এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফতোয়া ই আলমগীরি নাকি আলমগী রের ঘড়ির কাঁটা পেছনে ফেরানো ?

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪৩৩ বার পঠিত
  • ঔরঙ্গজেব আলমগীর সুন্নি হানাফি বিচার বিধির ভিত্তিতে এক আইনের শাসন ভিত্তিক সালতানাত তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন । বিশাল কাজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিচার করার রেওয়াজ তখন হিন্দুস্থানের দস্তুর। মোঘল আমলের আগে থেকে দিল্লী সুলতানশাহী , দাক্ষিণাত্যের নানা সুলতানশাহী , বাংলা , গুজরাটের আঞ্চলিক সুলতানরা সবাই এই কাজি -উলেমা নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ছিল। অমুসলিমরাও এই কাজি ব্যবস্থার বিচার প্রার্থী হতো আর সেটা সেটাতে তারা ন্যায় বিচার পেত না এমনটা নয়। কিন্তু কাজিদের নানা পরস্পর বিরোধী রুলিং দিতে দেখা যেত প্রায়ই আর এতে যে টাকা পয়সার লেনদেন হতো বলাই বাহুল্য। ঔরঙ্গজেব এই এলোমেলো ব্যবস্থার অবস্থান চাইলেন। হানাফি বিচারবিধি , যা ছিল সে সময়ে সবচেয়ে চালু বিচারবিধি, তার নানা মতকে এক জায়গায় এনে একটা রুল বুক তৈরি করার কাজ হাতে নিলেন।এই পরিকল্পনার অঙ্গ হ লো ফতোয়া ই আলমগিরির । তাঁর আদেশে এক ন্যায় বিধানকারী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আশিজন উলেমা কাজ করে চলেছে দিনে রাতে, তারা হানাফি বিচারবিধির এক মহাগ্রন্থ বানাতে লেগেছে যার জন্য শাহী তোষাখানা থেকে নিয়মিত পয়সা পাচ্ছে। কাজের জন্য পয়সা। যতখানি কাজ ঠিক ততটা পয়সা। ফলে নিয়ম মেনে চলতে হয়, সময়ের লেখা সময়ে ঠিক তৈরি রাখতে হয় পেশ করার জন্য। আগে পেশ করতে হবে তারপর অনুমোদন । তারা প্রায়ই দেখা করে ঔরঙ্গজেব আলমগীরের সঙ্গে। পাণ্ডুলিপি সঙ্গে নিয়ে বসে, বাদশাহের সঙ্গে মত বিনিময় সেরে তবে চূড়ান্ত হবে কোনটা এই মহাগ্রন্থে ঢুকবে। আলমগীরের শিক্ষা হয়েছে সর্বোচ্চ স্তরের মানকুলাত বা প্রথা গত বিদ্যায় কোরানের নিবিড় অধ্যয়ন ও ব্যাখ্যায় –তাফসিরে, নবীর বাণী মালা - হাদিসে, বিচারবিধি - ফিকহতে আর মাকুলাত – যুক্তিগ্রাহ্য জ্ঞানে তর্কশাস্ত্র - মান্তিক, দর্শন -হিকমাত আর কালাম - ধর্ম শাস্ত্রে। ঘটনা হলো, ফাদল আল্লাহ সিরাজীকে সাদরে বিজাপুর থেকে মোঘল দরবারে আনলেন আরশ আসিয়ানি মরহুম আকবর আর মহা পণ্ডিত সিরাজী মাকুলাতের পরিধির আরো বিস্তার ঘটাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যামিতি, পাটিগণিত, যন্ত্রবিদ্যা ইত্যাদিতে। সে সবই কম বেশি গভীর অধ্যয়ন করতে হয়েছে আলমগীরকে। ফিকহ -বিচারবিধির খুঁটিনাটি,বুঝতে তর্কশাস্ত্রে আর যুক্তি গ্রাহ্য নানা বিষয়ে তাঁর টনটনে জ্ঞান ও বোধ খুবই কাজে লাগছে ।আইনে কোন ধোঁয়াশা থাকলে চলবে না। ধোঁয়াশা থাকলে ঠিক ধরে ফেলেন আলমগীর।তিনি জানেন মানকুলাতের পর্যায় ছেড়ে, হানাফি বিচার বিধির গণ্ডি টপকে তাঁকে হিন্দুস্থানের বাস্তবতার সঙ্গে হাত মেলাতে হবে কারণ না মিলিয়ে বাদশাহের চলে কি ? মাকুলাতের –যুক্তি গ্রাহ্য জ্ঞানের ছাঁকনিতে ছেঁকে তিনি সব সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেন, তারপর তা ফতোয়া ই আলমগিরির পাণ্ডুলিপিতে বিচারবিধির শেষ কথা হয়ে ঢুকতে থাকে । অবশ্য মোঘল সালতানাতে চূড়ান্ত বিচারক আলমগীরই কারণ তিনি জাহানের বাদশাহ, নির্দিষ্ট আকার যুক্ত শেষ শীলমোহর তিনি,তাই নিরাকার কোন আইনের মহাগ্রন্থ তাঁর নামেই চালু হতে চলেছে।বিচার করতে গিয়ে হানাফিবিধি, যা ছিল তুলনামূলক ভাবে কম হাদিস নির্ভর ফলে যুক্তি গ্রাহ্য জ্ঞান নির্ভর, সে বিধিরউল্টোপাল্টা ব্যাখ্যা আটকাতে কাজিদের রুল বুক ফতোয়া ই আলমগিরির সংকলনের কাজ শেষ হতে লাগে আট বছর ।তা লাগু হতে শুরু করে ষোলোশো পঁচাত্তরে, যার অধীনে বাদশাহ নিজেও নিজেকে নিয়ে এসে, তাঁর নিজের বিরুদ্ধে আর্জি জানানোর প্রথা চালু করলেন কাজির আদালতে। কাজি বাদশাহকে বিচার করবেন, রেয়াত করবেন না - ফতোয়াই আলমগিরি তাঁকে এই ক্ষমতা দেবার কথা বলেছিল।কোন গুণাবলী কাজিকে জাহানের বাদশাহকে বিচারের ক্ষমতা দিচ্ছে ? না , কোরান –হাদিসে গভীর জ্ঞান ছাড়াও তাঁর আছে ইজতিহাদ -স্বাধীন মতামত দেওয়ার ক্ষমতা অর্থাৎ তিনি এক মুফতি। একমাত্র মুফতিই ফতোয়া বা রুলিং দেওয়ার অধিকারী। ফতোয়া ই আলমগীরির সংকলকরা অবশ্য মনে করতেন তাঁদের সময় এমন কেউই নেই যিনি এই স্বাধীন মতামত দেওয়ার যোগ্য। তাই কোন ফতোয়াই আসলে তাঁদের সময় প্রকৃত ফতোয়া নয়। এখানে আলমগীর আর তাঁর নিযুক্ত উলেমারা তাঁদের সময় কথাটা ব্যবহার করে করে গেছেন অর্থাৎ তাঁরা প্রথাগত বিচারবিধির সাম্প্রতিক প্রয়োগ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় রেখেছেন যুক্তিবাদী অবস্থান থেকে। ঘটনা হলো এই মাকুলাত বা যুক্তিবাদী চিন্তা ধারার প্রভাব আলমগীরের আইনের শাসনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।হেরাতের যুক্তিবাদী মাকুলাত ঘরানার প্রণেতা উলেমা আব্দ আল্লাহ  নাসরির অনুগামী  মোল্লা কুতুব -আল দিন আর তাঁর ছেলেরা ফতোয়া ই আলমগীরির সংকলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটার জন্য তাঁদের লখনৌতে এক নিস্কর জমি দেওয়া হয় যা ফিরিঙ্গি মহল বলে পরিচিত। এখানের বিখ্যাত মাদ্রাসা -ফিরিঙ্গি মহল মাদ্রাসা যা মাকুলাতের এমন এক বড়সড় ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল যে সেটা তার স্বর্ণযুগে অর্থাৎ সাতে রো শো আশি থেকে আ ঠে রো শো কুড়ি তে এক ধরণের ইসলামী রেনেসাঁ র জন্ম দিচ্ছে যা ইসলামকে ধারণ করেও ব্রিটিশদের যে টুকু গ্রহণযোগ্য তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেয়েছিল । 
    এসব দেখেশুনে আলমগীরের খেলাপ অযৌক্তিক ধর্মান্ধতার, ঘড়ির কাঁটা পেছনে ফেরানোর বদনাম আর অভিযোগের যুক্তি কেমন নড়বড়ে ঠেকে না ? আসলে সংস্কৃত জ্ঞান পদ্ধতিতে তো বটেই , গ্রে কো –পারসিক বা গ্রে কো – আরবিয় পদ্ধতিও যুক্তিবাদী পরম্পরায় তার অবদান রেখেছিল ।সব ইউরোপ থেকে এনে ইংরেজরা আমাদের উদ্ধার করেছে এ চিন্তা সাহেবের গুখোরি বই আর কি হতে পারে ? ফ্রান্সিস রবিনসন উল্লেখ করছেন জামাল মালিকের জার্মান ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ এক কাজের কথা , যা পনেরো শো থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত অওধের ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যাতে যুক্তিবাদী পরম্পরা মাকুলাতের ক্রমবিকাশ সম্পর্কেও নিশ্চয়ই জানা যেত কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা ! সেই Islamische Gelehrtenkultur in Nordindien : Entwicklungsgeschichte und Tendenzen am Beispiel von Lucknow বইটা এখনও ইংরিজিতেই অনুবাদ করার চেষ্টাই হয়নি, বাংলা তো দুরস্থান ! কিসে আটকাচ্ছে ? কোন জায়গাটা শক্ত লাগছে, শিশি বোতলের জায়গাটা কিনা কে জানে ! 
    সূত্র 
    1)Hanafi Fiqh in Mughal India: The Fatāwá-i ‘Ālamgīrī
     Alan Guenther page 209India's Islamic Traditions, 711-1750 Ed by Richard Maxwell Eaton 
    2)The 'Ulama of Farangi Mahall and Islamic Culture in South Asia
     by Francis Robinson
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:65bc:7a65:3dae:***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩537435
  • আচ্ছা, ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্সের আর যে স্কুলগুলো সেগুলো মোগলরা কি চোখে দেখতেন। একজন বাংলাদেশী ছেলে বলল তার পরিবার হানবালি। শুনে একটু অবাক হলাম। আমার ধারণা ছিল উপমহাদেশে সব মুসলমানই হানাফি।
  • upal mukhopadhyay | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৮537436
  • রুল বুক এখনও ফতোয়া ই আলমগিরিই আছে ।অনেক বইপত্র ঘেঁটে অনেক দেরিতে বিচার করার পদ্ধতির অবসান করতে ঔরঙ্গজেব এই পূর্ণাঙ্গ রুল বুক তৈরী করেন যা তিনি নিজে দেখে দিতেন ।এ নিয়ে কিছু গল্প আছে যা আমার বইতে যদি হয় থাকবে ।চাইলে অ্যালেন এম গুয়েন্থের হানাফি ফিকহ ইন মোঘল ইন্ডিয়া -দ্য ফতোয়া ই আলমগিরি প্রবন্ধটা ইটনের সম্পাদিত ইন্ডিয়াস ইসলামিক ট্রাডিশন্স ,  অক্সফোর্ড  বইয়ের ২০৯ পাতায় পড়ে নিতে পারেন .
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:65bc:7a65:3dae:***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩২537437
  • ধন্যবাদ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন