এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ইন্দ্রজাল

    Rajat Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১০ বার পঠিত
  •  

    (চলুন ঘুরে আসা যাক জাদুকরদের অজানা দুনিয়ায়)

    আদি যুগ থেকেই ভারতীয়রা চিরকাল জাদুবিদ্যার ভক্ত। তারফলেই ভৌতিক আধাভৌতিক তন্ত্র মন্ত্র কালাজাদু ইত্যাদির এদেশে বোলবালা। প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সন্ন্যাসী এবং সাধুসন্তরা অলৌকিকতা প্রক্ষেপণ কে জাদুবল দেখিয়ে আসছেন। অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত ভারতবাসীর কাছে সেই জন্যেই সন্ন্যাসী ও সাধুসন্তদের চিরকাল প্রাধান্য। যাঁরা বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সেই জাদুকে মানুষের মনোরঞ্জনে ব্যবহার করেছেন তাঁরাই জাদুকর নামে পরিচিত হয়েছেন। জাদুবিদ্যা বলে আপাতদৃষ্টিতে কিছু হয়না। মানুষের অজানা বিজ্ঞান আর দৃষ্টি বিভ্রমকেই জাদুকররা সুনিপুণভাবে কাজে লাগিয়ে এক আশ্চর্য্য চমকের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে দর্শকের মনোরঞ্জন করে থাকেন। জাদুকরদের ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞান বা প্রায় অশিক্ষিত বাঙালিদের জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বিশ্ববিখ্যাত জাদুকর বলতে একজনকেই বোঝায়। তিনি হলেন প্রতুল চন্দ্র সরকার ওরফে পি সি সরকার সিনিয়র। তাঁর জীবনকালে তিনি যতনা চর্চিত তারচেয়েও বেশি চর্চিত হয়েছেন তাঁর অন্যতম সুযোগ্য পুত্র প্রদীপ চন্দ্র সরকার ওরফে পি সি সরকার জুনিয়রের আমলে তীব্র সুকৌশলী প্রচারের দ্বারা। প্রফেশনাল জাদুকরদের বিষয়ে যদি কেউ একটু চর্চা করে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই জানবেন, যে জাদুকররা নিজেদেরকে ও নিজের শো ব্যবসাকে সফল করবার জন্য চূড়ান্তভাবে বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেন। অবশ্যই সেটা করতেই হবে কারণ তাঁদের সেটাই রুজিরুটি। জাদু একটি অন্যসব শিল্পকলার মতই একটি কলা যেমন সঙ্গীত বা অভিনয়। আর যেকোনো কলায় শিল্পী তাঁর গুরুকে কানে হাত ছুঁইয়ে স্বীকার করেন, নাম নেন। এই বিধি সেই গুরুর প্রতি চরম সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু যদি কেউ নিজের গুরুকে নিজমুখে কখনো কোনোভাবেই জনসমক্ষে হোক বা না হোক, স্বীকারই না করেন তাহলে? সেই শিল্পীকে কি নামে আখ্যা দেবেন? সেই বন্দিত ও নন্দিত শিল্পী যদি কোনওদিনই তাঁর গুরুকে স্বীকারই না করেন তবে তাঁকে কি বলা যেতে পারে? 

    বাঙালীর নয়নমনি জাদুকর শ্রীযুক্ত প্রতুল চন্দ্র সরকার নিজেতো বটেই তাঁর সুযোগ্য পুত্র শ্রীযুক্ত প্রদীপ চন্দ্র সরকার মহাশয়ও একই পথের পথিক। সারাজীবন তাঁরা সর্বসমক্ষে বলে এসেছেন, সিনিয়র সরকার বাংলাদেশে জন্মে নাকি পথজাদুকর যাঁদের মাদারী বলে, তাঁদের থেকেই বহুকষ্টে জাদুবিদ্যা শিখে নিজের চেষ্টায় ভারতীয় জাদুকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। কথাটা চরম অসত্য। সিনিয়র পি সি সরকারের শিক্ষাগুরু ছিলেন শ্রীযুক্ত গণপতি চক্রবর্তী। যিনি নিজে যেমনি খুবই বড় মাপের জাদুকর ছিলেন তেমনই ছিলেন বড় জাগলার। পেশাগতভাবে তিনি সার্কাসেই নিজের জীবনের বেশিরভাগটা কাটিয়েছিলেন। খামখেয়ালি আর মদ্যপ ছিলেন। উত্তর কলকাতায় বরানগর অঞ্চলে তাঁর নিজস্ব সম্পত্তি করেছিলেন। তিনি যেটা জানতেন না সেটা হল নিজের প্রচার নিজেই করা। যেটা এই শিল্পের অন্যতম বিশেষ শর্ত বলা যায়। নিজে জাদু ও সার্কাসের দল বানিয়েও অখ্যাতই রয়ে গিয়েছিলেন। নিজের শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন প্রচন্ড কষ্টের সাথে নিঃসঙ্গতায় ভুগে। এ হেন গণপতিবাবুর কাছেই সিনিয়র সরকার জাদুর যাবতীয় শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তার সাথে ছিল নিজের কৃষ্টি ও বুদ্ধিমত্তার জোর। তিনি ভারতীয় জাদুকরদের মধ্যে প্রথম অনুভব করেছিলেন যে, জাদুকরকে নিজের দর বাজারে বাড়াতে এবং নিজের শিল্পকলা বাজারজাত করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন প্রচার। নিজের ঢাক নিজে পেটাবার সবরকম কৌশল করায়ত্ত করতে হবে। আমাদের দেশের বইমেলার মতই জাপানে সেযুগে হত দেশিবিদেশী বিভিন্ন শিল্পকলার প্রদর্শনী মেলা। সেই মেলায় প্রথম নিজের জাদু শো দেখাবার সুযোগ পেয়ে যান সিনিয়র সরকার, (শোনা যায় আরো একজন সেই সময়ে জাদু প্রদর্শনীর জন্য জাপান যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, কিন্তু সিনিয়র সরকার নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁর যাওয়া বানচাল করে দিয়েছিলেন)। সেই জাপান সফরকেই নিজের প্রচারে অভূতপূর্ব কাজে লাগিয়ে বঙ্গদেশে খ্যাতনামা হয়ে উঠেছিলেন। তখনকার দিনে এখনকার মত মিডিয়ার দাপাদাপি ছিল না। রেডিও আর খবরের কাগজই ছিল একমাত্র গণমাধ্যম। বেশিরভাগ অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত বঙ্গবাসী কাগজ পড়ে যা কিছু জানতেন তা একেবারেই নগণ্য ছিল। সুতরাং সিনিয়র সরকার নিজের প্রচার চাতুর্যের জোরে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত জাদুকর। মাঝেমধ্যে জাপানের মেলায় করে আসা শোয়ের কথা অবিভক্ত বাংলার কাগজগুলোতে ফলাও করে ছাপিয়ে দিতো। এ আর এক গোপন রহস্য, এই সংবাদপত্রে জাদুকর ও তাঁর জাদু শোয়ের কথা বিজ্ঞাপন নয়, সাংবাদিকদের করা খবর যাতে হয় তারজন্য সেদিন থেকে অদ্যবধি প্রফেশনাল বড় জাদুকর সম্প্রদায় বিশেষ কৌশল নেন। সেই কৌশলটিকে প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য আমার বেশকিছু বছর আগে হয়েছিল। বেশকিছু মাস খুব কাছ থেকে অধুনা ভারতীয় জাদুকরদের সভাপতি শ্রীযুক্ত আনন্দ অবস্তি ওরফে "জাদুগর আনন্দ" কে দেখার ও তাঁর শো ব্যবসা পরিচালনা পর্যবেক্ষণ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমি তখন উপলব্ধি করেছিলাম, প্রচারের জোর যাঁর যতবেশি, এই জাদু ইন্ডাস্ট্রিতে সেইই হয়ে যান তত সুবিখ্যাত। প্রচারের ঢক্কানিনাদে বিদেশে নিজের শো নিয়ে জীবনে পদার্পণ না করা জাদুকরও বেমালুম নিজেকে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিশ্ববিখ্যাতরূপে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। খুব কাছ থেকে দেখে ফেলার পর আমি বিস্মিত হয়েছি, প্রফেশনাল জাদুকরদের নিরানব্বই শতাংশই এক সুবিশাল আর সুবিস্তৃত মিথ্যার মোড়কে নিজেদের মুড়ে রাখেন। যদিও পুরোটাই ব্যবসায়িকভাবে নিজের শোকে সফল করার জন্যই এই প্রচার চাতুর্য। প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার জাদু প্রদর্শনের পুরো ব্যাপারটাতেই লাগে প্রচুর লোকবল। মঞ্চে যদি দু চারজনকে জাদুকরের সঙ্গে সহকারীরূপে দেখেন তাহলে জেনে রাখুন পুরো শো ব্যবসাটি পরিচালনা করতে মঞ্চের বিশ গুণ মানুষ মঞ্চের আড়ালে কাজ করেন। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তবে বেশিরভাগ জাদুকর নিজ দলের কর্মীদের খাওয়া ও বাসস্থানের সঙ্গে খুব যৎসামান্যই বেতন দেন। জাদু সংস্থায় কাজ করা মানে সেই কর্মীকে যাযাবর হতেই হবে, এই চাকরির প্রাথমিক শর্তই হল সেটা। জাদু প্রদর্শনীতে যুবতী মহিলাদের ভীষণভাবে প্রাচুর্য্য থাকে। সেই মহিলাদের সাথে কোন জাদুকর কিরকম ব্যবহার করেন সেটা আর এক কিস্যা।

    বিশেষ কিছু খেলা ছাড়া ভারতীয় জাদুকরদের প্রদর্শিত সব খেলাই বিদেশী জাদুকরদের খেলার ভারতীয়করণ। আজকের ভারতে নিজের শোয়ের নিজেই প্রযোজক এমন জাদুকর হাতে গোনা। একটু খুলে বলা যাক, যে জাদুকর নিজের শোয়ের জন্য নিজেই হ'ল ভাড়া করেন। তাঁর নিজস্ব খরচেই শো শুরু করার প্রায় একমাস আগে থেকে উক্ত হ'লের ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ কিমি জুড়ে হোর্ডিং ব্যানার পোস্টার মাইকিং সংবাদপত্র টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে চলে ব্যাপক প্রচার। যে জাদুকরের আর্থিক ক্ষমতা যতবেশি সে তত বড় আকারে তাঁর শোয়ের প্রচার করে থাকেন। আর যতবেশি প্রচার ততবেশী টিকিটের মূল্য আর পাল্লা দিয়ে হয় ব্যবসা। একজন বড় দরের জাদুকরের দল মানে সে এক মহাযজ্ঞ, কমপক্ষে পঞ্চাশ থেকে একশো জনের দল। 

       সিনিয়র সরকার সেই প্রচার কৌশলকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যে সেটা মিথ এ পরিণত হয়ে গেছে। এমন অনেক কাহিনী প্রচলিত, যেমন সিনিয়র সরকারের একটি শোয়ে দেরি করে হ'লে প্রবেশ করায় উপস্থিত দর্শকের হাত ঘড়ির একসঙ্গে সময়ের বদল ঘটে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যেক বাঙালীরই জানা। আমি দায়িত্বের সাথে বলতে পারি, সেই সব গল্পই সংবাদমাধ্যমকে পাশে নিয়ে সুচারুরূপে মানুষের মধ্যে বুনে দেওয়া, যা বর্তমানে মিথ। প্রতিটি বড় জাদুকর খুব বড়মাপের শিল্পকলা ব্যবসায়ী। শ্রীযুক্ত সরকার মহাশয় ছিলেন প্রচার কৌশলে পারদর্শী এক সুচতুর শিল্পকলা ব্যবসায়ী, যিনি পেশাগত প্রতিযোগিতার নিরিখে সমসাময়িক বঙ্গদেশের আর কোনো জাদুকরকেই প্রাধান্য পেতে দেননি। বড় বাজারের গুজরাটি কাপড় ব্যবসায়ী কে. লাল তৎকালে বেশ প্রতিভাবান জাদুকর ছিলেন। যাঁর অর্থবলও কম ছিলনা। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট আমলে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্টতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে সিনিয়র ও জুনিয়র সরকারবাবুরা দুজনেই, শীতের সিজনে মহাজাতি সদন হ'লে শো করার জন্য বিভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করতেন। যার জন্যই কে. লাল সপরিবারে কলকাতার পাততাড়ি গুটিয়ে বহুকাল আগেই গুজরাটে বসবাস করতে চলে গিয়েছিলেন। সিনিয়র কে. লাল কয়েকবছর হল গত হয়েছেন। এখন তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি জুনিয়র কে. লাল নিয়মিত জাদুর শো করেন গুজরাট ও রাজস্থানের শহরগুলোতে। বিদেশ তো বহুদূর এই বঙ্গের বাইরের রাজ্যগুলোতে আপামর জনগণের বৃহদংশ আমাদের বিশ্ববিখ্যাত সরকারমহাশয়দের চেনেনই না। এই সত্যটি যাঁরা কলকাতার বাইরে কর্মসূত্রে রয়েছেন তাঁরা খুব ভাল বলতে পারবেন। এই খবর সংবাদমাধ্যম প্রচার করেনি, বছর কুড়ি পঁচিশ আগে মুম্বইতে অন্য বড় জাদুকরদের মতই নিজেই নিজের শোয়ের প্রযোজক হয়ে হ'ল ভাড়া করে শো করতে সস্ত্রীক জুনিয়র সরকার গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও তাঁর শো তেমনভাবে জমে নি। দৈনিক প্রচুর খরচ সামলাতে না পেরে তিনি, দশ বারো দিনের মাথায় সদলবলে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। জুনিয়র সরকার প্রথম দিকে নিজ খরচে নিজের শো প্রযোজনা করলেও, বেশ কয়েকবছর ধরে নিজে প্রযোজনা করে শো ব্যবসা করার ধৃষ্টতা আর দেখাননি। তিনি মূলতঃ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ কল শো করেই কালযাপন করতেন। জুনিয়র সরকার ছিলেন আগাগোড়া বামপন্থী পরে বিজেপি দলীয়ভুক্ত। বাম আমলেই প্রথমে শিলিগুড়িতে ভূতুড়ে কার্যকলাপ ঘটবে এমনি একটি রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেটি বাস্তবায়িত হয়নি, পরে হাওড়ায় সেরকম একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন বটে কিন্তু সাফল্য পাননি। জুনিয়র সরকারের এখন অনেকটাই বয়েস হয়েছে। পারিবারিক জাদু ব্যবসার ব্যাটন নিজের জেষ্ঠ্যা কন্যা মানেকা সরকারকে দিয়েছেন। তিনি অবশ্য জাদুর দুনিয়ায় বিশাল কিছু সুনাম অর্জন করতে অক্ষমই বলা চলে।

    আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা বলতেই পারি, সিনিয়র সরকারকে দেখিনি তাই তাঁর পারদর্শিতা জানিনা কিন্তু জুনিয়রের শো বেশ ভালই হয়। তাঁর মঞ্চ পরিবেশনা বেশ আকর্ষক। মঞ্চ জুড়ে তাঁর রঙিন শো ভালই মনোরঞ্জন করে॥

    সেকাল ও একালের বিদেশী ও ভারতীয় সফল জাদুকরদের নাম, যাঁরা নিজের শো নিজে প্রযোজনা করেন বা করতেন:-

    ১। কৃশ অ্যাঞ্জেল 
    ২। হ্যারি হুডিনি 
    ৩। ডেভিড কপারফিল্ড 
    ৪। ল্যান্স বার্টন 
    ৫। ডেভিড ব্লেইন 
    ৬। ফ্রাঞ্জ হারারে 
    ৭। ডায়নামো 
    ৮। পি. সি. সরকার(সিনিয়র)
    ৯। জাদুগর আনন্দ 
    ১০। জাদুগর ও. পি. শর্মা 
    ১১। কে. লাল 
    ১২। গোপীনাথ মুথুকাড 
    ১৩। জাদুগর মঙ্গল 
    ১৪। জাদুগর করণ
    ১৫। জাদুগর উদয় 
    '''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
    তথ্যসূত্র - জাদু সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বই এবং পত্রপত্রিকা ও অন্তর্জাল॥
    ছবি সৌজন্য - অন্তর্জাল॥
    _____________
    ©রজত দাস 

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন