এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   ইতিহাস

  • বুদ্ধ জয়ন্তী কুইজ

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৮ জুলাই ২০২৫ | ১২০৫ বার পঠিত
  • বুদ্ধ জয়ন্তী পার হয়ে এসেছি প্রায় দু'মাস হল।
    ইচ্ছে হচ্ছে আজ বুদ্ধজয়ন্তী কুইজ হোক।
    অরিন আছেন,  ভুল হলে ধরিয়ে দেবার জন্য। 
    ফের শুরু হবে মহাভারত কুইজ ৪।
     
    প্রশ্নমালা
    ১ সিদ্ধার্থ কোন বয়সে গৃহত্যাগ করেন? তখন ছেলের বয়েস কত?
     
    ২ কোন নদীর তীরে বসে ধ্যান করে বোধিলাভ?
     
    ৩ ওঁর  প্রথম দুই যোগগুরু কারা? ওঁদের  ছাড়লেন কেন?
     
    ৪  বৌদ্ধ দর্শনের মূল সত্য বা আর্যসত্য  কয়টি এবং কী কী? 
     
    ৫ দুঃখের কারণ কী?
     
    ৬ দুঃখ বিনাশের উপায় কী?
     
    ৭ সেই উপায়এর প্রয়োগে পন্থা কী? 
     
    ৮ অষ্টাঙ্গ মার্গ  বা আটটি মার্গ বলতে কী বলা হয়?
     
    ৯ কোন দর্শন শাশ্বত অবিনশ্বর পরমাত্মায় বিশ্বাস করে?
     ক বেদান্ত, খ বৌদ্ধ গ উভয়েই।
     
    ১০ কোন দর্শন দেহের অতীত আত্মায় বিশ্বাস করে?
    ক বেদান্ত, খ বৌদ্ধ গ উভয়েই।
     
    ১১  কোন দর্শন ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরে আস্থাশীল?
    ক বৌদ্ধ, খ বেদান্ত  গ উভয়েই।
     
    ১২  কোন দর্শন বাস্তব জগতের কার্যকারণ তত্ত্বে ( ল' অফ কজালিটি)  বিশ্বাসী?
     ক বৌদ্ধ খ বেদান্ত গ উভয়েই
     
    ১৩  বুদ্ধদেব কি শাকাহারী ছিলেন? 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫০745350
  • ১) পরম সত্য কী? সত্যের লক্ষণ কী? এ বিষয়ে বেদান্ত এবং বৌদ্ধদর্শন একেবারে বিপরীত অবস্থানে।

    বেদান্তঃ যা পরিবর্তনশীল, ভঙ্গুর, নশ্বর তা কী করে পরমসত্য হতে পারে? যা শাশ্বত, অবিনশ্বর এবং যার সৃষ্টি বা ধ্বংস কিছুই হয় না কেবল সেই পরমসত্য। এমন তত্ত্ব শুধু একটিই -- পরব্রহ্ম বা পরমাত্মা। জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ, অতএব অবিনশ্বর।
    তাই বেদান্তের মূল তত্ত্বকে বলা হয় শাশ্বতবাদী বা আত্মবাদী।

    বৌদ্ধদর্শনঃ কোন কিছুই স্থায়ী নয়, সব অস্তিত্বই ক্ষণিক -- এটাই পরম সত্য। অতএব কোন অবিনশ্বর পরম সত্তা নেই -- এটাই পরম সত্য। কাজেই দেহাতীত কোন আত্মার অস্তিত্বের প্রশ্নই নেই। সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের কথাই নেই।
    এ জন্য বৌদ্ধদর্শনকে ক্ষণিকবাদী এবং অনাত্মবাদী বলা হয়।
    বুদ্ধ নিজে ঈশ্বর এবং সৃষ্টি নিয়ে বেশি বাগবিতণ্ডা পছন্দ করতেন না।
    এগুলো তাঁর মতে অপ্রাসঙ্গিক।

    তাঁর মূল চিন্তা -- দুঃখময় জগতে দুঃখের বিনাশ কী করে সম্ভব তা নিয়ে।

    ডিসক্লেমারঃ মহাযানী স্কুলগুলো মূল অবস্থান থেকে অনেকটা সরে এলেও দুটো বিষয়ে অনড়। ক্ষণিকবাদ এবং সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস।
    আমি দ্বিতীয়টির পক্ষে বিখ্যাত মহাযানী দার্শনিক ধর্মকীর্তির একটি শ্লোকের উদাহরণ দিচ্ছি।

    যার সারকথাঃ
    নারীকে দেখেই আমি বুঝেছি যে এই বিশ্বের কোন সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর নেই। যাদি থাকতেন তাহলে নারীকে উনিই সৃষ্টি করতেন। আর ওই হরিণনয়না নারীকে একবার দেখলে কি উনি তাকে ছেড়ে থাকতে পারতেন?
    তারমানে ভগবান বুদ্ধের কথাই সত্য--এই বিশ্বের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। (সুভাষিত রত্নকোষ, শ্লোক ৪৪০)।

    বেদের অভ্রান্ততায় আস্থা এবং বৈদিক আচার আচরণে বিশ্বাসী মীমাংসা দর্শনের সঙ্গে বিতর্কে ধর্মকীর্তি বলছেনঃ
    বেদপ্রমাণম্‌, বিশ্বের স্রষ্টা আছেন এমন আস্থা, জাতিবাদে বিশ্বাস, প্রায়শ্চিত্তে পাপখন্ডন হয় এমন বিশ্বাস, কোন বিশেষ নদীতে স্নানে পুণ্য হয় এমন বিশ্বাস -- এসব হল মূর্খতার পাঁচটি লক্ষণ।
    (কোলকাতায় বাড়িতে নেই, তাই উদ্ধৃতির সূত্র দিতে পারছি না; সম্ভবতঃ বিখ্যাত প্রমাণবার্তিক গ্রন্থে আছে।)

    এরপর আসছে ল' অফ কজালিটি বা কার্যকারণ সম্বন্ধ।
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৮745351
  • কার্যকারণ সম্বন্ধঃ
      বৌদ্ধদর্শনে এর নাম  পতীচ্চসমুৎপাদ। 
    মূল কথাঃ কারণ ছাড়া কোন কার্য হয় না। কোনকিছু উৎপন্ন হয় না।  অর্থাৎ স্বয়ম্ভূ বলে কিছু নেই। ঈশ্বরের লীলায় ( একোহম্‌ বহুস্যাম্‌ --এক ছিলাম, অনেক হতে চাই)  সৃষ্টি হয় না। 
     যতক্ষণ কারণ বর্তমান থাকে ততক্ষণ যা উৎপন্ন  (ভব) হয়েছে তাও অস্তিত্ববান থাকবে। 'কারণ' দূর হলেই  কার্য বা যা উৎপন্ন হয়েছে তার নাশ হবে।
    খেয়াল করুন , চার আর্যসত্য (দূঃখের কারণ, দূর করার উপায় ইত্যাদি)  এই কজালিটির লজিক্যাল করোলারি।
     
    আবার দেখুন ক্ষণিকবাদঃ আমরা যা দেখছি সব কিছুর অস্তিত্ব ক্ষণিক,  সদা পরিবর্তনশীল, in eternal flux। তাই এক নদীতে দু'বার স্নান করা যায় না। আগের জল তো সরে গেছে। (ভিক্ষু নাগসেন এবং রাজা মিনান্দারের ডায়লগ)। 
    যা উৎপন্ন হয়েছে তা কারণ অনু্যায়ী বর্ধিত হবে এবং তারপর ক্ষয়প্রাপ্ত হবে। কোন কিছুই অবিনাশী নয়।
     
    আবার দেখুন দর্শনের দ্বান্দ্বিকতাঃ
    যে কোন বস্তু একই সঙ্গে এক অর্থে 'হ্যাঁ' এবং অন্য অর্থে 'না" হতে পারে। তাই রাজা মিনান্দার আগের শিশু মিনান্দারের থেকে আজ আলাদা, কিন্তু বিশেষ অর্থে একজনই। (অরিনের উদ্ধৃতি)। 
     
     
     
    ডিসক্লেমারঃ
    মহাযানের নাগার্জুনের শূন্যবাদ অনেকটা শংকরাচার্যের অদ্বৈত বেদান্তের সঙ্গে মেলে। বরং বলা উচিত শংকর তাঁর জগত মিথ্যা প্রমাণের যুক্তিগুলো নাগার্জুনের থেকে ধার করেছেন। নাগার্জুন কয়েক শতাব্দী আগের।
    দুজনের মতেই ব্রহ্মাণ্ড বলে কিছু নেই,  সৃষ্ট হয় না--ওটা অবিদ্যা জনিত ভ্রান্তির ফল।
     
    তাই শংকর এবং তাঁর গুরু গৌড়পাদকে "প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ" আক্ষেপ শুনতে হয়েছে--তিনি ঋণ স্বীকার না করলেও। বিশেষ করে "অবিদ্যা" ধারণাটি নাগার্জুনের থেকে নেয়া। 
     
    আবার বিজ্ঞানবাদী (এখানে বিজ্ঞান বিশুদ্ধ চেতনা অর্থে প্রযুক্ত) দুইভাই , আচার্য অসঙ্গ এবং বসুবন্ধু, শুদ্ধ চেতনার খোঁজে  প্রায় ঔপনিষদিক চেতনার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। অথচ ক্ষণিকবাদ, অনাত্মবাদ এবং ঈশ্বরে অনাস্থায় অন্যদের মতই দৃঢ়।
     
    এখানে একটা মজার কথা বলি।
    অদ্বৈত বেদান্ত বাস্তব নশ্বর দুনিয়ার অস্তিত্বহীনতা বোঝাতে  গিয়ে বলে যে স্বপ্ন ও জাগ্রত স্থিতির মধ্যে কী করে ফারাক করা যায়? তুমি কী করে নিশ্চিত যে জেগে আছ না স্বপ্ন দেখছ? কারণ, স্বপ্নে সবরকম জেগে থাকার মতই অনুভূতি হয়, এমনকি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে স্বাভাবিকের মতই যৌন পরিতৃপ্তি হয়।
     
     অনেক স্কুল অন্যভাবে কাউন্টার করেছেন। যেমন, স্বপ্নে তেষ্টা পেলে গেলাস গেলাস জল খেলেও  তৃষ্ণা মেটে না, জাগ্রত অবস্থায় খেলে মেটে।
    কিন্তু বসুবন্ধু এক ডিগ্রি এগিয়ে কাউন্টার করছেনঃ স্বপ্নে যৌনপরিতৃপ্তিতে সন্তান লাভ হয় না, যা কেবল জাগ্রত অবস্থায় হতে পারে। 
     
    টেলপীসঃ
    ১ আচার্য ধর্মকীর্তির "প্রমাণবার্তিক" গ্রন্থটি ভারতে হারিয়ে গেছল। রাহুল সাংকৃত্যায়ন তিব্বতের মঠ থেকে প্রাণসংশয় করে এক কপি উদ্ধার করে আনেন। 
    তখন সেন্ট পিটাসবুর্গের বিখ্যাত ভারততত্ববিদ শেরবাটস্কি বলেন যে এটা এতবড় ঘটনা যে এটাকে সেলিব্রেট করতে বিশ্ব সম্মেলন ডাকা উচিত।
    ২ বইটির ইংরেজি তর্জমা ইন্টারনেট আর্কাইভ থেকে ডাউনলোড করা যায়। ভাল হবে যদি আগে নেট থেকে স্ট্যানফোর্ডের ফিলজফির এনসাইক্লোপিডিয়া থেকে যদি বইটির সারসংক্ষেপ পড়ে নেয়া যায়। 
     
    অনেক বকবক করেছি। এবার তিনদিন চুপ। নইলে বুদ্ধির ফাঁক বেরিয়ে পড়বে।
     
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:ac97:f2f9:40cc:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৫745352
  • বড় সুন্দর লিখছেন রঞ্জনবাবু। 
    এই জায়গাটা,
    "কার্যকারণ সম্বন্ধঃ
      বৌদ্ধদর্শনে এর নাম  পতীচ্চসমুৎপাদ। "
     
    আমার মনে হয়, দেখতে গেলে বৌদ্ধধর্মের সমস্ত সারকথা প্রতীত্বসমুৎপাদ আর দ্বাদশ নিদান, তার বিস্তার এর অনুলোম আর প্রতিলোমকে কেন্দ্র করে। 
    জ্যাক কেরুয়াকের একটি ভারি চমতকার বুদ্ধ জীবনকথা আছে Wake Up নামে।
     সে বইয়ের যে অংশে কেরুয়াক যেদিন ভগবান বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হলেন, যেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন যতক্ষণ না আমি দুঃখের  কারণ আর তার পরিত্রাণ সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান না লাভ করব, এই আসন থেকে উঠব না, লেখার সেই অংশটিতে এই দ্বাদশ নিদান ভারি সুন্দর করে বর্ণনা করেছিলেন। এক জায়গায় লিখেছিলেন মৃত্যুর কারণ যদি জন্ম হয়, তবে জন্মের কারণ কী? 
     
    এই দ্বাদশ নিদান অবিজ্জা / অবিদ্যা, সংস্কার, বিজ্ঞান (চেতনা), নামরূপ, ষড়ায়নূতন (পালিভাষায় ষলায়তন), স্পর্শ, বেদনা, তৃষ্ণা বা পালি তনহা, উপাদান, ভাব, জাতি বা জন্ম, এবং জরামরণ -- একটার পর একটা কার্যকারণের সূত্রে গ্রথিত অনেকটা domino র মতন, অবিদ্যা বা অজ্ঞানতা আর জরামরণ কার্যকারণের সূত্রে গ্রথিত। 
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৬:৩৬745353
  • একদম l
    এই chain reaction.  আজ যা  कार्य, তা পরে নিজেই কারণ হয়ে নতুন জিনিস বা कार्य উৎপন্ন করে.
    জরা-মরণ  domino effect,  ekdM সঠিক metaphor. 
  • উত্তর | 151.197.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৮:২২745354
  • দুজনকেই অনেকানেক ধন্যবাদ। 
     
    অনুবাদিত  Wake Up য়ের লিন্কটাও থাকুক।   
  • &/ | 107.77.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৫745355
  • এক বনে এক পরমাসুন্দরী গণ্ডারনী থাকেন। তার জন্য কাতর এক রাত্যাতুর গন্ডার যেন বলছে এই গণ্ডারনীকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, কী করে তিনি একে ছেড়ে আছেন? তিনি নেই -- এইরকম যুক্তি দিলে লোকে গড়াগড়ি খাবে না? :)
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২৫ ২০:২২745356
  • অবশ্যই ওটা পড়ে কেউ  'ঈশ্বর স্রষ্টা নন' এমন বক্তব্যে কনভিন্সড হবে না। 
    কারণ ওটা আর্গুমেন্ট নয়, ধর্মকীর্তির চিমটি।
     
    নিরীশ্বরবাদী যুক্তি পর্যাপ্ত রয়েছে আচার্য ধর্মকীর্তির "প্রমানবার্তিক" এবং "ন্যায়বিন্দু" গ্রন্থে। উনি খুব বড় লজিসিয়ান। মীমাংসা দর্শন, ন্যায় দর্শন এবং বেদান্তের সঙ্গে তাঁর বিতর্কের সার ওই দুই মহাগ্রন্থে আছে। 
    স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিলজফির ডিকশনারিতেও ধর্মকীর্তির প্রধান যুক্তিগুলো ভাল করে সাজিয়ে দেয়া আছে। এখানে এত ডিটেইলস লেখা সম্ভব নয়। আলাদা টই খুলতে হবে। 
     
    এটা আবার চৌপদী কবিতা রূপে  ৬০ বছর আগে অবন্তী কুমার সান্যাল এবং জয়ন্তী সান্যাল সম্পাদিত "হাজার বছরের প্রেমের কবিতা" নামের অসাধারণ একটি অ্যান্থলজিতে রাখা হয়েছে।
     
    কারণ হিসেবে সম্পাদকদের বক্তব্য ঃ ব্রাহ্মণ্য সাহিত্যের তুলনায় বৌদ্ধসাহিত্য বড্ড কাঠখোট্টা। প্রেমের কবিতা নেই বললেই চলে। খুঁজে পেতে ওরা কুল্লে দুটো পেয়েছেন-- পঞ্চশিখ গন্ধর্বের গান এবং ধর্মকীর্তির ওই সংস্কৃত চৌপদী।
  • &/ | 107.77.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ২০:৩৪745357
  • ওটা দিয়ে বরং উল্টোটা প্রমাণ করে দেওয়া যায় . তিনি আছেন জগতের সকল জীবেই . কারণ সকল প্রজাতিতেই তো পরমাসুন্দরীর জন্য পরম সুন্দর আকুল , আবার উল্টোটাও। সে তারা মানুষ হোক কি গন্ডার হোক কিংবা গুনগুনে পাখি
  • &/ | 107.77.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ২০:৩৮745358
  • আরও বিস্তারে গেলে, অপরূপ সুন্দর মহাবিশ্বের সমস্ত কিছুতেই। কারণ এত সুন্দর জগৎ সৃষ্টি করে তাকে ছেড়ে থাকতে পারেন নি
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:9cb7:e375:c4ef:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫৪745360
  • "আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক চিন্তাবিদ মহাযানে প্রভাবিত, বিশেষ করে সাইকোলজির বিভিন্ন শাখার গবেষণায় এর প্রভাব স্পষ্ট--কেকে নিশ্চই খেয়াল করেছেন।"
     
    হ্যাঁ, তা খেয়াল করেছি রঞ্জনদা। গত পাঁচবছর ঐ মহলেই ঘোরাফেরা করছি। উত্তর যে জোসেফ গোল্ডস্টাইন এর কথা বললেন তাঁর ক্লাসও করেছি। আপাতত স্টিভেন গুডম্যান আর বেথ জেকবসের বইদুটো পড়ছিলাম। এদুটো অবশ্য মেইনলি অভিধর্ম নিয়ে। বসুবন্ধুর কথা এলো বলে বললাম।
    অরিন লান যদি তিব্বতী বৌদ্ধধর্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত আলোচনাটা বিস্তারে চালিয়ে যান ও আগ্রহ নিয়ে পড়বো। আশা করি 'বার্দো' নিয়েও লিখবেন। এই টইয়ের আলোচনা খুবই উপভোগ করছি। চলুক।
  • উত্তর | 151.197.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ০১:০৮745361
  • জোসেফ গোল্ডস্টাইন সম্ভবতঃ থেরাভেদা দ্বারা বেশি প্রভাবিত, সায়েদা উ পন্ডিতের কথা প্রচুর বলেন, এমন কি উনার আরেকজন গুরু মুনিন্দ্রজীও সায়েদা উ পন্ডিতের শিষ্য। এস এন গোয়েঙ্কাও তাই। 
    তবে মহাযান আমেরিকাতে থেরাভেদার থেকেও বেশি জনপ্রিয়। দলাই লামা তো মহাযানী। 
    ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে থেরাভেদা সম্ভবতঃ বুদ্ধের মূল আইডিয়াগুলির বেশি কাছে, উনারাও সেরকম দাবী করেন। 
     
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:ccc6:4744:fa01:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ০২:১২745362
  • https://www.accesstoinsight.org/history.html
     
    এই সাইটটা দেখুন, এতে থেরাবাদ, মহাযান ইত‍্যাদির ইতিহাস টাইম স্কেল ধরে বর্ণনা করেছে। আমার মনে হয় আমাদের আলোচনায় হীনযান কথাটা না ব‍্যবহার করলেও চলে। 
    থেরাবাদ শ্রীলঙ্কা ব্রহ্মদেশ থাইল‍্যাণ্ড এ জনপ্রিয়
    মহাযান চীন জাপান কোরিয়া
    বজ্রযান মূলত তিব্বত (এখানে অতীশ দীপঙ্করের কথা আসবে)
    দলাই লামা বজ্রযানী (বজ্রযান আসলে মহাযানের এক প‍্রকারভেদ) বা আরো একটু ভেবে দেখলে হয়ত Dzogchen মহামুদ্রা অনুসরণ করেন, যেখানে মন ধ‍্যানের লক্ষ‍্যবস্তু এবং substrate consciousness বা রিগপা (rigpa), গভীর অন্তর্চেতনা, তার প্রতি ধ‍্যান দেওয়া হয়। তিব্বত, সিকিম ভূটানের লাদাখের মনাস্টরিতে দেখবেন গুরু পদ্মসম্ভবের মূর্তি। সেখানে বুদ্ধ সামন্তভদ্র রূপে উপাসিত। 
    তিব্বতী বজ্রযান Dzogchen tradition এ যেখানে substrate consciousness এর উপাসনা করা হয়, সেখানে নিদ্রা, স্বপ্ন আর মৃত‍ু‍্যুর একটা continuum মত রয়েছে। এদের আইডিয়া, আমরা ঘুমের মধ‍্যে আমাদের "মনের" গভীরতম অবস্থায় চেতনার এক স্তরে প্রবেশ করি, যাকে substrate consciousness বলা যেতে, একেবারে প্রাথমিক স্তর, যেখান থেকে চেতনার উন্মেষ। মৃতু‍্যর সময়টায় সেইরকম একটি অবস্থা হয়। যাইহোক, এই তিব্বতী Dzogchen প্রথা অনুযায়ী, মৃতু‍্যর পর ৪০ দিন মানুষের "চেতনা"র একটা অস্তিত্বের ব‍্যাপার থাকে, এই সময়টাকে বারদো বলা হয় (bardo)। এ নিয়ে কিছু লেখালিখি হয়েছে, যেমন rainbow body বলে একটা ব‍্যাপার আছে, যেটা নিয়ে  তিব্বতী সন্ন‍্যাসীদের (কয়েকটি কেসে) death declaration নিয়ে ডাকতারদের সমস‍্যায় পড়তে হয়েছিল। 
    যাইহোক, এ বুদ্ধবাদের আরেকটি জটিল দিক। 
     
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:ccc6:4744:fa01:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ০২:১৯745363
  • "আরও বিস্তারে গেলে, অপরূপ সুন্দর মহাবিশ্বের সমস্ত কিছুতেই। কারণ এত সুন্দর জগৎ সৃষ্টি করে তাকে ছেড়ে থাকতে পারেন নি"
     
    তার মানে ঈশ্বর আর জগৎ ভিন্ন, পৃথক, এই কথা বলছেন?
    যে কারণে জগতের সমস্ত ব‍্যাপার objectively চর্চা করা যেতে পারে, কারণ ঈশ্বর জগৎ থেকে সরে গিয়ে ঐভাবে জগৎ সৃষ্টি করেছেন, তাই না?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ০২:৩২745364
  • জগৎ যদি একটা এক্সপেরিমেন্ট হয়, গ্র‌্যান্ড এক্সপেরিমেন্ট, তাহলে সেটা তো সেট করতে হয়েছে, তারপরে চালু করতে হয়েছে। কীভাবে এই সিস্টেম ইভলভ করছে তা অবজার্ভ করতে গেলে তো বাইরে থেকেই করতে হবে।
    (এইভাবে কইলে জিনিসটা হয়ে দাঁড়ায় এক্সপেরিমেন্ট হাইপোথিসিস। আমাদের নিজেদের সাধ্য ও কল্পনামতন যা নিজেরা করতে পারি, সেইটাকে এক্সপ্যান্ড করে জগতে প্রোজেক্ট করা। কিন্তু জগৎ তো তা নয়! :-)  )
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:9cb7:e375:c4ef:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ০৩:১৮745365
  • এই 'বার্দো' জিনিষটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। বার্দো আসলে ট্রান্জিশন। ইয়োঙ্গে মিংইয়ুর রিনপোচের 'ইন লাভ উইথ দ্য ওয়র্ল্ড' বইতে পড়েছিলাম সর্বমোট ছ রকমের বার্দো আছে। বার্দো অভ লাইফ, ড্রিমস (অরিন লান যেমন বললেন), মেডিটেশন, বার্দো অভ ডেথ, ধর্মতা আর বিকামিং। রিনপোচে এই বইতে ওঁর নিজের নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স ব্যাখ্যা করেছেন খুব বিশদে। খুব ভালো লেগেছিলো বইটা। স্বভাবের খোঁচানোতে আমি নিজে অল্পস্বল্প বার্দো মেডিটেশন প্র্যাকটিসও করেছিলাম। মৃত্যু ও মৃত্যুভয় সম্পর্কে বেশ ক্লিয়ার একটা ছবি অনুভব করা যায়। ভালো লাগে। তবে বার্দো প্র্য্যাকটিস অনেক জটিল ও সময় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ করা উচিৎ। সেই কারণেই ঐ অল্পস্বল্পের বেশি আর এগোনো হয়নি। তবে লিস্টে আছে।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:3aba:f8ff:fe54:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ০৪:২৬745366
  • "বার্দো আসলে ট্রান্জিশন"
     
    টিবেটান বুক অফ দা ডেড (বার্দো থডোল ) এর একটা লিংক দিলাম ,  কারো ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন 
     
     
    kk আপনার অভিজ্ঞতা  নিয়ে আরেকটু লিখুন যদি ইচ্ছে হয় । 
     
  • Ranjan Roy | ২১ জুলাই ২০২৫ ১০:২২745367
  • খুব আগ্রহ নিয়ে সবার কথা শুনছি l
  • Apu | 14.194.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ১০:৫৬745368
  • আরে আমি তো খাই .বুদ্ধ দেবের কথা বলেছিলাম .
     
    কচুর শাক দিয়ে ইলিশ কোন কথা হবে না 
  • Apu | 14.194.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ১১:১৩745369
  • অরিন দার কাছে একটা জিনিস জানাতে চাইছি :-
     
     
    আমি যা শুনেছি হিন্দু ধর্মের ব্যবহারিক দিক টা বেশি হাওয়ায় যাগ ব্রাহ্মণ কে দান টান এ সবে র জন্যে অনেক লোক হিন্দু ধর্ম ছেড়ে  রিলেটিভলি সহজ সরল বৌদ্ধ ধর্মের দিকে লোকে ঝুঁকতে থাকে .
     
    তারপরে লোক কে আবার হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার জন্যে শঙ্করাচার্য্য এই প্রথাগুলো কে কাট ছাঁট করে আরো ইউজার ফ্রেণ্ডলি করেন । ওনার উদ্দেশ্য অনেকাংশে সফল হয় । 
     
    কিন্তু মূল জায়গায় বুদ্ধদেব এবং শঙ্করাচার্য্য কিন্তু একই সুরে বাঁধা । 
    এই জায়গা  টা একটু বুঝিয়ে বলবে অরিন দা? 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:ccc6:4744:fa01:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ১২:১৩745370
  • বাপু অপু, এসমস্ত প্রশ্ন আমার সিলেবাসের বাইরে, রঞ্জনবাবু  ভাল বলতে পারবেন। 
  • অপু | 2402:3a80:1cd3:f37b:478:5634:1232:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ১৯:৫৯745371
  • অবিনশ্বর নিয়ে কেকে, অরিন দা,আটোজ এবং উত্তরের লেখা পড়লাম। ভালো লাগলো।
     
    আটোজ, একটু ফিজিক্সের আলোকে অবিনশ্বর  কে কি ব্যাখ্যা করবে?  
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:fd61:afcc:141a:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ২০:৫৬745373
  • "kk আপনার অভিজ্ঞতা  নিয়ে আরেকটু লিখুন যদি ইচ্ছে হয় । "
     
    লিখবো হয়তো কোনোদিন। ঠিকঠাক শব্দ খুঁজে পেলে।

    চীনদেশে বৌদ্ধধর্মের প্রচার ও প্রসার নিয়ে কোনো লেখাপত্র সাজেস্ট করবেন কেউ? এই নিয়ে একটু জানতে চাই।
  • Ranjan Roy | ২২ জুলাই ২০২৫ ০০:৪৫745374
  • শংকরাচার্যকে নি অনেক মিথ পরে তৈরি হয়েছে।
     
    যেমন ১ উনি বড় বড় বৌদ্ধ দার্শনিককে তর্কে হারিয়ে হিন্দু মত প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলোর কোন তথ্যগত বা ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।  
    বরং তাঁর এক শতাব্দী আগে জন্মে কুমারিল ভট্ট বৌদ্ধ দার্শনিকদের সঙ্গে তর্কে মেতেছিলেন।
                  ২ শংকরাচার্যের কিছু যুক্তি বৌদ্ধ দার্শনিক নাগার্জুনের শূন্যবাদের থেকে নেয়া। 
    কিন্তু মূলতঃ শংকর আর বৌদ্ধমত একদম আলাদা যা আগেই লিখেছি।
     
    শংকর আত্মবাদী, বৌদ্ধমত অনাত্মবাদী।
    শংকর শাশ্বত সত্যে বিশ্বাস করেন। 
    বৌদ্ধমত বলে--কোন কিছুই শাশ্বত নয়, সব ক্ষণিক।
    শংকরের মত এই জগত মিথ্যা, অবিদ্যাজনিত ভ্রমের ফসল
    বুদ্ধের মতে-- এই জগত সত্য, কিন্তু দুঃখময়। অলীক নয়। তাই বুদ্ধ প্রচার করেছেন সদ্ধর্ম--সদাচরণের বিভিন্ন স্টেপ, যাতে মানুষ এই জীবনে দুঃখের থেকে মুক্তি পেতে পারে।
    বুদ্ধ মতে এই কোন ঈশ্বর এই ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেন নি।।
     
    বুদ্ধের শিষ্যরা এসেছিলেন প্রধানতঃ ক্ষত্রিয়  এবং বণিক বর্গের থেকে। এছাড়া অবশ্যই দলিতদের থেকে।
    শংকরাচার্য বর্ণাশ্রম মানতেন। শূদ্রের বেদপাঠে অধিকার নেই-- মনুর এই নিদান মানতেন/
    ওঁর ম্যাগনাম ওপাস ব্রহ্মসূত্রের প্রথম ভাগের প্রথম অধ্যায় পড়লেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট উক্তি দেখা যায়।
     
    বৌদ্ধধর্ম জাতিভেদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। এটাই সাধারণ মানুষের কাছে এর  প্রধান আবেদন।'
     
    ভারত বর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্ম কেন বিলুপ্ত হল তার অনেকগুলো কারণ আছে। আর্থিক সামাজিক পরিবর্তন একটা বড় ফ্যাক্টর। এ নিয়ে অনেক রিসার্চ বইপত্তর বেরিয়েছে।
     
    শংকরাচার্যের মঠের জৌলুস বাড়ে ওঁর তিরোধানের প্রায় দুই শতাব্দী পরে, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতা পাবার পর। 
     
    আর একটা কথা।
    ৯০% হিন্দু শংকরাচারযের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালেও কেউই শংকরের পথ অদ্বৈত বেদান্ত বা নিরাকার ব্রহ্মের সাধনা করে না। সবাই সাকার ব্রহ্মের উপাসক। 
    শংকর জ্ঞানমার্গের প্রচারক।
    রামানুজের সঙ্গে ব্রহ্মসূত্র নিয়ে বিতর্কে খোলাখুলি বলেন যে জ্ঞান ছাড়া মুক্তি সম্ভব নয়। শুধু ভক্তিতে কিছু হবে না। অন্যদিকে রামানুজাচার্য (বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ) বলেন --ভক্তি যথেষ্ট, জ্ঞানমার্গ সবার জন্যে নয়।
    রামকৃষ্ণদেব বলেন-- কলিযুগে নারদীয় ভক্তিই একমাত্র মুক্তির পথ (কথামৃত)। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:9ddd:257f:2df5:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০১:১৬745375
  • "চীনদেশে বৌদ্ধধর্মের প্রচার ও প্রসার নিয়ে কোনো লেখাপত্র সাজেস্ট করবেন কেউ? এই নিয়ে একটু জানতে চাই।"
     
    আগ বাড়িয়ে লেখা হয়ত ঠিক হল না, তবে আপনি যদি তিয়ানতান, pure land Buddhism, যোগাচার ইত‍্যাদির প্রসার ও উদ্ভব নিয়ে আগ্রহী থাকেন, রেড পাইন (বিল পোর্টারের) লেখাপত্র পড়ে দেখতে পারেন। চীনা বুদ্ধধর্ম নয়, তব্ে এনার প্রজ্ঞাপারমিতা হৃদয় সূত্র নিয়ে কমেন্টারী সবিশেষ প্রণিধানযোগ‍্য। 
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:fd61:afcc:141a:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০৩:৪৫745376
  • ধন্যবাদ অরিনবাবু। আমি খুঁজে দেখবো।
  • &/ | 107.77.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০৬:৩২745377
  • কিন্তু জাতিবর্ণ  কি  লোপ হযেছিল ? বৈশ্য বণিকরা বৈশ্যই  তো  রইলেন , ক্ষত্রিয়  রাজারা  তো ক্ষত্রিয়ই  রইলেন !!
  • :|: | 2607:fb91:8811:8288:30b2:f52d:2b06:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০৭:১০745378
  • "শংকর জ্ঞানমার্গের প্রচারক। রামানুজের সঙ্গে ব্রহ্মসূত্র নিয়ে বিতর্কে খোলাখুলি বলেন যে ...।"
    ইম্পসিবল! উইকি অনুসারে শঙ্করের জন্ম ৭০০ নাগাদ আর মৃত্যু ৭৫০ নাগাদ। আর রামানুজের সময় ১০১৭  থেকে ১১৩৭। তাই ওঁদের বিতর্ক অসম্ভব। 
  • :|: | 2607:fb91:8811:8288:30b2:f52d:2b06:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০৭:২২745379
  • টইয়ের দ্বিতীয় পোস্টেই নাম দেখে ঘাবড়ে গেলুম। না: বুদ্ধিজম একেবারেই আমার কাপের চা নয়। (নাকি চায়ের কাপ নয়-টা বেশী ঠিক?) এতো মত জড়িয়ে আছে ... 
    যেমন বৌদ্ধ ধর্ম ​​​​​​​মূলত ​​​​​​​নিরীশ্বর ​​​​​​​হলেও তিব্বতী ​​​​​​​বৌদ্ধদের ​​​​​​​প্রচুর ​​​​​​​দেবদেবী। ​​​​​​​স্বয়ং ​​​​​​​বুদ্ধ গৌতমকেই ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​যখন ​​​​​​​জিজ্ঞাসা ​​​​​​​করা ​​​​​​​হয়েছিলো ​​​​​​​ঈশ্বর ​​​​​​​কি ​​​​​​​আছেন? ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​প্রতিপ্রশ্ন ​​​​​​​করেন ​​​​​​​আমি ​​​​​​​কি ​​​​​​​বলেছি ​​​​​​​আছেন? ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​প্রশ্ন ​​​​​​​কর্তা জানতে ​​​​​​​চান ​​​​​​​তবে ​​​​​​​কি তিনি ​​​​​​​নাই? ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​বুদ্ধ ​​​​​​​বলেন ​​​​​​​আমি ​​​​​​​কি বলেছি ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​নেই? ​​​​​​​লাও! 
    বৌদ্ধ ​​​​​​​ধর্ম ​​​​​​​খুবই ​​​​​​​সুন্দর ​​​​​​​করে ​​​​​​​মরাল এথিক্যাল ​​​​​​​ফাউন্ডেশনটা তৈরী করে দেয় -- সেটি ওই চার আর আট দিয়ে হয়। ওগুলো হলে পরের ধাপ স্পিরিচুয়াল লিভিং। সেটার জন্য ... না: সেজন্য এই টই না। 
  • অরিন  | 132.18.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৬745380
  • kk, এটা পড়ে দেখতে পারেন 
    কাজ না করলে এখান থেকে নামিয়ে নিন 
     
     
    @:|:, "যেমন বৌদ্ধ ধর্ম মূলত ​​​​​​​নিরীশ্বর ​​​​​​​হলেও তিব্বতী ​​​​​​​বৌদ্ধদের ​​​​​​​প্রচুর ​​​​​​​দেবদেবী"
     
    এই সব "দেবদেবীর" সঙ্গে হিন্দু বা ক্রিশ্চিয়ান দেবী বা দেবতার বা যাকে বলে পার্সোনাল গড তার কোন সম্বন্ধ মনে হয় নেই | 
    বৌদ্ধ ধর্মের সৃষ্টিকর্তা বা  পালনকর্তা ঈশ্বর এর কোন ধারণা আছে বলে মনে হয়না। 
     
    "​​​​​​​খুবই ​​​​​​​সুন্দর ​​​​​​​করে ​​​​​​​মরাল এথিক্যাল ​​​​​​​ফাউন্ডেশনটা তৈরী করে দেয় -- সেটি ওই চার আর আট দিয়ে হয়"
     
    সেটা তো একটা দিক মাত্র | আরো আছে | যেমন 
     
    বৌদ্ধধর্মের ব্রহ্মবিহার (মেত্তা (মৈত্রী ), করুণা , মুদিতা (পরের সুখে আনন্দলাভ ), উপেক্ষা (সুখে দুঃখে উদাসীন থাকা ) 
    দশ পারমি (link3 )
     
     
    @&/," কিন্তু জাতিবর্ণ  কি  লোপ হযেছিল ? বৈশ্য বণিকরা বৈশ্যই  তো  রইলেন , ক্ষত্রিয়  রাজারা  তো ক্ষত্রিয়ই  রইলেন !!"
     
    তার সঙ্গে বুদ্ধের উপদেশ বা বৌদ্ধধর্মের কি সম্পর্ক ?
  • Apu | 14.194.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৫ ০৯:৩৭745381
  • হিন্দু ধর্মের সাথে বৌদ্ধ ধর্মের বড় তফাৎ হল সঙ্ঘের 
     
    অনেক গুলো এক মানসিকতা সম্পন্ন লোক এক সাথে থেকে ধর্মের রীতিনীতি পালন করছেন 
    অনেক টা প্রাচীন কালে গুরু গৃহে থেকে শিক্ষা লাভ করার সাথে মিল পাওয়া যায় 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন