ্য শীত তোমার খুব প্রিয় ঋতু ছিলো। গোটা শহরের নাগরিকারা যখন বিলিতি ক্রিম ঘষে ঘষে নিজেদের রুক্ষতা ঢাকতো - তুমি তখন সেই নরম রোদ্দুর মাখতে স্বাভাবিক লাবণ্য নিয়ে। ক্রিমদের থেকে নিশ্চিন্তে দূরত্ব বজায় রাখতে - অথচ কখনো তোমার ত্বকে রুক্ষতা নজরে পড়েনি আমার । যদিও অন্য মেয়েদের ত্বকের সাথে আমার পরিচয় অনেক ঘনিষ্ট । তুমি বরাবরই - কিছুটা দূরের।

    এতো কথা বলাই এই কারণ যে এই মাঝ আশ্বিনেই এখন শিকাগোতে সদ্য শীত। গ্রীষ্মের আলো বাতাস ঝেড়ে ফেলে , এখন এই শহর শীতঘুমের আগের আড়মোড় ভাঙছে নির্ভেজাল। আমার ঘরের জানলা দিয়ে দেখা চেরি ফুলের গাছটা এখন রিক্ত, বাহুল্যহীনা। দেখে তোমার কথা মনে পড়ে গেলো। খাতা কলম নিয়ে চিঠিটা লিখতে বসে গেলাম।

    বিলিতি জাহাজের স্টোকার হয়ে দেশ ছেড়েছিলাম । সেখান থেকে সাগর পেরিয়ে আমেরিকায় কিভাবে পৌঁছলাম সে অনেক বড়ো গল্প । আমার আর তোমার মধ্যে সবটুকু রহস্য কখনো মরে যায়নি। সেই ধারাই বজায় থাকুক না হয় । এটুকু বলতে পারি যে সদ্যবিগত মহাযুদ্ধের কিছুটা ভূমিকা আছে এই মহাদেশ পেরোনোয়।

    এতক্ষণে তুমি নিশ্চয় অবাক হয়েছ বিস্তর । আগের সবকটা পঙক্তিতে খুঁজছো তোমার প্রেমিক অভির , আর্টিস্ট অভির বিদেশে জয়যাত্রার গল্প। যে তোমার হার চুরি করেছিলো মিকেলেঞ্জেলো হবার ঝোঁকে।

    হোলোনা বী । আর্টিস্ট সত্ত্বার আর্তনাদের মুখ চেপে ধরে এখন নতুন গাড়ির মডেলের ব্লুপ্রিন্ট বানাই। এদেশে কিভাবে যেন বুঝতে পেরেছে এই বাস্পশকটের সাথে আমার আযৌবন দাম্পত্যের গল্প । এককালে সনাতন ধর্মের মূলোতপাটন করতে গ্যারেজে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন জেনারেল মোটরের ডিজাইনে দিনগুজরান।

    সেসব কথা থাক। যে কারণে এতো বছরের চুরি লুকিয়ে শেষমেশ ধরা দেওয়া তার কথা বলি।

    আমার গৃহকর্ত্রীটি পুরুষের বাড়া। আমার নিশ্চিন্ত প্রবাসে তিনি প্রায় মূর্তিমান বিভীষিকা। না ভাড়ার তাগাদা আমায় কখনো ব্যাস্ত করেনি। বরং আমি এই যে একা একা থাকি , আমার খাওয়াদাওয়া, শরীরস্বাস্থ্য সম্বন্ধে তিনি প্রায় স্বঘোষিত অভিভাবিকা। তুমিই বলো যে ছেলে নিজের বাপকে মানলো না, তার এতো শাসন সয়?

    ভদ্রমহিলা জাতে পোলিশ, আমারই মতো উতপাটিত সত্ত্বা। হিটলারের তাড়া খেয়ে কোন গোপন পথে আমেরিকায় সপরিবারে বাসা বেঁধেছিলেন। ইহুদি, তাই ইউরোপ তাদের পক্ষে সুখাবস্থান ছিলোনা কখোনই সেসময়।

    সেদিন অফিস থেকে ঘরে ফিরেছি । আমার বৈকালিক কফি খাওয়ানোর দায়িত্বটা তিনি নিজেই নিয়ে নিয়েছেন । বলতে নেই ভদ্রমহিলার কফি খেয়ে আমার নাস্তিক বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে। স্বর্গের অমৃত এর চেয়ে ক্ষুণতর হবে বলেই বোধ হয়।

    কিন্তু সেদিন কফিটা দেখলাম বেজায় পানসে। শ্রীমতী মিরিয়াম, আমার স্বঘোষিত অভিভাবিকা , কিছুক্ষণ পর এসে দেখলেন আমি কফিটা পুরো খাইনি। নিজের মতো করে বুঝে নিলেন , মেয়েরা যেভাবে বোঝে । আধ খাওয়া কফির কাপটা তুলে নিয়ে আমাকে তার সাথে কিচেনে নিয়ে চললেন।

    এখানে বলে রাখা দরকার - আমি রান্নায় এখনো খুব একটা দড় নই, তাই পেয়িং গেস্ট থাকি। রান্নাঘরের দোর পেরবার প্রয়োজন পড়েনা বেশি। গিয়ে দেখি এক অল্প বয়েসী মেয়ে সেখানে । তাকে এই বাড়ির চৌহদ্দিতেই দেখিনি কখনো। গৌরবর্ণা, ঘন নীলচোখ। মিরিয়াম আলাপ করিয়ে দিলেন - নাম হানা।

    মিরিয়ামকে পরে একা পেয়ে প্রশ্ন করলাম ব্যাপারটা কী ? ইহুদি রান্নাঘরে জার্মান রাঁধুনি মহাযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে খুব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। মিরিয়াম স্বভাবতই বললেন কিছুই না । কাছের ইহুদি মার্কেটে মেয়েটাকে একা পেয়ে কয়েকটা ইহুদি ছেলে বিরক্ত করছিলো। হানা মহাযুদ্ধে জার্মানির পতনের ঠিক আগে পালিয়েছিল দেশ ছেড়ে। কিন্তু এই ইহুদি ছেলেগুলো তাকে একা পেয়ে সমস্ত নাৎসি অত্যাচারের প্রতিক্রিয়া দেখাবার চেষ্টা করছিলো। মিরিয়াম ছেলেগুলোকে তাড়িয়ে দেন। এই অঞ্চলটা ইহুদিদেরই, আর মিরিয়ামের চেনাজানা বিস্তর , তাই ছেলেগুলো ঘাঁটায়নি। মিরিয়াম সেখান থেকে মেয়েটিকে নিয়ে এসে নিজের কাছে রেখেছেন।

    বী, আমার মধুকরী - পৃথিবীর সব মেয়ের মধ্যেই কি কোথাও কোন মূহুর্তে তুমি ধরা দাও? এই রণক্লান্ত, দীর্ণ, পারষ্পরিক অবিশ্বাসকে তুঙ্গে নিয়ে চলা আধুনিকতার বিরুদ্ধে চির প্রাচীন ঢাল হাতে - মানুষকে এক পরম ওমে মুড়িয়ে নিয়ে যাও সেই ভুলে যাওয়া অনুভূতির দিকে - যাকে - রবীন্দ্রনাথ ভালোবাসা বলে ডাকতেন?

    তোমার কোলকাতার খবর আমি সবই জেনেছি । এখন রেডি সিগনালের জমানায় একা খানবিশেক মেয়েকে বাঁচাবার কথা চাপা থাকেনা। আমার এই সাধারণত্বে মাখানো জীবনে একমাত্র সান্ত্বনা তুমি আমায় কোনকালে অসধারাণ ভাবতে। আমার নাস্তিক জীবনে এইটুকু অলৌকিক লেগে থাকুক।

    আগামী,রবিবার, হানাকে আমি বিয়ে করছি - মিরিয়ামকে নিজেই প্রস্তাবটা দিলাম। করুণা নয় । দুজন বাস্তুহারা মিলে একটা কিছু বানাতে পারি কিনা দেখি।

    এদের এখানে কন্যাপণ দেবার প্রথাটা নেই, কিন্তু প্রথার বিরুদ্ধে যদি না দাঁড়াবো তাহলে আমার নাম অভীককুমার কেন?

    মা নেই আর। আপন বলতে তুমিই। কন্যাপণটা তোমাকেই দিলাম , তোমার হারটা এতদিন সাথে ছিলো। ভেবেছিলাম কোনদিন নিজের হাতে তোমার কন্ঠলগ্না করাবো হারটাকে। আজ বাজারে বেচে দিয়ে এলাম। সাথে নিজের একটা ঘড়িও। টাকাটা মানি অর্ডার করেছি - একটু দেরী হতে পারে - কিন্তু পেয়ে যাবে । তোমার লেডিজ হোস্টেলের নামেই পাঠালাম। হোস্টেল শব্দটা বোধহয় এই নাস্তিকের জন্য ঠিক হলোনা - মন্দির বললে কেমন হয়?

    শিকাগোতে মিশিগান লেকের পাড় থেকে এখন সদ্য শীতের তিরতিরে হাওয়া দিচ্ছে। বড্ড শান্তির বছরের এই সময়টা। ভালো থেকো।

    ইতি, তোমার নাস্তিক ভক্ত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন