সুহৃদ,
গুরু-ভাইবোন, বন্ধুরা,
এককালীনও মাসিক সাবস্ক্রাইব করতে পাঠকদের নগদে নিবন্ধন করে গুরু’র বইপত্র তো আছেই এছাড়া নানান পরিসেবা গ্রহণের উদ্যোগটির জন্য আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। বিশেষ করে গুরু’র পরিকল্পনা ও পরিচালনা সদস্যদের দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সবচেয়ে বড় কথা, বাংলার পুস্তক প্রকাশনা, বিপণনে ব্যবসাটি দীর্ঘদিন থেকেই বড় পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে "বাজারে আনন্দ" লাভের মধূ খেয়ে যাচ্ছে। এদের মতো আরো অনেক সংস্থার পুঁজির দাপটে প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করে। আর বিজ্ঞাপন হতে তো এদের লাভের ভান্ডারকে স্ফীত করছে । কিন্তু আজকের দুনিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও তথ্যের অবাধ আদান-প্রদান বিস্তার, ক্রমশ এই নব প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহারের ফলে ,পত্র-পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশনার মোড়লদের একচেটিয়া মূনাফার বাজার আজ নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি।আর ঠিক এখানেই গুরুর সম্ভাবনা ক্ষেত্র। তবে সেখানেও বড় পুঁজির ভুমিকা রয়েছে।
এই কথা গুলো নতুন কিছু নয়, আপনার জানেন। তবুও মায়ের কাছে মাসির গল্প করছি কারণ আপনারা আজকের গুরুকে যে অবস্থানে এনেছেন, এর ধারাবাহিকতায় বজায় রাখতে অর্থের প্রয়োজন।(কে যেন বলেছিল " অর্থ ছাড়া বিপ্লব ও অসম্ভব )। তাই এই পরিপ্রেক্ষিতে গুরুর গুরুভার বহন করতে এই সিদ্ধান্ত প্রয়োজন ছিল। সেটুকু বুঝি।
তবে এই বিষয়ে আমার পরামর্শ নয়, মতামত জানাই, আমরা সবাই জানি বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ক্ষমতাসীন সরকার অর্থনীতির এমন অবস্থায় যে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত মানুষ দিশেহারা। দৈনন্দিন আবশ্যক পণ্য সামগ্রী মূল্য এতটাই বাড়ছে যা ক্রমশ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমি নিজে রোজ বাজারে যাই বলেই এসব জানি। আপনাদের পাঠকদের বড় অংশই তরুণ-তরুণীরা, অনেকে রাত জেগে আই টি সেক্টরে কাজ করতো তাদের অনেকেই চাকরিচ্যুত,আর যারা ঘড়ে বসে কাজ করছে, মাইনে পাচ্ছে অর্ধেক।ছাঁটায়ের ফলে ঘরে বসে কাজ করা কর্মীদের কাজের ভারও অধিক।
এসব দিক বিবেচনা করে আমি মনে করি আপনাদের সাবস্ক্রিপসন প্ল্যানে কিছু টা পরিবর্তন যদি সম্ভব তবে এক মাসের প্ল্যন গুলো তিন মাস সম্ভব না হলে অন্তত দুই মাস করা হোক।
ধন্যবাদ।
লেখাটা কেটে গেছে। লেখার মাঝে কি কোনো স্মাইলি ছিল। সেটা তাহলে একটু সরিয়ে দিন।