মাইনরিটিদের কথা বলছেন তো, ঠিক কথা।
মোদ্দা কথাটা হল কত লোককে ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজড রেখে ডেমোক্র্যাসি হয়। যে দেশে সব মানুষের টিকি ব্যাংকের কাছে বাঁধা, কলেজে পড়তে গেলে আজীবন ঋণদাসত্ব, কলেজে না পড়লে সামান্য মাইনের চাকরি, আজীবন দারিদ্র্য, সে দেশে একটা বড় অংশ মানুষ সিস্টেমের বিরুদ্ধে থাকবেই। একটা বড় অংশকে ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজড না রেখে সে দেশ চালানো যাবে না।
কত লোক ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজড থাকলে সেটাকে ডেমোক্র্যাসি বলা যাবে?
মোদ্দা কথাটা হল কত লোককে ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজড রেখে ডেমোক্র্যাসি হয়। যে দেশে সব মানুষের টিকি ব্যাংকের কাছে বাঁধা, কলেজে পড়তে গেলে আজীবন ঋণদাসত্ব, কলেজে না পড়লে সামান্য মাইনের চাকরি, আজীবন দারিদ্র্য, সে দেশে একটা বড় অংশ মানুষ সিস্টেমের বিরুদ্ধে থাকবেই। একটা বড় অংশকে ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজড না রেখে সে দেশ চালানো যাবে না।
কত লোক ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজড থাকলে সেটাকে ডেমোক্র্যাসি বলা যাবে?
টুইটার লক করেছে? নাকি এখনও করেনি?
সিনেট ভোটিং রেকোনভিন করেছে আবার। আজকের ঘটনার পর দেখা যাক ট্রাম্পের কোন কোন চেলা এখনো ওদের অবজেকশন্স রাইস করে.
হিটলার দ্রুত আসিতেছে।
রাইখস্ট্যাগের কথা মনে হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘন্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত টাকাপয়সা, অতিরিক্ত সময় আর অতিরিক্ত আজাইরা ব্যক্তি। দিনের পর দিন, দিনের পর দিন। চলছে তো চলছেই। এত নাটকের জোশ আসে কী করে এই করোনাক্রান্তিকালে????
এদের মিথ্যাকথা শুনতে গেলে ইউটিউবে ভিক্টরি চ্যানেল শুনুন।
এখনও বলে চলেছে যে লেফ্ট সাপোর্টাররা ট্রাম্প সাপোর্টার সেজে টেররিজম করেছে।
ডিপ্লোরেবলদের আজকের কাজ এবং তারপর অ্যান্টিফা না করলে ভাবা যেত।
ডিপ্লোরেবলদের আজকের কাজ এবং তারপর অ্যান্টিফা না করলে ভাবা যেত।
কথাটা রিপাবলিকান সেনেটর, কংগ্রেসম্যান, বা পুলিশকে নিয়ে নয়। কথা হল ট্রাম্পের সাধারণ সমর্থকদের নিয়ে। ওই যারা ডিপ্লোরেবল, তারা। এদের সংখ্যা আমেরিকায় যারা ভোট দিয়েছে তাদের প্রায় অর্ধেক।
এদের ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজ করে কেমন ডেমোক্র্যাসি হবে? উল্টো দিকে, এদের বিরোধীদের ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজ করে (রিপাবলিকানরা এবং কিছু পরিমানে ডেমরা যা করে এসেছে) কেমন ডেমোক্র্যাসি হবে?
এটা ট্রাম্প বা বিদেনের চেয়ে বড় প্রশ্ন। সেটা নিয়ে বদার করবেন কিনা সেটা আপনাদের সিদ্ধান্ত।
এ সমস্ত Antifa'র কীর্তি। শুরু হয়ে গেছে ।
রাইট উইঙ্গ মিডিয়া অলরেডি বলতে শুরু করেছে যে এফবিআই বাসে করে অ্যান্টিফা নিয়ে এসে আজকে তান্ডব করেছে। এদের গুল্পে জর্জ সোরোস, ক্লিন্টন, ওবামা, আর চীন কখন আসবে সেটাই ভাবছি।
আজকে যদি একজন কালো লোকও ট্রেসপাস করতো, তাহলে পুলিশ তাকে অ্যারেস্ট করতো, গুলি করে বা এমনকি গলা টিপেও মেরে ফেলতে পারতো।
কিন্তু আজকে আর্মড গুন্ডারা ঢুকলো, পুলিশ কিছু করেনি তাদের গায়ের রং দেখে। সেলফি তুলেছে।
শেষে আবার এই সবকিছুর জন্য কালোদের নামেই দোষ দিয়ে দেওয়া হল।
আমেরিকার সেকেন্ড সিভিল ওয়ার শুরু হল নাকি?
২০০০ ডলারের বিলটা তো সেনেটে তোলাই হলনা। ৬০০ ডলার নিয়েই সবাই তান্ডব করুক।
আজকে হাউসে অ্যারিজোনার ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নেওয়ার সময় রিপ্রেজেন্টেটিভ গোসার আপত্তি জানায়। বলে যে আরো ৬০ জন রিপাব্লিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং একজন সেনেটারের আপত্তি আছে। সেই সেনেটার আর কেউ নয়, টেড ক্রুজ, যার বউকে ট্রাম্প কুৎসিত বলেছিল আর বলেছিল যে টেড ক্রুজের বাবা নাকি কেনেডি হত্যায় জড়িত। যাগ্গে টেড ক্রুজ বলে যে দশদিন সময় চাই ভোটার ফ্রডের প্রমাণ জোগাড় করতে। এতদিন কি করছিল কে জানে। এই গোসারই দাবী করেছে যে আজকের তান্ডব করেছে অ্যান্টিফা।
স্টিমুলাস চেক আটকে দিল নাকি?
তাদের জন্য তো রিপাব্লিকানরা আর ট্রাম্প আছেই। গণতন্ত্রের ধারক বাহক রক্ষক।
সে দ্যাট টু দ্য রিপাব্লিকানস যারা স্টিমুলাস চেক আটকে দিল।
ট্রাম্প সাপোর্টার আমেরিকার প্রায় অর্ধেক। এদের ডিসেনফ্র্যাঞ্চাইজ করে যেটা হয় সেটাকে ডেমোক্র্যাসি বলে না।
ট্রাম্পভক্তরা অলরেডি বলতে শুরু করেছে যে আজকের তান্ডব নাকি অ্যান্টিফা করেছে।
২০২০ প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশান -
বাইডেণঃ ২,৪৭৩,৬৩৩
ট্রাম্পঃ ২,৪৬১,৮৫৪
অন্যান্যঃ ৬৪,৪৭৩
ব্যবধানঃ ১১,৭৭৯ (যেকারণে ট্রাম্প বলেছিল যে তার ১১,৭৮০টা ভোট চাই যেখান থেকে খুশি)
২০২০ সেনেট ইলেকশান (স্পেশাল ইলেকশান নয়) -
রিপাব্লিকানঃ ২,৪৬২,৬১৭
ডেমোক্র্যাটঃ ২,৩৭৪,৫১৯
লিবারেটেরিয়ানঃ ১১৫,০৩৯
ব্যবধানঃ ৮৮,০৯৮ (রিপাব্লিকানরা এগিয়ে)
২০২১ রান অফ (এখনও অবধি)ঃ
ডেমোক্র্যাটঃ ২,২৩৩,৯৮২
রিপাব্লিকানঃ ২,২০১,০৯৯
ব্যবধানঃ ৩২,৮৮৩ (ব্যবধান এতটাই বেশি যে রিকাউন্টও হবেনা)
কেউ মারা গেছে নাকি? শুনলাম গুরুতর আহত।
আর অনেকে ডাইরেক্টলি কন্ডেম করেছে। এমনকি মিচ ম্যাকোনেলও হাউসে আজ কন্ডেম করেছিল।
পুরোটা হেব্বি মজার ছিল। দ্যাখ কেমন লাগে।
দুটো ব্যাপার ঘ্টলো।
এক, এইযে ডিজেনফ্রেন্চাইজড ডিপ্লোরেবলরা আজকে কাপিটলে তান্ডব করলো, এর ফলে এরা নিজেদেরকে আরো ডিজেনফ্রেন্চাইজড করে ফেললো। একটা পার্টিই এদের কথা আদৌ ভাবতে পারতো - ডেমোক্র্যাট। সেই ডেমরাও আজকে হাত গুটিয়ে নেবে। আজকে নিজেরাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে এদেরকে আর গর্ত থেকে তুলে আনা যাবেনা।
দুই, ডেমদের সমর্থন বাড়লো। যারা ডেম লীন ছিলো বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছিলো, তাদের ডেমদের ভোট দেওয়ার প্রপেনসিটি বাড়লো। বহু লীন রিপাব্লিকানরাও ক্রমশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাবে।
20 শে জানুয়ারী ২০২১ এর আগে ২০২০ শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
অন্য দেশ হলে সবার আগে আম্রিগা চেঁচাতো ডেমোক্রেসি বাঁচাতে, দরকার হলেমিলিটারি পাঠিয়ে। এখন রাজার নিজের কাপড় খুলে মাটিতে গড়াচ্ছে :) :) ট্রাম্প তো বলেই দিয়েছে ওরা সব প্যাট্রিয়ট , দেশ বাচাতে এসেছে ।
ক্যাপিটলে একজন মহিলা খুন হয়েছে গুলিতে। ট্রাম্পের নামে খুনের উস্কানি দেওয়ার মামলা করা উচিত. এখনো অবাক লাগছে যে কোনো রিপাবলিকান ডাইরেক্টলি ওকে একুইজ করছেনা। শুধু আওয়ার ডেমোক্রেসি ইন ডেঞ্জার বলে স্টেটমেন্ট ছেড়ে যাচ্ছে.
হাইট অফ হিপোক্রেসি সত্যি
জটায়ু থাকলে লিখতেন '(সাস)পেন্স !!!!' :-)