এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ভূত ভবিষ্যত!

    bip
    অন্যান্য | ০৯ জুলাই ২০১৭ | ১০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 81.12.***.*** | ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৮:৩৮368001
  • (১)
    ভারতের আই টি শিল্পে কর্মী ছাঁটাই অব্যহত। এখন যা হচ্ছে, তা হিমশৈলের ভাসমান অংশমাত্র। আমেরিকাতে আমার যেসব বন্ধু সার্ভিস সেলসে আছেন-তাদের অনেকের কাছ থেকেই শুনছি ট্রাম্প জমানা আসাতে অনেক ডিল হয় বাতিল, না হলে পেছোচ্ছে-নইলে কাজ পাচ্ছে স্থানীয় আমেরিকান কোম্পানী। সেলস পাইপলাইন শুকানোর দিকে। এখনো বড়সর কিছু লে-অফ হবে না। কিন্ত আস্তে আস্তে আই টি ইঞ্জিনিয়ারদের ওপরে অটোমেশন এবং ট্রাম্পের গিলোটিন ঝপাৎ করে নামার অপেক্ষায়।

    ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাটার ভবিষ্যতই প্রশ্নের মুখে। অনেক বাবা মা যাদের ছেলেমেয়েরা উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছেন তারাও আমাকে জিজ্ঞেস করছেন। আবার যাদের ছেলেমেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, তাদের কপালেও চিন্তার খাঁজ। টিসিএস, ইনফি এরা ক্যাম্পাসিংএ না এলে, ফ্রেশার না নিলে কি ছেলেটার ভবিষ্যত কি? যারা এই পেশাতে আছে, তারাও আমাকে ইনবক্স করছেন। ফলে বহুদিন থেকেই ভাবছিলাম এই ব্লগটা লিখব। বিশেষত আমরা যখন উচ্চমাধ্যমিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা নিয়ে স্বচ্ছ ধারনা ছিল না কারুর। এখনো অবস্থার পরিবর্তন হয় নি। সব থেকে বড় কথা, এখন যে কাজগুলো করে আমরা খাচ্ছি, সেইসব পেশার অস্তিত্বই ছিল না তখন। ইঞ্জিনিয়ারিং এ এটাই সব থেকে বড় কথা। প্রযুক্তির গতি এখন তীব্র। প্রতি দুই তিন বছরে বদলে যাচ্ছে টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম। ট্রেন ধরতে লেট করলেই ভোকাট্টা ঘুরির মতন মার্কেট থেকে আছড়ে মাটিতে।

    তবে এর মধ্যেও শান্তনা এটা যে ভাল ইঞ্জিনিয়ারের অভাব এখনো সুতীব্র। ভারতে প্রতি কুড়িটা ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে একজন পাতে দেওয়ার যোগ্য। একশো জনে একজন পাওয়া যায়, যাকে আন্তর্জাতিক মানে ডিস্টিংশন দেওয়া যায়। ফলে যারা খুব খেটে প্যাশনেটলি কোডিং শিখছে, নিজের সাবজেক্ট শিখছে, নানান প্রোডাক্ট ডিজাইনে অংশ নিচ্ছে-তাদের কোন চিন্তা নেই। কিন্ত যারা বিটেকের চারটে বছর গায়ে হাওয়া দিয়ে ঘুরে আগে ক্যাম্পাস নামিয়ে দিত-দুর্দিন তাদের।

    (২)
    এবারে আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা এবং তার হালচাল নিয়ে কিছু ধারনা করা যাক। প্রযুক্তি মানেই যন্ত্রের সাহায্যে মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজ, সুন্দর এবং নিরাপত্তা দেওয়া। এর বাইরে কিছু হয় না। এই পেশাতে সব কিছুই লাগে-বিজ্ঞান, গণিত, আর্টস, ডিজাইন, অর্থনীতি, একাউন্টিং। ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা বলে আলদা কিছু নেই-এটাও ডাক্তারদের মতন অভিজ্ঞতাবাদ বা এম্প্রিরিসিজম। অভিজ্ঞতা লদ্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগানো।

    ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার সেই অর্থে কোন গ্ল্যামার ছিল না। পাবলিক সেক্টরে ভাল মাইনের চাকরি পেলেই অনেকেই বর্তে যেত। ১৯৯১ সাল থেকেই চাকা ঘোরে। মনমোহন সিংহের উদারনীতির জমানায় ভারতে ঢোকে একাধিক আমেরিকান কোম্পানী। এর সাথে সাথে আমেরিকাতে শুরু হয় কম্প্যুটার ইন্ড্রাস্ট্রির বুম। ১৯৯৫ সাল থেকে সিলিকন ভ্যালিতে শুরু অসংখ্য ইকর্মাস স্টার্টাপ। এরা এমন সব মাইনে দেওয়া শুরু করল, যা নেহেরুর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভারতে কেউ ভাবতেও পারত না আগে। আমার মনে আছে সেই ১৯৯৩-৯৫ সালে কেডেন্স, সান সিস্টেম এরা আই আই টি ক্যাম্পাসে বছরে সাত লাখ টাকার প্যাকেজ নিয়ে আসে। যা তখন ছিল অকল্পনীয়। কারন আই আই টির সিনিয়ার অধ্যাপকদের বার্ষিক বেতন তখন পাঁচ লাখের নীচে।

    এর পরে আমেরিকাতে আই টি শিল্পের চাহিদা যত বেড়েছে-ভারতের আই টি কোম্পানী গুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে । কারন আমেরিকাতে অত আইটি কর্মী ছিল না-এখনো নেই। ১৯৯৩ সাল নাগাদ ক্লিনটন গ্যাট চুক্তি সাইন করেন। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন গ্লোবালাইজেশনের পক্ষে ছিলেন। ফলে উনার আমলে আই টি কর্মীদের আমেরিকাতে নিয়ে আসা সহজ করতে এইচ ওয়ান বি ভিসা চালু হয়। যার অধিকাংশ পেয়েছে ভারতীয়রা।

    ১৯৯৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় আই টি শিল্পের স্বর্নযুগ। পৃথিবীর সব দেশেই ভারতীয় আই টি কর্মীদের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। আই টি শিল্পের সাপ্লাই লাইন বজায় রাখতে ভারতে গজিয়ে ওঠে অসংখ্য প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সাথে সাথে বেড়েছে মাহিনাও। বিশেষত যারা অভিজ্ঞ। এন্ট্রি লেভেল মাইনে একই থেকেছে।

    আমেরিকাতে ২০০৭-৮ এর অর্থনৈতিক মন্দায় ভারতীয় আই টি প্রথম ধাক্কা খায়। যদিও আমেরিকা প্রচুর ধার করে, অর্থনীতি ফিরিয়ে নিয়ে আসে আগের যায়গায়, আই টি শিল্পের জগন্নাথ রথ পাঁচ টি গাড্ডায় হোঁচট খায়।

    -- অর্থনৈতিক মন্দার আগে, আমেরিকাতে শিক্ষিত লোকজন এত ভারতীয় বিদ্বেশী ছিল না। ভারতীয়রা চাকরি নিয়ে যাচ্ছে এটা রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিনত হয় নি। এর কারন আছে। ২০০১-২০০৭ পর্যন্ত আমেরিকার রিয়াল এস্টেট বাড়ছিল হুহা করে। ফলে বাড়ির দাম, স্টকের দামের হুহু করে বাড়তে থাকায়, মোদ্দা কথা পকেট ভারী থাকায়, ভারতীয়রা চাকরি নিয়ে গেলেও কেউ আন্দোলনে নামে নি।। নিজেদের ফূর্তির টাকা এসে গেলে আমেরিকানরা খুশ-কিন্ত না এলেই তারা ভয়ংকর। অর্থনৈতিক মন্দার পরে, আমেরিকার অর্থনীতি স্বাভাবিক হল-কিন্ত যাদের চাকরি গেছিল-অনেকেই চাকরি ফিরে পেল না। জবলেস রিকভারি। এরাই আস্তে আস্তে সংগঠিত হতে থাকে ভারত এবং চীনে আউটসোর্সিং এর বিরুদ্ধে। গ্লোবালাইজেশনের বিরুদ্ধে এই রাগ কাজে লাগিয়ে এলেন ট্রাম্প-ফলে আউটসোর্সিং এর পক্ষে যেতে ভয় পাচ্ছেন আমেরিকান সিইওরা।

    - দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফসাইকল। যেকোন ইঞ্জিনিয়ারিং জিনিস যখন মার্কেটে আসে-প্রথমে প্রচুর স্কোপ থাকে। আস্তে আস্তে সব কিছু স্টান্ডার্ডাইজ করা হয়। এর ফলে পুরো জিনিসটা একদম ছকে ফেলে প্রোডাক্ট-অটোমেশন করা সম্ভব। যে কাজের জন্য ২০০৫ সালে পঞ্চাশ জন লাগত, এখন লাগে তিন জন। কিন্ত তারপরেও অসুবিধা নেই। নতুন নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট বা প্রযুক্তি বাজারে আসতেই থাকে। নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের সেই নতুন প্রযুক্তিতেই সংস্থান হয়।

    - তৃতীয় সমস্যাটা এই নতুন প্রযুক্তি থেকেই উদ্ভুত। ২০১২ সালের মধ্যে বলতে গেলে আমেরিকা এমন কি ভারতেও সব বিজনেসে কোন না কোন আই টি প্ল্যাটফর্ম আছে। সেসব চালাতে বেশী লোক লাগে না। মার্কেটের নতুন দাবী হচ্ছে এই যে এত ডেটা আসছে সেটা কাজে লাগিয়ে বিজনেসটা বাড়াও। মানে সেলস বাড়ানোর জন্য তথ্য বিশ্লেষন কর। সাপ্লাইচেইন ভাল করার জন্য ডেটা সায়েন্স। ইত্যাদি। সেখানেই এখন প্রজেক্ট বেশী। মুশকিল হচ্ছে, ভারতের অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ার এই ধরনের কাজের জন্য তৈরী না। কারন এরা অঙ্ক, কম্পুটার সায়েন্সের গভীর ফান্ডামেন্টাল এবং পরিসংখ্যানবিদ্যা বা স্টাটিসস্টিক্স শেখে না ভাল করে কলেজে। ফলে তাদেরকে এই কাজের জন্য রিস্কিলিং করা দুঃসাধ্য। সেটাই মূল সমস্যা এখন।

    -চতুর্থ সমস্যার উৎ্পত্তি তৃতীয় সমস্যা থেকেই। ভারতে শিক্ষার মান নিম্নগামী। এর কারন শিক্ষার বেসরকারিকরন। আমেরিকাতে যেখানে অধিকাংশ ছাত্ররা সরকারি স্কুলে যায়, ভারতে মেট্রোশহরগুলোতে সব প্রাইভেট স্কুল। সেখানে না আছে ভাল টিচার-না হয় পড়াশোনা। শুধু মার্কস ওঠে। আর এই যে এনালাইটিক্যাল কাজের বিরাট মার্কেট তৈরী হয়েছে, সেখানে চিন্তাশীল ছাত্রছাড়া জাস্ট গাঁতানো লোকজন দিয়ে কিস্যু হবে না। কারন প্রতিটা পরিস্থিতি আলাদা। ্পরিস্থিতি বুঝে সমাধান করার অভ্যেস ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের একদম নেই।

    মোদ্দা কথা ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটা পেশা যেখানে আজ একটা প্রযুক্তি, কাল অন্য প্রযুক্তি আসবে। এবং নতুন প্রযুক্তিতেই নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের সংস্থান হবে। এটাই নিয়ম। কিন্ত সেখানে অসুবিধা হচ্ছে কারন এখন এই নতুন প্রযুক্তি বোঝার মতন যে ব্যাকগ্রাউন্ড দরকার, সেটা অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রীদের নেই।

    - আর শেষ সমস্যাটা ম্যানেজারদের নিয়ে। ভারতের সমাজে বর্ণবাদের প্রভাব খুব গভীরে। ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজাররা ছড়ি ঘোরাতে ভালবাসে, নিজেরা একবার ম্যানেজার হয়ে গেলে নিজেদের ব্রাহ্মন আর অধীনস্থদের শুদ্রভাবে। ফলটা এই যে-নিজেরা প্রযুক্তি শেখা ছেড়ে দেয়। যার জন্য ভারতের মিডল ম্যানেজারদের একবার চাকরি গেল , নতুন করে তাদের চাকরি পাওয়া মুশকিল। কারন তারা ইঞ্জিনিয়ারিং সব ভুলে গেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাতে ওটা নৈবচ।

    (৩) তাহলে উপায় ?

    যারা ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসাবে নিতে চাইছে, তাদের প্রথম কর্তব্য এটা বোঝা, শিক্ষাব্যবস্থা, নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং চাহিদার জন্য সম্পূর্ন ফেলিওর। সুতরাং প্রস্তুতি এই ভাবে নিতে হবে

    - মিডল স্কুল ( সিস্ক সেভেন ) থেকে কোডিং শিখতে হবে
    -স্টাটিস্টিক্স, ম্যাথ এবং এলগোরিদম শিখতে হবে ক্লাস ফাইভ থেকেই । খান একাডেমি থেকে অনেক সংস্থাএখন ফ্রিতে কোডিং এবং এলগোর কোর্স দিচ্ছে।
    -সাথে সাথে কম্পুটারাইজড ডিজাইনের -যেমন এডব ফটোশট ইত্যাদি শেখা ভাল।
    - ক্লাস এইট নাইন থেকে ছোট ছোট আই টি কোম্পানী গুলির সাথে যুক্ত হয়ে পা্ট টাইম
    ইনটার্নশিপ শুরু করা ভাল।
    -ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ঢুকলে, সেখানে যে সাবজেক্টটাই নাও, সেটা ভাল করে শেখা উচিত। আগে দরকার ছিল না। এখন আছে। স্টাট, ম্যাথ, কম্পুটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স, ফিজিক্স-এই সাবজেক্ট গুলো যারা নেবে এবং "শিখবে" -তাদের এডভ্যান্টেজ।

    বর্তমানে যেভাবে ছেলেমেয়েরা আট নটা টিউশুনি করতে দৌড়াচ্ছে মার্কস তোলার আশায়-তারা এইসব কি করবে জানি না। তবে না করলে ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিছিয়ে যাবে। কারন তারা যখন মার্কেটে আসবে, প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হবে।

    (৪)
    ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাতে সংকট নেই। গোটা পৃথিবী চলছে প্রযুক্তির চাকায়। প্রচুর টাকা এখন ইঞ্জিনিয়ারিং এ। আমেরিকা সহ পৃথিবীর সব থেকে লাভ করা প্রথম পাঁচটা কোম্পানীর জন্ম হয়েছে গত কুড়ি বছরে ( আমাজন, গুগল, আপেল, নেটফ্লীক্স, ফেসবুক)। সুতরাং ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাতে মাইনে চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে এবং বাড়বে। স্টার্টাপ করে ধনী হওয়ার সুযোগ ও বেশী। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ঢোকানো, শিল্পের কদর এখানে সম্ভব। পেশা হিসাবে নতুন যুগের ইঞ্জিনিয়ারিং আগের যুগের থেকে অনেক বেশী চিত্তাকর্ষক, উদ্ভাবনমুখী এবং বৈভবশালী।

    সংকট এবং সমস্যা একটাই-এত দুর্বল শিক্ষা নিয়ে এই পেশাতে আসলে। নতুন যুগের ইঞ্জিনিয়ারিং এ কিস্যু হবে না। চাকরিই পাবে না। কেউ নেবে না।

    দুদিন আগেও রাম শ্যাম যদু মধু-সবাই ইঞ্জিনিয়ারিং এ চাকরি পেত। কারন যেটুকু শিখতে হত, তা একজন ক্লার্ককেও শিখতে হয় না । সেসব কাজ এখন অটোমেটেড। হয়ে গেছে বা হবে। সুতরাং দরকার সৃজনশীল ইঞ্জিনিয়ারদের। আর সেটা আটটা টিউশনি পড়ে হবে না। সৃজনশীলতাও চর্চা করতে হয়।
  • ঘচাং ফু: | 69.92.***.*** | ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪৭368011
  • সি আর সিপ্লাসপ্লাসকে মাতৃভাষা করে দেওয়া হোক। জন্মেই শিখে যাবে।
  • হুম | 176.7.***.*** | ০৯ জুলাই ২০১৭ ১০:২৭368012
  • বিপ সোবার থাকলে খুব খারাপ লেখে না। এই লেখাটা খুব খ্রাপ না, তবে ওই ক্লাস ফাইভ থেকে.. ওখানে আবার সেই পুরনো ইয়ে এসেছে ফিরিয়া
  • ঘচাং ফু: | 69.92.***.*** | ০৯ জুলাই ২০১৭ ১১:১২368013
  • প্রথম দিকটা তো ঠিকই ছিলো, অন্তত মোটের ওপর। কিন্তু নিদান হাঁকতে গিয়েই ছড়িয়ে গ্যালো। মানে (৩) টা একেবারেই...
  • 2>&1 | 212.135.***.*** | ১০ জুলাই ২০১৭ ১৮:৫৩368014
  • এই লেখাটা মোটামুটি ঠিকঠাক লাগলো। তবে বাচ্চা বয়েস থেকে কোডিং শিখে তেমন লাভ হবে বলে মনে হয় না। ম্যাথসের মোটামুটি ফান্ডা থাকলে আর ইন্জিনিয়ারিং এ যেটুকু কোডিং, ডি এস, অ্যালগো শেখায় সেটাই ভালো করে শিখলে যথেষ্ট। ঐ টুকুই বেশীরভাগ ফ্রেশারের থাকে না।
  • ঘচাং ফু: | 69.9.***.*** | ১০ জুলাই ২০১৭ ২১:০০368015
  • লাভ তো দূরের কথা, আমার ধারণা (কিছুটা অভিজ্ঞতাও) ক্ষতি হয়।
  • bip | 137.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৬:২২368016
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামিং স্কুল লেভেল থেকেই শেখা ভাল
    ******************************
    আমার আগের লেখাটার ( ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ভূত ভবিষ্যত) পরিপ্রেক্ষিতে এটা ক্ল্যারিফিকেশন নোট। অনেকেই জানিয়েছেন, “কোর” ইঞ্জিনিয়ারদের ভবিষ্যত কি ( যেন তাদের প্রোগ্রামিং জানার দরকার নেই) বা ছোটবেলা থেকে কম্পুটার ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে কি হবে?
    বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ কেন শেখানো উচিত -আমার এই সিদ্ধান্তে পেছনে, অবশ্যই আমার নিজের অভিজ্ঞতা। আমেরিকাতে এখন সরকারি স্কুলগুলোতে ক্লাস সেভেন থেকে শেখাচ্ছে-তবে তা ইলেক্টিভ।
    (১) আমি যতটুকু শিশুমনের সাথে পরিচিত-ওরা নিজেরা কিছু করতে ভালবাসে- যা এবস্ট্রাক্ট না-নিজেরা খেলার ছলে পরীক্ষা করে দেখতে পারে। প্রোগ্রামিং শেখালে ওরা নিজেরাই নিজেদের মতন করে নানান খেলা তৈরী করতে পারবে। বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং শেখানো হয় এখন ওই গেম তৈরী খেলার ছলেই। চোখের সামনেই ওরা দেখে ওদের “সৃষ্টি” কেমন আলাদিনের প্রদীপের মতন “ম্যাজিক” দেখাচ্ছে।
    এমনিতেই আজকালকার বাচ্চারা ভিডিও মোবাইল গেমে প্রচুর সময় নষ্ট করে, যা তাদের মানসিক বিকাশের সহায়ক ত নয়ই, বরং নেশাটা ড্রাগ এডিক্টের মতনই খারাপ। ওদের একটা খেলা দরকার, যা খেলে, ওরা শিখবে।
    প্রথম কারনটা অবশ্যই পজিটিভ ইনভল্ভমেন্ট।
    (২) বাচ্চাদের সামনে আপনি রোল মডেল হিসাবে কাকে তুলে ধরবেন? আমি যেহেতু আন্তারপ্রেনার, আমার সামনে রোল মডেল নিঃসন্দেহে বিল গেটস, স্টিভ জবস, মার্ক জুকারবার্গ। পৃথিবীকে এরাই বদলেছেন বেশী গত ত্রিশ বছরে। এদের বায়োগ্রাফিতে অনেক জিনিস কমন
    -কেউ পড়াশোনা বা ডিগ্রি কমপ্লিট করেন নি-এদের সবাই ড্রপ আউট। এরা এই পোষাকি ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রির ধার ধারেন নি।
    - এবং সবাই ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, প্রসেসর প্রোগ্রামিং শিখেছেন -এবং সেগুলোই ছিল এদের বাল্যকালের “অবশেসন”। ছোটবেলায় ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিঊটারের সাথে এদের শুধু পরিচিতিই ছিল না-এরা ছিলেন খুদে মাস্টার। স্টিভ জবস যখন ক্লাস এইটে, বিশ্ববিখ্যাত জেরক্স কোম্পানী তাকে ইনটার্ন হিসাবে নিয়েছিল মাইক্রোপ্রসেসর সারানোর জন্য! মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে বিল গেটস কম্পুটার প্রোগ্রামিং এ তুখোর ছিলেন যখন গোটা আমেরিকাতেই কম্পুউটারের সংখ্যা হাতে গোনা যেত।
    এরা যে অনায়াসে হার্ভাডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের ( হার্ভাডের র‍্যাঙ্কিং গোটা বিশ্বের নাম্বার ওয়ান-যেখানে ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম একশোতেই নেই!) কম্পিউটার সায়েন্সের বিটেক ডিগ্রিকে লাথি মারতে পেরেছেন-তার কারন একটাই। এরা কম্পুটার সায়েন্স এতটাই ভাল জানতেন, ডিগ্রির দরকার ছিল না এদের। চাকরির ও না। পাশ আউট করার আগেই বিল গেটস, নিজের ওপারেটিং সিস্টেম লিখে সেটা বেচেও দিয়েছেন একটা বড় কোম্পানীকে।
    ছোট বেলা থেকে প্রোগ্রামিং না শিখলে, এসব হত না।
    (৩) আমার নিজের অভিজ্ঞতাটা লিখি। কর্মসূত্রে অসংখ্য ছোট ছোট স্টার্টাপের ফাউন্ডারদের সাথে আমার আলাপ। আধুনিককালে আমেরিকাতে “সফল” টেক স্টার্টাপের সংখ্যা যদি দেখি, তাদের ফাউন্ডারদের অধিকাংশই নিজেরা খুব ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারে দক্ষ। যারা শুধু ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছেন, তারা ব্যবসাটা ছোট বেলা থেকেই করছেন।
    পরের দিকে এসে শিখে, লোকে সফল হয় নি এমন না। তবে সংখ্যাটা কম।
    আমি নিজে প্রোগ্রামিং শিখেছি পিএইইচডির শুরুর দিকে, মানে তেইশ বছর বয়সে। এই নয় যে বেশী বয়সে ওটা শেখা যায় না। অবশ্যই যায়। কিন্ত সেটা প্রশ্ন না। প্রশ্ন হচ্ছে কোন লেভেলে শিখলে সে নিজেই নতুন কিছু করার ক্ষমতা রাখবে?
    ইঞ্জিনিয়ারিং শেখার তিনটে লেভেল আছে।
    এক চাকরির জন্যে শেখা-যেখানে খুব বেশী না শিখলেও চলে।
    দুই পড়ানোর জন্য বা শিক্ষকতার জন্য শেখা-সেখানে আরেকটু বেশী শিখতে হয়,
    তিন -নিজে প্রোডাক্ট বানানোর জন্য শেখা। লেভেল এক দুই এর সাথে তিনের পার্থক্য আকাশ পাতাল।
    লেভেল থ্রিতে পৌছাতে গেলে, কম্পুটার প্রোগ্রামিং ছোটবেলা থেকেই শুরু করতে হবে।
    (৪) অনেকে বলছেন যারা বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী বা “কোর ইঞ্জিনিয়ারিং” এ যাবে তাদের ও শিখতে হবে? উত্তর হচ্ছে হ্যা। কারন এটা একটা নতুন ভাষা শিক্ষা, যার প্রয়োজন সর্বত্র। আমি নিজেও কোর ইঞ্জিনিয়ারিং এই কাজ করি-এবং সেখানেও নতুন যা কিছু হচ্ছে, তা সিম্যুলেশন এবং অটোমেশন নির্ভর। সেখানে প্রোগ্রামিং এবং ম্যাথেমেটিক্স ছাড়া গতি নেই। ব্যবসাও আস্তে আস্তে বিজনেস আনালাইটিক্স নির্ভর । সেখানেও ভাল অঙ্ক না জানলে কিস্যু হবে না।
    অনেকেই কোর ইঞ্জিনিয়ারিং শেখার ছলনায়, প্রোগ্রামিং শিখতে চায় না। এটা ভুল পদক্ষেপ। সিমুলেশন এবং অটোমেশনের দৌলতে কোর ইঞ্জিনিয়ারিং এখন প্রোগ্রামিং নির্ভর।
    প্রযুক্তির কাঁধে ভর দিয়ে দিন বদলাচ্ছে দ্রুত। আপনারা যেভাবে করে খাচ্ছেন, আজ থেকে দশ বিশ বছর বাদে, নতুন প্রজন্ম সেই ভাবে টিকবে না। আস্তে আস্তে টিসিএস, ইনফি ইত্যাদি বড় বড় কর্পরেশনের অস্তিত্বই থাকবে না-যদিও থাকে, তা থাকবে শুধু মাত্র টেকনোলজি ইন্ট্রিগ্রেটর হিসাবে-যেখানে কর্ম সংস্থান হবে কম, খুব কম। অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা নতুন নতুন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস ডিজাইন করেই জীবিকা নির্বাহ করবে। এটা ভাল দিক। কিন্ত সেই ক্ষেত্রে যারা ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখেছে বনাম যারা মুখস্থ করে ডিগ্রি নিয়েছে, তাদের পার্থক্য অনেক।
    আর এটা ভবিষ্যত না বর্তমান। আমেরিকা এবং ভারতে আমি সেই সব আন্তারপ্রেনারদের দেখা পাচ্ছি, যারা ছোট বেলা থেকেই কোম্পানী খুলে বসে আছে, প্রোডাক্ট বানাচ্ছে। অনেকেরই কোন ডিগ্রি নেই। আর তাদের হয়ে কাজ করছে ডিগ্রিধারী ইঞ্জিনিয়াররা।
    শিক্ষিত- সেত বাজারে মেলে ভুরিভুরি।
    প্রতিভা- সেটাও বাজারে অনেক।
    সাফল্যের রসায়ন দুটো- প্যাশন এবং পারসিভ্যারেন্স ( কোন কিছু ভালবেসে করা এবং লেগে থাকা)।
    শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং কেন-কবিতা, সাহিত্য, সিনেমা বানানো, ডাক্তারি, ওকালতি কোন কিছুই নিবিড় চর্চা ছাড়া হয় না। ৫% প্রতিভা, ৯৫% গায়ের ঘাম ঝড়াতে হয়।
    এগুলো শিশু বয়সে বাচ্চাদের মধ্যে ঢোকাতে গেলে, তাদের এমন কিছু দিতে হবে, যাতে তারা এই দুটো গুনের অধিকারী হয়।
  • ঘচাং ফু: | 233.19.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৮:৩৭368017
  • বিপ যে প্রোগ্রামিং আদপে কিছুই শেখেনি সেইটা ফলাও করে লিখলো।
  • ঘচাং ফু: | 233.19.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৮:৪৩368018
  • বাই দ্য ওয়ে, কেউ নিজে শিখে নিলো নিজের আগ্রহে - গেম বানানোর জন্যে বা অন্য কারণে - সেগুলো কমেন্ডেবল এবং সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।

    প্রসঙ্গটা স্কুলে শেখানো।
  • সিকি | ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৯:২৯368002
  • উইকেন্ড :)
  • সুশান্ত দাশ | 84.82.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪৫368003
  • ছোটবেলার থেকে প্রোগ্রামিং শেখালে বাচ্চাদের কম্পিউটার সম্বন্ধে আগ্রহ বাড়ে। আমি অনেকদিন ধরে অনেকগুলো কচিকে ধরে ধরে শিখিয়েছি, কেলাস থ্রি ফোরের বাচ্চাদেরও শেখাতে অসুবিধা হয়নি। বিশেষ করে দেখেছি প্রোগ্রাম লিখে গ্রাফিক্স বানানোতে আর খেলতে ওদের অসীম আগ্রহ। আর এর মধ্যে দিয়ে মেমোরি স্পেস আর হার্ডওয়ারেও দিব্যি নলেজ বাড়ে। লেখককে ধন্যবাদ উনি আমার উৎসাহ বাড়িয়ে দিলেন বলে।
  • ঘচাং ফু: | 37.63.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৯:৫৭368004
  • হ্যাঁ, সবারই উইকেন্ড।
  • PM | 52.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ১১:৪১368005
  • এখন তো icse তে দেখি ক্লাস ৬ থেকে c++ আর ৮ থেকে জাভা শেখায়। মেয়ের ৭ এর বার্ষিক পরীক্ষায় নেস্টেড অ্যারে প্রোগ্রাম দিয়েছিলো ১০ নম্বরের !!! কিন্তু আমার মেয়ের ক্ষেত্রে এর উপোকারীতা কিছুই বুঝি নি...... ফান্ডামেন্টাল লজিক সেস্স ই তৈরী হয় নি। ক্লাসের টিচাররাও তথৈবচ ঃ(
  • সিকি | ১৬ জুলাই ২০১৭ ১২:০৩368006
  • কারিকুলাম সেটার বা টিসিএস কগনির ট্রেন্ডসেটার, গল্পটা সেই একই। ওয়ান সাইজ মাস্ট ফিট অল।
  • ঘচাং ফু: | 233.19.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৭ ১২:৪৩368007
  • @পিএম - পয়েন্ট সেটাই। প্রোগ্রামিং বুঝতে যে ম্যাথসের দরকার বা যে লজিকের দরকার সেটা স্কুলে হয় না। আর যাঁরা শেখাবেন তাঁরাও প্রায় সেরকমই। কাজেই গোড়ায় গন্ডগোলের সম্ভাবনা বেশি।

    যাই হোক, সবারই উইকেন্ড।
  • বিপ | 57.15.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৭:২৭368008
  • " এখন তো icse তে দেখি ক্লাস ৬ থেকে c++ আর ৮ থেকে জাভা শেখায়। মেয়ের ৭ এর বার্ষিক পরীক্ষায় নেস্টেড অ্যারে প্রোগ্রাম দিয়েছিলো ১০ নম্বরের !!! কিন্তু আমার মেয়ের ক্ষেত্রে এর উপোকারীতা কিছুই বুঝি নি...... ফান্ডামেন্টাল লজিক সেস্স ই তৈরী হয় নি। ক্লাসের টিচাররাও তথৈবচ"
    বাচ্চাদের জন্য ভাল ম্যাথ টিচারের অভাব খুব বাস্তব। ভারতে এন সি আর টি অঙ্কের সিলেবাস চেঞ্জ করেছে বহুদিন-যাতে ছেলে মেয়েরা দৈনন্দিন সমস্যার মাধ্যমে জ্যামিতি বা এলজেব্রা শিখতে পারে। আমেরিকাতে এন সি আর টির সমতুল্য কোগ্যাট। সেখানেও একই প্রাক্টিক্যাল এপ্রোচ নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম বঙ্গেও দেখলাম ম্যাথস এই বইগুলো বদলেছে।
    কিন্ত কি ভারত, কি আমেরিকা, কোথাও অঙ্কের ভাল শিক্ষক নেই। যারা এই নতুন পদ্ধতিতে অঙ্ক শেখাবে। যেখানে এবস্ট্রাকশন কম, দৈনন্দিন ব্যবহার বেশী।
    আসলে বাচ্চাদের শিক্ষার সাথে, আগামী দিনের পেশাগত যোগ্যতার যে বিরাট ফারাক তৈরী হচ্ছে, সেটা সব দেশ, সব সরকার বুঝছে-কিন্ত শিক্ষকরা বদলাতে নারাজ।
    ফলে আমেরিকাতে এখন অনেক নতুন সফটোয়ার বা প্রাইভেট ফ্রাঞ্চাইজি তৈরী হয়েছে, বাচ্চাদের নতুন মেথডে অঙ্ক শেখানোর জন্য। কারন স্কুল এবং শিক্ষকরা নতুন মেথড ফলো করতে ব্যর্থ।
    অঙ্ক শেখানোর জন্য আরো ভাল, প্ল্যাটফর্ম বেসড লার্নিং আসবে বলে আমার মনে হয়-এখন অনেক কিছুই আছে -কিন্ত সেই অর্থে, কোনকিছুই শিক্ষককে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম না।
    মোদ্দা কথা মানুষ যখন ভাল শিক্ষক হতে ব্যর্থ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফটওয়ারই হবে আলটারনেটিভ।
    ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য। অধিকাংশ মানুষ ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় বিরক্ত। আমার ধারনা, আই বি এম ওয়াটসনের মতন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফটাওয়ার শীঘ্রই ডাক্তারদের থেকে বেশী ভরসা অর্জন করবে।
    প্যাথোলজিস্টদের দেখুন? অধিকাংশই কাজ জানে না- ইমেজের মাথামুন্ডু নেই-তার ওপর নির্ভর করে ডাক্তাররা কিই বা করতে পারেন? আনন্দের কথা শুধু ভারতেই ৫ টি স্টার্টাপ, প্যাথোলজিস্টদের কাজ অটোমেশনে নেমেছে।
    ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্যাথোলজিস্ট, উকিল, শিক্ষক-সবর্ত্রই দেখা যাচ্ছে মানুষ বেশ অদক্ষ-এবং যার জন্য আরো দক্ষ সফটয়ার সিস্টেম তৈরী হচ্ছে।
    এটাই ভবিষ্যত। সুতরাং ভবিষ্যতের শিশুদের আরো দক্ষ হতে হবে-তাদের শিক্ষার ধরন না পাল্টালে অধিকাংশ শিশুই ভবিষ্যতের পৃথিবীতে অচল নয়া পয়সা।
  • S | 184.45.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮368009
  • "এরা যে অনায়াসে হার্ভাডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের ( হার্ভাডের র‍্যাঙ্কিং গোটা বিশ্বের নাম্বার ওয়ান-যেখানে ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম একশোতেই নেই!) কম্পিউটার সায়েন্সের বিটেক ডিগ্রিকে লাথি মারতে পেরেছেন-তার কারন একটাই।"

    "এরা কম্পুটার সায়েন্স এতটাই ভাল জানতেন, ডিগ্রির দরকার ছিল না এদের। চাকরির ও না। পাশ আউট করার আগেই বিল গেটস, নিজের ওপারেটিং সিস্টেম লিখে সেটা বেচেও দিয়েছেন একটা বড় কোম্পানীকে।"

    না কারণ একদমই সেটা নয়। ভারতে (বা ভারতীয়দের মধ্যে) এই নিয়ে একটা খুব ভুল ধারণা রয়েছে যে এইসব মহারথীদের কেউ কলেজ শেষ করেননি কারণ প্রথাগত শিক্ষায় নাকি এদের তেমন ভরসা ছিলোনা। প্রথমত, এই চিন্তা ভাবনাতেই প্রচুর অসঙ্গতি। যেমন, পরবর্তীকালে এদের কোম্পানিতে এতো উচ্চশিক্ষিতদের নেওয়া হয়েছে কেন? বা আইভি লীগ দিয়ে ভড়ানো হয়েছে কেন? আইটির বেশিরভাগ লোকই প্রথাগত শিক্ষা শেষ করেছেন, এরা ব্যতিক্রম, অতেব এদের উদাহরণ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়্না।
  • S | 184.45.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:০৮368010
  • ও হ্যাঁ, স্টিভ জবস খুব ভালো কোড লিখতেন বলে জানা নেই। ভদ্রলোকের আইডিয়া নিয়ে কোনো কথা হবেনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন