এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভ্রম (ছোট গল্প/ কাঁচা হাতের)

    ওপু
    অন্যান্য | ২২ এপ্রিল ২০১৩ | ৬০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ওপু | 24.99.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ২১:৩৯600991
  • লোকটি অনেকক্ষণ ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থেকে বলল, ‘দিদি, আপনি ঠিক কি বোলতে চাইছেন তা আমি কিছু বুঝতে পারছি না’।
    -‘আহা, ঐ জিনিসটা, খোলার সময় ফ্যাচ ফ্যাচ আওয়াজ হয়, আটকানোর সময় আওয়াজ হয় না…’
    ‘একটু আগে যে বলছিলেন চ্যাঁট চ্যাঁট শব্দ গুলো ডাক্তাররা করে...’
    -‘আরে না না, ডাক্তার শব্দ করে না, মানে ঐ প্রেশার মাপার যন্ত্রর... কি যেন নাম... ঐ হাতে বেঁধে দেয়... ফ্যাচ ফ্যাচ করে। ব্যাগের মধ্যেও থাকে...’।
    ‘ব্যাগের ভিতর কি ফ্যাচ ফ্যাচ থাকে জানি না। আপনি বরং দোকান ঘুরে দেখুন, কিছু পেলে জানান’, কিছুটা বিরক্তি নিয়ে লোকটি অন্য কাস্টমারদের দিকে এগিয়ে গেল।

    দোকানদারের কোন দোষ নেই, বরং উত্তরায়ী মেয়ে বলে কিছুটা এডভান্টেজ পেয়েছে। ও যতক্ষণ ধরে দোকানদারের সামনে ফ্যাচ ফ্যাচ, চ্যাঁর চ্যাঁর, ফড় ফড় শব্দ গুলো ব্যাবহার করে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসটির বিবরণ দিয়ে চলেছে, ওর জায়গায় কোন ছেলে থাকলে দোকানদার একটা চাঁটি না কষলেও কড়া ভাষায় দু চারটে গালমন্দও যে করতো না, সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। উত্তরায়ীর ভাগ্যে জুটেছে শুধু মাত্র দোকানদারের একটু বিরক্তি আর অন্য কাস্টমারদের তরফ থেকে আসা ডোন্ট কেয়ার করবার মতন টেরা চোখ ও মুচকি হাসি।

    দোকানটা ঘুরে দেখার মতন বড় না। ছোট একটা ব্যাগের দোকান। স্কুল ব্যাগ, মেয়েদের পার্স, ভেনেটি ব্যাগ, ওয়ালেট বিক্রি হয়, সারাই করা হয়। এক কোনায় একটা বাচ্চা ছেলে ঘটর ঘটর মেশিন চালিয়ে ব্যাগ সেলাই করছে। দোকানের সামনে পেরেক দিয়ে আটকে কয়েকটা কাপড়ের ঝোলা ব্যাগ টাঙ্গানো। হাল ফ্যাশনের ব্যাগ, খুব চলছে। দশ বারো বছর আগে এই ধরণের ঝোলা ব্যাগ কারু কাঁধে দেখা গেলে, তাকে নির্দ্বিধায়ে কবি উপাধিতে ভূষিত করা হত। অনেক অন লাইন শপিং ওয়েব সাইটে এই ধরণের ব্যাগ বিক্রি হয়, দাম প্রায় সাত আটশো। তবে এই সব ছোট ছোট দোকানে বা গড়িয়াহাটের ফুটপাথে একটু দরদাম করলে একশোর মধ্যে পাওয়া যায়। মানের অবশ্য একটু ফরাক থাকে, তবে দামে সব পুষিয়ে যায়।

    হাজার চেষ্টা করেও উত্তরায়ী কিছুতেই ঐ চ্যাঁর চ্যাঁর করে খোলা জিনিসটার নাম মনে করতে পারলো না। তবে ওটা এই দোকানে পাওয়া যায়, কিছুদিন আগে ওর এক বন্ধু এই দোকান থেকে ওটা নিজের ব্যাগের উপর সেলাই করে নিয়ে গেছে। উত্তরায়ী অবশ্য নিজের ব্যাগে ওটা লাগাতে চায় না, পর্দায় লাগাবে। কয়েকটা ব্যাগ দেখল, কিন্তু ঐ চ্যাঁর চ্যাঁর শব্দ করে খোলা জিনিসটা খুঁজে পেল না। কিছুটা ইতস্তত করে আবার বলল, ‘ও দাদা, ওটা বিভিন্ন রঙের হয়, তবে সাদা আর কালো বেশী পাওয়া যায়। পর্দার উপর লাগাবো। মানে হাওয়া দিলে পর্দা উড়ে যায় তো, তাই পর্দাটা পেঁচিয়ে ওটা দিয়ে আটকে রাখলে পর্দা উড়তে পারবে না...।’
    ‘পাশেই তো পর্দার দোকান আছে। ওখানে গিয়ে খোঁজ করুন’, উত্তরায়ীয়ের দিকে না তাকিয়েই মাছি তাড়ানোর মতন হাওয়াতে হাত চালিয়ে দোকানদার জবাব দেয়।
    -‘হতচ্ছাড়া, আজ দুটো খোদ্দের দোকানে এসেছে তাই দেমাগ বেড়েছে। অন্য সময় দোকানে বসে বাসি খবরের কাগজ পড়া ছাড়া আর কোন কাজ থাকে না’- কথা গুলো মনের মধ্যে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল উত্তরায়ী। পাশে মাসিমা কাকিমা টাইপের কয়েকজন মহিলা মুখ টিপে হাসছে। আড় চোখে একবার তাদের মেপে নিলো। দোকানদার তাদের সামনে কিছু ব্যাগ সাজিয়ে রেখেছেন, দেখাচ্ছেন। ওগুলোকে মেয়েদের মানি ব্যাগ বলা হলেও যে যে বৈশিষ্ট্যের কারণে কোন বস্তুকে ব্যাগ বলা হয় তার কোনটাই ওর ভিতর বর্তমান নেই। রং বেরঙ্গের ব্যাগ। জরি, চুমকি, কাঁচ, পুঁথি বসানো। হিন্দি সিরিয়ালে বড় বড় কর্পোরেটদের চড়া মেক-আপ লাগিয়ে ঘুমাতে যাওয়া বা বাথরুম থেকে বার হওয়া বউরা শাড়ির সাথে ম্যাচ করে যে ধরেনের ব্যাগ নিয়ে কিটি পার্টি করতে যান, ঠিক ঐ ধরণের দেখতে। ব্যাগ গুলো এমন ভাবে তৈরি, লম্বা চওড়া দেখতে হলেও মোবাইল তো দূর সামান্য খুচরো পয়সা রাখলেও ঐ ব্যাগ ঠিক মতন আটকানো যায় না।

    দোকান থেকে বেরিয়ে ফুটপাথে এসে দাঁড়াল উত্তরায়ী। ভিড়ে ঠাসা। চৈত্র সেল, হুজুগে বাঙালির আনন্দধারা জনস্রোতের রূপ নিয়েছে। উইন্ডো শপিং করে হাঁপিয়ে ওঠা জনগণ চৈত্র সেলে জলহস্তী বিক্রি হলে, তাও কিনে নেবে। এর ওর ধাক্কা, কনুইয়ের গুঁতো, ঘামের গন্ধ ও পা’পাড়া বাঁচিয়ে এক কোনায় গিয়ে ফোন লাগাল উত্তরায়ী-
    ‘হ্যাঁ, বল রাই...’
    -‘আচ্ছা অর্পিতা, তোর মনে আছে, ইউনিয়ানে ঐ ছেলেটা একটা ঘড়ি পরে...’
    ‘দাড়া দাড়া। কোন ইউনিয়ান? কোন ছেলে?’
    -‘আরে কলেজের ইউনিয়ানে, ঐ ছেলেটা... খুব পার্টি করত...’।
    ‘রাই, আট বছর আগে কলেজ ছেড়েছি। তুই তো কখনো ইউনিয়ানে যেতিস না! কলেজে সব সময় পার্টি পলিটিস্ক বাঁচিয়ে চলতিস... তাছাড়া এই চৈত্র মাসে হঠাৎ করে তোর কোন ছেলের কথা মনে পড়ল’!- কিছুটা খোঁচা মারা শুরে বলল অর্পিতা।
    -‘ধ্যাত্তারিকা... ছেলে না, ঘড়ি। ঐ ছেলেটা একটা ঘড়ি পরেছিল সেদিন। ঘড়িটা খুলতে গেলে ফ্যাচ ফ্যাচ শব্দ হত...’
    ‘কি!! ফ্যাচ ফ্যাচ করা ঘড়ি...!!’ – ওপার থেকে অর্পিতার অট্টহাসি।
    এক রাশ বিরক্তি নিয়ে উত্তরায়ী বলল, ‘তোর হাসি শেষ হলে একটু বলবি, ঐ ঘড়ির বেল্ট আটকানোর ঐ ব্যাপারটাকে কি বলে...’।
    কোন মতে হাসি থামিয়ে অর্পিতা বলল, ‘তোরা ইতিহাসের স্টুডেন্টরা বড় অদ্ভুত। সেই কোন যুগে মরে ভূত হয়ে যাওয়া লোকদের জন্ম-মৃত্যু তারিখ, নাম, নামের আগে জুনিয়ার না সিনিয়ার, নামের পরে কতো রকমের নাম্বার... সব করোটির মধ্যে থাকে, কিন্তু সব সময় চোখের সামনে থাকা জিনিসপত্রের নাম আর মনে থাকে না... জ্যান্ত লোকের নাম ধাম ভুলে যাস এমনকি জ্যান্ত মানুষের জন্মের তারিখও ভুলে যাস...’।
    -‘দেখ, জ্ঞান না মেরে...’ বলতে গিয়েও থেমে গেলো উত্তরায়ী। ওহ, আজ সাত তারিখ, গত পরশু অর্পিতার জন্ম দিন ছিল না...!’
    ‘ইয়ে, অর্পিতা, একদম মনে ছিল না রে, হ্যাপি বিলেটেড...’
    ‘থাক, তোকে বারো বছর ধরে চিনি। পরশু দিন যদি আমকে উইশ করতিস তালে নির্ঘাত শক পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতাম। আমি এখন শেল’এ যাব। তুই এক কাজ কর, কলেজে চলে যা। ছেলেটা খুব পার্টি করতো, তার মানে ও এখনও কলেজে পড়ছে। সোজা ইউনিয়ানে চলে যা, ঘড়ি, বেল্ট, ফ্যাচ ফ্যাচ, ছেলে যা প্রয়োজন পেয়ে যাবি...’। ফিক করে হেসে রাইয়ের গালি খাবার আগেই ফোন কেটে দিল অর্পিতা।

    ফোন রেখে লোকজন দেখতে লাগলো উত্তরায়ী। চৈত্র সন্ধ্যার ব্যস্ত আবহাওয়া। লোকজন কিনতে ব্যস্ত, বিক্রি করতে ব্যস্ত, খদ্দের হাঁকতে ব্যস্ত, ধাক্কা এড়াতে ব্যস্ত, ডিসকাউন্টের উপর ডিসকাউন্ট নিয়ে দরদাম করতে ব্যস্ত। আবার ফোন বার করে দিদির নাম্বার বার করলো। ডায়েল করতে গিয়েও থেমে গেলো উত্তরায়ী। সকাল বেলায় ইন্টেলেকচুয়ালটির লেভেল নিয়ে দিদির সাথে একটা তর্ক হয়েছে। এখন ঐ ফ্যাচ ফ্যাচ আওয়াজ করা জিনিসটার নাম জানতে চাইলে পুরো বৈশাখটা ‘ফ্যাচ ফ্যাচ’ আওয়াজ শুনে চলতে হবে। খালি হাতে বাড়ি ফেরাও যাবে না। মা’র হাজার প্রশ্ন সেই সঙ্গে দিদি। এগ্রিমেন্ট ছিল উত্তরায়ীর দায়িত্ব ওটা কেনার আর উত্তরায়ীয়ের দিদির দায়িত্ব সেলাই।
    মেমোরি রিফ্রেশ করে আবারও চেষ্টা করল উত্তরায়ী। কি বলে ওটাকে! একদিকটা তুলোর মতন, অন্য দিকটা কাঁটা কাঁটা টাইপের। দুটো একসাথে লাগালে আটকে যায়, খোলবার সময় চ্যাঁর চ্যাঁর করে শব্দ হয়। সেলাই করে লাগাতে হয়... ঘড়ির বেল্টে থাকে, ব্যাগে থাকে, পর্দায় থাকে... কি বলে!

    হঠাৎ প্যাঁক প্যাঁক, প্যাঁক প্যাঁক... আপনা আপনি কান খাড়া হয়ে গেলো। রাস্তার ওপাড়ে এক ভদ্রমহিলার হাত ধরে একটা বাচ্চা যাচ্ছে। ঐ বাচ্চাটার জুতো দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে প্যাঁক প্যাঁক।
    ‘আরে, ঐ জুতোর মধ্যেও তো ওটা থাকে’।
    ছুটে যেতে চাইলেও ভিড়ের বাঁধে আটকে গেলো উত্তরায়ী। কোনমতে এর ওর গুঁতো খেতে খেতে তাড়াতাড়ি বাচ্চাটার সামনে গিয়ে বলল, ‘ম্যাডাম, পাঁচ মিনিটের জন্য আপনার ছেলেটিকে ধার দেবেন প্লিজ, ঐ দোকানদারকে দেখাব’?
    মহিলাটি সাংঘাতিক চমকে গিয়ে থতমত খেয়ে দাড়িয়ে পড়ল। ম্যাডাম বলে পারমিশন নিয়ে এ কেমন ধরণের ছেলেধরা! জনগণ ভরা রাস্তায় কি বলা উচিৎ বুঝতে না পেরে ফ্যাল ফ্যাল করে উত্তরায়ীয়ের দিকে চে রইল। ওদিকে উত্তরায়ী বুঝতে পেরেছে, অতিরিক্ত এক্সসাইটমেন্টে ও খুব বোকার মতন একটা কথা বলে ফেলেছে। সামলে নিয়ে বলল, ‘কিছু মনে করবেন না। আপনার ছেলের জুতোটা যে জিনিসটা দিয়ে আটকানো হয়, জুতোটা হালকা বা টেনে টাইট করা হয়, ঐ একপাশে খশখশে ওপাশে তুলোর মতন... আমি নামটা ঠিক মনে করতে পারছিনা। আমার ঐ রকম জিনিস চাই... ঐ দোকানে পাওয়া যায়... কিন্তু দোকানদারকে বোঝাতে পারছিনা। এই জুতোটা দেখালে হয়তো...’।

    মহিলাটি সত্যিই ভদ্রমহিলা, আর কোন কথা না বাড়িয়ে উত্তরায়ীয়ের সাথে রাস্তা পেরিয়ে দোকানে গেলো।
    ‘দাদা, শুনুন’।
    ‘দিদি, আমার কাছে আপনার ফ্যাচ ফ্যাচ নেই, আপনি...’ বিরক্তিতে থাকা দোকানদার এখন ক্ষেপে আছে।
    ‘আহা, দেখুন না... এই জুতোটার উপর এই জিনিসটা... দেখুন...’
    ‘ও... ভেলক্রোওওও...’। একগাল হাসি ঝোলকে উঠল দোকানদারের মুখে, সেই সঙ্গে উত্তরায়ীরও। ‘এই ছোটকা, দিদিকে ভেলক্র কেটে দে...’। দিদি ওখানে যান, আমার দোকানে ভেলক্র অনেক রঙের আছে... কতো ইঞ্চি, কটা চাই... ছোটকাকে বলুন কেটে দেবে...’।
  • কৃশানু | 213.147.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ২১:৫৬601000
  • গল্পটা কি শেষ হয়ে গেল? যদি না হয়, তাহলে বলব দিব্যি লাছে পড়তে। আর শেষ হয়ে গেলে যেন ঠিক জমল না।
  • ওপু | 24.99.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০০601001
  • ঠিক জমে নি, শেষ। :(
  • কৃশানু | 213.147.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০৭601002
  • লেখার ভঙ্গিটা কিন্তু ভালো লেগেছে। স্বচ্ছ হিউমর। চালিয়ে যান।
    আমার মত সামান্য মানুষের কথায় নিরুত্সাহ হবেননা।
  • Ekak | 125.118.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০৪601003
  • ইটা দিয়ে দারুন একটা ৩ মিনিটের ফিল্ম নাবতে পারে । সব উপাদান আছে । ভেবে দেখুন ।
  • Lama | 126.203.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৩১601004
  • দিব্য
  • nina | 79.14.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:০৯601005
  • ঃ-)) বেশ তো!
  • ঐশিক | 132.18.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১০:৪৮601006
  • ভালই হয়েছে তো, বেশ লাগলো পড়তে, কিন্তু কেমন যেন হঠাত কইরা শ্যাষ হয়ে গেল গিয়া
  • ওপু | 24.96.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১১:২৭601007
  • আর একটু বড় হলে ভালো হত। ফিনিসিং'এ গণ্ডগোল।
    কৃশানু দা (!) সমালোচনা সুস্বাগত। নইলে ভুল ত্রুটি বুঝবো ক্যামনে !!! অন লাইন ফ্রী টিউশান মন্দ না। (ঝাড়/প্যাঁক/টিটকিরি ব্যাতিক্রম)... :)

    একক দা, অ্যাড ফিল্ম লিখে ফেললুম না'কি !! :O
  • kc | 204.126.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১১:২৯600992
  • আমার বেশ লাগল। ওপু আরও লিখুন।
  • !কুমু | 132.176.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৫:৫৯600993
  • ওপু,লেখার স্টাইল,হিউমার-বিশেষতঃ প্রথম দিকের খুব সুন্দর।শেষটা আমার কাছে বড় সংক্ষিপ্ত মনে হল,ভেলক্রো নামটি মনে পড়ার পরেও আরেকটু সংলাপ থাকলে বা আর কোন চমক থাকলে(বাচ্চাটি/মার কোন সংলাপ)থাকলে কেমন হত?
  • ওপু | 24.99.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:১৮600994
  • থ্যাংকইউ থ্যাংকইউ...
    কুমু দি, অনেক ধন্যবাদ। ফাক ফোঁকর গুলি এ ভাবে ধরিয়ে দিলে খুব ভালো হয়। পরবর্তী কালে মাথায় রাখবো।
  • siki | 132.177.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:২৫600995
  • ইন ফ্যাক্ট, ওটাকে ভেলক্রো বলে, সেটা আমি এই লেখাটা পড়ে জানলাম। কখনও দোকানে কিনতে যেতে হয় নি, মানে এ যে দোকানে আলাদা কিনতে পাওয়া যায়, তা-ও জানতাম না। বাড়িতে রেফার করি "ঐ চ্যাঁক চ্যাঁক করে আটকানো জুতো" বলে।
  • de | 190.149.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:২৭600996
  • এই ভাবে লিখতে লিখতেই হাত পেকে যাবে -- আরো লিখুন!
  • kumu | 132.176.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:২৯600997
  • ওপু,যদি কিছু মনে না করেন,উদা মাত্র

    ও।।। ভেলক্রোওওও।।।’। একগাল হাসি ঝলকে উঠল দোকানদারের মুখে, সেই সঙ্গে উত্তরায়ীরও। ‘এই ছোটকা, দিদিকে ভেলক্র কেটে দে।।।’। দিদি ওখানে যান, আমার দোকানে ভেলক্র অনেক রঙের আছে।।। কতো ইঞ্চি, কটা চাই।।। ছোটকাকে বলুন কেটে দেবে।।।

    বেশ কয়েকটা পর্দা,মাপ মত ভেলক্রো কাটিয়ে বেরোতে সময় লাগল-

    আরে-

    সেই বাচ্চাটা গোল্লু গোল্লু চোখ করে দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে,পাশে তার মায়ের মুখে স্পষ্টতঃ বিরক্তির ছায়া।
    আরে,আপনারা -মানে -ইয়ে-এখনো,

    দেখুন না,আমার ছেলে কিছুতেই নড়বে না,বলছে আন্টির যদি আবার আমার জুতোটা দেখাতে হয়।টুংকাই,আন্টিকে বাই বলে দাও আর চলো এইবারে,কত দেরী হয়ে গেল,ঈস-

    আন্টি,তোমার মনে থাকবে তো নামটা?
  • ওপু | 24.99.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৪৩600998
  • কুমু দি, নেকি ওর পুছ পুছ !! কিছু মনে করার একদম কিছু নেই :)) বিভিন্ন আইডিয়া পেলে বিভিন্ন ভাবে ভাবার দরজা খোলে। আপনার লেখা পড়ি, পড়ে পড়ে একটু আকটু লেখার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ।

    সিকি দা, :)
  • Umesh | 188.108.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৫০600999
  • আমি তো ওপু কে ব্রতীন ভেবেছিলাম, একটা সময় ব্রতীন, অপু নামে লিখতো,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন