এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কোলকাতা জিপিও এবং অন্ধকূপ হত্যার কলঙ্ক (প্রথম পর্ব)

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ মে ২০২৩ | ৩৮২ বার পঠিত
  • একালের যুবক - যুবতীদের অনেকেই হয়তো পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটার চোখে দেখেনি। এতে তাদের দোষ নেই, যুগ পাল্টে গেছে। মোবাইল, ইন্টারনেট, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, এসএমএস - এর যুগে তারা বসবাস করছে। তারা পড়াশোনা করে মোবাইলে, অনলাইনে তাদের ক্লাস হয়। পড়াশোনার কারণে যেটুকু লেখালিখি করতে হয়, তা বাদ দিয়ে তারা লেখালিখিও করে মোবাইলে টাইপ করে। কাগজ, কলমের সাথেও তাদের সম্পর্ক এখন প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। চাকুরীর পরীক্ষায় ওএমআর শিট চলে এসেছে অনেককাল আগেই, ভবিষ্যতে হয়তো ক্লাসের পরীক্ষাও ওএমআর শিটে হবে। সুতরাং এইরকম প্রজন্মদের যদি পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটারের কথা বলা যায় তারা তো ভিমরি খাবেই। 

    এককালে ডাক পিয়ন আসার অপেক্ষায় থাকতো গোটা সমাজ। কখন সে দরজায় কড়া নেড়ে বলবে, চিঠি আছে, অথবা দরজার সামনে লাগানো বাক্সে চিঠির দেখা পাওয়া যাবে। দুপুর থেকে বিকেল কেটে যেত বাড়ীর লোকেদের ডাক পিয়নের অপেক্ষায়। যেদিন চিঠি আসতো, সেদিন বাড়ীর সকলের মুখে নিশ্চিন্তির ব্যঞ্জনা কারুর দৃষ্টি এড়াত না। সামান্য একটা পোস্টকার্ড, দাম পাঁচ পয়সা কি দশ পয়সা, মানুষের জীবনে এত প্রভাব ফেলতে পারে তা এই প্রজন্মের যুবক, যুবতীদের ধারণার বাইরে।

    আত্মীয় - স্বজন, বাড়ীর থেকে দূরে থাকা সদস্যদের সাথে আলাপচারিতা, সুখ - দুঃখের সংবাদ ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যম ছিল পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার বা খাম। জরুরী সংবাদ পাঠানোর জন্য ছিল তার বা টেলিগ্রাম। টাকা পাঠানোর জন্য ছিল মনিঅর্ডার। সেকালে ডাক পিয়ন ছিল প্রত্যেক বাড়ীর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। প্রত্যেক বাড়ীতেই পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার বা খামের মজুত থাকতো অনেক পরিমাণে এবং ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই ডাকঘর থেকে কিনে আনা হতো। চাল, ডালের মতোই ডাক সামগ্রীর মজুত প্রতিটি পরিবারেই আবশ্যিক ছিল।

    ডাক বিভাগ তাই প্রতিটি পরিবারের এবং প্রতিটি সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। এই ডাক বিভাগ বঙ্গদেশে তথা ব্রিটিশ ভারতে প্রথম সংঘঠিতরূপে আত্মপ্রকাশ করে ১৭৭৪ সালের ৩১ শে মার্চ তারিখে কোলকাতা জিপিওর কার্যশুরুর মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের জন্য ডাকঘর চালু করেন লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস। প্রথম পোস্টমাস্টার জেনারেল ছিলেন মিঃ রেডফার্ন। তখন অবশ্য বর্তমানের বাড়ীতে জিপিও কাজ করতো না। ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিটের কোথাও একটা ছিল সেই ডাকঘর। কাজের বহর দিনদিন বাড়তে থাকায় বাড়ী পরিবর্তনের নিত্য সমস্যা দেখা দেয়। ফলে একটা স্থায়ী ঠিকানা গড়ার প্রয়োজন হয়ে পরে। ১৮৬৪ সালে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল জিপিওর বর্তমান বাড়ীটি, যা স্থাপত্যশিল্পেও অনন্যতার ছাপ রেখেছিল। ১৮৬৮ সালের ২ অক্টোবর তারিখ থেকে জিপিওর কাজকর্ম বর্তমান বাড়ীটিতে চালু হয়েছিল।জিপিও-র নকশা করেছিলেন মিস্টার ওয়াল্টার বি গ্রেনভিল। আর নির্মাণে হাত লাগিয়েছিল ম্যাকিনটস বার্ন। থামগুলি করিন্থিয়ান নকশার। মাথার ওপর বিশাল একটা গম্বুজ। দক্ষিণ দিকটি অর্ধচন্দ্রাকার। ভেতর দিকে পাক-খাওয়া সিঁড়ি। বর্তমান কালেও জিপিওর স্থাপত্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং শহরের এক দর্শনীয় স্থান। 

    জিপিওর বর্তমান স্থাপত্যটি কিন্তু একেবারে অনন্য বা আলাদাভাবে তৈরী হওয়া কোনো বাড়ী নয়। এটি তৈরী হয়েছিল কোলকাতার পুরনো ফোর্ট বা কেল্লার একটি অংশে। ইংরেজরা এদেশে বাণিজ্যের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা - বাণিজ্য শুরু করার পরে ধীরে ধীরে রাজদন্ডের দিকে দৃষ্টি দেয়। তাদের বাণিজ্যকুঠি গুলো ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে গোলা বারুদের গুদামের চেহারা নিতে থাকে। ফলে প্রয়োজন হয় সেইসব বাণিজ্যকুঠি গুলোর পরিবর্ধনের এবং সংস্কারের। ধীরে ধীরে সেই কুঠিগুলো কেল্লার চেহারা নেয়। এর মধ্যে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় শোভা সিংহের বিদ্রোহের অজুহাতে দেখিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘলদের কাছ থেকে কেল্লা সংস্কারের অনুমতি জোগাড় করে ফেলে। অন্যান্য কুঠির মতো সংস্কার শুরু হয় কোলকাতার কুঠিরও। কাজ শুরু হয় ১৭০০ সালে এবং প্রাথমিক কাজ শেষ হয় ১৭০৬ সাল নাগাদ। স্যার চার্লস আইয়ার এবং তার উত্তরসূরি জন বিয়ার্ডের আমলে এই সংস্কারের কাজ হয়েছিল এবং সংস্কার পর্ব শেষ হওয়ার পরে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের সম্মানে দুর্গটির নামকরণ করা হয় ফোর্ট উইলিয়ম। এখন যেখানে কোলকাতা জিপিও, ট্রেজারি হাউস, ইর্স্টান রেলের অফিস এবং কয়লাঘাট স্ট্রিট টিকিট বুকিং অফিস মোটামুটি ভাবে সেই জায়গাতেই ছিল ইংরেজদের প্রথম কেল্লা ফোর্ট উইলিয়ম। ওই কেল্লার ভেতরেই ছিল ব্রিটিশদের প্রথম উপাসনাগৃহ সেন্ট অ্যানস গির্জা। দুর্গের মধ্যে ছিল গভর্মেন্ট হাউস। এরপরে পট বদল হয়েছে, দিল্লির মুঘল কেন্দ্রীয় শাসন ক্রমেই দূর্বল হয়েছে আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বাংলার নবাবদের দাপটও। এই প্রেক্ষাপটেই এক সময়ে বাংলার নবাব হন সিরাজউদ্দৌল্লা। গোড়া থেকেই বিভিন্ন কারণে তাঁর সঙ্গে বিরোধ লাগল ইংরেজদের। শেষে ইংরেজদের ‘বেয়াদপি’ সহ্য করতে না পেরে ১৭৫৬-এর জুন মাসে সিরাজউদ্দৌল্লা প্রথম কলকাতা আক্রমণ করলেন। ২০ জুন প্রবল বেগে সিরাজের বাহিনী এসে উপস্থিত হল পুরনো ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গের কাছে। কোম্পানির নিরাপত্তার জন্য দুর্গটি তৈরি হলেও শুরু থেকেই এর কাঠামোটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ১৭১৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স মন্তব্য করেন যে, ভবনসমূহের সুউচ্চ শৃঙ্গের কারণে নদীতীর থেকে দুর্গটিকে জমকাল দেখালেও প্রকৃত অর্থে এটি শক্তিশালী নয়। ঐতিহাসিকদের আর একটি মত হলো, ১৭৫৬ সালে ফোর্ট উইলিয়মের গভর্নর রজার ড্রেক নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে কলকাতা আক্রমণে প্ররোচিত করেছিলেন। তবে প্রকৃত ঘটনা যাই হোক না কেনো, সেই সময়েই দুর্গের কার্যকারিতার পরীক্ষা হয়ে যায়। নবাব কলকাতা দখল করে দুর্গে প্রবেশ করেন এবং ১৭৫৬ সালের ১৯ জুন গভর্নর ড্রেক এবং তার সৈন্য-সামন্তকে দুর্গ ত্যাগে বাধ্য করেন। এখান থেকেই পুরাতন ফোর্ট-এর ধ্বংসের শুরু। পলাশী-উত্তর যুগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার রাজনীতিতে ভাগ্য নিয়ন্তারূপে আবির্ভূত হয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোম্পানি তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রকাশ ঘটাতে পারে এমন একটি দুর্গের প্রয়োজন অনুভব করে। প্রথমদিকে পুরানো দুর্গটিকেই নতুন করে নির্মাণ ও এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার কথা ভাবে কোম্পানি। কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার জেনারেল বেনজামিন রবিন্স এবং তার মৃত্যুর পর কর্ণেল ফ্রেডরিক স্কট এই নবায়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। কিন্তু পলাশী বিপ্লব সবকিছুকে পালটে দেয়। ইংরেজদের বণিক-সুলভ ভিক্ষাবৃত্তির দিন তখন নেই। ক্লাইভ সুপারিশ করেন বর্তমান অবস্থানে একটি নতুন দুর্গ নির্মাণ করা হোক। সেইমতো ফোর্ট সেন্ট ডেভিড-এর প্রকৌশলী জন ব্রহিয়ের নির্মাণকাজ তদারকি করতে কলকাতায় আসেন। ১৭৫৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানির বাংলা কর্তৃপক্ষ মি. ব্রহিয়েরকে সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে বলেন। ব্রহিয়ের হিসাব করে দেখেন, দুর্গ নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ থেকে ২২ লক্ষ টাকা। কোম্পানির পক্ষ থেকে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ অনুমোদিত হয় এবং ব্রহিয়ের-এর তদারকিতে নতুন দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অচিরে ব্রহিয়ের জালিয়াতির দায়ে গ্রেফতার হন। পরবর্তীকালে প্যারোলে মুক্তি পেলেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। এ বিপত্তি সত্ত্বেও নির্মাণকাজ এগিয়ে চলে। ১৭৬১ সালের গোড়ার দিকে বলা হয়, ‘প্রবেশপথ ছাড়া প্রায় পুরোটাই সম্পূর্ণ হয়েছে’। ১৭৮০ সাল নাগাদ দুর্গের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে যায়। ওয়ারেন হেস্টিংস-এর সময় দুর্গটি ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠে। অবশ্য নতুন নতুন প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও অনেক কাজে হাত দিতে হয়। প্রায় এক শতাব্দী পর ১৮৬০-এর দশকে দুর্গের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজে হাত দেওয়া হয় এবং তা ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ অবধি চলতে থাকে। আধুনিক দুর্গ নির্মাণের স্বীকৃত নীতিমালার সংগে সংগতি রেখেই ফোর্ট উইলিয়ম নির্মিত হয়। এটি একটি অষ্টভুজাকৃতি দুর্গ। এর পাঁচ দিক স্থলভাগের দিকে এবং তিন দিক নদীর দিকে প্রসারিত। জলকপাটের সাহায্যে নদী থেকে আনা জলে পরিপূর্ণ একটি পরিখা দুর্গটিকে বেষ্টন করে আছে। দুর্গে প্রবেশের জন্য সাতটি প্রবেশদ্বার ছিল। গোড়ার দিকে নির্মিত ব্যারাকগুলি ছিল একতলা বিশিষ্ট। সেন্ট পিটারকে উৎসর্গ করা একটি গির্জা ছিল দুর্গের অভ্যন্তরে। শুরুতে সৈন্যদেরকে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো তার মধ্যে ছিল পর্যাপ্ত পানীয় জল ও যথাযথ পয়ঃনিষ্পাশন ব্যবস্থার অভাব এবং নানাধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব। অবশ্য ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে নতুন ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। তার সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ এবং চিকিৎসা সুবিধা। দুর্গের নির্মাণ কাজ যখন সম্পূর্ণ হয়, ততদিনে পূর্বভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বোচ্চ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফলে নবনির্মিত ফোর্ট উইলিয়মকে সক্রিয় দুর্গের ভূমিকা পালন করতে হয়নি কোনোদিন। বস্তুতপক্ষে, ফোর্ট উইলিয়ম কখনও অবরোধের মুখোমুখি হয়নি; ফোর্ট উইলিয়মের প্রাচীরশীর্ষ থেকে কোন কামান বা বন্দুক শত্রুর উদ্দেশ্যে গোলাবর্ষণ করে নি। ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের গুরুগম্ভীর দর্শনীয় নিদর্শন হিসেবেই ফোর্ট উইলিয়মের অস্তিত্ব ছিল।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন