এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিমালয়ের পথে পথে

    VB
    অন্যান্য | ০৯ আগস্ট ২০১২ | ৮৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:১৫571563
  • কেদার
    ----------------

    কেদার ৬ টা। ভারতে ৫। সেটাই পঞ্চ কেদার রুট। আর নেপালে ১।
    কেদার নাথ
    তুঙ্গনাথ
    রুদ্রনাথ
    কল্পনাথ
    মধ্যমহেশ্বর (মদমহেশ্বর)

    আর পশুপতিনাথ।
    পঞ্চকেদার রুট মোটামুটি এমনি হয়,
    তুঙ্গনাথ - রুদ্রনাথ - কল্পনাথ - মদমহেশ্বর - কেদার
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:১৫571585
  • বদ্রী সম্পুর্ন উল্টো দিকে। ঐ দিকে পঞ্চ বদ্রী আছে, তার মধ্যে বদ্রীনাথ ই ফেমাস সবচেয়ে। এগুলো বিষ্ণুর এরিয়া। বদ্রীনাথ থেকে তিব্বত সীমান্ত কাছে।
    বাই রোড বদ্রী তো কেদার ১৫০ কিমি। পানপাতিয়ার গ্লেসিয়ারের সেই বিখ্যাত রুট ধরে হাঁটলে ৮৬ কিমি।
    তুঙ্গনাথ পাহাড়টার নাম। সর্বোচ্চ জায়গা হলো চন্দ্রশিলা। ছোট সামিট।
    রুদ্রনাথ পাহাড়ের নাম। সর্বোচ্চ জায়গা নাওলা পাস।
  • VB for Blank | 161.14.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:১৫571574
  • name: Blank mail: country:

    IP Address : 69.93.243.112 (*) Date:09 Aug 2012 -- 01:30 AM

    কেদার ৬ টা। ভারতে ৫। সেটাই পঞ্চ কেদার রুট। আর নেপালে ১।
    কেদার নাথ
    তুঙ্গনাথ
    রুদ্রনাথ
    কল্পনাথ
    মধ্যমহেশ্বর (মদমহেশ্বর)

    আর পশুপতিনাথ।
    পঞ্চকেদার রুট মোটামুটি এমনি হয়,
    তুঙ্গনাথ - রুদ্রনাথ - কল্পনাথ - মদমহেশ্বর - কেদার
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:১৬571587
  • এর মধ্যে তুঙ্গনাথ থেকে রুদ্রনাথ যাওয়ার ডাইরেক্ট কোনো ট্রেক রুট আছে বলে জানিনা। চোপ্তায় নেমে গাড়ি তে মন্ডল গিয়ে সেখান থেকে রুদ্রনাথ হাঁটা শুরু হয়।
    রুদ্রনাথ থেকে বংশীনারায়ন হয়ে কল্পনাথ হাঁটার রাস্তা আছে। কল্পনাথ থেকে মদমহেশ্বর যাওয়া যায় নন্দীকুন্ড হয়ে। এই রুট টা বেশ চাপের। একটা পাশ কে পাস করতে হয়।
    মদমহেশ্বর থেকে কেদার যাওয়ার রুট আছে, ওটা পানপাতিয়া রুটের আধখানা। মহাপন্থ কল আর বৈশালি কল ধরে যেতে হয়। দু খানা কল পেরোনো সোজা কথা নয়। এই রুটে হাঁটার জন্য বেশ ইসে আর ইসে আর অভিজ্ঞতা দরকার।
    আলাদা আলাদা ভাবে দেখলে কল্পনাথ যাওয়া সবচেয়ে সোজা। গাড়ি চলে যায়। রুদ্রনাথ দুতিনদিনের হাঁটা। কিন্তু ঘোর জঙ্গল আর খাড়া পাহাড় দিয়ে। এটা বেশ শক্ত রুট। জলের খুব অভাব। কথায় আছে, রুদ্রনাথ কা চড়াই, জার্মান কা লড়াই।
    তারপর মদ মহেশ্বর। ৪ কিমি মতন রাস্তা খুব শক্ত।
    কেদার হাঁটার জন্য যাওয়া আসা মিলিয়ে ২৮ কিমি। রাস্তা সহজ। চাইলে ঘোড়ায় চড়া যায়। তুঙ্গনাথ খাড়াই হলেও ৪ কিমি মাত্র। ঘোড়াও পাওয়া যায়।।
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:২০571588
  • যারা পাশ আর কলের তফাৎ জানেন না, তাদের জন্য বলি -
    জিনিস দুটো মুলত এক। পাশ/কল মানে হলো এমন একটা জায়গা যেটা দুটো পাহাড় বা রেঞ্জ কে কানেক্ট করছে।
    পাশ দিয়ে দল বল, গরু ঘোড়া নিয়ে পার করতে পারবেন আপনি। কিন্তু কল শুধু মাত্র মানুষের জন্য। কেত দেখিয়ে পার করতে হবে, সহজে হবে না।
    যদিও সময়ের সাথে সাথে প্রাচীন বহু পাশ এখন কল হয়ে গেছে, অনেক কল এখন পাশ হয়ে গেছে।
    এভারেস্ট অভিযান নিয়ে কাগজ পড়লে মাঝে মাঝেই দেখবেন নর্থ কল, সাউথ কলের কথা।
  • একক | 24.99.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:২২571589
  • লুরু তে একটা উইকেন্ড ট্রেক-ক্লাইম্বিং টিম তৈরির আহবান জানাচ্ছি । এসব হাতে পায়ে করার জিনিষ নিয়ে বেশি লিখতে ভাল্লাগে না ।
  • siki | 96.98.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:২৩571590
  • ওহো! শুরু হয়ে গেছে। চলুক!
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:৩০571592
  • পঞ্চকেদার এক সাথে ঘুরতে গেলে কিছুদিনের জন্য চাকরি ছারতে হবে এ আমি বলে দিলুম।
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:৩০571591
  • জল নিয়ে প্রশ্ন ছিল। রুদ্রনাথের পথে গাইড মাস্ট। রাস্তা তাও যাওয়া যায় নিজে, যদিও রিস্ক না নেওয়াই ভাল, কিন্তু জল মিলবে না। গাইড ই জানে কোথায় কোন নালা থেকে জল খেতে হবে।
    কোথায় একটা লুকনো ঝর্না আছে এসব।
    আর ৩/৪ কিমি অন্তত ১ লিটার জলে হাঁটার জন্য মেন্টাল প্রিপারেশান নিয়ে নিতে হবে। তবে সে ছোট ড্রেনের মতন নালা হোক বা বিশাল ঝর্না। জল খুব ভাল আর ঠান্ডা। গলা থেকে পেট অব্দি জুড়িয়ে যায়।
    ক্লোরিন রাখা ভাল সাথে। যদিও আমরা ক্লোরিন ছারাই খেয়েছিলাম, কারন ক্লোরিনের বোতল ফেটে আমার জামাখানি ব্লীচ হয়ে গেছিল।
    এছারা গাইড এনে দিয়েছিল আলুবোখরা। খুব তেষ্টার চোষার জন্য।
  • VB | 161.14.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৫571565
  • ছোটো ছোটো লজেন্স আর তরমুজের ফালি ও চমৎকার! তরমুজ ক্যারি করা একটু কঠিন।
    আহ, এই রুটটা খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে, রুদ্রনাথের পথ। চেষ্টা নিতে হবে।
    পথের প্রান্তে নয়, পথের দুধারেই আসল তীর্থ। ঃ-)
  • siki | 96.98.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৫571564
  • মোটামুটি কদিন লাগে, সমস্ত বাফার ধরে? কুড়ি দিন? কি তারও বেশি?

    একবারে শুরু থেকে বল। পারলে ম্যাপ দিয়ে দে। দিল্লি থেকে শুরু কর।
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৮571566
  • তাহলে আমি পঞ্চকেদারের নর্মাল রুট দিচ্ছি। চোখ রাখো। আমার মতন করে দেবো এটা।
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০৩:০৪571567
  • দিন ১। দিল্লী থেকে হরদ্বয়ার।
    দিন ২। সেখান থেকে গৌরীকুন্ড - ভোরে বেড়োতে হবে।
    দিন ৩। কেদার নাথ। সেই রাতে কেদারে থাকা। (হাঁটা/ঘোড়া)
    দিন ৪। ভোরে বেড়িয়ে বাসুকিতাল ঘুরে দুক্কুরে কেদার। (হাঁটা)
    দিন ৫। কেদার থেকে গৌরিকুন্ড। গাড়ি নিয়ে উখীমঠ। (এন্থু থাকলে ৪ এর সাথে মার্জিত হবে এটা)
    দিন ৬। পরের দিন গাড়ি তে চোপ্তা, সেখান থেকে তুঙ্গনাথ হাঁটা। সেদিন তুঙ্গনাথে থাকা। চন্দ্রশিলায় সানরাইজ পরের দিন আর আমার মতন কেসে সানসেট দেখে সেটাকেই সানরাইজ বলে চালাতে পারেন।
    দিন ৭। ব্যাক টু চোপ্তা। গাড়ি নিয়ে উনিয়ানা। সেখান থেকে ৩/৪ কিমি হেঁটে রাঁশি গ্রাম।
    দিন ৮। রাঁশি থেকে মদ মদমেশ্বর - (হাঁটা/ঘোড়া পাওয়াও যেতে পারে)।
    দিন ৯। ওপরের টা একদিনে না হলে রাঁশি থেকে হেঁটে বানতলি যাওয়া। আগের দিনে। বানতলি থেকে মদমহেশ্বর ৯থ দিনে।
    দিন ১০। মদমহেশ্বর থেকে ভোরে বেড়িয়ে বুড়ো মদমহেশ্বর দেখে বানতলি ফেরা।
    দিন ১১। সোজা উনিয়ানা, রাঁশি তে স্টে করার দরকার নেই।
    দিন ১২। গাড়ি নিয়ে সোজা মন্ডল। ভোরে বেড়োতে হবে। যাতে মন্ডল থেকে সেদিন হাঁটা শুরু করা যায়। গাইড মিলবে মন্ডলেই। কিন্তু থাকার জায়গা নেই।
    মন্ডল থেকে হেঁটে অনুসুয়া মন্দির।
    দিন ১৩। অত্রি মুনির গুহা দেখে (এটা একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা) সেদিন ই হংস বুগিয়াল পৌছতে হবে। ভাল কঠিন রাস্তা। দরকার হলে আগে বাফার নিয়ে বডি ফিট করে নেবে।
    দিন ১৪। নাওলা পাশ হয়ে রুদ্রনাথ। মন্দির ঘুরে পানার বুগিয়ালে নেমে এসে রাত কাটাতে পারো অথবা মন্দিরের পাশে অল্প কয়েকটা ছোট ঘর মেলে থাকার।
    দিন ১৫। (নীচে নেমে গাড়ি ধরে কল্পনাথ অথবা চলো হাঁটি)- সেদিন হেঁটে দুমক। এই রাস্তা এখন স্বর্গ লাগবে, সমতলে হাঁটছি মনে হবে। থাকার জায়গা আছে দুমকে।
    দিন ১৬। হাঁটতে হাঁটতে হেলং হয়ে কল্পনাথ। সেদিন রাতে থাকো।
    দিন ১৭। কল্পনাথ (দেবগ্রাম) থেকে বেড়িয়ে হেলং অব্দি হাঁটা। ব্যাস। এবারে গাড়ি ধরো, ধরে যাও যোশীমঠ।
    ইচ্ছে মতন বদ্রী ঘোরো বা আউলি তে গিয়ে ল্যাদ খাও (যদি বেঁচে থাকো)
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০৩:০৮571568
  • এবারে বাফার।
    কেদার আর তুঙ্গনাথ একবারে ঘুরে নাও। তারপর উখীমঠ বা চোপ্তায় বিশ্রাম নাও। অন্তত ১ দিন।
    মদমহেশ্বরের পরে নীচে নেমে, অথবা মদমহেশ্বরেই, বা বানতলিতে রেস্ট নাও। অন্তত দুদিন। নিজের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করো। অকারন জোর করার কোনো দরকার নেই। হিমালয় কে জয় করা যায় না।
    মদমহেশ্বরের সবচেয়ে চড়াই যে রাস্তাটা ওর চেয়েও কঠিন চড়াই আসবে রুদ্রনাথে আর সেটা পুরো রুট ধরেই।
    তাই রুদ্রনাথে হাঁটার আগে রেস্ট নাও ভালো করে, পুরো দম ফিরে আসুক।
    কল্পেশ্বরের পর যোশীমঠ হয়ে আউলি গিয়ে দুদিন রেস্ট নাও। তারপর হরিদ্বারে এসো (মানে আরো দেড় দিন)।
  • pipi | 139.74.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০৪:০৪571569
  • আমরা কেদার উঠেছিলাম খচ্চরের পিঠে। নিজেদের পিঠ খুলে হাতে চলে এসেছিল! ফেরার পথে কোনো রিস্ক না নিয়ে তাই হেঁটেই নেমেছিলাম। তাতেও রাত্রে যন্ত্রণার চোটে জ্বর এসে গিয়েছিল (আমার)। গৌরীকুণ্ডের ঐ গরম জলে স্নান করে কিন্তু দারুণ উপকার পেয়েছিলাম। তাতেও পেন কিলার খেতে হয়েছিল। মা-বাবা অবশ্য ঐ জলে ঝপাং করে চান সেরে ব্যথাকে ভতাং করে ফেলেছিল!
  • Ishan | 60.82.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১০:২১571570
  • আমি বদ্রী গিয়েছিলাম বাসে চড়ে। কি একটা কুন্ড আছে, তার জল যেমন গরম তেমনি নোংরা। রাতে একটা গুমটি মতো ঘরে ছজন মিলে মেঝেতে বিছানা পেতে শুয়েছিলাম। বাবা, মা, আমি, তিনটে গুঁপো লোক -- এই অর্ডারে। মা-মা বলে ধরতে গিয়ে একটা লোকের গোঁপে হাত ঘষে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি আজও অমলিন।

    ফেরার রাস্তায়, যোশিমঠ ঢোকার ঠিক আগে প্রকৃতির ডাক এল। কিন্তু বাথরুমে যাওয়া গেলনা,। আর ওই ঠান্ডায় খোলা জায়গায়? ওরে বাবা। তার উপরে জলও নাকি বিরল। দুপুরে তাই কিছু খেলাম না। কৌশানি পর্যন্ত চেপে বসে। কৌশানি ঢোকার পর, বাস স্টপ থেকে গান্ধী আশ্রম পর্যন্ত সে কি দৌড়। সে দৌড়ের স্মৃতি কোনোদিন ভুলবনা।

    আর হ্যাঁ, দু-একটা পাহাড়-টাহাড়ও দেখেছিলাম বটে। সে সবাই দেখেছেন। নতুন আর কি বলব।
  • ঐশিক | 213.2.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১০:২৪571571
  • হায়, ছুটি কই? চাকরি ছেড়ে ধরার আগে যেতে হবে।
  • Prongs | 131.24.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১০:২৮571572
  • কেদারের রাস্তা বড় সুন্দর - মন্দাকিনীকে পাশে রেখে পাহাড় টপকে টপকে যাওয়া। সবুজ। আর গোমুখের রাস্তার দুপাশ রুক্ষ - অন্যরকম সুন্দর। ওই রাস্তাগুলোর জন্যেই বারবার যেতে ইচ্ছে করে।

    মেয়েটা একটু হাঁটতে শিখলেই আবার শুরু করে দেবো। সামনের বছর তুঙ্গনাথ-দেওরিয়াতাল প্ল্যান করছি।
  • Ishan | 60.82.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১০:৩২571573
  • তবে পাহাড় বটে অল্পস। তেমন উঁচুও না, কচি কচি মেয়েরাও ট্রেনে চড়ে উঠতে পারে। তেমনি সুন্দর। আর আছে কেবল কার। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যেতে গেলে এইসব পাশ, কল কিছু লাগবেনা। স্রেফ কেবল কারে চড়ে বসলেই হল। শুধু দুষ্টু লোকেদের থেকে সাবধান। তারা এমনকি কেবল কারের মাথায়ও চড়ে বসে দুষ্টুমি করে।

    সে দুষ্টু লোক কোথায় নেই। তাতে অবশ্য দেখা আটকায়না। আমি তো হাঁ করে দেখছিলাম। লোকে বলেছিল, শর্মিলা ঠাকুরকে বিকিনি পরে দেখা যাবে। কোত্থাও দেখলাম না। তবে ওই একটু ফাঁকতালে আল্পস দেখা হয়ে গেল। জীবনের ধন কিছুই না যায় ফেলা।

    হিমালয় নিয়ে কেন অ্যান ইভনিং ইন কালিম্পং বানয়নি কেন কে জানে। তাহলে টিভিতেই দেখা হয়ে যেত। রুদ্ধশ্বাসে।
  • Prongs | 131.24.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১০:৩৬571575
  • ওসব পাস-টাসও দিব্যি আছে, প্রচুর হাফ-পাগলা আর ফুল-পাগলা ওখানেও ট্রেক করে।
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১১:০২571576
  • আল্পসে কিছু পাস বা কল আছে বটে, কিন্তু সেগুলো ঐ ইয়ে।
    মানে আল্পসের ও পাস, আরশোলার ও ডানা ইত্যাদি ঃ)

    হিমালয়ের সাথে টক্কর দেওয়ার মতন একটাই পাহাড় হ্যাস, কোনোদিন যেতে পারবো বলে মনে হয় না, কারাকোরাম।
  • Blank | 69.93.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১১:০৬571577
  • আল্পসের সবচেয়ে বড় সুবিধে হলো ঐদিকে ক্রিভাস বড় কম।
  • r2h | 15.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১১:১২571578
  • পাচারুরাম পাচাকামাক বিরাকোচা কহিনাপাক চুরাশা'ঙ্কুই
    কারাকোরাম শুনে মনে পড়ল
  • siki | 12.5.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১৫:৩০571579
  • এই যে ... হিমালয় পেরিয়ে কারাকোরাম জয় করে এলাম। লাদাখ গেলেই তো কারাকোরাম যাওয়া হয়। নুব্রা ভ্যালি পুরোটাই তো কারাকোরামে পড়ে।

    ব্ল্যাংকি, এইবারে থাকার অপশন ইত্যাদি কিছু বল।
  • Blank | 180.153.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১৫:৪৯571580
  • ঐ জায়্গা নয়, কারাকোরাম, যেটা পাকিস্তানে। সে এক অসাধারন জায়গা। ফেসবুকে পাকিস্তানি ট্রেকারদের একটা গ্রুপ আছে।
    থাকার জায়গা -
    ১। হরিদ্বার - স্টেশনের পাশেই হোটেল শিবমুর্তি তে থাকি আমরা, পরিষ্কার হোটেল, ভাড়া ৮০০/১০০০ মতন।
    ২। গৌরিকুন্ডে থাকার জায়গা বুক করার দরকার নেই। অজস্র থাকার জায়গা বা মাথা গোঁজার জায়গা। ভালো হোটেল, চলেবল হোটেল কিস্যু নেই। একটা উল্লাট দামী আছে। বাকি সব ই ধর্মশালা টাইপ। ১০০ টাকা রুম নেবে। নিজের স্লিপিং ব্যগ নিয়েই ঘুমানো ভালো।
    ৩। কেদারে ভারত সেবাশ্রম বুক করে থাকা বেটার। বাকি গুলো পরিষ্কার নয় একদম।
    ৪। উখিমঠের কাছেই GMVN আছে, বুক করে থাকো। যদ্দুর জানি চোপ্তাতেও আছে। কয়েকটা মাঝারি টাইপ হোটেল ও আছে। থাকা যায়, নোংরা নয়।
    বাকি বলছি আবার।
  • pipi | 139.74.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১৯:১৫571581
  • অজ্জিত, তুমি কেদার কবে গিয়েছিলে? মানে, কেদারের রাস্তা সবুজ, সুন্দর বলছ! আমি গিয়েছিলাম তিন বছর আগে। তাতে দেখলাম রাস্তায় প্রচুর খোঁড়াখুঁড়ি, পাথর ফাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ড্যাম তৈরী করছে, চার দিকে শুধু ধূলো আর ধূলো, সুতোর মত মন্দাকিনী কে দেখে এত্ত খারাপ লাগল বলার নয়, সবুজ সব ধূলো ধূসরিত, হরিদ্বারের মত অতখানি না হলেও যথেষ্ট নোংরা গাঁ গঞ্জ, বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে তৃপ্তি হয় না। সব মিলিয়ে খুব দমে গিয়েছিলাম। তার কিছুদিন আগেই আল্পসের মাথা থেকে ঘুরে এসেছিলাম। সেই ঝাঁ চকচকে অপার্থিব সবুজ প্রকৃতির রং তখনো চোখে লেগেছিল। তার তুলনায় হিমালয় বড়ই করুন, বড়ই মলিন লেগেছিল। তবে খচ্চরের পিঠে চড়ে কেদারের যেটুকু রাস্তা ঐটুকু দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ও রাস্তায় তো মেনলি বরফ আর রূখা পাথর। কি অদ্ভুত অন্যরকম রূপ.... তবে সব আফশোস ঘুচে গিয়েছিল বদ্রী গিয়ে। কেদারের তুলনায় বদ্রীর রাস্তা অনেক পরিষ্কার, বদ্রী নিজেও অনেক পরিচ্ছন্ন আর সেই সূর্য ওঠা!!! উফ্হ সে তো কি দেখিলাম, কি দেখিলাম, সারা জীবণেও ভুলিব না টাইপ.....
    আবার কখনো গেলে আমি শুধু বদ্রীই যাব, ব্যালকনিতে বসে সারাদিন শুধু পাহাড় দেখব আর দেখব সূর্য্যিমামার সাথে সাথে তাদের বদলে যাওয়া রূপ!
  • Blank | 180.153.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১২ ১৯:২২571582
  • কেদারের চড়াই যখন শেষ হয় আর সামনে এসে যায় কেদার পিক টা, তখন হঠাৎ করে বড় সুন্দর লাগে চারদিক। অদ্ভুত ভালো সব কিছু।
    সবুজ, ঝলমলে সবুজের জন্য তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ থেকে শুরু করে রুপকুন্ডের দিকে বিভিন্ন বুগিয়ালে হাঁটতে হবে। সেগুলো গাড়িতে যাওয়া যায় না।
  • Prongs | 131.24.***.*** | ১০ আগস্ট ২০১২ ০৯:২৬571583
  • আমি বহু বছর আগে গেছিলাম, তখন ক্লাস টেনে পড়ি।
  • শ্যামল সোম | 113.249.***.*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৩৯571584
  • ১৯৭২ অগস্ট মাসে ২ তারিখে বেড়িয়ে পড়লাম পঞ্চ কেদারেকেদার পথে।
    সে স্মৃতি আজ ও অম্লান।
    মনে হয় আবার ফিরে গিয়ে দেখী।
  • 4z | 209.7.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৫571586
  • এই টইটা থেমে গেল কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন