এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৬৫৪০০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ২৯ জুন ২০২০ ১২:৪৮732303
  • সাদা পাতায় শব্দ ঠিক পাখির মতো নয়
    উড়ে এসে জুড়ে বসে মনে হ’লেও
    আদতে তা অঙ্কুরোদ্গম তুলনীয় ।

    প্রতি শব্দের বীজে পূর্বকথন ইতিহাস
    সুষম পরিবেশ যোগ
    কিছুটা শিকড় আঁকড়ে থাকে পৃথিবীতে –
    কেউ ফল দেয়, কেউ ফুল, কেউ ছায়া
    বেশিরভাগই সাধারণ আগাছা বা শস্য উৎপাদী
    ঋতুসাপেক্ষ সসাগরা জ্যামিতিতে।
  • ফরিদা | ৩০ জুন ২০২০ ১০:৪১732308
  • গান শুনতে শুনতেই
    অনেকটা রাত হয়ে যায়
    শিকড় নোঙর তোলে,
    নেশার টাকা চায় অস্থাবর প্রাণ –
    আলোর কিছুটা হৃতবাদ্য
    বাকিটুকু বাংলার গান।
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ৩০ জুন ২০২০ ১১:৩৬732310
  • একটা লোম-ওঠা বেড়াল আমাকে বিরক্ত করে, নীনা বলেছিল,
    পিৎজার শেষ টুকরোটা কামড়ে ও উঠে দাঁড়াল এবং
    কোনো এক ফেব্রুয়ারীর বিকেলে বাদামী উটের রোদে
    অর্ধেক ঢেকে চলে গেল অ্যাডিলেড স্ট্রীট ধরে।
    এখন আমি বসে থাকব এই অপরিচ্ছন্ন পিজারিয়ায়
    যতক্ষণ না বিকেল শেষ হয়;
    ছটার সময় সায়েন্স ফিকশন লাইব্রেরিটায় আগুন ধরে যাবে,
    আর পুড়ে-ছাই-দেয়ালের নীচে গভীর ঘুমিয়ে ফের
    জেগে উঠে দেখা যাবে গোলাপি ট্রেনেরা সব আলো জ্বেলে শহরে ফিরেছে।
    তখন পুরোনো ফার কোট খুলে নীনা আর আমি চলে যাব জলজ কেবিনে,
    যেখানে হিমবেড়ালের গায়ে নতুন গজানো পাতা,
    আয়নায় ঝুঁকে তার মাথার ভেতরদিকে বোঝা যাবে
    অনেক সবুজ সিনিস্টার ঘষারোদকুয়াশার রঙ।
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ৩০ জুন ২০২০ ১৪:২৯732311
  • প্রতিবেশী হিসেবে মাকড়সার মতো শান্ত এবং মুখচোরা পিটার হেনিগ্যান
    নিজের সংক্ষিপ্ত জীবনে মাঝে মাঝে কিয়োটো যাবার কথা ভেবেছিল।
    বে স্ট্রিট & ইয়র্কভিল আভেন্যুর অগোছালো অ্যাপার্টমেন্টে
    সে বেশিরভাগ সময় একাই থাকত
    ও তার বুকশেলফের তৃতীয় তাকে রাখা ছিল দ্য টেল অফ গেঞ্জি বইটা;
    বইটার ভাঁজে প্রত্যাশামতই কয়েকটুকরো আধপোড়া দ্যু মরিয়ের পাওয়া গেল,
    কেননা বিভিন্ন সপ্তাহে রাত তিনটের সময় তাকে দেখা গ্যাছে
    জানলার পাশে সিগারেট ধরিয়ে উদাসমুখে বসে থাকতে।
    পিটার হেনিগ্যানের কোনো পোষ্য ছিল না;
    তার বুকশেলফের উল্টোদিকে
    দেয়ালের গায়ে বেটি অ্যালেকজান্ডারের একটা ফুলসাইজ সুইমস্যুট পোষ্টার
    লাগানো ছিল।
    বছরদুয়েক আগে এক নির্জন শুক্রবারের বরফঝরা সন্ধ্যেয়
    পিটার হেনিগ্যান অজ্ঞাত আততায়ীর ছুরিতে খুন হয়
    এবং তার আছড়ে পড়া শরীরটা থেকে রক্ত ছিটকে এসে ভিজিয়ে দেয়
    বেটির নগ্ন ফ্লুরোসেন্ট ঊরুদুটো, খুন হবার আগের মুহূর্তে ঠিক যেখানটায় পিটার তার
    চোখের কিনার দিয়ে একটা কালো ছায়া দেখেছিল।
  • r2h | 49.37.***.*** | ৩০ জুন ২০২০ ১৮:২১732313
  • এই টইটা রিভাইভ হয়ে খুব ভালো হলো। বাকি পর্বগুলি খুঁজে পাই না।

    আমার খুব ইচ্ছে ছিল, গত পনেরো বছরের পর্বে পর্বে থেকে বেছে নিয়ে একটা বই হোক, এই টইগুচ্ছের কবিতা এমনি হারিয়ে গেলে সেটা খুব বড় অবিচার হবে। কঠিন কাজ, অসংখ্য কবিতা, সেখান থেকে বেছে নেওয়াও বিরাট বড় প্রয়াস, কিন্তু এটা হলে, এক সেরেস্তায় পনেরো বছরে কোন কবি কেমন পাল্টেছেন, যারা অল্প সময় বা অনিয়মিত তাঁদের সাক্ষরই বা কেমন, এইগুলো ধরা যেত। দেড় দশকে কবিদের স্বর, চাহিদা, চিন্তা কেমন বদলালো। এক্কেবারে কম সময়ও তো না।
    এখন তো ই-বইও হচ্ছে।

    যাগ্গে, লিখুন।
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৭732337
  • আমাদের অন্ধকারে আমরা শুয়ে থাকি;
    দূরে রোদ ওঠে, লক্ষ্য করি
    স্প্যানিশ শিল্পীরা হেঁটে যাচ্ছে ডকইয়ার্ডের দিকে,
    যেখানে নিলাম হয় নিরুদ্দেশ মেয়েদের ঘড়ি,
    পুরোনো আসবাব —
    দিয়েগো ভেলাসকোয়েজ সস্তায় কিনে আনে
    কুমীরের চোখ: টেবিলে রেখে দেখি তাতে
    রাঢ়বাংলার নদী, জলাভূমি,
    বৃষ্টির জল ঝরে পড়ে টিনের চালেতে
    আর ক্যান্দাই
    আর ক্যানসারে মরে যায়
    আমাদের দোমড়ানো ফটোগ্রাফগুলি।
  • ফরিদা | ২৮ জুলাই ২০২০ ০০:১৬732442
  • একটা মানুষ অন্য মানুষ টানাপোড়েন।
    মানুষ তাহার অবস্থানের টানাপোড়েন
    একটা মানুষ অনেক সঙ্গ টানাপোড়েন।

    যৎসামান্য ইচ্ছা এবং বাস্তববোধ
    টানাপোড়েন।
    ছুটির মধ্যে কাজের কথায়
    টানাপোড়েন।
    কাজের মধ্যে মুদির ফর্দ
    টানাপোড়েন।
    ঘুমের মধ্যে চোখ লেগে যায়
    টানাপোড়েন।

    অনেক লোকে যান এড়িয়ে
    অনেক লোকে মানবেন না
    এক একটা লোক রাস্তাঘাটে
    আকাশ দেখে উদাস হলে
    ধরতে পারেন টানাপোড়েন।

    জীবন্মৃত অনেক মানুষ টানা পোড়েন।
  • b | 14.139.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২০ ০০:৩৪732443
  • বহুদিন পরে।
  • যে_কেউ | 37.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২০ ০২:৫৩732444
  • বাহ !

  • Tim | 2607:fcc8:ec45:b800:8946:8cd3:ff04:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২০ ১০:০৫732445
  • মাথার পোকায় ডাকে ডিব ডিব ডিব ডিব
    পাশের ঘরেই বাজে সুরধ্বনী সেলাই মেশিন
    জেঠি বোনে। যে শিল্প আঙুলের চোরা ক্ষত,
    রক্তিম জিভ।
    বাড়ি বদলিয়ে থেকে আর কিছু নেই-
    মৃত তক্ষক, ছিন্ন চিঠির মত মানুষের
    পেঁজা পেঁজা তুলো ওড়ে। বাড়ি বদলের পরে
    তুলোময় সব। এত তুলো, এত এত খিদে
    রুক্ষ ফলের মত হাত গা আশরীর রিঠা
    ঝিলের জুরোনো জলে সন্তরণ ক্রমে থেমে এলে-
    হৃৎপিন্ড ডেকে চলে ডিব ডিব ডিব ডিব-
    স্তূপীকৃত শব।
    বাড়ি বদলের পরে আর কিছু নেই, শুধু তুলো,
    শুধু গাদা করা লাশ থেকে
    পোকা ডাকে ডিব ডিব ডিব ডিব।
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৮732525
  • তারপর চূড়ান্ত নীল রঙ, ঠান্ডা কোকেন;
    টেবিলে কফি মাগ, বাইরে বৃষ্টি-প্রস্তুত
    আলো।
    স্টিলবর্ন কবিতাগুচ্ছ;
    এখন এয়ারপোর্টে অপেক্ষারত
    যাত্রীদের কথা মনে পড়ে — ব্রাসেলসে,
    প্যারিসে, অ্যামস্টারডামে,
    যারা উড়ে যাবে অ্যাটলান্টিক পেরিয়ে।
    ভোর চারটের মরা ঘুমমাখা ক্লান্তির বিদেশী
    এয়ারপোর্টগুলো।
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯732627
  • কাল ছিল ঝড়বৃষ্টির রাত; দুটোর সময় ঘুমের ভেতর মনে হলো
    একটা দীর্ঘ টানেলের মধ্যে দিয়ে পড়ে যাচ্ছি আমি আর
    একটা ঝাঁকুনি খেয়ে জেগে উঠে টের পেলাম
    রাত দুটো বাজছে মাত্র, ভোর হতে দেরী আছে।
    টেবিলে ছড়ানো সিগারেটের প্যাকেটগুলো আমাকে শূন্যতা ছাড়া
    কিছুই দিলো না —
    স্ট্রীটল্যাম্পের মৃদু আলো ঢুকছে ঘরে,
    জানলায় কয়েকফোঁটা জল, বৃষ্টি পড়ছে টিপটিপ।
    দূরে উৎসহীন আলোয় ঝাপসা স্কাইলাইন,
    কিং স্ট্রীটের নাইটক্লাবগুলো এখনও জমজমাট; গ্যাসস্টেশনে
    একটা কালো কাঁচঢাকা গাড়ী এসে হেডলাইট নিভিয়ে দাঁড়াল।
    বাসগুলো ফ্যাটফ্যাটে ফ্লুরোসেন্ট আলো জ্বেলে সিগন্যালে থেমেছে,
    তিনজন মেয়ে পার্পল রেনকোট পরে জল-ছপছপ রাস্তা পেরোলো,
    হয়তো ওরা কিং স্ট্রীট অব্দি হেঁটে গিয়ে বাসে চাপবে;
    আঃ, কোথাও একটাও সিগারেট পড়ে নেই ঘরে।
  • শ্ব | 103.124.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:২২732668
  •  ভার্তুরোর খাতা  
    ~~~~~~~~~~~~~


    ৬.

    জ্বর ধরে আছে যেন বাড়ি ভাড়া ,
    চাপা নক নক

    মাঝরাত ছিঁড়ে ছিঁড়ে
    ভ্রূ প্লা কিং ছুটে
    যাচ্ছে ট্রেইন! শ্যাফ্ট -বেয়ারিং -

    শ্যাফট ,  জালাহাল্লি
    জাংশন জুড়ে , কে

    আছে কোথায়!  ভালো বলছি -

    বকুলদি , অগাস্টে  চলে আয় ,এই দেশে
    পুজো অব্ধি টেনে দেওয়া প্রচণ্ড  খিটেল ।।

    ৭.

    সমস্ত রক্তের রঙ লাল
    নয় , যেমন  আমার দাঁতে
    রঙ্গনের
    বোঁটা , কী ব্যাপার ,

    দরজা খোলো -
    আবার এসেছে ওই , ছেলে ?

    বাড়িঅলা ডেকে যায় , ফিরিঅলা নজর
    এড়িয়ে , ক্রমশঃ বিনয়ে তাকে জল
    দিই , রক্তসুরাসার

    তপ্ত মাখন রঙে , অতিথি বিলাসে
    মাতে ফুলেদের মা-টি ।।


    ৮.

    হলুদ টী-এর মত ধান
    ক্ষেত  আলে আলে,
    কালাচ বাতাস

    হলুদ টিয়ের মত ধান
    ক্ষেত , আলে আলে
    কালাচ বাতাস

    সিলিংএ  হাঁড়ির মত ডিসি ফ্যান
    নীচে হানা বাড়ি ।।


    ৯.

    নতুন লিখব  কেন ,  কেনই
    বা সোনামুখ করে সে
    খাবেনা,  

    অবেলার ছন্দরস
    দিনান্তে ঢেকে রাখা
    গরিবের  দুইমাত্রা রুটি

    প্রতীক মুখুটি আসে,আমি
    গেলে, জানি,

    আত্তপি নাই কিছু, ছোট  
    বউ,  শুধু আমাদের

    গন্ধ

    সাবানখানি তাহাকে দিওনা।।


    ১০.

    দুইটি বিন্দুর মাঝে, ফিতে
    ফ্যালে অমর মুস্তাফি ;

    ছত্রিশ হাজার ফ্রেম,
    ঘরময় ব্রোমিনের ঝাঁঝ ,  

    স্টুডিও কথাটা খুব চলতেচে
    আজকাল, রান্নাঘরবাদ্রুম কী
    চাই বলেন ,
     
    বলব কী,  খুলিময়
    ছত্রিশ হাজার ফ্রেম,
    ভোকাটা পায়ের নীচে

    গলা পীচ, বাড়ি ফেরা এ যাত্রা হলনা।।


    ১১.

    ডাকাতিয়া মুখ ঢেকে,  রমণী
    কেনেন লালফুটি , বালিয়াড়ি

    খোলা আজ  আধ বেলা,
    এরূপ নিয়মে,  কন্ঠমনি
    জ্বলে যায়,  জ্বর কত
    প্রশ্নটি মেলেনা ,  এত রং

    চেপে থেকে ,  তবেই না তক্ষক হয়েছি।।


    ১২.

    তিনটি হাঁসের  ডিমে
    তৃতীয়টি ভেসে ওঠে,
    সহমৃতা দ্বিতীয় প্রথম -

    অহো কী নক্ষত্রযোগ;
    সাধ ছিল, লালে লাল
    ভুলে  ভাসমান ধীসামান্য

    সুখ -

    গিগলিত শিশু  নয়,  নয় নিবোধত
    নারী,  শুধু এক্টু ঝোল মেখে

    একেলার মধ্যযাম,  তাও
    সব নষ্ট হল,  সাল্ফারে, চিলে নিলো

    ঘুম, উঠনে পা খুলে বসে কী বিশ্রী
    হেসে গেল পদ্য মুখপুড়ি ।।

  • ফরিদা | ০১ অক্টোবর ২০২০ ১৬:১৩732865
  • এক একটা দিন

    এক একটা দিন বড় খারাপ যায়

    যে ইলিশটা আমি ষোলশো করে নিলাম

    অন্য কেউ তা চোদ্দশো তে পেয়েছে শুনলে,

    ফেসবুকে দেওয়া মারকাটারি ছবিতে

    দিনশেষে পঞ্চাশের কম মন্তব্য এলে

    অথবা কারও বিচ্যুতি দেখে বেদম না ঝাড়লে।

    এক একটা দিন বড় প্রফুল্ল লাগে

    বাজারে সকলের সামনে পুরনো পাওনাদার

    কলার চেপে একটা থাপ্পড় না কষালে।



     

  • ফরিদা | ১৯ অক্টোবর ২০২০ ২০:৫৬733028
  • শুধু নিজের জন্যই বেড়ে উঠছিল

    ফুটপাথ ও পাশের দেওয়ালের মাঝখানে

    ধুলোটে বেনামি চারা।  

    এই ঋতুতেই টাইমকলের মতো রোদ পৌঁছয় 

    দিনে একঘন্টার জন্য ওখানে আজকাল। 

    যাদের বাড়ির দেওয়াল, তারা বোগেনভেলিয়ায়

    জল দিলে দু-এক ফোঁটা উচ্ছিষ্ট এও কুড়িয়েছে।

    শরতের ঝকঝকে রোদ্দুর উৎসবে 

    রুগ্ন শীর্ণ চারা দুটো মাত্র ফুলে ঝলমল। 

    কেউই দেখে নি - 

     

    ছ'টা মাত্র পাতা ও দুটি ডাল ওই ফুল দুটো নিয়ে

    গত শনিবার সারাদিন আনন্দ বিহ্বল। 

  • ফরিদা | ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২১733171
  • ১৩ নভেম্বর


    কী যেন বলতে এসেছিগাছের পাতার রঙ মুছে যাচ্ছিল দ্রুতকলকাতা সলজ্জ কুয়াশায় ঢেকে দিচ্ছিলখানাখন্দগুলো পশম চাদরে - তাতে ভেসে ভেসেবাস যাচ্ছিল দেখেছে সকলে।


    কী যেন সবাই বলাবলি করে বাসেসমস্যা, পুরনো কথা দেখা হ'লে অনেকদিন পর। কাছাকাছি থাকলে পরের দিনের কথা - কি রান্না হবে?কাল আসবি কি কলেজে? 


    বাসটি রাস্তার চেনা, কাল বাস আসবে না বলেছেরাস্তা জানলা থেকে মুখ ঘোরাল ভিতরেঅন্য বাস কি চলে না রাস্তায়বা এই বাস অন্য রাস্তা নেবেমাপসই লাগসই কিছু?


    সে কলকাতার, রেশম কুয়াশায় মুখ ঢাকাপশমে বুনছে বসন্ত বাসাটি একটাই দুই মাথাপিছু।

  • xi | 14.139.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০২০ ১৬:২৩733181
  • ভাগ্যিস,  বিখ্যাত নই।


    তাই ভাবি, মরার পরেও 


    এক আধটা কুয়াশা ভেজা  কাঁধ


    হয়তো বা জুটে যাবে। বৎসরান্তে তারা 


    যেহবান্ধবা বলে গেয়ে উঠবে গান ,


    নদী বইবে ছলাৎছল, যেভাবে বয়,


    মেন মে কাম অ্যান্ড মেন মে গো


    ভাগ্যিস বিখ্যাত নই। 


    আমার জন্যে কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক


    শকুনের, শকুনির 


    প্রতীক্ষা থাকবে না।

  • ফরিদা | ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১২733209
  • কিছুক্ষণের মধ্যেই

     

     

    তুমি আর কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে

    আর কিছুক্ষণ পরেই ভুলে যাব

    কোন শব্দ কোথায় বসতে চেয়ে ঠেলাঠেলি

    দূরের শহরগামী শেষ বাসে -

    কত রাত হয়ে যাবে - শেষ স্টপে যেতে

    সাইকেল স্ট্যান্ডের লোক 

    ঘুমচোখে তালা খুলে দেবে বটে - 

    যদি আগের দিনের মতো রেগে 

    হাওয়া খুলে দিয়ে রাখে -

    বাসে জায়গা পেয়েছে ঠিক 

    হাওয়াও অঢেল 

    চাঁদের আলোতে কালো কালো গাছের ছায়া

    ঘুম নিয়ে আসে বলে - 

    তুমি চলে এলে…. 

  • ফরিদা | ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০৬:৫৬733210
  • যখন ভিতরে ঝড়, জিভের কারেন্ট নুনে

    চিড়িক চিড়িক স্পার্ক

    আলোটা বদলাচ্ছিল 

    সি আই টি মোড়ে -

    সামনের মিনিবাস থেকে নামছে তো নামছেই

    প্রিয় নৌকারা মাছধরা সরঞ্জাম সমেত

    ওই তো হাবুল কাকা, গদাধর, নেতাই, জগন্নাথ,

    নিমাইটা কী তালঢ্যাঙা হয়েছে রে বাবা

    পল্টুর চুল অত ছোট - তাই তো

    পরেশ দা চলে গেল দেখতে দেখতে চার মাস।

     

    পিছনের বাসের পাদানিতে আলতো 

    আটকে রয়েছি, স্টপ এলে নেমে দাঁড়াই

    বাসটা চললে ফের উঠি - 

    চোখে মুখে ফুরুফুরে হাওয়া -

     

    প্রতি স্টপে আলো বদলায় 

    নামে ওঠে মানুষ, সরঞ্জাম 

    জিভে কারেন্ট নুন এত ঝড় বৃষ্টি ভিতরে

    আমার আর কি বা আসা যাওয়া…. 

