এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  সমাজ

  • নয়া বাংলাস্তান (২)!

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২৭১ বার পঠিত
  • ছাত্রবিপ্লবপরবর্তী বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করলেন হুমায়ূন কবীর। শান্তির পায়রার হাতে বাংলাদেশ যে একেবারে শান্তির নীড়ে পরিণত হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই!
    আগ্রহী হলে পড়তে পারেন।
    -------

    সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে যাঁরা থাকেন, খুব সাবধানে থাকবেন।
    আপনারা আমার প্রফাইল ঘুরলে দেখবেন, বেশ কিছুদিন ধরে দেশে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটা অপরাধ আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি, বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।

    স্বাভাবিকভাবেই কেউ যদি একটা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন পড়ে থাকে, উক্ত বিষয়ে তার জ্ঞান অন্যান্যদের চেয়ে কিছুটা বেশিই হবে।

    এই কদিনের বিশ্লেষণে আমি এক ভয়াবহ ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। ব্যাপারটা এতটাই এলার্মিং আর সেন্সিটিভ যে, আমি তা প্রকাশ্যে বলতেও পারব না। আবার পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে বলাটাও ঠিক হবে না।

    তবে এতটুকু নিশ্চিত থাকেন যে, আগামী কিছুদিন বড় বড় শহরগুলোতে অপরাধপ্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাবে। এখনই যা অবস্থা, এরচেয়ে আরও বাড়লে কি হবে তা কি আপনারা ভাবতে পারছেন?

    আপাতত আমি আপনাদের কিছু পরামর্শ দিতে পারি নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগটা নিয়ে পড়ে আছি, আবার সম্প্রতি নিজে একটা ছিনতাইয়ের শিকার হলাম, তাই মোটামুটি আমার পরামর্শগুলো চোখ বন্ধ করে মেনে চলতে পারেন। লাভ না হলেও অন্তত ক্ষতি হবে না, এতটুকু বলতে পারি।

    ১. সন্ধ্যের পর খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে বের হবেন না।

    ২. রাতে দরজা, জানালা খুব ভালোভাবে চেক করে নেবেন, বন্ধ করেছেন কি না। দরজা বা জানালা কিংবা বারান্দায় দূর্বল কোনো স্ট্রাকচার থাকলে তা মেরামত করে নিন। ভালো সিকিউরিটিযুক্ত বাসায় থাকলে আপনার জানালা এবং বারান্দা সিকিউর করুন।

    ৩. এক দুই হাজারের বেশি ক্যাশ টাকা নিয়ে দিনে বা রাতে বাইরে হাঁটবেন না, সেটা যত স্বল্প দূরত্বেরই হোক না কেন। মোটামুটি পাঁচ হাজার টাকা পকেটে থাকলেও ওরা সামহাউ টের পেয়ে যায়।

    ৪. আপনার ব্যাংক কার্ড একান্তই প্রয়োজন না হলে সাথে রাখবেন না। কার্ডে যদি এনএফসি সার্ভিস এনাবল করা থাকে তবে ব্যাংকে কল করে তা বন্ধ করে নিন।
    (এনএফসি হলো 'নিয়ার ফিল্ড কমুনিকেশন'। অনেকসময় দেখবেন, সুপারশপগুলোয় কেনাকাটা করার পর কিছু কিছু কার্ড জাস্ট পস মেশিনে টাচ করলেই পেমেন্ট হয়ে যায়। এটাই এনএফসি। ব্যাংকগুলো কার্ডে ডিফল্ট এনএফসি এনেবলড করে দেয় এখন। এটা ব্যাংকে কল করে বন্ধ করা যায় চাইলে)।

    ৫. দামী ফোন, ল্যাপটপ, প্যাড, ক্যামেরা বা অন্য কোনো দামী ডিভাইস নিয়ে বের হবেন না। আপাতত এগুলো বাসায় সিকিওরড জায়গায় রাখুন। 

    ৬. মহিলারা দামী হোক, কমদামী হোক, কোনো গহনা পরে বের হবেন না। বিশেষ করে নাক এবং কানে তো নাই। নাক এবং কান ছিঁড়ে  নিয়ে যাবার অসংখ্য রেকর্ড আছে।

    ৭. রাস্তায় ফোন বের করে টেপাটেপি করবেন না বা কথা বলবেন না।

    ৮. বাসে উঠলে জানালার পাশে না বসার চেষ্টা করবেন। জানালার পাশ বসুন বা না বসুন, পকেট থেকে ফোন বের করবেন না খবরদার। 
    প্রাইভেট কারে থাকলে কারের জানালা বন্ধ রাখুন, একটুও ফাঁকা রাখবেন না।
    উবারে এ্যাপ থেকে কল দিয়ে যাবেন, ভুলেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু লোক দামাদামি করে, ওদের সাথে রাইড নেবেন না।

    ৯. সিএনজিতে উঠলেও ফোন, ব্যাগ সাবধানে রাখুন। সিএনজির  পর্দা কেটে ছিনতাই করতে দেখা গেছে অনেকগুলো।

    ১০. অপরচিত কারও সাথে একদম কথা বলবেন না।

    ১১. অপেক্ষাকৃত নির্জন রাস্তা দিয়ে কোনোভাবেই একা একা যাবেন না।

    ১২. যদি মনে  হয় কেউ আপনাকে ফলো করছে, মানসম্মানের ভয় না করে দৌড়ে কোনো জনসমাগমে চলে যান। 

    ১৩. ছিনতাইকারীরা আপনার ব্যাগ, পার্স, ডিভাইস বা মালামাল নিয়ে টানাটানি করলে ছেড়ে দিন। জোর করতে যাবেন না। ওরা আপনাকে মেরে ফেলতে এক সেকেন্ডও ভাবে না। ওরা মানুষ না। আপনার জিনিসের চাইতে আপনার জীবন মূল্যবান। বেঁচে থাকলে আবারও জিনিস ক্রয় করতে পারবেন।

    ১৪. কোনো ছিনতাইকারী আপনাকে ছিনতাই করে পালানোর সময় যদি তাকে চিনে ফেলেন, তবে ভুলেও বলতে যাবেন না, অমুক, তুই এই কাজ করলি? আপনি চিনে ফেলামাত্রই ওরা আপনাকে মেরে ফেলবে।

    ১৫. চিৎকার করে লোক ডেকে বা ৯৯৯ এ ফোন করে কোনো লাভ নেই। আমি নিজে এসব করে দেখেছি, কেউ আসে না। সবাই নীরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দেখে শুধু।

    ১৬. রাস্তায় পেছন থেকে কেউ ডাক দিলে পরিচিত কি না, তা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে সাড়া দেবেন না।
    তেমনি রাতের বেলা বাসার দরজায় কেউ নক করলেও পরিচিত নিশ্চিত না হয়ে দরজা খুলবেন না।

    ১৭. অনেকদিন বাসায় না থাকলে অন্তত একটা বাতি জ্বালিয়ে রেখে যাবেন। একটানা কয়েক রাত কোনো বাসায় বাতি না জ্বললে চোররা উক্ত বাসাকে টার্গেট করে, ঢোকার চেষ্টা করে। 
    এখন বাজারে কিছু স্মার্ট ডিভাইস পাওয়া যায়, যা বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাসায় সেট করলে দূর থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে বাতি জ্বালানো নেভানো যায়। বাসার বাইরে থাকলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মাঝে মাঝে বাতি জ্বালাবেন, নেভাবেন। এতে চোর ছিনতাইকারীরা ভাববে, বাসায় কেউ আছে।

    ১৮. আপাতত এই পয়েন্টটাই লাস্ট। এটা ইচ্ছে করেই লাস্টে রেখেছি। এই পয়েন্ট অনেকে মানতে চাইবেন না, কেউ কেউ হেসে উড়িয়ে দেবেন, আবার কারও কারও কাছে ব্যাপারটা বিতর্কিত মনে হতে পারে-

    "আপনার বাসা যদি ঢাকা বা বড় কোনো শহরে অপেক্ষাকৃত কম সিকিউরিটিযুক্ত এলাকায় হয় এবং আপনার বাসায় দেখতে মোটামুটি সুন্দর কোনো মেয়েলোক থাকে কিংবা মাঝবয়েসী থেকে অল্পবয়সী কোনো মেয়ে থাকে, আমার মতে আপাতত তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা আপনার সাধ্যে কুলোয়, করেন। চুরি বা ছিনতাইয়ের সময় এরাও টার্গেট থাকে। মনে রাখবেন, আপনি চিৎকার করে মরে গেলেও পাশের বাসা থেকে একজনও বেরিয়ে আসবে না। সবাই বরং দরজা জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেবে।"
    ¥₯
    লাস্ট পয়েন্টটা আমার বাড়াবাড়ি নয়। সম্প্রতি এমন ঘটনা দুয়েকটা ঘটতে দেখা গেছে।

    আরেকটা কথা, রাতের বেলা দূর পাল্লার বাস, কার বা ট্রেন জার্নি করা থেকে বিরত থাকুন পারলে। 

    এই পয়েন্টগুলো গত বেশ কিছুদিনের অপরাধের প্যাটার্ন এনালাইসিস করে লেখা। এর বাইরেও হয়তো অপরাধীরা অন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে কিংবা ভবিষ্যতে আরও অভিনব কিছু পদ্ধতি ওরা বের করবে। তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

    উপরোক্ত কথাগুলো আমি কাউকে আতংকিত করার জন্য বলিনি। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ঘটনা শেয়ার করলাম। এতে যদি একজনও উপকৃত হয়, এটাও বা কম কি!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:198d:c243:778:5634:1232:***:*** | ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৬744647
  • বাংলাদেশ নিয়ে হতাশ হওয়ার আসলে কিছু নেই। একটা স্বঘোষিত মুসলিম দেশ হিসেবে সে তার গন্তব্যেই যাচ্ছে। দুই ভাই আগে একসঙ্গে ছিল। এখন আলাদা খায়। এটাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান। 

    রাগ অভিমান থেকে বলছি না। আমি নতুন করে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সালের ডাইরি জার্নাল স্মৃতিকথা জোগাড় করে পড়ছি। এসব পড়েই এটা আমার মনে হয়েছে। 

    মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে "মঙ্গল" বাদ দেয়াটাই তো প্রত্যাশিত। বাঙালি মুসলমান বলতে আসলে কিছু হয় না। এরা শুধু "বাংলাভাষী মুসলমান"। নইলে মঙ্গল শব্দ নিয়ে এদের এতখানি চুলকানি কেন? যে র্যালিকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে সেটা বাতিল করা হয়েছে স্রেফ গা থেকে বাঙালির হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকে বাদ দিতেই। 

    চারুকলা একটি মুসলিম দেশের সঙ্গে মানানসই হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে তাদের পথচলার জন্য অভিনন্দন। তবে "মুসলিম দেশ" আজ হোক কাল হোক ইসলামী শাসনতন্ত্রের দিকে যাবেই।  যেদিন ইসলামী শাসনতন্ত্রের দিকে হাঁটা দেয় তখন আর সবার মত চারুকলার পোঁদে বাঁশ যায়। যে ২০০ ব্যান্ড গিটার বাজিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে " আনন্দ শোভাযাত্রায়" নাচবে কুদবে তাদের গিটারগুলোর পরিণতি হবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আলাউদ্দিন সংগীতালয়ের মত! 

    ঠিক পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ। এটাই হওয়ার কথা ছিল। একদিনে এটা হয়নি। অনেক দিন ধরে রাজনীতির লাভ ক্ষতির হিসাব কষে এগুনো হয়েছে। আগের দল মঙ্গল শোভাযাত্রা তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য তাড়া দিত। বিকাল পাঁচটার মধ্যে ঘরে ফেরার জন্য থ্রেট দিতো। আরেকদল এবার মঙ্গল শোভাযাত্রাকেই খেয়ে দিয়েছে। বৈশাখকে মুসলমানী কারাচ্ছে। এরপর শুরু হবে পুরোপুরি বাতিল করে হিযরী নববর্ষ পালন! 

    পৃথিবীর অনেক বর্ণমালা আরবি হরফের কারণে মুছে গেছে। ইসলামী খিলাফতের এই অবদান নিয়ে পন্ডিতরা কিছু লেখে না। বাঙালি হিন্দু বৌদ্ধরা না থাকলে তিনশো বছরের মুসলিম শাসনে বহু আগেই বাংলা হরফ হারিয়ে যেতো। সুলতানী আমলের মুসলিম শাসকরা বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল সেটা কবিরা বাংলা চর্চা করতো বলেই। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কবিরা বাংলায় লিখেছিল তাই বাংলা হরফ টিকে ছিল। বাঙালি হিন্দু বৌদ্ধ না থাকলে বাংলা ক্যালেন্ডারও অনেক আগেই জাদুঘরে থাকতো। আমি কি ভুল বলেছি? বললে যুক্তি প্রমাণ দিয়ে সেটা প্রমাণ না করে দেখাবেন। 

    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • দীপ | 2401:4900:3a1c:ed82:9bc1:5d0e:3330:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১৪744660
  • উস্কানি দিলে, ভুল বোঝালে এক পরিবারের মধ্যে ভাইয়ে ভাইয়ে লাঠালাঠি হয় সেখানে হিন্দু মুসলমান। কই এত যে ঝামেলা হচ্ছে আমার সাথে আমার যে সব মুসলমান বন্ধু আছে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে? আসলে আমাদের বন্ধুত্ব বহুবার বলেছি  জাত দেখে না, মানসিকতায়। দুই জনের শিক্ষা সংস্কৃতি প্রায় এক হলে সেখানে জাতের কথা আসেনা। এখন কেউ যদি উস্কানি দেয়, ভুল বোঝায়, শিক্ষা মানুষ কে বিশ্লেষণ করতে শেখায়। কাকে কান নিয়ে গেছে বললেই আমি কাকের পিছনে দৌড়াবো না যুক্তি দিয়ে বিচার না করে। এই শিক্ষা কিন্তু চারটে বই পড়ার শিক্ষা না। যুক্তির শিক্ষা। নইলে প্রচুর প্রচুর অতি শিক্ষিত মানুষ পাবেন যারা ভয়ংকর রকমের সাম্প্রদায়িক। যুক্তি একদিনে 
    মানুষের আসেনা। আপনি শিক্ষা কে ভালো দিকেও চালিত করতে পারেন আবার বাজে দিকেও। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ যুক্তি দিয়ে বুঝতে গেলেও শিক্ষা দরকার। তারপর আপনার হাতে কোনটা করবেন। আচ্ছা আপনি ২০২৫ সালে এসেও যদি হিন্দু মুসলমান কেনো শান্তিতে বাস করতে পারছে না যুক্তি দিয়ে না বুঝতে চান সেটা আপনার দৈন্যতা। গাজা নিয়ে রোজ কিছু মুসলমানের কান্না দেখি, আল্লাহ নাকি বাঁচাবে! বাঁচিয়েছে? না। কাল যেসব হিন্দু প্রাণ ভয়ে কাঁদতে  কাঁদতে মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়েছে রাম কিংবা হনুমান বাঁচিয়েছে? না। ধর্মীয় উস্কানি শিক্ষিতরা অশিক্ষিতদের দিয়েছে।ফলাফল এই। পাশের বাংলাদেশ দেখুন, হিন্দু কাটছে মুসলমান, আওয়ামি লিগের লোকজন মুসলমান হলেও ছাড় পাচ্ছে না। প্রকাশ্য রাস্তায় বেঁধে মারতে মারতে খুন করছে। দিকে দিকে আল্লাহ হু আকবর ধ্বনি উঠছে। এই দেশেও জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষ মারা হয়েছে। তাকিয়ে দেখুন যারাই এগুলো করছে, আপনি জনতা বললেও এদের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। শিক্ষা নেই, পরিবারে ইনকাম নেই, ছোট থেকেই পরিবারে হিংসা দেখে বড় হয়েছে। এদের বেশিরভাগ দিনে আনে দিনে খায়। এরা যুক্তির ধারে কাছে দিয়েও যায় না। এই সোনার খনি কে কিছু শিক্ষিত, কিছু ধর্মগুরু আর সব রাজনৈতিক দল ব্রেন ওয়াশ করে দিনের পর দিন। তারপর এদের ছেড়ে দেওয়া হয় ধর্মের নামে জিগির দিতে, দাঙ্গা করতে। সবথেকে সফ্ট টার্গেট ১৫ - ১৮ বছরের ছেলে মেয়ে। এই বয়সে ভাঙচুর করবো, অন্য কে পেটাবো এই উত্তেজনার হরমোন এমনিতেই ক্ষরিত হয় বেশি। সেটাকে ভাঙায় ওই সব লোকেরা। ভারতবর্ষের কোন রাজনৈতিক দল নেই যারা হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেনি, কোন ধর্মগুরু বর্তমানে নেই যারা এই বিভেদে উস্কানি দেয়নি। এরা পরিচিত গণশত্রু। কিন্তু  সব থেকে ভয়ঙ্কর শিক্ষিত কিছু লোকজন। মনের দিক থেকে ১০০% সাম্প্রদায়িক এরা। কাদের কথা বলছি, আপনার যুক্তি, বোধ থাকলে নিজেরাই বুঝতে পারবেন। এদের মধ্যে মুসলমান আছে, যারা মুসলমানের দোষ দেখতেই পায়না। খুঁজে খুঁজে এমন ভিডিও, লেখা শেয়ার করবে সেটা যতই আজগুবি হোক না  তার স্বপক্ষে কুযুক্তি খাড়া করবে। অবিকল এক হিন্দু। বেছে বেছে ঠিক সেগুলো নিয়েই চর্চা করবে যেখানে মুসলমানের মৌলবাদ দগদগে দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে পরিচিত কিছু দলদাস আছে। এদের কোন কিছুর মধ্যেই রাখা যায় না। নেতা যা হাগে সকাল সকাল সে সব খেয়ে ময়দানে নেমে পরে। সব শেষে বলবো হিন্দু মৌলবাদ ভয়ংকর হলেও ইসলামিক মৌলবাদ বেশি হিংস্র। আপনি যুক্তি দিয়ে বিচার করুন দুটি ধর্মের উৎপত্তি, ব্যাপ্তি, ইতিহাস, সময়কাল নিজেই বুঝে যাবেন। একজন হিন্দু অনায়াসে বলে, নবদ্বীপের খেয়া ঘাটে চৈতন্য মুরগি কাটে কিংবা মা কালী কে বলে মশা ধরে রক্ত খেতে, বাকিরা বড়জোর হাসে কিন্তু এর জন্য প্রাণ নেবার কথা ভাবে না। কিন্তু নবীর সম্পর্কে বলুন, শিক্ষিত মুসলমানও প্রাণ নেবার জন্য ছুটে আসবে। হাতের সামনে তসলিমা, রুশেদি উদাহরণ।  এর জন্যে রকেট সাইন্স বুঝতে হয় না। কিছু করার নেই কারণ দুটো ধর্মের বেসিস ই আলাদা। তাই বলে মুসলমান যে খুব ধর্ম মেনে চলে তা না। হরেক অসামাজিক কাজ যা তাদের ধর্মে গুনাহ দিব্যি চালায়। সামান্য উস্কানি পেলেই ঝাঁপিয়ে পরে। হিন্দু কোন কালেই খুব ধার্মিক না। এরাও  যথেষ্ট অপরাধ করে ধর্মের নামে।প্রচুর কুসংস্কার আছে। তবে হিন্দু যেহেতু কখনোই একটা বিশেষ ধর্ম না, হাজার ভেদাভেদ, জাতপাত, শ্রেণীবিভাগ বিভক্ত, সহজে মুসলমানদের মত এককাট্টা হতে পারে না। মুসলমান সমাজেও জাত পাত আছে, ধনীর গরিব শোষণ আছে কিন্তু এক ডাকে সবাই হাজির হয়ে যায়। সেই ডাক আদৌ যুক্তির না কুযুক্তির বিচার করে না। যুক্তি যেখানে চলে না সেখানে রাজনীতির লোকজন, ধর্মগুরুর দল, মতলবী শিক্ষিত কী হিন্দু কী মুসলমান খুবলে খাবেই। এই মারামারি, তারপর শান্তি তারপর আবার মারামারি চলতেই থাকবে। বোঝাবে কে? শিক্ষকেরা। তাই শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। পাঠশালা বন্ধ থাকলে এসব চলবেই অনন্ত কাল ধরে।
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2402:3a80:1989:8afd:578:5634:1232:***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩১744664
  • বাংলাদেশের স্বনামধন্য কবি রফিক আজাদের বাড়ি ভেঙে ফেলেছে ইউনুস সরকার। ইউরোপে  দেখেছি শিল্পী সাহিত্যিক বিজ্ঞানী দার্শনিকদের বাড়ির সামনে প্লেট লাগানো থাকে, লেখা থাকে এইখানে এই গুণী মানুষ  এত সাল থেকে এত সাল পর্যন্ত  বাস করেছেন। সেই কবির রাজনৈতিক মত কী ছিল, তা বিচার্য নয়। সব সরকারই গুণী মানুষদের সম্মান করেন। ইউরোপ সভ্য। যেসব দেশ সভ্য নয়, সেসব দেশ চেষ্টা করে সভ্য হতে। কিন্তু আমার দেশ অসভ্য থেকে অসভ্যতর হচ্ছে দিন দিন।   কী বুলডোজার সরকার এল দেশে, সব ভেঙে ফেলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর, শিল্পী সাহিত্যিকদের ঘরদোর,হিন্দুদের বাড়িঘর, বিরোধীদলের বাড়িঘর --- কিছুই অক্ষত রাখছে না। এই বুলডোজার সরকারকে যত তাড়াতাড়ি বিদেয় করা যায়,  তত ভাল।
  • দীপ | 2402:3a80:198f:1737:878:5634:1232:***:*** | ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৫744696
  • হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারি কারা হত্যা করেছে। ইউনুস সাহেব কোনও ব্যবস্থাই নেন না হিন্দুর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। তিনি প্রচার করেন হিন্দুরা নাকি বিন্দাস আছে, আর যে খবরগুলো বেরোয় হিন্দু নির্যাতনের, সেসব নাকি মিথ্যে খবর, গুজব খবর, ভারতের বানানো খবর। ইউনুস যদি আরও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকেন, তবে দেশ খুব শীঘ্র হিন্দুশূন্য হবে। হিন্দুদের বাঁচাতে হলে ইউনুসকে গদিচ্যুত করতে হবে।
     
    লিখেছেন তসলিমা নাসরিন।
  • দীপ | 2402:3a80:198d:c4a3:778:5634:1232:***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩১744741
  • বহুদিন আগে একবার ইংল্যান্ড গিয়েছিলাম। শোরব্রিজে হোস্টেল, সেখানে ছিলাম। পাশের পাড়াটাই বাংলাদেশী আর আলজেরিয়দের। অধিকাংশই বেআইনি ভাবে আসা লোকজন, একটা তিনকামরার ফ্ল্যাটে ১৭-১৮ জন করে থাকে। এবার হয়েছে কী, গিয়ে ইস্তক সাদা, হলুদ আর কালো চামড়া দেখে চোখে চড়া পড়ার জোগাড়। পথে, টিউবে, একটু বাদামী চামড়া দেখতে পেলে কেমন ভাই বলে বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করে। তার ওপর ইংরাজি শুনে শুনে কান পচে যাবার জোগাড়। সেই সময় একটা ছেলের সাথে আলাপ হল। কিছুই না, সামনে একটা  দোকানে গেছি সান্ধ্য আহার জোগাড় করতে, দেখি একটা ছেলে, বয়সে আমার চেয়ে তিনচার বছরের ছোটোই হবে, সে ফোনে কাকে একটা খুব করে বাংলায় বোঝাচ্ছে, "এই তো আর কদিন, ভিসা পেলেই তোকে নিয়ে আসব..."
    পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা সারাজীবন থাকেন, তাঁরা বুঝবেন না, ওই অপরিচিত পরিবেশে হঠাৎ কানে বাংলা শুনলে একটা স্বর্গীয় আনন্দ হয়। নিজের ভাষার চেয়ে মধুর কিছু নেই। কাজেই শুনে আমার মনে হল, ছেলেটা কাঁধে তুলে দুপাক ঘুরে নেচে নিই। কাছে গেলাম বললাম, "ভাই, বাঙালী?" সে বললে, "হ্যাঁ ঢাকা, আপনি?"
    "কলকাতা।" তখনও বাংলাদেশের সম্পর্কে একটা রোম্যান্টিক নষ্টালজিয়া মনে বিদ্যমান.... পূর্বপুরুষের মাটি। 
    ছেলেটা একগাল হেসে বলল, "এখানে কী করতে?"
    বললাম, "এই কাজে এসেছি... আপাতত ট্যুরিস্ট ভিসা।"
    ছেলেটা খুব করে, কীভাবে জাস্ট হারিয়ে গিয়ে তারপর টেস্কোতে কাজ জুটিয়ে ওয়ার্ক ভিসা জোগাড় করা যায় তার উপর একটা নাতিদীর্ঘ জ্ঞান দিল।তারপর আরো ঘন্টাখানেক আড্ডা চলল। ভালোই চলছিল, এতটাই, যে হঠাৎ ছেলেটাকে কলকাতার দুর্গাপুজো দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেললাম। 
    ছেলেটার মুখের ভাব পাল্টে গেল।বলল, "হিন্দু? "
    "হ্যাঁ।"
    "আপনাদের মা দুগ্গা তো কুমোরের ঘরে ন্যাংটো থাকে।" কেমন একটা ক্রুরতার সাথে কথাটা বলল ছেলেটি। 
    আমি এবার থমকালাম, বললাম, "তাতে কী?"
    ছেলেটা যা বলল, সেটা ফেসবুকে লেখার যোগ্য না, এবং সেটা দুর্গা নিয়েই।
    আশ্চর্য হয়ে তাড়াতাড়ি সরে এলাম। সাধারণ আধা নাস্তিক, আধা হিন্দু ঘরে বড় হয়েছি, চাইলে ঘুণাক্ষরেও ইস্লাম, তার পয়গম্বর বা অন্য কোনো লেজেন্ড সম্পর্কে তীব্র ঘৃণার সাথে এমন কিছু বলতে পারব না। কিন্তু একটি সাধারণ মুস্লিম ঘরের ছেলের এ কী তীব্র ঘৃণা। মনে পড়ে গেল, এর পূর্বপুরুষদের কারণেই আমার পূর্বপুরুষ স্বাধীনতার সময় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তসলিমাকে বাংলাদেশ কেন কলকাতা ছাড়তে হয়েছে এর ভাইবেরাদরের কারণেই। অথচ এরা কিন্তু কেউ উগ্রপন্থী নয়, সাধারণ মানুষ।

    এই সমাজেই কিন্তু উগ্রপন্থী তৈরী হয়। এবং তাদের থেকে আমাদের যতটা ভয় তার চেয়েও বেশী ভয় ধর্মনিরপেক্ষ বা সংস্কারবাদী মুসলমানের। 

    অথচ এটাই কেউ বুঝতে চান না। কেন কে জানে?

    লিখেছেন সৌরদীপ গুপ্ত।
  • দীপ | 2402:3a80:198f:336d:878:5634:1232:***:*** | ০৪ মে ২০২৫ ২০:৪৮744772
  • আধুনিক প্রগতিশীল বাংলাদেশ!
     
     
  • দীপ | 2402:3a80:198f:4b96:878:5634:1232:***:*** | ১১ মে ২০২৫ ২০:০৭744784
  • আধুনিক প্রগতিশীল বাংলাদেশ!
     
  • দীপ | 2402:3a80:198b:3770:678:5634:1232:***:*** | ১৪ মে ২০২৫ ১৭:০৮744792
  • সাহাদাত রাসেল, বাংলাদেশ, লিখেছেন:
     
    "সরকারি ভাবে ঢাকার রাস্তায় অটো রিক্সাগুলো ভেঙে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। 
    প্রতিটি নিউজ চ্যানেলে উচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে। 
     
    একেকজন রিক্সাওয়ালা মেজিস্ট্রেটের পা ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। একজন দেখলাম রিক্সার হ্যান্ডেলটা বুকে চেপে ধরে পাগলের মতো চিৎকার করছে "আমার জীবনটা নিয়ে নেন, তবুও রিক্সাটা নিয়েন না৷ আমার বউ বাচ্চা না খেয়ে মরে যাবে" 
     
    আরেকজন রিক্সাওয়ালা দেখাচ্ছে পুলিশকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রিক্সাটা আজকেই ছাড়িয়ে এনেছে যাতে রিক্সাটা না নিয়ে যায়। 
     
    বাংলাদেশে গরিব হয়ে জন্মানোটাই অপরাধ, আর ইউনুসের আমলে তো গরিব হয়ে জন্মানোটা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। 
     
    অথচ ঢাকা শহরের অটো রিক্সার উৎপাদনকারী একটা কারখানাকেও টাচ করা হয়নি৷ 
     
    মোহাম্মদপুর থানায় এসআই জসিম আহমেদ আছে একজন। তার বাসা শিয়া মসজিদের ওখানে। তার নিজের রয়েছে অটো রিক্সা বানানোর গ্যারেজ। গ্যারেজ বসিলা ব্রিজের পাশে। 
    এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় তার গ্যারেজের রিক্সা ছাড়া অন্যকোনো অটো রিক্সা এলাউ না৷ এটা অলিখিত আইন এসআই জসিম আহমেদ এর৷ 
     
    এই জসিম আহমেদরাই বাংলাদেশ। তারা রিক্সা বানিয়ে গরিবের কাছে বিক্রি করে ব্যাবসা করবে, আবার সেই রিক্সা আটকে রেখে ব্যাবসা করবে, তারপর আবার রিক্সা উচ্ছেদ করে ব্যাবসা করবে। 
     
    আর রিক্সাওয়ালার ক্ষুধার্ত সন্তানটি সারাদিন অপেক্ষায় থাকবে বাবা খাবার নিয়ে আসবে। অথচ ও জানেনা ওর বাবা রাস্তায় এক শিক্ষিত কসাইয়ের পা চেপে ধরে গড়াগড়ি খেয়ে কাঁদছে।"
  • দীপ | 2402:3a80:198d:a30:778:5634:1232:***:*** | ১৬ মে ২০২৫ ২১:৫৩744801
  • শান্তির পায়রার হাতে বাংলাদেশ!
     
  • দীপ | 42.***.*** | ১৮ মে ২০২৫ ২১:০৬744830
  • বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমান প্রচণ্ড ধর্মান্ধ। এত ধর্মান্ধ যে পাকিস্তানি মুসলিমরা ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করার পরও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালি মুসলিম কোলাকুলি করতে চায়। এর একটিই কারণ পাকিস্তানিরা মুসলিম। বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান শরিয়া আইন চায়। তারা হিন্দু ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়। ভারতের সঙ্গে বন্ধ হোক সব লেন দেন। পাকিস্তানের সঙ্গে গড়ে উঠুক সখ্য। শরিয়া আইন কায়েম হোক। বোরখা কম্পোলসারি হোক। পুরুষেরা চার বিয়ে করুক, প্রচুর সন্তান জন্ম দিক। চুরি করলে হাত কেটে দেওয়া হোক, ক্রাইম করলে পাবলিক প্লেসে নিয়ে গলা কেটে ফেলা হোক। ৭ম শতাব্দির ইসলামী আইন মেনে চলুক একবিংশ শতাব্দির বাংলাদেশ। খুব মজা হবে। দূর থেকে মানুষের সুখ দেখবো আর হাততালি দেব।
     
    লিখলেন তসলিমা নাসরিন।
    তসলিমা হয়তো জানেন না, পশ্চিমবঙ্গের অনেক বিপ্লবীও শরিয়তী আইন চায়! 
  • Nahid Ul Islam | ১৯ মে ২০২৫ ১১:৩৩744842
  • এদিকে পশ্চিম ফ্রন্টে লেগেছে তাই পুব দিকেও হুক্কা হুয়া শুরু করে দিয়েছেন প্রক্সি যোদ্ধারা । 
     
    মানুষেরা ১৪শ বছর যাবত মুসলিমদের চেনে ,২৫০০ বছর যাবত বাঙ্গালিক চেনে আর এ ২৫০ বছরের পশ্চিমের নেতৃতাধিন বিশ্ব ব্যবস্থা । বাংলা দেশ এর লোকেরা দশ টাকার একটা টুপি মাথায় দিলে মুসলিম আর স্লিভ লেস ব্লাউজ আর কপালে বড় করে টিপ পড়লেই তো আর কলিকাতা হয়া গেলো না ।   আর ইদানিংকার পর্ণ স্টার গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে হাফ প্যান্ট পড়ে চুয়িং গাম চিবালেই পশ্চিম  বনে গেলো এমনটাও নয় । তবে ফিচেল  বাংগাল গুলো -- এমনটাই করে এসেছে আর হেগিমনির নির্দেশে এই ফ্রড গুলোকে  কখনো ভারত  কখনো পাকিস্তানিরা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে গেছেন । 
     
    এদের ১৯২৯ সালে পহেলা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম প্রজা পার্টি ছিল ব্রিটিশ ভারতে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। ১৯২৯ সালের জুলাই মাসে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তা টিকে ছিল।  দলটির রাজনীতি  বাঙালি মুসলমানদের মাঝে রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এর পাশাপাশি তারা বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের সমর্থনও পেয়েছিল, যারা  জমিদারদের প্রভাবে বেশ অসন্তুষ্ট ছিল। এরপর আর কোন নিজেদের মানে বাঙালি মুসলমানদের ...। জাস্ট ১০০ বছরের মধ্যে এদের কায়কারবার প্রায় শ্যাষ ... । আলহাদুল্লিলাহ । হাজার হাজার লাখো  শুকরিয়া  আল্লাহ্‌ পাক পারয়ারদিগার এর দরবারে ।  
    যাক  তাহলে শুনুন ...Surah Al-Munafiqun (The Hypocrites ) is the 63rd sura of the Quran , theSurah Al-Munafiqun was revealed in Medina  with 11 verses. . ১ • যখন তোমার কাছে মুনাফিকরা আসে, তখন বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আপনি আল্লাহর রাসূল এবং আল্লাহ জানেন যে, অবশ্যই তুমি তাঁর রাসূল। আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, অবশ্যই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী। ২. তারা তাদের শপথগুলোকে ঢালরূপে ব্যবহার করে, ফলে তারা আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করে। তারা যা করে, নিশ্চয় তা কতই না মন্দ !  ৩• That is because they believed, and then they disbelieved; so their hearts were sealed over, and they do not understand. 
     আর এবার তসলিমা - মাল মুহিত গংদের সাথে কলকাতার এত মাখামাখি  আর আনন্দ দেয়া নেয়া আমার মতো অনেকেই শুরু থেকেই খুব একটা  ভালো চোখে দেখিনি । আমরা মাল গুনোকে চিনি আর তা খুইব কাছ থেকে বলেলেও হয়তো কমই বলা হবে । দেখলেন তো সম্পর্কটা কেমন কেঁচে গেলো ?   
     
    ধন্যবাদ । 
  • দীপ | 2402:3a80:198f:fd3a:878:5634:1232:***:*** | ২১ মে ২০২৫ ২০:২০744890
  • আধুনিক প্রগতিশীল বাংলাদেশ!
     
  • দীপ | 2402:3a80:1989:b731:578:5634:1232:***:*** | ২৩ মে ২০২৫ ১০:১০744897
  • শিক্ষকদের গণহারে অপদস্থ করা হলো। 
    তিনি পদত্যাগের কথা ভাবলেন না৷ 
     
    মব ভায়োলেন্স করে বিচারালয়গুলো দখল করা হলো। তিনি পদত্যাগের কথা চিন্তাও করলেন না। 
     
    শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেল। 
    পদত্যাগের প্রশ্নই আসেনা। 
     
    মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো ধ্বংস করা হলো। 
    পদত্যাগের কোনো চিহ্ন দেখলাম না।
     
    আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হলো।
    পদত্যাগ নিয়ে নড়াচড়া হলো না। 
     
    জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করা হল।
    কেন পদত্যাগ করবেন উনি? 
     
    সচিবালয়ের কচিকাঁচার মেলায় আগুন ধরলো। 
    পদত্যাগ নিয়ে কোনো আলাপ হলো না। 
     
    উপদেষ্টা সমন্বয়ক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লো।
    পদত্যাগের কোনো লক্ষণ দেখা গেলো না। 
     
    পাঁচ মাসেও বই পেলো না শিক্ষার্থীরা।
    পদত্যাগ? না। 
     
    কিন্তু যে মুহূর্তে সেনাবাহিনী জানালো "নো ব্লাডি করিডোর",
    তখনই তিনি জানালেন পদত্যাগ করার খায়েশ হয়েছে উনার। 
     
    উনি আসলে কিসের সংস্কার করতে এসেছেন? কার জন্য এসেছেন? কারা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে? তিনি কাদের দিয়ে দেশ চালাতে চান? কাদের হাতে তুলে দেবেন দেশকে?
     
    এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি আপনার এখনো না জানা থাকে, বেস্ট উইশেস৷ আরো অনন্তকাল ধরে রাখেন উনাকে মসনদে, নির্বাচন গণতন্ত্র এগুলো সবই অর্থহীন।
     
    -ফেসবুক
  • দীপ | 42.108.***.*** | ২৮ মে ২০২৫ ১৫:৫৫744950
  • জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেলে মারতে আসে জামাত শিবির আর ইনকিলাব কি যেন ওরা, আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে কারাগারে আটক থাকে চিন্ময় দাস। অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ।.. 
     
    ইমতিয়াজ মাহমুদ 
  • দীপ | 2402:3a80:4314:1467:678:5634:1232:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ২২:৪৯744952
  • আধুনিক প্রগতিশীল বাংলাদেশ!
     
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৮ মে ২০২৫ ২৩:০৬744953
  • মারাত্মক অবস্থা। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দী রাজাকারকে খালাস দিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ যে কোনদিকে যাচ্ছে কেজানে!
    নিজের দেশের বাইরে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা কি কিছু বক্তব্য দিলেন?
  • দীপ | 2402:3a80:198d:403e:778:5634:1232:***:*** | ১০ জুন ২০২৫ ১৩:৩৪745044
  • চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে কোচিং থেকে ফেরার পথে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মা-মেয়ে অপহৃত হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মীরসরাই থানা সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত হয়েছে, মীরসরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীপক সূত্রধরের স্ত্রী সঙ্গীতা সূত্রধর (৩৫) ও তাদের মেয়ে মিথি সূত্রধর (৭)। মিথি মিরসরাই এসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
     
    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুন (বুধবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই থানার উত্তর পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে- এক অজ্ঞাত নারী সঙ্গীতার গতিরোধ করে। কিছুক্ষণ পর ওই নারী তাদেরকে ডেকে নিয়ে যায় এবং দ্রুত একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
     
    নিখোঁজ সঙ্গীতার স্বামী দীপক সূত্রধর বলেছে, "সাধারণত প্রতিদিনই স্ত্রী ও মেয়ে কোচিংয়ে যেত। ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটেছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ভদ্রমহিলা আমাকে জানিয়েছে, অচেনা এক নারী প্রথমে আমার স্ত্রীকে থামায়। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।”
     
    বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। সঙ্গীতা সূত্রধর ও মিথি সূত্রধরকে উদ্ধারে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে হস্তক্ষেপ জরুরী।
     
    -সংবাদসূত্র
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন