এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কলকাতার "ফুড"পাথ

    Ishani
    অন্যান্য | ২৯ আগস্ট ২০১৪ | ১৩৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishani | 229.64.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০১৪ ১৮:২৪648740
  • কলকাতার "ফুড"পাথ
    ..........................

    কলকাতা ছেড়েছি আজ ২৭ বছর পেরিয়ে গেছে | প্রথম প্রথম আসা খানিক অনিয়মিত ছিল | বাচ্চাদের স্কুল থাকত | লম্বা ছুটি বলতে গ্রীষ্মের ছুটি | কিন্তু তখন এখানে পচা গরম | ওরা আসতে চাইত না | ফলে সব মায়েরা যখন হাসিমুখে পরবাসের সংসারকে টা টা করে দিত , আমি দাঁতে দাঁত চেপে আরও জোরে জোরে রান্নাঘরে খুন্তি নাড়তাম |

    এরপর ওরা স্কুল পেরিয়ে বাইরে চলে গেল | আমি সংসারে খানিক অবসর পেয়ে কাজ জুটিয়ে ফেললাম একটা | ফলে কলকাতায় যাতায়াত বাড়ল | মনের আরাম বাড়ল | অখাদ্য কুখাদ্য খাওয়ার পুরনো অভ্যেস বসল জাঁকিয়ে |

    ভোরবেলা থেকেই আমাদের পাড়ার দোকানটার উনুনে আঁচ পড়ে | কচুরি , ছোলার ডাল ( তাতে আলুর টুকরো সাঁতার কাটে ) , জিলিপি | লম্বা লাইন | পারলে আমি রোজই খাই , কিন্তু যত বয়স বাড়ছে ..তত অবচেতনে বাঁচার ইচ্ছে আর মরার ভয়ও বাড়ছে বোধহয় ; তাই সপ্তাহে একদিন |

    পাশেই চায়ের দোকান | একগজ | মানে তিনবার ফোটা বা তিনফুটিয়া | অপরিষ্কার সসপ্যানে রেড লেবেল | মাটির ভাঁড় | স্টাইরোফোমের গ্লাস | অপরিষ্কার বললাম বটে , কিন্তু অসুখ করার ভয় নেই | রোদ্দুর |
    ফাটা পাটাতন..বেঞ্চ হিসেবে | ছারপোকা নেই , তবে চিলতে ফাঁকে শাড়ি জামা আটকে গেলে টানতে গেলেই ফর্দাফাঁই | ওই ফ্যাশনের স্লাইস করা পাঁউরুটি নয় বাপু | সেই ছেলেবেলায় যেমন..ফুলো ফুলো পাঁউরুটি..কোয়ার্টার বা হাফ পাউন্ডে ...বাড়িতে ছুরি দিয়ে কেটে সেঁকে দিত | তেমন | একটু কাঁচা কাঁচা, একটু পোড়া পোড়া...সাইড দিয়ে স্লাইট কেলেকুষ্টি | এর সঙ্গে কিন্তু যে ঘুগনি , সেটা ইস্পেশাল | লাল টকটকে মটরের ঘুগনি ...একটা ফাটা প্লাস্টিকের বাটিতে | ঝোল বেশি , জল আর লঙ্কা ভরপুর | মটর কম, আলু আরও কম | আমার বাটির ঘুগনি একটু বেশিই জোলো ...চোখের আর নাকের জলে | তবে তাই স্বাদও বেশি | গোটাটা একটা হিন্ডালিয়ামের প্লেটে সাজানো | সঙ্গে সেই কাকভোরে কাটা পেয়াঁজকুচি আর কাঁচালঙ্কা | প্লেটের ধারটা খুব পরিষ্কার নয়, তবে বাতিক করার মতো নোংরাও নয় ! ও: , খুব লোভ হচ্ছিল | তাই সঙ্গে একটা হাঁসের ডিমের "মামলেট "| কলাই করা বাটিতে ফেটানো .. ঘটঘট করে চামচ দিয়ে | ঠেসে লঙ্কা পেয়াঁজ | নুনটা এক্কেরে ঠিকঠাক | আর সর্ষের তেলে ভাজা | একটা হাতল ভাঙা তোবড়ানো এলুমিনিয়ামের ফ্রাইং প্যানে | আ: , দিল দিমাগ দুই-ই খুশ |

    এবার ফুচকা | ফুচকা খেতে হয় শালপাতার দোনায় | ফুচকা কক্ষনো গুণে খেতে নেই | যতক্ষণ দম থাকে, ততক্ষণ খেয়ে যেতে হয় | তা না হলে পেটব্যথা করে | শাড়ি পরে খেলে নিয়ম আলাদা | আগে বেশ করে সামলেসুমলে আঁচল গুঁজে নিতে হয় কোমরে | ব্যাঙ্গালোরে হতভাগাগুলো ফুচকার আলু মাখে গুচ্ছের সবুজ মুগসেদ্ধ দিয়ে | দূর দূর, চাট্টি ছোলাসেদ্ধ দিবি তো ! আবার বোকাবোকা গলায় বলে, "খাট্টি মিঠি হবে তো ?" বোঝো ! ফুচকা খাব টক আর ঝালের চোটে চোখে অন্ধকার দেখব, নাকের জল চোখের জল কোনটা কী..তাই বুঝব না..বলব, "এই, আরও খানিক ঠেসে ঝাল দাও | আর এই যে, বেছে বেছে ছোটগুলো দিচ্ছ যে ! বড় বড় দাও | আর শেষে কিন্তু একটা ফাউ |" শেষমেষ ঝালের চোটে হেঁচকি উঠে গেলে হাত নেড়ে বলব , "ব্যস , কত হলো ? নাও, এবারে এই দোনা ভর্তি করে তেঁতুল জল দাও " | এই সুখ পেতেই না কলকাতায় আসা ! তারপর হুশ হুশ করে ওই জলটি খেয়ে রুমালে নাক মুখ মুছে পয়সা দেব..তবে না ! যেদিন ফুচকা খাবার মতো পেটে জায়গা নেই , সেদিন চুরমুর | ভাঙা ফুচকা, আলু, ছোলা, চাট মশলা, টক জল, কাঁচালংকা, ধনে পাতা | এই চুরমুর হল ডাকনাম | যেদিন সাগর থেকে হ্যাঁচকা টান মেরে দেবতারা এটিকে তুলেছিলেন, ভালো নাম রেখেছিলেন, "অমৃত" |

    এরপর ঘুগনি | এটা রাস্তায় | বাড়ির ঘুগনি বিচ্ছিরি | ঘুগনি খাবে শালপাতায় করে | সাদা দিশি মটর , সেদ্ধ হয়ে পাঁক হয়ে গেছে. আলুর টুকরো বেশ লাজুক লাজুক মুখে উঁকি মারছে. ওপরে সাজুগুজু..পেঁয়াজ-কাঁচালংকা -ধনেপাতা -ঝাল মশলা- টক ইত্যাদি | খাবে আইসক্রীমের চামচ দিয়ে | খেয়েই ঝপ করে শালপাতা ফেলে দেবে না কিন্তু | এদিক ওদিক ফাঁক ফোকরে অনেকখানি লেগে আছে | চেটে চেটে খাবে | লজ্জা কী ! সব্বাই অমনি করেই খায় | ওটাই নিয়ম | খবরদার , কাবলিচানা দিয়ে তৈরী ঘুগনি খেও না | ওতে জাত যায় !

    আলুকাবলি ? সেও ওই মটর দিয়েই | তবে অতটা কারিকুরি নেই | শালপাতা না চাটলেও চলে | তবে কিনা সবই দেবভোগ্য ! যে খায়, সে জানে ! যে খায় না..সে বোকার বেহদ্দ !

    ঝালমুড়ি খাবে না ? আমি তো এখনো খাই | লোকাল ট্রেনের ঝালমুড়ি সেরা | তবে কিপ্টের মতো ছোট ছোট ঠোঙা | একটার জায়গায় তিনটে চাইলে অন্য প্যাসেনজারগুলো আড়চোখে দেখে ! "কী নোলা মেয়েমানুষের ! " আমি খাই | রোজ | কলকাতা এলেই | ইন্সটিটিউট থেকে ফেরার পথে | আগে ২ টাকা ছিল. এখন মাগ্গিগণ্ডার বাজার..১০ টাকা | লোকটা চিনে গেছে | বেশ করে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বেশি বেশি বাদাম, ছোলা, নারকেল কুচি, কাঁচালংকা দিয়ে মেখে দেয় | চোখ পাকিয়ে বলে দিয়েছি, "খবরদার ওই সব হাবিজাবি টমেটো আর ঝুরিভাজা দেবে না | আমি ওসব ছাইভস্ম খাই না !" সে কী দেঁতো হাসি তার ! খুব খুঁজি দুটো জিনিস | হারিয়ে গেছে | টুকরো খবরের কাগজে চিপকে থাকা কেলেকুষ্টি হজমিগুলি আর লাল লাল কুট্টি কুট্টি কুল মাখা | এবার আমার পুরনো ইস্কুলের সামনে খোঁজ নিতে যাব | তেঁতুলের আচার | কাগজে মোড়া | ইস , কতটা চিপকে আছে কাগজে | আঙুলের আগা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খেয়ে শান্তি ! এটাও ওই ইস্কুল চত্বরে এবার খোঁজ নিতে হবে | আর ইলেকট্রিক নুন | কালো | জিভে থাকলেই মাথায় চিড়িক চিড়িক আলো |

    বিকেলে ফুটপাথের চালাগুলোয় তেলেভাজা ভাজে রোজ | সে এক দৃশ্য | মোটাসোটা কালো লোক একটা | ঘামতে ঘামতে অস্থির | সামনে রাবণের চুলো | লোকটার থেকেও কালো একটা কড়াই | তাতে কবেকার তেল কে জানে ! মানে তেল কমে এলে জাস্ট কিছুটা তেল ঢেলে দাও | এখন কাশ্মীরি চপ , পনীর ক্যাপসিকাম ..অনেক ফ্যাশনের মেনু হয়েছে বটে ..আমার বাপু সাবেকী আলুর চপ , বেগুনি , পেঁয়াজি , ফুলুরি ভালো | আলুর চপে আলু ন্যানো সেন্টিমিটার পুরু , বেগুনীতে বেগুন কাটা স্ক্যালপেল দিয়ে | চিংড়ির চপও হয় | আমি খোসা আর মাথা পাই রেগুলার | দিব্যি খেতে !

    একটা জিনিস | খাওয়া হয়নি কখনো | খেতেই হবে একবার | ডেকচিতে উপচে পড়া লাল টুকটুকে ডিমের ঝোল | না খেলে মরার পর অতৃপ্ত আত্মা মানিকতলা বাস স্ট্যান্ডে ঘুরে ঘুরে মরবে | আলুর দমও আছে | মানে একটাই ঝোল | দুটো ডেকচি | আঁশ - নিরামিষ |

    রোল আর চাউমিন | এগ রোল হলে ভেজালের চান্স কম | চিকেন বা মাটনে মাংসের আনাচে কানাচে নিউট্রেলা | সে ভালো | নিজে তো ডাক্তারের কথার তোয়াক্কা করি না | দোকানদার খেয়াল রাখে | চাউমিন বিচ্ছিরি | তেল চপচপে | তবে খিদের মুখে অত প্যাকনা ভালো নয় | আবার রেনবো চাউমিনও আছে ! রংবেরং রূপের , থুড়ি সসের বাহার !

    খুব ঝাল লেগেছে ? ঠেলাগাড়ির আইসক্রীম | কাঠি বরফ , ভ্যানিলা কাপ , চকোবার | তবে আমার পছন্দ বিশুদ্ধ ডাবের জল | তবে হ্যাংলা টাইপ তো ; তাই হামলে পড়ি শাঁস খেতে | একটু মোটাসোটা দেখে দিলে আরও ভালো |

    আসি | ফিরে যাই | আবার আসি | মোহিনী কলকাতা আমার ! এখানে বেলফুল , জুঁই আর গোলাপের সুরভিতে মাখামাখি হয়ে থাকে ফুটপাথের খাবারের স্বাদ আর গন্ধ |

    স্বাদ আর সুগন্ধেরও রংধনু হয় | আকাশ জুড়ে ভেসে ওঠে |

    চোখ , নাক , জিভ আর মনের |

    জ্জিও কলকাতার "ফুড"পাথ !

    ইতির পরে পুনশ্চ :
    এই সব " সুখাদ্য" খেলে কিচ্ছু অসুখবিসুখ করে না | ভয় করতে নেই | ভক্তি আর ভালোবাসা চাই শুধু | পেটরোগা যারা ...তারাই শুধু নিন্দেমন্দ করে | ওসব গুজবে কক্ষনো কান দিতে নেই |
  • kiki | 125.124.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০১৪ ২৩:৪৮648744
  • ঃ(

    শিগ্গিরি আবার বেড়িয়ে পরতে হবে দেকচি।
  • santanu | 96.96.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০১৪ ২৩:৫৯648745
  • বাঃ বাঃ কি ভালো কি ভালো। অমিতাভ মালাকার প্রতিদিনে লিখত 'ফুড্পাথ', এতো তার চেয়েও ভালো। তবে এটা কি শেষ হয়ে গেল?
  • Ishani | 229.64.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ০৭:২৭648746
  • মনে পড়ে গেল | এক বন্ধুর সঙ্গে এক জায়গায় যাবার কথা | এই বছর দেড়েক আগে | ট্যাক্সিতে বসে আছি , সে আসবে | আসে আর না ! যখন এল , দাঁত খিঁচিয়ে উঠেছি যেই ..অমনি ম্যাজিকের মতো কাগজে মোড়া নুন আর লঙ্কা মাখা কাঁচা আমের ফালি | ঐটা আনতে গিয়েই নাকি দেরী | আর রাগ করা যায় ?
    কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সামনে নুন লঙ্কায় সেজেগুজে সীজন টাইমে নতুন বৌয়ের মতো মনভোলানো হাসি নিয়ে অপেক্ষা করে কামরাঙা | আমার পা দুটো ঠিক আঠায় আটকে যায় | প্রতিবার !
  • dc | 52.104.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ০৮:৫৪648747
  • ফুচকাওলার বর্ণনাটা দারুন লাগলো, যদিও একটা জিনিষ বাদ পড়েছে - ফুচকাওলার কাছে হেব্বি ঝাল দেওয়া আলুরদমও পাওয়া যায়। ছোট্ট একটা শালপাতায় কাঠি গুঁজে দেয়। কলকাতার বিরিয়ানি আর ফুচকা এই দুটোই ইউনিক। তবে কলকাতাতেও আজকাল অনেক জায়্গাতে মিঠাপানি ফুচকা দেয়, ওটা আমার পোষায় না। ঝাল ঝাল তেঁতুলগোলা জল না হলে ফুচকা খেয়ে সুখ নেই।
  • kiki | 125.124.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১০:৫৪648748
  • ডিসি,
    এখন সবাই শালপাতার তৈরী বাটিতে দেয়।আলুরদমটা আর পাওয়া যায় না মনে হয়, সেই ছোটবেলার দুঃখের কথা, কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে শুয়ে পরলাম , তাও কেউ দিলো না। বড় হয়ে কত খুঁজলাম(মানে বুড়ো হয়ে) আর পেলামনারে।ঃ(

    তবে দে একখান যা লিংক দেছিলো, তারপর ফুচকাতে কেমন একটা ইসে আসে।
  • Ishani | 229.64.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১১:১৬648749
  • আজ দিনটাই মিষ্টি মিষ্টি | সকালে এক জোড়া কড়া করে ভাজা জিলিপি | এত্ত ভালো খেতে ! আর ভারী গুণের | মানে প্যাঁচ কম | জাস্ট আড়াই | তারপর দেখি বাবার বাজারের ব্যাগে উঁকি মারছে এক ঠোঙা লালচে ফুসফুসে গুড়ের বাতাসা | উফ , দক্ষিণীগুলোর খালি মিছরির কুচি আর নকুলদানা | আমি হেদিয়ে মরি গুড়ের বাতাসার জন্যে | টুক করে দুটো নিয়ে চেটে চেটে খেলাম | আহা , দেবভোগ্য ! তারপর জমাট টক দইতে মোটা দানার চিনি ...দরাজ হাতে ছড়িয়ে | মুখের ভেতর দাঁতের চাপে কুচুরমুচুর | রাস্তায় বেরিয়ে দেখি একটা ইস্কুলের সামনে আইসক্রীমের ঠেলাগাড়ি | আমি গম্ভীরমুখে জল আইসক্রীম চাইলাম | অরেঞ্জ কাঠি বরফ | মনটা খুশি হয়ে গেল | মেজাজটাও | শুধু দেখা হল না জিভটা কমলা রঙের হয়েছিল কিনা | একটু এগিয়ে দেখি একটা জায়গায় প্যাকেট করে গোলাপী রঙের বুড়ির মাথার পাকাচুল | ওই যাকে সাহেব ইস্কুলে পড়া বুথ সাহেবের বাচ্চারা ক্যান্ডি ফ্লস বলে | দু' প্যাকেট কিনলাম ...কারণ ঠিক কেউ না কেউ আমায় খেতে দেখলেই চাইবে ! একটা দাতব্য করলেও আমার নিজের জন্য একটা প্যাকেট থাকবে | আহা , ওটা বাড়িতে এসে খাওয়া ভালো | আয়নায় গোলাপী জিভ খাসা দেখায় আমি জানি |
    রাতে খাবার পর মিঠে পান আছে | এক জোড়া | একটা পান ...ও আমি খাই না ! বিয়েবাড়ি গেলেও একটা বেশি চেয়ে নিই | লোকে হ্যাংলা বলে ? ডোন্ট কেয়ার | সামনে তো বলার দম নেই ! আড়ালে ...বয়েই গেল | এই এক ছাতার জায়গায় থাকি ! পছন্দসই মিঠে পাত্তি মেলে না | মুখে দিলে খসখস করে | আর কী যে জল তেষ্টা ! আমি তো সন্দেশ রসগোল্লা নয় ..এই সব হাঁটকেপাটকে খেতে কলকাতা আসি | আরও আছে | গুজিয়া , ভদ্রেশ্বর লাইনের চিটচিটে শনপাপড়ি....যা নাকি...ইয়ে.. মানে প্ল্যাটফর্মের ওপরেই ধুলো বালি মাখিয়ে বানানো হয় | তারপর কুমড়োর পাল্প ভেজাল দেওয়া আমসত্ত্ব , ট্রেনের হকারদের থেকে লেবু লজেন্স আর তিল তক্তি | মোটমাট মার্কামারা " অখাদ্য" মিষ্টিমাষ্টা |
    কী ...সুগার টুগার ? বালাই ষাট | ও সব আমার শত্তুরদের হোক !
    ব্যাঙ্গালোরে ফেরার দিন এগিয়ে আসে | ঘোড়ায় জিন | এর মধ্যে আজ কলকাতায় বাড়ি ফেরার পথে মুখ তুলে দেখি , আকাশের গায়ে কালো কুটকুটে আলোয়ান | মেঘের | গোমড়াপানা মুখ | জবুথবু | ইস , আলোয়ানটা কেমন ভুটকম্বলমার্কা | জল আইসক্রীমের কমলালেবু রং নেই ...পড়ন্ত রোদ্দুরের | গোলাপী গোধূলি ..তাও ভ্যানিশ | সব গোলাপী আমার বুড়ির চুলের প্যাকেটে মুখ গুঁজে |

    কলকাতা ... কলকাতা...এই যে চলে যাব...আচ্ছা , তোমার মন খারাপ ? একটুও ?
    নাকি তুমিও সেই কুসুম যেমন....
    কে যেন বলেছিল....শুধুই শরীর ...
    আমিও ..তাই ..ভাবি..
    কলকাতা ...তোমার মন নেই ?
  • dc | 52.104.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১১:৫৩648750
  • কিকি ঠিক বলেছেন, এখন তো সব শালপাতার বাটি। তবে ফুচকাওলার কাছে আলুরদম কিন্তু সবসময়ে পাওয়া যায় না। কেন জানিনা, ওরা একটু কম করে বানায়, অনেকসময়েই দেখেছি ফুরিয়ে গেছে। আপনি সন্তোষপুর মিনি বাস স্ট্যান্ডের একটু আগে দুটো ফুচকাওলা বসে, ওদের কাছে ট্রাই নিয়ে দেখতে পারেন (অবশ্য কোথায় থাকেন জানিনা, হয়তো অতোটা যেতে পারবেন না)। আমি লাস্ট ডিসেম্বরে গিয়ে পেয়েছিলাম। এবছর জুন মাসেও কলকাতা গেছিলাম, কিন্তু আলুরদম খাওয়া হয়নি।
  • phutki | 122.79.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১৫:২১648751
  • কিকি, লর্ডসের মোড়ে লেকগার্ডেন্স ঢোকার মুখের ফুচকাওয়ালা। মাস ছয়েক আগেও আলুরদম খেয়েছি। ট্রাই নাও। পেতেও পারো।
  • kiki | 125.124.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১৯:০৫648741
  • ডিসি আর ফুটকি,
    থেঙ্কু থেংকু। লর্ডসটাই ভালো হবে। আমাগো মজলিশের আর্টিস্ট সোমার বাড়ী সাজিয়েছে দেখলুম আর তাতে দোলনা ঝুলিয়েছে। একটা মিনি মজলিশের শুরু ফুচকা আর আলুরদম দিয়ে তারপর সোমা আর যা খাওয়াবে। দারুন। সেখানে না পেলে সন্তোষপুর। ঃ)

    তৃষা শুনছো? এমনকি কারেন্ট, ছোটকুল আর হজমিগুলি ও খায়েগা।:D :D
  • kiki | 125.124.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১৯:০৭648742
  • আর ঋভুর পরীক্ষা শেস হলেই প্রিন্সেপ ঘাটে সুজ্জিমামাকে ডুবিয়েই স্কুপের দিকে হাঁটা দেব। ঋভু স্কুপের ভিতরে আর ঋভুর মা বাইরে। হে হে। ঠান্ডা ঠান্ডা বাদল হাওয়া, সাথে পাও ভাজি থেকে শুরু করে..................... উলস!!!
  • Manish | 127.2.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৮:২০648743
  • গত শনিবার রাত্রে মেট্রো থেকে সুযি সেনে নেবে স্টেশনের বাইরে আসতে চোখে পড়লো ফুচকাওলার ঠ্যালাতে রাখা কষা আলুরদম। ২০ টাকার আলুরদম সাটিয়ে ঊফ উফ করতে করতে নাকের জলে চোখের জলে বাড়ি ফিরলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন