তার নাম নিয়ে অনেক কনফিউশান - লি বাই, লি পো - কিংবা আরো অন্যকিছু, কিন্তু নামে কিবা আসে যায় -কবিতায় যদি তাকে চেনা যায়। সে সময়টা ছিলো চীনা কবিতার স্বর্ণযুগ আজ থেকে তেরো শ' বছর আগে। শিক্ষিত লোকেরা ইমপেরিয়াল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতেন তারপর সে অনুযায়ী রাজপদের অধিকারী হতেন। সেসময়ের অধিকাংশ কবিই ছিলেন এমন স্কলার-অফিশিয়াল। ব্যাপারটা স্বাভাবিক, তাদের মধ্যেই ভাষায় দক্ষ লোকজন বেশি। কিন্তু লি বাই? তিনি কখনো ইমপেরিয়াল পরীক্ষায় বসেননি। এদিকে মেধাবী হয়েও যে ব্যর্থ হচ্ছেন, তা নিয়েও কবিতা লিখেছেন, আর ইয়াংসি নদীর তীরে তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কবি-হিরো (knight-errant, Youxia) হয়ে। (খুবই দক্ষ তলোয়ারবাজ ছিলেন।) তার কবিতা আজ এত শত বছর পরও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে - এজরা পাউন্ড থেকে জেমস রাইট থেকে হালের অনেকেই তার অনুবাদ করছেন। চীনা কবিদের মধ্যে হয়তো তার কবিতাই সবচে বেশি অনুবাদ করা হয়েছে।
লি বাই বলছেন সাধু সন্ন্যাসীদের কেউ মনে রাখে না - মাতালদের কথাই লোকে কয়েক পুরুষ ধরে বলে, সুতরাং আসো আজ রাতে এমন খাওয়া খাই যেন কেউ বলতে না পারে আমি মদের যোগান দিতে পারি না। ছেলেটাকে বলো আমার ভালো ঘোড়াটা, ফার কোটটা বেঁচে দিয়ে যেন ভালো মদ নিয়ে আসে। এসো, আমাদের অস্তিত্বের ভিতরের কষ্ট গুলে না যাওয়া পর্যন্ত এগুলোরে গিলে যাই। বস্তুজগতকে ব্যক্তিত্ব দেয়া, দুর্দান্ত ইমেজারির ব্যবহার আর কাব্য ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে সচেতন থাকার পরও কবিতার ফর্মাল রীতিনীতি ভাঙা - এইসব কিছুকে মিলিয়ে তিনি খুব অনায়াসে কিছু অননুকরণযোগ্য কবিতা লিখেছেন।
লি বাই কে নিয়ে যখন তার মা সন্তানসম্ভবা তখন তিনি একরাতে স্বপ্ন দেখেন একটা খুব উজ্জল তারা আকাশ থেকে খসে পড়ছে। এর সাথে লি বাই এর ছদ্ম নাম - "স্বর্গ থেকে বহিস্কৃত অমর" এর সংযোগ থাকতে পারে।
শৈশবে লি বাই ব্যাপক পাঠক ছিলেন - কনফুসিয়ান সব ক্লাসিক্স, বিশেষ করে ক্লাসিক চীনা কবিতা ও ইতিহাস; আবার যা কিছু কনফুসিয়ানরা এড়িয়ে চলতেন সেরকম সব অ্যাস্ট্রোলজিকাল এবং মেটাফিজিকাল বিষয়েও তিনি পড়াশুনা করেছিলেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Li_Bai