এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১১১

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ মার্চ ২০২৪ | ১৯১ বার পঠিত
  • কালীবাবু বললেন, ' আপনের শরীর ঠিক আছে তো সাগরবাবু ? '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... তেমন প্রবলেম কিছু নেই। পেইন তো আছেই। যাবে আস্তে আস্তে ... এখন অনেক বেটার ফিল করছি ... '
    সাগরের কথার ধরণে কালীবাবুর বিস্ময়ের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে।
    তিনি একটু সময় নিয়ে চায়ের গ্লাসে দুটো চুমুক দিলেন। একজনকে ডেকে সাগরের জন্য একটা চা আনতে বললেন।
    তারপর বললেন, ' উনি আপনাকে অনেকটা বদলায়ে দিসেন দেখত্যাসি ... এর মইদ্যে দেখা হইসিল নাকি আপনের সাথে ? '
    ------ ' তা বলতে পারেন। একদিন মাত্র কথা হয়েছিল ওনার বাড়িতে। প্রথম দিন তো রাস্তায় দেখা হল .... খান্নার মোড়ে, গনেশের দোকানের ওখানে ... '
    ----- ' আপনে কার কথা কইত্যাসেন ? '
    ---- ' নিখিল ব্যানার্জী স্যার ... অঙ্কের প্রফেসার... ওই ... সিটি কলেজে ... '
    ----- ' মানে কিসুই বোঝলাম না ... '
    ----- ' সত্যি কথা বলতে কি আমিও পুরোটা ঠিক বুঝিনি ... আর একবার ভালভাবে শুনতে হবে ... দেখি কবে দেখা হয় আবার ... '
    ----- ' এখনও কিসু বোঝলাম না ... একটু খুইল্যা বললে ভাল হয় ... ' কালীবাবু এখনও অন্ধকারেই রইলেন।
    সাগর যতটা সম্ভব গুছিয়ে বৃত্তান্তটা বর্ণনা করল।
    কালীবাবু সব শুনে বললেন, ' হমম্ ... '
    বলে মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগলেন।
    সাগর কালীবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
    একটু পরে মাথা তুলে বললেন, ' আপনে তো আমারে সিন্তায় ফেইল্যা দিলেন। এখন সারাদিন
    আমার মাথায় কথাগুলি ঘুরতে থাকব ... আমিও এই কথাগুলি মাঝেমাঝে ভাবি কিন্তু ঠিক গুছায়ে বলতে পারিনা ... কারও মুখে এসব কথা শুনি নাই ... '
    সাগরের চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সে সোৎসাহে বলল, ' তাই নাকি ? '
    ----- ' হ্যাঁ। মনে হইতাসে পুলিশের চাকরি ছাইড়্যা ওই সংগঠনের কাজে লাগি। তেনার লগে পরিচয় করতে পারলে ভাল হইত ... '
    ----- ' সেটা কোন সমস্যা হবে না ... আমি আপনাকে নিয়ে যেতে পারি ওনার বাড়ি। সন্ধের দিকে গেলে ভাল হয় ... '
    ----- ' আচ্ছা আচ্ছা ... কবে যাওয়া যায় তাইলে ... কাল হইব না, ডিউটি আসে ... পরশু চলেন ... হ্যাঁ পরশুদিনই চলেন ... '
    ----- ' ঠিক আছে ... '
    কালীবাবু উদাসচোখে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বললেন, ' এক ক্রান্তিকাল বোধহয় এগিয়ে আসছে ... সারা পৃথিবী জুড়ে এগিয়ে আসছে ... '
    তারপর হঠাৎ বললেন, ' আপনের উনার সঙ্গে এ ব্যাপারে কিসু ডিসকাস করসেন নাকি ? '
    সাগরের চোখমুখ নিমেষে বদলে গেল। কেমন বর্ষার জলে ভেজা কেতকীর মতো হয়ে গেল। সে চোখ নীচু করে টেবিলের দিকে তাকিয়ে বলল, ' সন্তোষকে বলেছি যোগাযোগ করতে ... দেখি কি করে ... '

    বিভূতিবাবু বললেন, ' আচ্ছা অসিত শেষরক্ষা না করে চিরকুমার সভা করলে হয় না ? '
    অসিত বলল, ' জেঠু চিরকুমার সভায় যে গান আছে। গান কে গাইবে ? আর গানগুলো বাদ দিলে তো ... '
    বিভূতিবাবু হাত নেড়ে নেড়ে বললেন, ' না না ... গান বাদ দেওয়া ঠিক হবে না ..... গান বাদ দেওয়া ঠিক হবে না ... তাহলে বরং শেষরক্ষাই থাক ... '

    অতএব বিভূতিবাবুর ঘরে শেষরক্ষার রিহার্সাল শুরু হয়ে গেল অসিতের পরিচালনায়। বাড়ি আবার গত বছরের মতোই জমজমাট হয়ে উঠল।
    জন্মেজয়বাবুর পরিবারও প্রবল উৎসাহে প্রত্যেক রিহার্সালের দিন বিভূতিবাবুর ঘরে গিয়ে হাজরে দিতে লাগল এবং ঠায় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে লাগল রিহার্সাল দেখার জন্য। রমাদেবী স্বামীর সঙ্গে এইসব হুজ্জুতি নিয়ে খিটিমিটি বাঁধালেও এই রকম একটা প্রাণবন্ত পরিবেশ বেশ উপভোগ করছিলেন। আর ওদিকে অঙ্কের খাতায় মনোনিবেশ করা শ্রীলেখার পক্ষে দুরূহ হয়ে উঠল। অবশ্য আপাতত দুদিন করে সপ্তাহে, পরে বাড়বে মহড়ার দিন। তখন শ্রীলেখার সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে হয়।
    অঞ্জলি একদিন রাত্তিরে নিতাইবাবুকে বলল, ' পড়াশোনা তোমার মেয়ের কষ্মিনকালেও হবে না ... কি যে গতি হবে কে জানে ... আর এখন তো মাস দুই ধরে হুল্লোড় চলবে বাড়িতে ... মেয়ের কিছু ব্যবস্থা ট্যাবস্থা দেখ ... নইলে কিন্তু পস্তাতে হবে ... '
    ----- ' কেন কি হলটা কি ? এ তো মহা জ্বালা ... '
    ----- 'তুমি কি অন্ধ নাকি ...কিছুই চোখে পড়ে না ? ওই অসিতকে আমার মোটেই পছন্দ নয় ... এসব লটরপটর আদিখ্যেতা আমার একেবারে ভাল লাগে না ... '
    ----- ' ও বাবা ... এ যে উল্টো সুর গাইছ ! এতদিন তো অসিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলে। এখন হঠাৎ একেবারে খেপে উঠলে কেন ? '
    ----- ' না না ... ওসব কোন কাজের কথা না ... ওটা বলেছি নাটক টাটকের ব্যাপার নিয়ে। কিন্তু এসব করে কি হবে ... খাওয়া জুটবে ? বাপের পয়সায় বসে বসে খাওয়া কোন কাজের কথা হল। লেখাপড়া তো কি করে, না করে ভগবান জানে। না না ছেলে দেখ ছেলে দেখ ... বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে তখন কিন্তু বিরাট হ্যাপা ... '
    ----- ' আরে এতদিন দেখেও দেখনি...
    এখন হঠাৎ করে খড়্গহস্ত হয়ে উঠলে কি করে হবে ... ওরা মানবেই বা কেন ? তাছাড়া এইটুকু মেয়ের বিয়েই কি দেওয়া যায় নাকি ? এখনও তো নাবালিকা ... কি যে বল ...'
    ----- ' কি করা যাবে ... দরকার হলে দিতে হবে ... আর ওরা মানা না মানার কে ? বাড়ির মধ্যেই যা চলছে ... সেদিন যা দেখলাম ... মাগো ... দুজনের হাবভাব এমন যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না। এরপর হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে কিন্তু অনেক কেলেঙ্কারি দেখতে হবে বলে দিলাম... গরীবের কথা বাসি হলে ফলে হুঁ ... '
    নিতাইবাবু এবার খানিকটা আন্দাজ করতে পারলেন অঞ্জলির উষ্মা এবং উদ্বেগের কারন। সে বোধহয় গত দু একদিনের মধ্যে শ্রীলেখা আর অসিতকে কোনভাবে অবাঞ্ছিত নৈকট্যে দেখে ফেলেছে, যেটা সে কিছুতেই হজম করতে পারছে না। অঞ্জলিরা ভাবে সব কিছুই চলবে, কিন্তু ছোঁয়াছুঁয়ি বাঁচিয়ে। অত হিসেব করে কি আর সবকিছু হয় ?
    নিতাইবাবু এই কথোপকথনটা আর চালিয়ে যেতে চাইলেন না। আপাতত মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।
    বললেন, ' বড্ড ঘুম পাচ্ছে। কাল সকালে আবার কথা বলব। দেখছি কি করা যায় ... লাইটটা অফ করে দিও ... ', বলে পাশ ফিরে শুলেন।

    শ্রীলেখা দরজায় কান পেতে বাবা মায়ের বাক্যালাপ ভালমতো শুনতে পেল এবং মনে মনে তার অপরিপক্ক আবেগাচ্ছন্ন কিশোরীবুদ্ধিপ্রসূত একটা সিদ্ধান্ত নিল। সে খাতার একটা পাতা ছিঁড়ে একটা চিঠি লিখল। সেটা লুকিয়ে রাখল একটা বইয়ের ভিতর।
    অনিমেষ পাশের খাটে এখন ঘুমিয়ে কাদা।

    রাত্রি রূপবাণী স্টপে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রাম ধরার জন্য। হাতিবাগানের দিকে তাকিয়ে ছিল। তার পাশ থেকে কে একজন বলল, ' নমস্কার দিদিভাই... '।
    রাত্রি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল বিনয়বিগলিত মুখে ঘন নীল রঙের ফুলশার্ট আর কালো প্যান্ট পরে সামান্য ভুঁড়িওয়ালা একজন দাঁড়িয়ে আছে।
    রাত্রি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইল। লোকটা বলল, ' আপনি আমাকে চিনবেন না দিদিভাই। আমি আপনাদের পাড়ার পানের দোকানওয়ালা বিশ্বামিত্র দাসের বন্ধু। আমি সাগরদার দলে আছি। আপনি এইসময়ে রোজ এখান থেকে ট্রামে ওঠেন তাই ... '
    বলে জিভ কেটে বলে উঠল, ' অপরাধ নেবেন না দিদিভাই ... আগে এইসব খবর টবর দেওয়া নেওয়ার কাজ করতাম তো ... তাই ওব্যেসটা ছাড়তে পারিনি আর কি ... হ্যা হ্যা ... '
    রাত্রি কিছুটা বুঝে, কিছুটা না বুঝে বলল, ' ও আচ্ছা বুঝেছি...হ্যাঁ বলুন, সাগরবাবুর কি খবর ? '
    ----- ' খবর এমনি খারাপ না ... তবে একটা ডিসকাস ছিল ... মানে ব্যথা ট্যথার ব্যাপার না ... এমনি কি একটা ... ' সন্তোষ নিবেদন করল।
    ----- ' ডিসকাসান ? কি ব্যাপারে, আপনি ঠিক জানেন না ? '
    ----- ' না ... আমি ঠিক ... ইয়ে ... দাদা নিজেই আসত, কিন্তু ওই ইয়ে ... ' সন্তোষ লাজুকভাবে হেসে মাথা চুলকোল।
    ----- ' কিন্তু কি ? '
    ----- ' লজ্জা পায় আর কি ... '
    ----- ' কেন লজ্জা কিসের ? অনেকদিন তো হল পরিচয় হয়েছে ... '
    ----- ' সেটা আমি ঠিক বলতে পারব না দিদিভাই... আমার যেটা মনে হয় সেটাই বললাম। আপনার যদি অসুবিধে হয় আপনার বাড়ির কাছে বটতলা থানার সামনে দাঁড়ালেও হবে। যদি টাইমটা বলেন আমি দাদাকে জানিয়ে দিতে পারি .... '
    রাত্রি ওখানে দাঁড়িয়ে চিন্তা করতে লাগল। চোখে পড়ল ওদিক থেকে ট্রাম আসছে। বেশ ভিড়।
    ----- ' আমার ট্রাম আসছে ... ঠিক আছে কাল সন্ধে ছটার সময় থানার সামনে থাকব ... আসছি ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে দিদিভাই ... পাশের বাড়ির মালেরা হুজ্জুতি করলে জানাবেন কিন্তু ... সাইজ করার ব্যবস্থা হয়ে যাবে ... '
    ট্রাম এসে দাঁড়িয়ে গেল। সন্তোষ রাত্রির পিছন পিছন গেল।
    ----- ' দাদা সাইড দিন সাইড দিন ... দেখি দেখি ... লেডিজ উঠছে দেখছেন না ... আরে আজব তো ... সরে যান না ... দূর মশাই... '
    সন্তোষ তার স্বভাবসিদ্ধ অভ্যস্ততায় ভিড়ে ফাঁক কেটে রাত্রিকে নিরাপদে ট্রামে তুলে দিল।
    রাত্রি ভিতরে গিয়ে পিছন ঘুরে সন্তোষের দিকে ডান হাত তুলল। সন্তোষ এক গাল হেসে বুকের কাছে দুহাত এনে হাতজোড় করল।

    সাগর বটতলা থানায় এসে বসে আছে বিকেল পাঁচটা থেকে। মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে দেখে আসছে কেউ এল কিনা।
    কালীবাবু বললেন, ' অত সটফট করেন কেন। আসবে যখন কথা দিসে নিশ্চয় আসব ... বারবার দেখার দরকার নাই ... '
    খানিকক্ষণ পরে সাগর আবার বাইরে এল। ডানদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল আর তার বুকের চাতালে যথারীতি আলো ছায়ার নক্শা কাটা শুরু হয়ে গেল। রাত্রি আসছে ধীর পায়ে হেঁটে। ঠিক ছ'টা বাজে। উল্টোদিকের মন্দিরে কাঁসর ঘন্টা বাজা শুরু হল।
    রাত্রি দশ বারো ফুট দূর থেকে সাগরকে দেখে হাসল। খুবই অন্তরঙ্গ হাসি সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। সাগরের বুকে আলো ছায়ার নক্শা কাটা চলতেই থাকল।
    সাগর সৌজন্যতাবশত কয়েক পা এগিয়ে গেল এগিয়ে গেল রাত্রির দিকে।
    রাত্রি বলল, ' কি ব্যাপার ... হঠাৎ জরুরী তলব ? '
    সাগর বলল, ' ভিতরে আসুন না ... কালীবাবু গুছিয়ে বলতে পারবে ... '
    ---- ' কালীবাবু কে ? '
    ---- ' কালীবাবু ওই ইয়ে ... থানার ওসি ... ভাল লোক ... দেখলেই বুঝবেন ... '
    ----- ' কি বলবেন গুছিয়ে ? '
    ----- ' ভিতরে আসুন না ... সব বলব ... '
    ---- ' আচ্ছা চলুন '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন