আরে সেই কনস্পিরেসির টই তে কেউ কিছু লিখুন! শুনলাম নাকি মাইক্রো-ওয়েভ দিয়ে আক্রমণ করেছে!!!!
বাপ রে!!! কত কিছুই এসে পড়েছে!!!! ঃ-)
ব্রতীনদা, এই দ্যাখো, মনে পড়বে।
আরে, শৈলেন ঘোষ এর কথা হচ্ছে কোথা থেকে শৈলেশ দে এনে ফেলল। এই নাকি সব আমেলা পড়ে বড় হওয়া লোকজন !
শৈলেশ @অপু। এনার লেখা তেমন ভাল লাগত না
:)
বা রে, যাই নিয়েই আলোচনা হয় অভ্যু দেখি টপ করে তার ওপরে একখানা প্রামাণ্য নথি দাখিল করে! নথির অফুরন্ত ভান্ডার! তোমাকে দেখছি শেষে 'অভ্যুরাম প্রামাণিক' বলে ডাকতে হবে :-))
দেবারতি, সায়ন্তনী পুততুন্ড এখন ফাটিয়ে লিখছেন।
শৈলেন না শৈলেশ?
আবার এও একটা কথা যে ডিস্টার্বিং না এন্টারটেনিং তা ঠিক হবে কী দিয়ে? হরর মুভি, গোর, কারুর কাছে এন্টারটেনিং, কারুর কাছে চরম ডিস্টার্বিং। আবার ইউনিকর্ন, গ্লিটার্স, সপি লাভস্টোরি পড়ে কেউ হেসেকেঁদে আকূল তো কারুর কাছে তা ডিস্টার্বিংলি ন্যাকাচন্ডী! যা বুঝছি কোনকিছুরই কোনো অ্যাবসোলিউট মানে নেই। সবই মায়া! :-)
এখনকার লেখকদের পড়ুন। তাদের নিয়ে আলোচনা করুন। এসব শীর্ষেন্দু নস্টলজি দিয়ে কিসু হবেনা। নরক সংকেত টাইপের লেখাতে বাংলাবাজার ভরে গেল।
বাবা বাবা তোর কি শালা
মোর কি মামা
মা'র কি সোদর ভাই
শিলের তলায় কুমকুম করে
তুলে দে না খাই
…
বলছিলাম কি, বস্তুপিণ্ড সুক্ষ্ম হতে স্থুলেতে,
অর্থাৎ কিনা লাগছে ঠেলা পঞ্চভূতের মূলেতে—
গোড়ায় তবে দেখতে হবে কোত্থেকে আর কি ক’রে,
রস জমে ওই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে।
অর্থাৎ কিনা, এই মনে কর্ রোদ পড়েছে ঘাসেতে,
এই মনে কর্, চাঁদের আলো পড়লো তারই পাশেতে—
আবার দেখ! এরই মধ্যে হাই তোলবার মানে কি?
আকাশপানে তাকাস্ খালি, যাচ্ছে কথা কানে কি?
কি বল্লি তুই? এ-সব শুধু আবোল তাবোল বকুনি?
বুঝতে হলে মগজ লাগে, বলেছিলাম তখনি।
মগজভরা গোবর তোদের হচ্ছে ঘুঁটে শুকিয়ে,
…
"উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার রায় ...... এরা সাহিত্য না করে অন্য কিছু করেছেন নাকি?"
উপেন্দ্রকিশোরের কিছু লেখা ডিস্টার্বিং আছে তো। নিজের হাত-পা চিবিয়ে খেলো, বাঘের ছানাদের মুন্ডু কেটে তেলের ওপর ঝুলিয়ে দিলো, কাকের মাথা ঢিল মেরে গুঁড়ো করে দিলো, সামান্য একটা পাখি ধরে রাখতে পারেনি বলে রাণীদের নাক কেটে ফেলা হলো ... এই জিনিষ গুলো বেশ ডিস্টার্বিং নয়?
'কারণ প্রথম দলের লেখায় "সুকুমার প্রবৃত্তি" জাগিয়ে তোলার ইচ্ছে যেন স্পষ্ট, দ্বিতীয় দলের লেখায় সেগুলো আছে, ঘোরতর ভাবেই আছে, কিন্তু চোখ-কান খোলা রেখে পড়তে হবে'
- একমত
বাংলা ভাষার "বরেণ্য" শিশু সাহিত্যিকদের থেকে আমি টপ ফর্মের শীর্ষেন্দু-মতি নন্দীকে এগিয়ে রাখি। কারণ প্রথম দলের লেখায় "সুকুমার প্রবৃত্তি" জাগিয়ে তোলার ইচ্ছে যেন স্পষ্ট, দ্বিতীয় দলের লেখায় সেগুলো আছে, ঘোরতর ভাবেই আছে, কিন্তু চোখ-কান খোলা রেখে পড়তে হবে।
এই সুকুমার প্রবৃত্তির ব্যাপারটা আমেলাতেই লিখতেন, শৈলেন দে (?), তার লেখায় বেশ কড়া ডোজের থাকত। রূপকথামূলক যেন, সেসব বিশেষ কিছু হয়নি বলে মনে করি।
কিশোরদের পড়ান - কাফকা ফর কিড্্্স। বড় হলে পড়ুন - হযরবল ।
'কিশোর মনের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখা'
- মতি নন্দী, শীর্ষেন্দু, সুনীল ইঃ-র লেখাতে সেই লক্ষ্য ছিল না, তা কিভাবে বোঝা গেল?
আমার মনে হয় লেখকের নিজের মনের মতো বিষয় বেছে নিয়ে লেখার স্বাধীনতা থাকা উচিত, পাঠকের নিজের মনের মতো বই বেছে নিয়ে পড়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত। পসন্দ আপনা আপনা।
হাই তোলার সময় হা মুখের ডায়ামিটার, আর, হাই এর ডিউরেশন - এর সঙ্গে পলিটিক্যাল অ্যাওয়ারনেসের সাংঘাতিক কোরিলেশন আছে। যারা অনেক অনেক্ক্ষণ ধরে হাই তোলেন - তাদের পলিটিক্যাল অ্যাওয়ারনেস ডিস্টার্বিং।
বিষয়কেন্দ্রিক রাজনীতিটা - কিশোর মনের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখা বনাম কিশোর মনকে সহজ বিনোদনের যোগান দেওয়ার লক্ষ্যে লেখা - এর মধ্যে কোনটা নিজের লেখার বিষয় হিসেবে নির্বাচন করছি, সেটুকুই।
কি নিয়ে কথা হচ্ছে? ডিস্টার্বি এন্টারটেইনমেন্ট? আরে, সেজন্য তো সিজিদ্দা আছেন।
অরণ্যদা, আমিও তাই। ঝালমুড়ির কাগজ পড়ে শার্লক হোমসের মতো গোয়েন্দাগিরিও ফলানোর চেষ্টা করতাম :-d
'সাহিত্যকে ডিস্টার্বিং হতে হবে ' - বাপ্রে, কেন?
উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার রায় ...... এরা সাহিত্য না করে অন্য কিছু করেছেন নাকি?
ডিসি, পঞ্জিকা পড়ো নি? সুন্দর সব বিজ্ঞাপন থাকত :-)
আমি তো জিলিপি বা ঝালমুড়ি খেয়ে ঠোঙা ফেলে দেওয়ার আগে পারলে তাতেও একবার চোখ বুলিয়ে নিতাম
সুখলতা রাও বা পুণ্যলতা চক্রবর্তীর কোন লেখায় বিষয়কেন্দ্রিক রাজনীতি আছে ? অথবা লীলা মজুমদারের লেখা কী রাজনীতির জন্য পড়ব ? মানে, আমি পড়তেই পারি, তত্ত্ব করার জন্য কিন্তু স্কুলবালিকাও কী সেই দিক দিয়ে পড়বে ?
অপু, হতেই পারে :-) আমি কলকাতায় আছি বুধবার থেকে রোববার অবধি। আমাকে মেল করো, যোগাযোগ করে নেবো।
ডিসি,কলকাতায় কতদিন আছো? এবারে ব্যাটে বলে হবে নাকি? :)
শ্যামাদাস দে "রুণু" সিরিজ বেশ ভালো লাগতো।অরুণ আইনের "হলুদ সবুজ"
সুধীরেন্দ্রনাথ রাহা মূলত: দে সা কু এর সাথে যুক্ত ছিলেন। বিদেশী সাহিত্যে কে জানা ওনার শক্তিশালী অনুবাদের মাধ্যমে।
তো?
মানে ওই ব য়েসেই তোমরা এত সব বুঝতে জেনে কীরকম একটা "অনির্বচনীয় আনন্দ" হচ্ছে :))