  • ফরিদা | ২৪ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৫০733254
  •  

    হেমন্তের গাছে, শুকনো পাতারা সব

    ট্যাবলেট ক্যাপস্যুল হয়ে আছে 

    কুয়াশায় গোলাপি সিরাপ 

    টবে শিশু চন্দ্রমল্লিকা ডালিয়ার চারা

    চেটে চেটে খাচ্ছিল টনিকের শিশি

    তার মোড়কে জিরাফ।

    অসুখ চলে গিয়েছিল ওষুধের প্রকোপে

    এখন বিসুখের সময়ে 

    সারারাত্রি গায়ের চাপা, অস্বস্তি নিরুপণের 

    যাবতীয় অধ্যাবসায় 

    ভেদ করে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকে প্রস্তুতিহীন

    "ঘুম হচ্ছে না, খিদে নেই, কী একটা অস্বস্তি যেন"

    সারাক্ষণ, অনিয়ন্ত্রিত, একটানা বিসুখের নোটিস

    দিন-রাত্রি এমনকি  ঠিকানা-বিহীন… 

  • ফরিদা | ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১১:৩২733255
  • গারদের ভিতর যখন একটা জানলা অবধি নেই

    স্বপ্নে উড়ন্ত বিমানের ল্যাজ থেকে 

    কালো বিশ্রী ধোঁয়া আকাশে লাটপাট খায়

    সামনেই সমুদ্রতট, সেখানে কত রকমের পাখি

    বালি রঙের কুকুরেরা ঢেউয়ের সঙ্গে খেলে।

    একটা কথা নেই যখন তখন রেডিওতে 

    নানান ভাষার সংবাদ, টিভিতে কুচকাওয়াজ

    ও সারা পৃথিবীময় অজস্র ট্যমেটো স্বেচ্ছায় 

    খামোখা থেঁতলে গিয়ে রাস্তা লাল করে দিচ্ছে


                                                                                              


    বিসুখের গারদের ভিতর ইচ্ছে ও অনিচ্ছে...

  • ফরিদা | ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:৫৩733336
  • কাল পার্স খুঁজে পাচ্ছিলাম না, 

    তার আগেরদিন অনুষঙ্গ শব্দটা - 

    আড্ডা মারতে গেছিল বলে ময়লা 

    পারিপার্শ্বিক দিয়ে কাজ চালাতে হ'ল 

    যার বাইরেটা ব্যবহারে জীর্ণ - ভিতর অন্ধকার।


                   

    পছন্দ হয় না, বাচ্চা ছেলে পেয়েছে নাকি

    যে যখন খুশি হাত বুলিয়ে লেখাবে 

    লিখিত অক্ষরের ওপর। ভেবেছেটা কি?

    নৌকা ছেড়ে দিয়েছি - সে তো স্বেচ্ছায় নিরুদ্দেশ 

    যাব বলে - তাও বারবার ঘরে কেন টেনে আনে?


                     

    পার্স হারিয়ে যায়, চশমা খুঁজে পাই না

    গাছে জল দেওয়াও হয়না সময়ে…. 

  • ফরিদা | ২৩ এপ্রিল ২০২১ ২০:২৩734069
  • ওরা দু'ভাই।

    বড়টি ইস্কুলে যায় টায় নি আর

    খেলে খেলেই বেড়াত, 

    সারাদিন বাড়িতেই, কখনও পাড়ায়

    মাঝে মধ্যে আত্মীয়স্বজন।

     

    ছোটটি চালাক চতুর, বাড়িতে থাকত না 

    ইস্কুল পার করে কলেজ হয়ে

    চাকরির ছুতো নিয়ে পাড়ি দিল ভিনরাজ্যে।

    দু'ভাইতে দেখা সাক্ষাৎ নেই প্রায়

    বড়টি কোনওমতে টিকে পুরনো পাড়ায়

    বয়স্ক দেখায় খুব, বেশিদিন টিকবে না বোধ হয়।

    ছোটটির সে পাড়া ঘুরে এসে একলা লাগে 

    মনে পড়ে — ওরা দু'ভাই… 

    তারা নামেরা দু-ভাই। 

  • ফরিদা | ০৫ মে ২০২১ ০৬:২৬734333
  •  

    শোকের মরশুমে যেন

    ছোট বড় কাঁটাঝোপ শোক

    বাড়তে বাড়তে খবরের কাগজ ভেদ করে  — 

    পাড়ার পথঘাট, দরজা টরজা পেরিয়ে

    ভিতরবাড়িতে চলে এল।

    •  

    এদিকে বড়রাস্তা খাঁ খাঁ

    কেউ বেরোতে পারছে না

    কেউ ঘরে থাকতেও পারছে না

    শোকের ফসলে ক্ষতবিক্ষত প্রত্যেকে অল্পবিস্তর।

    •  

    যুদ্ধক্ষেত্রে পাথরের মতো মুখ করে

    সেইসব কাঁটাঝোপ জড়ো করে জ্বালিয়ে যাচ্ছে

    দু-পাঁচজন যতক্ষণ টিকে আছে তারা।

    •  

    এই শোক, ভয়াল, স্বয়ংবরা। 

  • b | 14.139.***.*** | ০৫ মে ২০২১ ১৩:০৪734345
  • আহা, আরো আসুক 

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ১১ জুন ২০২১ ১৮:০৫734543
  • জানুয়ারীর রাতে যেসব দুঃখিত গোয়েন্দারা
    সস্তা বারে বসে একা একা মদ খায় এবং তারপর
    অদ্ভুত গলিগুলো ধরে অদ্ভুত এলাকাগুলোয় চলে যায়,
    তাদের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়না বহুদিন, যতক্ষণ না কেউ তা
    আবিস্কার করছে নম্বরহীন গার্বেজ ট্রাকের ভেতর
    অথবা সমুদ্র থেকে দূরে কোনো জীর্ণ পরিত্যক্ত
    বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে, যেখানে উইস্টারিয়া লতা
    ঢেকে দিয়েছে তাদের সন্দেহপ্রবণ মগজ।
    অন্ধকার রক্ত তাদের শরীরের গায়ে একটা চ্যাটচ্যাটে
    সসের মতো লেপ্টে গ্যাছে: সাহসী গোয়েন্দা, জানুয়ারীর বরফ
    তোমার কাদামাখা বুটজুতোর ওপর গলে আসছে।
    করুণ এবং বিভক্ত স্বপ্নগুলো, একটি বাচ্চা মেয়ের স্মৃতি (যে
    হয়তো তোমার নিজেরই মেয়ে), একটি গান (মিনিয়াপোলিসের
    এক বেশ্যার ক্রিসমাস কার্ড) — এসব দূরবর্তী ড্রয়ারে রেখে
    কোনো টানেলের কেন্দ্রের দিকে তুমি রওনা হয়েছ।
    একটা পায়রা-টানেল, যার আলোময় ওপ্রান্তে তোমার জন্যে
    অপেক্ষা করে আছে আরেকটি নৃশংস মৃত্যু।

  • প্রত্যয় ভুক্ত | ২৭ জুন ২০২১ ১৭:৩১734655
  • অর্যমা


    প্রভু,দিই ভুল,দিই ফুল


    দিই ফুল,চরণ রাতুল।


    হলদে ফুলে মাখানো চন্দন, 


    ধূপছায়া আঁকি ছবি।


    পাপড়ি খুলে যায় ,খুলে যায়, 


    চরণ কোথা পাই? 


    দূর্বা লাগাই ক্ষতের পরে , 


    ব্যথা --কিছুই নেই।


    জলের আল্পনায় বেড়ে চলে দেনা, 


    আঁকিবুকি কাটে জরা, 


    শিশির নামে পাতায় পাতায়, 


    শিরশিরে জলের ছড়া।


    উজান গাঙে নামে সুরের ধারা


    অবগাহন করি প্রভু ,অবগাহন; 


    গা ভেজে না একটুও , 


    শান্তি বলে-"দুয়ো!দুয়ো!"


    হাসির ছটায় ঝলসে ওঠে চরাচর, 


    তাপ জমে ,স্বেদকণা ,ধুনোগন্ধ, 


    প্রভু, ফিরি পায়ে পায়ে, 


    সব মন্দির‌ই বন্ধ।


    অন্ধ ভয় তোলে ঢেউ, 


    বিশল্যলরণী ক‌ই? 


    ঘুঙুর বেয়ে নামে রক্তধারা, 


    আমি মরণের পানে যাই।


    বিদায় অনন্ত!বিদায় চরাচর! 


    ভৈরবে নামুক নতুন ভোর।

  • Ranjan Roy | ২৭ জুন ২০২১ ২৩:০৬734657
  • রামগড় পাহাড়ে বর্ষা

     

    তুমি বলেছিলে

    সংসারের সব কাজ সাঙ্গ করে আমরা যাব রামগড় পাহাড়চুড়োয়।

    সেখানে নির্জন ঘরে 

    কোন এক শ্রাবণসন্ধ্যায়

    বাইরে বৃষ্টিধারা ঝরে অবিরাম

    ঝমঝম ঝিরঝির টুপটাপ টাপুর টুপুর।

    তুমি আমি শোনাব্‌ একে অপরকে,

    ফেলে আসা জীবনের গান।

     

    কখনও জানলা ঠেলে ছুটে আসবে দমকা ভিজে হাওয়া,

    অন্ধকারে ছুঁয়ে থাকবো শিরাওঠা হাত- একে অপরের,

    পরম বিশ্বাসে।

    তুমি বলবে – মনে পড়ে সেই যে সেবার

    আমি বলব – মনে পড়ে  এই তো সেদিন

    মনে পড়ে? কিছু মনে পড়ে?

     

    আজ

    আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে

    রামগড় পাহাড় চুড়োয়

    আমি একা

    দিনান্তের ছায়া ছায়া আলোয়

    হাতড়ে দেখি স্মৃতির অ্যালবাম।

     

    বাইরে বৃষ্টিধারা ঝরে অবিরাম,

    -ঝমঝম ঝিরঝির টুপটাপ টাপুর টুপুর।

     

    তুমি যে বলেছিলে-

    সংসারের সব কাজ সাঙ্গ করে আমরা যাব রামগড় পাহাড় চুড়োয়।

    ---------------------------------------

     

     

     

  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১০ জুলাই ২০২১ ১৭:২৪734747
  • 'রাত'চিৎ


    (১ম স্তবক)


    মাঝে মাঝে মন কেমন হুহু করে ওঠে 


    রাতের বেলা বিছানা ছেড়ে উঠি ,


    দেখি,খোলা ছাদের বন্ধ করা মুঠি ,


    ধরা আছে জোছনা পাতার ঠোঁটে।


    (২য় স্তবক)


    আকাশের গায়ে ফোঁড়ার মতো সাদা


    চাঁদ;জ্যোৎস্না চরণ চাটে ,


    এদিক ওদিক নাক্ষত্র পুঁজের ছিটে: 


    মুখে মেখেছে মৃত সাগরের কাদা।


    (৩য় স্তবক)


    ঝুলের মতো মেঘ ভেসে আসে,


    এসে শুয়ে পড়ি বিছানায়--


    মৃত্যু, সে আপন নখর শানায় 


    রিমঝিমে বৃষ্টি নেমে আসে।


    (৪র্থ স্তবক)


    বালিশে মাথা রেখে শুনতে পাই


    অবিশ্রান্ত আলাপ চলেছে মল্লারে


    সুর বাইছে মুদারা থেকে তারে


    ছড়িয়ে গেছে জোনাক-পোড়া ছাই।


    (৫ম স্তবক)


    অভ্রংলিহ আঁধার নামে বুকের পরে


    শরীর জুড়ে ছড়িয়ে থাকে উপলখন্ড


    খেলে বেড়ায় বাতাস বালক পৌগন্ড


    কাকজ্যোৎস্না রাত পড়ছে ঝরে ঝরে।


    (৬ষ্ঠ স্তবক)


    কত কী ঘটে এমন অনেক রাতে 


    "J'aime toi" বলে মটকায় চোখ


    বিলাসিনী রাতের ঝলসে ওঠে নখ


    মহুয়ারা সব "ব্যাকানালিয়া" য় মাতে।


    (৭ম স্তবক)


    আঁধার আসে,আঁধার যায়


    রাত কাটে পাতাল হাওয়ায়--


    ওড়ে ঘেঁটকোল-ফুলগন্ধ---


    মরণবাসে ভরে নাসারন্ধ্র।।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন