এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ঋত্বিক, মানুষতন্ত্র

    Supratik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • গতকাল রাত্তিরে নন্দিনী সুন্দরের লেখা দ্য বার্ণিং ফরেস্ট বইটি পড়ছিলাম। বাস্তারের সেই ভয়াবহ যুদ্ধ,নকশাল বনাম সরকারের। শয়ে শয়ে সাধারন মানুষের মৃত্যু, ঘরে ঢুকে মেয়েদের ধর্ষণ,আরো কত কী! ঘন জঙ্গল যেখানে আর্মি টেরিটরি। বছরে প্রতি চারজন আদিবাসীর একজনকে ডিসপ্লেস করে দেওয়া, গ্রাম ঘিরে রাখা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে। নকশালের বউ সন্দেহে এক মহিলার স্তন কেটে দেওয়া ইত্যাদি। হঠাৎ মনে পড়ল ঋত্বিক ঘটকের ১০০ বছর চলছে। কী সমাপতন! ঋত্বিক ঘটক, যাকে সত্যিই ভালোবেসে ফেললে কপালে অশেষ দুঃখ! যাকে সত্যিই ভালোবেসে ফেললে আপনাকে এক অন্য অক্ষরেখা নির্বাচন করতেই হবে। পুড়তে পুড়তে পোড়ানো, ভুগতে ভুগতে ভোগানোর মতো সুইসাইডিয়াল! এদিকে নন্দিনী লিখছেন,
    "Either we should not suffer at all or suffer all equally".

    আগস্টের বাংলাদেশের অস্থির সময় থেকে আজ অবধি যার কথা মনে হয়েছে বার বার, যার উপস্থিতিকে ভয়ানক ভাবে মূর্ত করে তুলতে চেয়েছে মন, তিনি ঋত্বিক ঘটক। ওই পাগলাটে লোকটা, যে নিজে আশ্রয়হীন হয়ে সবাইকে আশ্রয় দিতে চেয়েছিলেন। ওই বোকা, তস্য বোকা লোকটা, যে কিনা বাজারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিল, ওই বেহুঁশ অসুস্থ লোকটা, যে মানুষকে উন্মাদের মতো ভালোবাসত।

    তারপরেও?? শিল্পের নামে হুজ্জতি? ভাবের ঘরে চুরি? জীবনের ক্ষতমুখ ঢেকে দেওয়া বিস্ময়ের মহীরূহ! এখন আর আলাদা করে ঋত্বিককে মনে করতে হয় না। আমাদের প্রতিটি নির্লজ্জ প্রতিবিম্বের সামনে এমনিই এসে দাঁড়ান তিনি৷ ওই দ্যাখ রক্ত! ওই দ্যাখ জমি! বুলডোজার! দিগন্ত! মানুষ! মড়ক! ওই দ্যাখ, ভারতবর্ষ! ভেতরের যে গভীরতম প্রদেশ, সেখানে দাঁড়িয়ে উচ্চারিত হয়, "আগে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়,তার পরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ।" রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন।

    আমরা যারা বারবার হেরে যেতে যেতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠি, একটা বিপন্ন বক্তব্যের চারিপাশের অসহ্য পরিক্রমা সহ্য করে নিতে হয়, যখন বুঝে যাই আজকের মানবসভ্যতা একটা গ্রেট বিট্রেয়াল, ট্র্যাভেস্টি... যুক্তি হীন, তক্কো হীন গপ্পের মোহে আমাদের সর্বনাশ ঘটে গেছে যখন,
    ওই সেই রক্তকথা, " আমি বারবার ধাক্কা দিয়ে বোঝাব যে It is not an imaginary story..." সত্য, সত্য, নাথিং মোর পাওয়ারফুল দ্যান ট্রুথ। আর্ট, গভীর উপলব্ধির নির্যাস! একটা ধারাবাহিক কালচার কমপ্লেক্সের উঠোনে দাঁড়ানো পা গুলো, মাথা গুলো, কিলবিল করা বোধের সমুদ্র।

    মনে পড়ে আরাকুর সেই নরশিমা জীর কথা, পাথরপ্রতিমার আমিনা দির কথা, পুরুলিয়ার কার্তিকদার কথা, মানোয়ারের লছমনের কথা। অজস্র ভূমিহীন কৃষকের গল্প। বঞ্চনার ইতিহাস। ফ্যাকাশে হয়ে আসা সমবায়। এফ পি ও। ওপর তলায় সেমিনার, নীচের তলায় ফেলে মার! উদবাস্তু কান্না,নিভু নিভু ঝিঁ ঝিঁ ডাকা স্টেশন। এক মা, এক মেয়ে ট্রেনের অপেক্ষায়, কোথায় যাবে জানেনা। শুধু ট্রেন এলে চেপে পড়বে তাতে। বর চম্পাকেলির কৃষক ছিল। জমি নিয়ে নিয়েছে টাটা। ২০০৬ সাল। কোম্পানির সাথে কৃষকের খন্ডযুদ্ধ, গুলি, তাতেই মারা গেছে বর। তারপর থেকেই মা মেয়ে ঘুরছেন ভারতবর্ষের রাস্তায় রাস্তায়... ওদের জমিটা এখন কোম্পানির। ক্ষতিপূরন পায়নি, জমির কাগজ ছিলো না।

    ওরা কোথায় যাবে? কোন ট্রেন ওদের কোন জমিতে নিয়ে গিয়ে ফেলবে? তারপর?

    নট অ্যান ইমাজিনারি স্টোরি।

    দেশকালের ভাঙাচোরা টুকরো গুলো কুড়িয়ে নিয়ে ইচ্ছে মতো জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করি। মনে হয় সময় দাঁড়িয়ে আছে অনন্তকাল। একই ঘটনা একই সভ্যতায় একই ভাবে বারবার ঘটে চলেছে। সভ্যতা unsettled... কুমিল্লা কলকাতা নিউগিনি নিয়মগিরি নকশালবাড়ি পাপুয়া নিকোবর সব আসলে একই জায়গার বিভিন্ন নাম। যন্ত্রনার একই ভূখন্ডে মিশে আছে সবাই।
    "বার্ণিং ফরেস্ট" আর পড়া হয় না। ঋত্বিকের ছবির এলোপাথারি ক্লিপিংস দেখতে শুরু করি। দেখি তিতাস!কুমিল্লায় তিতাস নদীর পাশে বেড়ে ওঠা এক সুদর্শণ লেখক কৈবর্ত সম্প্রদায় কে নিয়ে লিখলেন এক উপন্যাস জীবনসায়াহ্নে। যক্ষায় ছটফট করতে করতে অলস দুপুর গুলোয় বন্ধুদের ডেকে পান্ডুলিপি দেখাতেন। মৃত্যুর পর প্রকাশিত হল "তিতাস একটি নদীর নাম"। লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণ! তিতাসে তখনও পলি পড়েনি, শেষ রাতের ভাঁটায় তখনও মাঝিরা ভাঁটিয়ালি গাইত। অপাংক্তেয় জীবন আলেখ্য বুকে নিয়ে চিরবহমান তিতাস। ঘোলাটে ফ্রেমে পরিচালকের বৌদ্ধিক আঁকিবুকি। যেন মনে হয় তিতাসের ধারে লেখক ও পরিচালক একসাথে বসে আছেন,সামনে সোনার বাংলাদেশে নক্ষত্রের আলো এসে পড়ছে। ধরে নেওয়া যায় লেখকের সচেতন ভঙ্গিমায় ছিন্নমুল মানুষের ছবি ছিল,তার ন্যারেশন আর ঋত্বিকের শট কম্পোজিশনের ধরনের সাদৃশ্য আছে। এ কি কাকতালীয় নয়?বস্তুগত অন্তর্ঘাতের সামনে লেন্স বরাবর সাবজেকটিভ অ্যাঙ্গেলে দেখিয়েছে মানুষের মুখ। পোড়া পোড়া কালো কালো ছায়াচ্ছন্ন নারীর কঠোর চিবুক! অনন্তের মা মরে যায়, মৃত মাকে দেবীর ন্যায় দেখতে পায় অনন্ত! এই রূপকল্পের পেছনে অদ্বৈত মল্লবর্মণ এবং ঋত্বিক ঘটক দুজনেই কি সমান Archetypal হন নি?

    এ তো গেল বাইরেটা। ভেতরে কী দেখা যায়? ওই তো রোগা ঢ্যাঙা লোকটা ছটফট করছে ধূসর বালুচরে! বাংলাদেশের ছেলে, সোনায় মোড়া কলজে, কী জানি কী খোঁজে তিতাস পারে! উশকো খুশকো চুল, যেন বহুকাল মায়ের যত্ন পায়নি। এত অস্থির কেন? এত তাড়া কেন? মাকে কতদিন ধরে খোঁজে ছেলেটা?

    মনিশঙ্করদার দা একটা নদী দেখিয়েছিল, নাম সুবর্ণরেখা। একেবারে বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। সভ্যতার সজল অক্ষিগোলক যেন। ওর পাশ দিয়েই পথ গেছে সীতা অভিরামের, নতুন বাড়ির দিকে। যেখানে বাগান আছে,বাগানে প্রজাপতি আছে। সীতা, অভিরাম, বাগদী বউ, নচিকেতা, উপনিষদ, মহাভারত সব গোলমাল হয়ে যায়। সেই কবে যুদ্ধ হয়ে গেছে, আজও সব কেমন ভাঙা ভাঙা.... উঁচু উঁচু টিলার খয়েরি রঙে লড়াইয়ের গ্লানি লেগে আছে। পরিত্যাক্ত এক ভাঙা কুঠুরিতে যুদ্ধবিমান চালকদের আড্ডা জমত রোজ, বিদেশী হুইস্কির ফোয়ারা উঠত। আজ যেন সব নেইয়ের অস্তিত্ব গুরুত্ব খুঁজে পেয়েছে অতর্কিত মানুষী আবিষ্কারে। নতুন মানুষের নতুন চোখ গেঁথে নিয়েছে পূর্বের ক্লান্ত ইতিহাস। ওরা কথা বলে ফিসফিসিয়ে, ওরা স্বপ্ন দেখে চুপি চুপি। শুষ্ক মেহগনির জঙ্গলে একাকী যৌবন কাটে ওদের। পাতা গুলো মচমচিয়ে ওঠে, খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর কথা বলতে বলতে বুজে আসে স্রষ্টার কন্ঠ, কান্না জমে, অব্যক্ত আর্তি কড়া নাড়ে স্বপ্নের নতুন বাড়ির দরজায়। শূন্য অন্দরমহল থেকে সেই আদিপুরুষ নচিকেতার কন্ঠ শোনা যায় "উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্নিবোধত/ক্ষুরস্য ধারা নিশ্চিতা দুরত্বদূর্গম পথঃ তৎ কবয়ো বদন্তি"
    হলুদ হয়ে আসা এক পৃথিবীতে ছোট ছেলে মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা রাখে, "মা, ধানক্ষেত দেখতে কেমন হয়?"
    কেমন দেখতে হয় আমাদের ফেলে আসা রূপকথা গুলো? বঙ্গবালাকে কেমন দেখতে? কেমন দেখতে হয় ধ্বংসস্তুপের ওপর প্রথম ফোটা ফুলকে?
    কেমন?
    কেমন?
    কেমন?
    ঋত্বিক খুঁজে চলেন সেই নতুন বাড়ি। এখোনো খুঁজে চলেন। হেঁটেই চলেন ক্রমাগত। সাথে চলেন ঈশ্বর,হরপ্রসাদ,অভিরাম,নীতা, অনন্ত,অনন্তের মা... চলেন তিতাসের অসংখ্য কৈবর্ত, ছোট কৃষক, বাগদী বউয়েরা, হেঁটে চলেন মা আর মেয়ে, নকশালের বউ, রেলমজুর, উদবাস্তু কলোনির ছায়া মানুষ গুলো... হেঁটেই চলেন, চলতেই থাকেন।

    নতুন বাড়িটার খোঁজে, যেখানে বাগান আছে, বাগানে অনেক প্রজাপতি আছে...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২০540248
  • ভাল লেখা yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন