চতুর্ভুজ ওটা আমার লেখার ভুল। অবশ্যই রামানুজের সঙ্গে শংকরের মুখোমুখি বিতর্ক হয় নি। বলতে চেয়েছি বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের সঙ্গে বিতর্কে। রামানুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের সাবচেয়ে নামকরা আচার্য, কিন্তু মতবাদ আরও আগে থেকেই ছিল।
যা হয়েছে সেটা হল ব্রহ্মসূত্রের প্রথম খন্ডের দ্বিতীয় ভাগে ' 'পরমত খণ্ডন '।
তাতে শংকর, রামানুজ, মধ্ব, নিম্বার্ক-- অর্থাৎ যাঁরাই বেদান্তের ভাষ্য বলা উচিত ব্রহমসূত্রের ভাষ্য লিখেছেন, সবাই প্রথমে নিজের নিজের দার্শনিক অবস্থান বলে অন্যদের মত খন্ডনের চেষ্টা করেছেন।
যেমন সাংখ্য, ন্যায়, পুর্ব মীমাংসা, বৌদ্ধ এবং বেদান্তের অন্য স্কুল।
যেমন, শংকর উপরোক্ত সবগুলো ছাড়াও বেদান্তের দ্বৈত এবং বিশিষ্টাদ্বৈত তথা ভক্তিবাদের খন্ডন করেছেন।
কিন্তু ব্রহ্মসূত্রের শ্লোক ধরে ধরে ব্যাখ্যার বিতর্ক মূলতঃ বেদান্তের বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে সীমিত। কারণ বেদান্তসূত্র বা ব্রহ্মসূত্র স্বয়ং বেদব্যাস রচনা করে গেছেন বলে ধরা হয়।
বিতর্ক শ্লোকের ব্যাখ্যাগুলো নিয়ে।
সেখানে শংকর বলছেন যে প্রচলিত যুক্তিজাল তর্কএর নিয়ম--এসব ব্যবহারিক সত্যের জন্য। পারমার্থিক সত্যের জন্য এসব অচল, নিতে হবে মনুস্মৃতি এবং উপনিষদের আশ্রয়। সেখানেই বেদপাঠ এবং ব্রহ্মবিদ্যালাভের অধিকারী ভেদের প্রশ্ন তুলে শূদ্রের নেই সেই অধিকার, সে দ্বিজ নয়, লঙ্ঘন করলে শাস্তির মনুর বিধানের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে।
স্বামী বীরেশ্বরানন্দ ইংরেজিতে শংকরের এবং রামানুজের ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্যের চমৎকার অনুবাদ করেছেন এবং ভুমিকাটিও যথার্থ।
২ পতঞ্জলির যোগসূত্র বুদ্ধের কয়েক শতাব্দী পরে রচিত।
৩ জাতিবাদের বন্ধন আজও রয়েছে। কিঞ্চিৎ ঢিলে হয়েছে মাত্র। এত আইন কানুন সত্ত্বেও।
গোঁফ রাখলে, ঘোড়ায় চড়লে, বিয়ের সময় ব্যাণ্ড বাজালে শাস্তি পেতে হয়। উচ্চবর্ণের মেয়েকে বিয়ে করলে প্রাণ যাবার আশংকা থাকে।
বুদ্ধের সদ্ধর্ম আড়াই হাজার বছর আগে এর মূর্ত মানবিক প্রতিবাদ।