১
হাইওয়ের ওপর একটা ডাইনো-সাদা এরোপ্লেনের
খোল —
ধোঁয়া, আর আগুনে ঢাকা ব্যাকগ্রাউন্ড আকাশ;
নিউ ইয়ার্স ইভ।
পাশের ঘরে টেলিভিশন চলছে।
মেটাল ব্যান্ড: আটটা তুলোর কুকুর বাচ্চা,
নাথান-ফিলিপস স্কোয়ারে মানুষ ও মানুষীদের ভিড়;
উড়ন্ত ড্রোনগুলি যেন ঝুঁকে নামবে অবতলে।
ফ্লাইং সসারটি শুধু ঘুরছিলো, ঘুরছিলো —
ফ্লুরোসেন্ট আলো জমে মরা স্থির চোখ তার;
মাইক্রোওয়েভের গোঁ-গোঁ আওয়াজ।
সাদা দেয়ালগুলোর ভেতর সে দাঁড়িয়েছিল, একা।
এও হয়
যে, ফ্রোজেন ফুড ক্রমে উত্তাপে প্রস্তুত; কাউন্টডাউন
ফুরিয়ে আসছিলো কাঁটায় কাঁটায় — চার, তিন, দুই
ইত্যাদি।
২
বীভৎস জেটপ্লেন নেমে আসছে
ড্রয়িংরুম ভেঙে; সিলিঙে বিদ্যুৎ-আলো
পুড়ে যাচ্ছে এখন,
হাইওয়ে ৭৮ জুড়ে কারচেজ সিকোয়েন্স —
মেয়েটা প্যান্টি খুলে রাখল বিছানার ওপর।
নীঈঈ ঈ ঈ ঈ ঈ শব্দ
আর ফোঁটা খসে টপটপ আওয়াজ;
দূরের দেশে হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে
গ্যাছে যেসব ক্রীড়া সাংবাদিক, পর্দায়
ভেসে উঠছে তাদের ঠান্ডা শরীর।
অথবা জল। মোটরসাইকেল থেকে দ্যাখা
অনেক অনেকটা জল; দস্তারঙের।
৩
বিয়ারে চুমুক দিচ্ছিলাম: লোকটা আমাকে সাবধান করে
দিলো, এল.এ. বিপজ্জনক শহর;
ওর মাথার পিছনে টেলিস্ক্রিনে মাগা হ্যাট-পরা
এক যুবতী কিছু বলছিল।
শুধু ছবি, কথা নেই, শব্দহীন —
ক্রিস্ট্যাল পৃথিবীর ভেতর এখন হেমন্ত।
আমি জানি বুলেটটা ঠিক কতটুকু গর্ত বানাবে ওর কপালে।
৪
ভোর পাঁচটার সময় নীনা হঠাৎ জেগে উঠল ধড়মড় করে,
এক্ষুনি মা-কে ফোন করতে চায়।
বাইরে ম্লান নীল নিঃশব্দ আলো,
হাইরাইজগুলির মাথায় ডানা মুড়ে বসছে
একের পর এক মেশিনখোর টেরোড্যাকটিল।
আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলাম চুপচাপ,
কিছুদূরে নীনা স্ট্রীটফোনে কথা বলছিল;
রাস্তায় ভেন্টের ওপর গুটিসুটি দু-একজন হোমলেস।
৫
ক্রসহেয়ারটা ওঠানামা করছে লোকটার কোমর থেকে মাথা অব্দি;
ঘরের দ্বিতীয় লোকটা আমার দিকে পিঠ ফিরিয়ে আছে।
ওর হাতটা মাঝে মাঝে মুখের কাছে উঠছে,
অনুমান করছি হাতে সিগ্রেট বা গরম পানীয়।
শোঁ-শোঁ হাওয়া বইছে নীল তুষারের ওপর;
ঠিক একটাই সুযোগ পাব আমি — বেশিও না, কমও না।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।