এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   সমাজ

  • এক ছাত্রের কথা 

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৫৭ বার পঠিত
  • ভারতের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে আলোচনা করলেন শ্রদ্ধেয় প্রধানশিক্ষক আবদুল হালিম বিশ্বাস।
    এই কারণেই মাধ্যমিক স্তরের পর সাধারণ ঘরের ছাত্রছাত্রীরা পড়া ছেড়ে পেটের ধান্দায় বেরিয়ে পড়ে!
    ------------------------------------------------------------------
     
    বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের তিনটি পরীক্ষার মার্কশিট তৈরির কাজ চলছে। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অভিভাবকেরা আসছেন, কেহ ফর্ম নিচ্ছেন, কেহ জমা করছেন। শীতের মিষ্টি রোদে চেয়ার পেতে লনে বসে আছি। সাবির হোসেন (নাম পরিবর্তিত) ধীর পায়ে সামনে এসে দাঁড়ালো।
     
    সাবির দশম শ্রেণির ছাত্র। টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অনলাইনে ফর্ম জমা করেছে। বিদ্যালয়ে বহু ছাত্র আছে যাঁদের অনেক বলেও একটু নড়ানো যায় না। এগোনো তো দূরের কথা। সাবির শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে প্রতিদিন উন্নতি করেছে। তিনটি পরীক্ষার ফলাফলেই তার প্রমাণ। পাতলা লিকলিকে শরীরের লাজুক চেহারা। বাড়িতে কিছু খাস না নাকি - বলে অনেক দিন ধমক দিয়েছি। 
     
    আজ সাবিরকে উস্কোখুস্কো, বিধ্বস্ত, গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত মনে হলো। জিজ্ঞেস করলাম:
    আমি- কেমন আছো সাবির, পড়াশোনা ঠিকঠাক হচ্ছে?
    সাবির- (স্বভাবগতভাবেই মুখ নামিয়ে) হচ্ছে স্যার।
    আমি- কোনো দরকার আছে, কিছু বলছো?
    সাবির - মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কবে দিবেন স্যার?
    আমি- পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে এসে নিয়ে যেও। সে তো দেরি আছে।
    সাবির - পরীক্ষার এক দুদিন আগে এলে পাব?
    আমি- সে পাবে। কিন্তু কেন? কোথাও যাবে?
    সাবির হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ালো। সে কিছু লুকাচ্ছে। এক মুহুর্তে নীরব হয়ে গেল।
    আমি- কি হয়েছে সাবির? আমাকে বলো।
    সাবির - স্যার আমাকে বাহিরে কাজে যেতে হবে।
    আমি- সামনে পরীক্ষা। এখন কোথায় কাজে যাবে। পড়া নষ্ট হয়ে যাবে। 
    সাবির - খুব অসুবিধা হচ্ছে স্যার। বড় ভাই আর সংসার চালাতে পারছে না।
    আমি- চালাতে পারছে না কেন? তোমার আব্বা কি করেন?
    সাবির - আব্বা স্যার অসুস্থ। কাজ করতে পারে না। বড় ভাই রাজমিস্ত্রি খাটে। ঘরে সাতটা মানুষ। জিনিসপত্রের আগুন দাম। আব্বার ওষুধ লাগে। একজনের ইনকামে চলছে না। অশান্তি হচ্ছে। মা বলছে, স্কুল নাই। এক মাস খেটে আয়।
    আমি- এখন কাজে গেলে তোমার পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে। ঠিক আছে আমি তোমাদের বাড়ি যাচ্ছি। কথা বলে আসছি।
    সাবির - না, স্যার আপনি যাবেন না। তখন আরো খারাপ হবে। স্কুল থাকলে কিছু বলতো না হয়তো। ঘরে বসে আছি বলে ভাইয়ের সঙ্গে অশান্তি করছে।
     
    ব্যপারটা স্পষ্ট হলো। নিম্নবিত্ত ও ভূমিহীন সকল পরিবারে একই চিত্র। কেহই বসে খায়না, খেতে পায়না। টেস্ট পরীক্ষা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীকে ঘরে বসেই পড়তে হয়, প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পরিবারে এই ধারণা নাই। তার উপর শাকসবজির অগ্নিমূল্য। পোশাক আশাক ওষুধপত্রের দাম দিনরাতে বাড়ছে। ভূমিহীন পরিবারগুলোর কিভাবে দিন গুজরান হয়, কেবল তারাই ভালো জানে। অষ্টম শ্রেণি থেকে অর্থাৎ কর্মক্ষম হতেই তাঁদের জীবন সংগ্রামে নেমে পড়তে হয়। আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারা ভদ্রস্থ ভাষায় "ড্রপ আউট" বলেই দায় সারি। প্রতি বছর দলে দলে বহু ছাত্র ক্ষুধা নামক এক অবুঝের তাড়নায় শিক্ষার আলোকবৃত্ত থেকে ছিটকে যায়। সম্ভাবনাময় কত জীবন, কত স্বপ্ন অকালে ঝরে পড়ে।
     
    সাবিরকে বললাম, পরীক্ষার আর দেড়মাস মাত্র বাকি। কোনো উপায় যদি থাকে, ভেবে দেখো। সাবির ধীর পায়ে গেটের দিকে এগিয়ে গেল। এত ধীরে তাকে কখনো যেতে দেখিনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:198f:c866:878:5634:1232:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৮744621
  • 'মিড-ডে মিল, এক খিদে সহ্যের পাঠশালা'
    লিখছেন অনিন্দিতা গুপ্ত রায়।
    সূত্র: উত্তরবঙ্গ সংবাদ।

    ‘একটু বাইরে যাব ম্যাডাম? সামনের মিষ্টির দোকানে?’ সংকুচিত গলার প্রশ্ন শুনে মুখ তুলে দেখি রুগ্ন শীর্ণ চেহারায় অনাবিল মুখ এক সদ্য কিশোরী ছাত্রী। ‘কেন রে? বাইরে কেন যাবি? ছুটি হয়নি তো, সবে তো টিফিন হল…’।

    ‘খুব খিদে পেয়েছে ম্যাডাম। পুরি তরকারি কিনে নিয়েই চলে আসব…’ কেন? মিড-ডে মিল খা। আজ তো ডিমভাত, সঙ্গে ডালসেদ্ধ। তোদের ফেভারিট! খাবি না?’

    বর্ণনায় ঢোঁক গেলে মেয়ে, তারপর চোখ নামিয়ে বলে, ‘আমি তো ক্লাস নাইনে উঠলাম এবার। আমার তো মিড-ডে মিল নাই এবার থেকে ম্যাডাম।’

    লজ্জিত অপ্রস্তুত হয়ে বলি, ঠিক আছে আজ খেয়ে নে, কাল থেকে টিফিন নিয়ে আসিস, বা স্কুলে মাসির কাছ থেকে কিছু কিনে নিস, কেমন?

    ‘থ্যাংক ইউ ম্যাডাম’ বলে একছুটে মেয়ে চলে যায়। ম্যাডাম বসে ভাবেন, সত্যিই তো স্কুলে বিক্রি হওয়া ঝালমুড়ি বা বাদামভাজা বা ছোট্ট বাটিতে ঘুগনি কি প্রাইমারি থেকে অভ্যস্ত হওয়া দুপুরের ওই ভাতের খিদের আগুন নেভাতে পারে আদৌ? মিষ্টির দোকানের পুরি তরকারি হয়তো কিছুটা পারে। কিন্তু স্কুলে সে ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।

    কিছু পরেই রান্নার গ্রুপের দিদিরা হাজির। ‘আপনি কি নাইনের মেয়েদের খেতে বলেছেন? আমরা তো পারব না এতজনকে দিতে দিদি’! চুপ করে বসে থাকি নিরুত্তর। একজন মেয়ে খেতে বসায় আরও দশজন থালা নিয়ে লাইনে। এত অসহায় কখনও লাগেনি নিজেকে!

    আমরা যারা গ্রামীণ প্রান্তিক স্কুলগুলোয় শিক্ষকতা করি, এই ছবিটা তাদের খুব চেনা। ক্লাস এইট অবধি প্রতিদিন দুপুরে স্কুলে ভাত খেয়ে অভ্যস্ত পেটে ক্লাস নাইনে ওঠার আনন্দ টিফিন পিরিয়ডে ম্লান হয়ে যেতে দেখি প্রতিবার, যার হদিস অপেক্ষাকৃত শহরাঞ্চল বা সম্পন্ন ঘরের ছাত্রছাত্রীভুক্ত স্কুলগুলি ধারণাও করতে পারে না।

    অনেক বছর আগে এক শনিবার ক্লাস ছুটির আগে নতুন আসা দিদিমণির মেয়েদের সঙ্গে গল্প করতে গিয়ে বোকা হয়ে যাওয়া দিনটা আজও স্মৃতিতে অম্লান। ‘কাল রবিবার। তোমরা ভালো করে মাংসভাত খেয়ে বিশ্রাম নিয়ে আবার পরশু চলে এসো। কী, কাল বাড়িতে ভালো খাওয়াদাওয়া না?’ নিশ্চুপ ছিল ক্লাসঘর। একটি সপ্রতিভ মেয়ে উঠে বলেছিল, ‘ম্যাডাম আমাদের তো দিনে একবার ভাত হয়। সকালে খুব খিদে পায়। ভাত খেয়ে নিই। দুপুরে আর খাই না। স্কুল খোলা থাকলেই বরং দুপুরে খাওয়া হয়।’

    স্কুলে অভিভাবক সভা করে বলা হয়, মেয়েদের ছাতু, চিঁড়ে মুড়ি এরকম পেট ভরানোর মতো ঘরোয়া খাবার দিয়ে দেবেন। মায়েরা বলেন, ‘ম্যাডাম ওরা খেতে চায় না। অভ্যেস নেই তো সেই প্রাইমারি থেকে এতদিন স্কুলে ভাত খেয়ে খেয়ে।’ যে দু’এক পার্সেন্ট মেয়ে আমাদের স্কুলেও বরাবর টিফিন নিয়ে আসে, মিড-ডে মিল খায় না, তাদের বরাদ্দ খাবারটুকু দিয়ে অন্য উঁচু ক্লাসের কিছু মেয়েকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেতে দেওয়া হয় এসব স্কুলে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা খুবই নগণ্য।

    প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভেনু হওয়ার কারণে যখন প্রায় দেড় মাস ক্লাস বন্ধ থাকে, সেসময় বাচ্চাগুলো দুপুরে গরম ডালভাত খেতে পায় কি না আদৌ, সে চিন্তা উঁকি দেয় শুনে অবিশ্বাসের হাসি হাসতেই পারেন কেউ। কিন্তু যে শিক্ষকরা ওই বাচ্চাগুলোর খাওয়ার সময় তৃপ্তির মুখে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের সন্তানস্নেহে খাওয়ান তাঁরা একমত হবেন জানি। যে দিদিমণি ছাত্রী অবস্থায় রোজ সাত সাত চোদ্দো কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাওয়া-আসা করে অতি কষ্টে ক্ষুদ্র ভাগচাষি পরিবার থেকে লড়াই করে উঠে এসেছেন, তিনি যখন খাবারের মান নিয়ে সামান্যতম আপসে অসন্তুষ্ট হয়ে গলা চড়িয়ে কথা বলেন, প্রধানের চেয়ারে বসে থাকা মানুষটি অনেক ছোট সেই দিদিমণিকে জড়িয়ে ধরেন মনে মনে।

    সেল্ফ হেল্প গ্রুপের দিদিরা নালিশ করতে আসেন—‘এই টাকায় এর চেয়ে ভালো কী করে করব বলুন তো?’ ছোট দিদিমণি ফুঁসে ওঠেন, ‘কেন পারবেন না? একটু যত্ন করে দিতে তো পারবেন!’ দিদিমণি, মাস্টারমশাইরা নিজে হাতে বাগান করেন অনেক স্কুলেই বাচ্চাগুলোর মুখে আরেকটু স্বাদু ব্যঞ্জন তুলে দেওয়ার ইচ্ছেয়। সবাই সামাজিক মাধ্যমে তার বিজ্ঞাপন করেন না। আর যদি করেও থাকেন তাতে দোষ দেখি না।

    এই সময়েই অতিরিক্ত সুষম খাবারের যে তালিকা বরাদ্দ হয়েছে, তার থেকে বঞ্চিত হল দুটি বড় বোর্ড পরীক্ষার কারণে বন্ধ থাকা স্কুলের বাচ্চাগুলো। তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য তো তাদের অধিকার! তারা কি পরে তা পাবে আর? মাস্টারমশাইরা সমাজের সফট টার্গেটের অন্যতম। রন্ধ্রে রন্ধ্রে চৌর্যবৃত্তির দোহাই পেড়ে, তাঁদের যে কোনও সদিচ্ছাকেই আক্রমণ করার প্রবণতার মতোই মিড-ডে মিল প্রকল্পটিতে তাঁদের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ ও অবিশ্বাসের আঙুল বা দৃষ্টি সমাজে প্রচলিত।

    তার সবটাই মিথ্যেও নয়, সব প্রকল্পের মতো, অবশ্যই। তারপরেও, সমালোচিত হতে হবে জেনেও জানতে ইচ্ছে করে, বিদ্যালয়ে নবম, দশম শ্রেণি দুটোকে কি এই মিড-ডে মিলের আওতায় আনা যায় না সত্যিই? এ কথার প্রেক্ষিতে আক্রমণ ছুটে আসবে তাঁদের দিক থেকে যারা বিন্দুমাত্র খবর রাখেন না, প্রচুর স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে দুপুরের সামান্য একটু ডালভাত সবজি কতটা আকাঙ্ক্ষিত। যে তৃপ্তি নিয়ে অধিকাংশ বাচ্চা খায়, দেখতে দেখতে সত্যিই মনে হয় খালি পেটে কিছুই হয় না আসলে। মিড-ডে মিল মানে আসলে টাকা চুরির কৌশল এই প্রচলিত গল্পটা শহরে বা সমাজমাধ্যমে যাঁরা তোলপাড় করে আলোচনা করেন, পড়াশোনা লাটে ওঠার কারণ বলে চিহ্নিত করেন, তাঁরা কখনও ওই ক্ষুধার্ত বাচ্চাগুলোর সামনে আসলে দাঁড়াননি।

    অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন অভিভাবক আমাদের স্কুলে আছেন, যিনি এসে কাতর অনুরোধ করেন, ‘এবছর কি মেয়েটাকে ক্লাস এইটে রাখা যায় না আরেকবার ম্যাডাম? এতগুলো পেটের একবারের ভাত জোগাড় করাও খুব মুশকিল আমার। নিজে লোকের বাড়ি রান্না করে দুপুরে খাই, রাতেরটা নিয়ে আসি। ভোরে বেরোই। স্বামী নিরুদ্দেশ। অত সকালে ভাত রান্না করে খেয়ে ও স্কুলে আসতে পারবে না ম্যাডাম!’

    এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে স্কুলে টিফিনের পরের ক্লাসগুলোয় নিভে আসা মুখগুলোর কাছে ইতিহাস, ভূগোল কিছুই আর বোধগম্য ঠেকে না। তিনটার সময় চুপিচুপি স্কুল থেকে পালিয়ে যেতে উদ্যত মেয়েটি ধরা পড়ে চোখের দিকে সোজা তাকিয়ে যখন বলে ‘ভুখ লাগে খুব’ দিদিমণির চোখ নেমে যায়, শরীর শিথিল লাগে।

    মিড-ডে মিল দেওয়া নিয়ে নানা বাকবিতণ্ডা অশান্তি ঝামেলা ইত্যাদির গল্পের ভিতর শিক্ষাদান আদৌ হারিয়ে যাচ্ছে কি না, প্রতিটি বাচ্চার মুখের খাবার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে কি না, শিক্ষকরা এসব কাজের জন্য মাইনে পান কি না এরকম হাজার প্রশ্ন বিতর্ক বিরক্তির মধ্যেই আমাদের স্কুলের মতো স্কুলগুলিতে প্রতিবছর বার্ষিক পরীক্ষার ফল বেরোয়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় আর শিক্ষকদের অসহায়তাও নতুন করে বুকের ভিতর আছড়ে পড়ে। যেখানে মিড-ডে মিলের শেডের দিকে সদ্য নবম শ্রেণিতে ওঠা ছেলে বা মেয়েটি তাকিয়ে থাকে, গরম ডালভাতের গন্ধে ঢোঁক গেলে। তারপর আর সব কষ্ট সহ্য করার মতো ওরা একদিন খিদে সহ্য করতেও শিখে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন