এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এক -অন্ন- বর্তী

    Supratik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • তপন সিনহার গল্প হলেও সত্যি মনে আছে?

    ধনঞ্জয় চলে গেছিল। বলে গেছিল আর ওর ফিরে আসার দরকার পড়বে না। মধ্যবিত্ত কুয়াশা প্রাচীর ঠেলে একেবারে ভ্যানিশ হয়ে গেছিল! ঘরে ফিরে এসে আমরা দেখলাম জন্মান্তরের পাঁক,সেই একইরকমই আছে! একান্নবর্তীর জৌলুস ক্ষয় হচ্ছে, দেওয়ালে পিঁপড়ের মিছিল, পিছল উঠোন আর এন্ডলেস বিতন্ডা! টনসিল,বেকারত্ব, কুঁচকির ফোঁড়া,জলবসন্ত, হাঁপানি, অম্বল আরো কত মরবিড তুচ্ছতা!  এভাবেই পালক গুলো উড়ে চলে গেল সপ্তসিন্ধুর দেশে! আমাদের সাদা কালো টেলিভিশন জুড়ে  ধূসর মনস্তাপ!আকাশে হারিয়ে গেলেন কল্পনা চাওলা!   গলার কাছে আটকে রইল খরখরে চিঠি! মৃণালের একদিন প্রতিদিন! ইনসিকিওর বাস্তু, ভ্রুকুটি, ভীতু ভালোবাসার গায়ে মর্গের সেলাই!

    মন থেকে মুখের দুরত্ব কত !  রাস্তায় নীতার  চটিটা ছিঁড়ে গেছিল!  বারবার ওরকম হোঁচট খাওয়া! এপাশ ওপাশ তাকানো!  অতিপ্রাকৃত কিছু অস্বস্তি ঠেলে ঠেলে পাড়ার ভিতর এসে দাঁড়ানো তন্দ্রাহত শরীর! চেনা বাড়িতে অচেনা কোলাহল!  ঘরের কোণে রাখা রাখত খিল দেওয়া ব্যাটটা! ধেয়ে আসা বাউন্সার স্বপ্ন, তৃপ্তির কভার ড্রাইভ! বড় জ্যাঠার ঘরের দেওয়ালে কপিল দেব প্রুডেনশিয়াল কাপ হাতে হাসছেন!   ডেভিড শেপার্ডকে মনে পড়ে। বোর্ডিং য়ের হেড মাস্টারের মতোন!  এক বিকেলে কাবেরী দি পালাল প্রেমিকের সাথে! ফ্যামিলির মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে! কোথায় গেল কেউ জানেনা! লাভ ইজ নাথিং বাট অফারিং গ্রিফ! ভালো লাগার অন্ধকার সুড়ঙ্গে হারিয়ে গেল দুজন! তারপর তো কুৎসার মেঘ! উত্তাল উত্তাল! বহুবছর পর ফিরেছিল কাবেরীদি। এক মাথা সিঁদুর! কোলে বাচ্চা! বাপকে এসে বলেছিল "আমায় একটু থাকতে দেবে?" 

    শোয়েবের একটা স্পেলেই সব হুড়মুড়িয়ে বদলে গেলাম আমরা! সকালে উঠে রোজ একই দ্বিধা! কোন পিচে খেলা হবে!! নিতাই যে পিচে খেলতে খেলতে, তেন্ডুলকর হতে চেয়েও  শেষে হঠাৎ খালাসি হয়ে গেছিল, সেই পিচে?? যে পিচে মানুষ মানুষকে ছুৎমার্গ শেখায়?যে পিচে কচি গলায় গান হয় "পাশরিব ভাবনা পাশরিব যাতনা"?? যে পিচে জীবন-মৃত্যু,কোনোটারই মন্থন আর হয় না, শুধু একটি বেড়াল ছানা চুপচাপ বসে ঝিমোয়, সেটা?? প্রশ্ন! আর দে অ্যাওয়ার অফ আওয়ার ড্রিমস?? আর দে??  এই নাথিংনেস নিয়ে বেড়ে ওঠা ছায়াছবি, সাদা কালো ধূসর!  পাঁজর জড়িয়ে রাখা দলীয় পতাকা, উথ্থিত গুন্ডামি, লাম্পট্যের গা ঢাকা স্বর! "আয় আয় আসমানি কবুতর..." 

    বড় হয়ে ওঠা গুচ্ছের ঝরা পাতা আর অন্তঃপুরের ফিসফিসানিতে! গেহচর্চা, চূড়ান্ত মুমূর্ষু কোনো গল্পের বাঁকে বাঁকে জলসত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন রবীন্দ্রনাথ, ডি এল রায়!  বোন প্রাইজ পেয়েছিল প্রার্থনা কবিতাটা বলে। চেনা জানা অনেক মুখেই তখন অবশ রামধনুর ঝলকানি!গার্লস স্কুলের কৃষ্ণচূড়া! আইসক্রিম বার! অপেক্ষা!রিকশার পিছন পিছন, মধ্যবিত্তর মেরি অ্যান! মিডলক্লাস  ফিস ফাস! রিডিক্যুলাস গসিপিং! পুরো টাল্লি হয়ে নালায় পড়ে থাকা বাপি দা কীভাবে নিজেই জ্যামিতির আঁক কষে কষে, গিজগিজে কংক্রিটের উপপাদ্য গুলো মেলাতে মেলাতে বাড়ির চৌকাঠে গিয়ে দাঁড়াত সেসব গল্প!লক্ষ্মীদি সব বাসন মেজে দেওয়ার পর একটা বাটি মিসিং কেন সেইসব গল্প!   অঙ্ক মিলে গেলে ফিসফিস করেই হুররে বলে উঠতাম!  ব্রেকিং দ্য হুইসপারস! মর মর শব্দ করতে করতে আমগাছটা ভেঙে পড়ল একদিন! সরিয়ে ফেলা হল! তৈরী হল শুন্যস্থান! আবার সমবেত ফিসফাস, লেট ইট পাস!  লেট ইট গো! লেটস টক অন আ ফারটাইল ল্যান্ড! উর্বর জমির গল্প শোনাও !  নতুন বিয়ে করা ভাড়াটে দম্পতির টুপটাপ শিশির সুখ! একেক করে ঘরের সব আলো নিবিয়ে মশারির ভেতর ঢুকে যাওয়া  ইনট্রোভার্ট লোকটা, বাবার মতো দেখতে! সারা সন্ধ্যা তবলা বাজিয়ে বাজিয়ে, শক্ত হয়ে গেছে আঙুল গুলো। কমন ইউরিনাল,কমন পায়খানা! কমননেস! কালচে হাঁড়ির ভিতর গুষ্টির ক্ষুধা! ঝম্পক আর ঝাঁপতাল এক নয়! লাল কালিতে রি রাইটিং! তালের ওপর তাল,বোলের ওপর বোল! একটু বেসুরো হলেই ব্রহ্মতালুতে গাট্টা! ঘুপচি দোকান গুলোতে হেরে যাওয়া লোকগুলোর আদিরস বিস্তার, বিড়ির ধোঁয়া!ধোঁয়ার সর!  হদ্দ পুরনো ম্যাগের পিছনে সাবান হাতে মীনাক্ষী শেষাদ্রি! আচমকা সাফল্যে সেই কোনকালে দু আধখানা হয়ে যাওয়া লোক গুলো, দেরাজে ধূলো পড়া মলিন প্রাইজ-মেডেল! ফ্রীজড শট হয়ে থেকে যাওয়া জড় স্বীকৃতি!

    আলিপুর ফেরতা বাসে দেখা হল সংযুক্তার সাথে। ওর মায়ের ক্যানসার জানতাম। "কেমন আছেন কাকিমা?",  জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সংযুক্তা বলল " মা আর নেই"।  মা আর নেই!  হু হু ব্যথা!  বাসের তুমুল স্পিড! জানলা দিয়ে সরে যাওয়া মাঠ, আকাশ,ঢেউয়ের মন্তাজ! শানুর চটুল হিন্দি গান! সংযুক্তার পার্সে ওর মায়ের হাসি মুখের ছবি। স্মাইলিং ফেস ইজ আ ডিভাইন ফেস! থমকে থাকা হাসি! আমাদের সবার ঘরেই এমন কত মানুষ চলে যাওয়ার পরেও হাসছেন! ছবির ভিতর! অনন্ত ঘুমের ভিতর!  হাসি! সুখের স্টিল শট!  এই তো! হাসি টুকুই রেখে যায় মানুষ! চলে যায় অলৌকিক এক উষার দিকে! আদিম চড়ুই পাখির মতো।  

    একদিন উঠোন বলে আর কিছু থাকল না। বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সুত্র ভুলে গেলাম। একসাথে, ধাপে ধাপ উপর নীচ ওঠা হল! নীচতলা আর ওপর তলার মার্জিন! পাশাপাশি যারা ছিল তারা হয় মাথার ওপরে উঠল নয় পায়ের নীচে নেমে গেল! মাথা গুলো ঝুঁকে গেল! ডানে বাঁয়ে, সবদিকেই স্পষ্ট হল, ভার্টিকাল কমউনিকেশন! টপ টু বটম! বটম টু টপ! মাথা উঁচিয়ে নয়তো মাথা ঝুঁকিয়ে! নো মোর হেডস ইন দ্য হরাইজন! মফস্বল থেকে প্লেন ওড়ানো হবে বড় শহরে! গোধূলি গায়ে মেখে উড়ে বেড়াত উদবাস্তু পাখি গুলো! গোল হয়ে উড়ত, উড়েই যেত!  পুরনো চটি জুতো ছাতা চশমা আর টেলিভিশনের সামনে টান টান  হয়ে  দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যবিত্ত খুচরো পাপ! বাবার কুঁচকে যাওয়া গাল,গলার চামড়ার সামনে, মায়ের তেত্রিশ বছরের স্যাক্রিফাইজের সামনে ছুঁড়ে দেওয়া ব্যক্তিগত জার্নাল! পারিনি! পারিনি! কিসসু পারিনি! শুধু ফিসফিস শুনেছি, আর দেখেছি ভালোবাসায় ক্ষত বিক্ষত একটা মানুষ সময় হাতড়ে হাতড়ে  হুমড়ি খেয়ে মরে যাচ্ছে রাস্তার মোড়ে! ইনস্যানিটি! ভ্যানিটি অফ ইলিউশনস! সমস্ত দিনের শেষে দেখেছি কর্পোরেট  লোকটা ঘরে ফিরে একেক করে কোট প্যান্ট টাই  ছাড়ে। ছেঁড়া লুঙ্গি পরে নিয়ে কলতলায় গিয়ে ঘাড়ে মাথায় ছপ ছপ করে জল দেয়! তারপর একটা ধূপকাঠি জ্বালিয়ে ঘরের কোণে রাখে! তারপর সিগারেট..হুইস্কি..হাই..ঘুম...কিংবা ঘুম না এলে ফেসবুক মিম বা পর্ণহাব!  এটাই ইনডিভিজুয়ালিটি! ফুরায় বেলা ফুরায় খেলা! টিঙ্কুর লটারি গুলো টেবিলের ওপর ফর ফর করে হাওয়ায় ওড়ে! কুকুর গুলো খোঁড়ায়! মা ভাত বেড়ে ডাকে! আর আমি টের পাই আমার ট্রেনটা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েই আছে! সিঙ্গল লাইন জন্য, আরেকটা না ঢুকলে এটা ছাড়বে না! যে যার ব্যক্তিগত ক্রসিংয়ে ঠায় দাঁড়িয়েই আছে সিগন্যালের অপেক্ষায়! প্যারাডিসোর প্রতীক্ষায়!

    আর বাকি সব গল্পকে সত্যি করে  সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যায় ধনঞ্জয়। যে কোনোদিন কখোনো আর এ তল্লাটে আসবে না। দরকারই পড়বে না!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১৯540856
  • ভালো লাগলো খুব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন