প্রধান তিন চারটেকে একটা ইউনাইটেড ফেডারেশনের মতন কিছু আওতায় আনলেই অনেক। লোকজন একটা থেকে আরেকটায় যাতায়াত করতে পারবে, ব্যবসা আর চাকরি করতে পারবে, বাড়িঘর করতে পারবে ---এইটুকু হলেই অনেক। তাহলে আর নিত্যদিন 'এই সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে সেনা, এই ব্যাটা তোকে কিন্তু ওখানে পাঠিয়ে দেবো, এই ব্যাটা তুই তো অমুক দেশের দালাল' , এইসব আজাইরা জিনিসে আটকে গিয়ে ক্রমাগত বিদ্বেষ বাড়তে থাকে না। অথচ এইসব দরিদ্র দেশগুলোতে সাধারণ লোকের চাওয়া পাওয়া তো একই, জাতধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই চায় খেয়েপরে করেকম্মে সম্মানের সঙ্গে থাকতে আর ছেলেপুলেকেও তাই রাখতে। সেটুকুকেও রাতদিন কুরে কুরে কাটছে ইঁদুরের দল।
না না, ওসব করলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে |
"বাপী বাড়ি যা" বলে একটা গান আছে না? সেটা চালিয়ে দিলে পারে। :-)
"ট্রাম্প টুইট করেছে প্রোটেস্টারদের শান্ত থাকার জন্যে। "
কিন্তু বলছে না তোরা বাড়ি যা!
সত্যি কথা, রিইউনিয়ন করার প্রয়োজন আছে। কিছু না হলেও সাউথ এশিয়া ফেডারেশন, অনেকটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধাঁচে করলেও চলে | তার স্ট্রাকচার কেমন হবে কে জানে।
অমন বই লিখেও বহাল তবিয়তে ঘুরছে দেখে হয়তো লোকে সিরিয়াসলি নেয় নি। ভ্যানিশ হয়ে গেলে লোকে বলত, আরে ত্তাই তো!
ট্রাম্পের ভাগ্নি মেরি ট্রাম্প একটা বই লিখেছিলো গত বছর: "How my family created world's most dangerous man". কেও ওর বইটাকে সিরিয়াসলি নেয়নি বোঝা যাচ্ছে।
নাটকের টাকা এদের খুব বেড়েছে। মাসের পর মাস নাটক দেখাচ্ছে।
ট্রাম্প টুইট করেছে প্রোটেস্টারদের শান্ত থাকার জন্যে। এ বছরের সেরা জোক। আগুনে পেট্রল ঢেলে তারপর জলের বালতি দেখানো.
রি-ইউনিয়ন করে ফেলা দরকার। তাহলে জাতধর্ম নিয়ে এত সুড়সুড়ি এত গালাগাল এত মারামারির স্কোপ কমবে। ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরি-বাকরির স্কোপ বাড়বে।
সিএনএন লাইভ দেখছি আর জাস্ট হা হয়ে যাচ্ছি। মানে ইস ইট রিয়েলি হ্যাপেনিং ?
আর ১৯৪৭ ভেবে লাভ আছে ? হতাশাই জুটবে শেষে।
১৯৪৭ সালে যদি অখন্ড ভারতই স্বাধীন হত, তাহলে কী অসুবিধে ছিল? সারা দেশে দাঙ্গা হত? ঠিক কীসের জন্য ভাঙা হয়েছিল?
"যদি কোনোভাবে সবরকম রামধনু কোয়ালিশন করে কোনোভাবে ভোটে হারানো ও যায় , তারপর দেশ জুড়ে দাঙ্গা শুরু হবে।"
একদম খাঁটি কথা। ডোলান্ডকে বদবুদ্ধি দেওয়ার লোকের অভাব নেই, হালচাল দেখে মনে হচ্ছে।
"ভালো হয়েছে এরপরে আর আমেরিকা কোথাও ডেমোক্রেসি আনতে যেতে পারবে না। "
কেন?
যা হচ্ছে ডেমোক্রেসির হদদমুদ্দ! এ জিনিস আপনি চীনে, রাশিয়ায় দেখতে পাবেন কি?
চরম অবস্থা তো. দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেই কূপ করছে.
মোদী ভক্তরা কিন্তু শিখে নিচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি এসব দেখে । এমনিতেও ইন্ডিয়ায় অপসিশন পলিটিকস এর যা হাল , নেক্সট ১৫-২০ বছরেও মোদী বা বিজেপি কে সরানো যাবে বলে মনে হয়না। যদি কোনোভাবে সবরকম রামধনু কোয়ালিশন করে কোনোভাবে ভোটে হারানো ও যায় , তারপর দেশ জুড়ে দাঙ্গা শুরু হবে। অন্তত আম্রিগায় কিছু সরকারি অফিসিয়াল মেরুদন্ড সোজা রেখেছে চাপের সামনে। ইন্ডিয়ায় তো অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে জুডিশিয়ারি থেকে আর্মি সবাই অলরেডি মোটামুটি হিন্দুত্ববাদে হাল্কা করে বা সোজাসুজি ইন্ডস্ট্রিনটেড.
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের এ কি অবস্থা!
অফিসের একজন রাশিয়ান/ইউক্রেনিয়ান কোলিগ বলল - টিভি দেখে মনে হচ্ছে বেলারুস বা জর্জিয়া, এতদিন এরা খুব ব্যঙ্গ করত
ভালো হয়েছে এরপরে আর আমেরিকা কোথাও ডেমোক্রেসি আনতে যেতে পারবে না।
মার্শাল ল বা সুইসাইড কোনোটাই হবে না। এগুলো ২০২৪ এর প্রস্তুতি। এসবের ছবি দেখিয়ে সমর্থকদের তাতানো হবে।
ট্রাম্প সাপোর্টাররা এর মধ্যেই বলতে শুরু করেছে, বিএলএম মারামারি করলে লীলা, আমরা করলে বিলা!
সত্যি। একেবারে অনন্ত মেগা সিরিয়াল ড্রামা চলছে. অদ্ভুত.
হঁ্যা ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটাল বিল্ডিং দখল করে নিয়েছে।
এর পর কি হবে, আমেরিকায় মার্শাল ল'? নাকি উন্মাদের আত্মহত্যা?
যাক , রুডি গুলিয়ানি কে অনেক দিন পরে আবার ঘেউ ঘেউ করতে দেখা গেলো পাবলিকের সামনে, ট্রাম্প সাপোর্টার দের উস্কাচ্ছে মারামারি করার জন্যে. এতদিন না দেখে ভাবছিলাম আবার কোথাও প্যান্ট খুলতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলো কিনা.
হরি হে তুমিই সত্য. আরো কত কি যে দেখার বাকি আছে এখনো.
বুদ্ধ্বদেব ভটচাজ
এক্ষণে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি কেডা?
সরি ভুল পোস্ট ইগনোর মাডি।
না, ঠিক এমনভাবে হয় না। সাধারণ মানুষদের জন্য পলিসি আর টেক জায়েন্টদের জন্য পলিসি একে অপরকে কন্ট্রাডিক্ট করে। সাধারণ মানুষের মনে হয় সরকার আমার নয়, ওদের ভাষাও বুঝি না, পলিসিও বুঝি না, দিন শেষে আমি যে তিমিরে সেই তিমিরে। তাই ওবামা যতই সুপুরুষ, এডুকেটেড, সুবক্তা হন না কেন, তিনি এই পার্সেপশনটা তৈরী করেছেন বিশেষত হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাসের লোকজনের মধ্যে। আবারও, তার মধ্যে রেসিজম নেই তা নয় কিন্তু সেটাই সব নয়। জন, শান্ত শিষ্ট, চার্চে যাওয়া ভদ্রলোক সাদা যে তার ফেলো সাদাদের প্রতি প্রবল সহানুভূতি আছে, ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে সেই জায়গা থেকে। আর রন যে কিনা কম পড়াশুনো করেছে, রেডনেক, উঠতে বসতে লোককে গালি দেয় সে হল রেসিস্ট। জন আর রন এক নয়।
এবারে ওবামার এরকম দুটো টার্মে যখন লোকে সফিস্টিকেটেড লিঙ্গো আর তাদের প্রতি টার্গেটেড কোন পলিসি না দেখে দেখে বিরক্ত তখন ট্রাম্প এল তার ওয়ার্কিং ক্লাসের ল্যাঙ্গোয়েজ নিয়ে। ট্রাম্প তাদের কথা বলল, করে নি কিছুই কিন্তু বলেছে বটেই। নীচের আর্টিকলটা পড়ে দেখলে বোঝা যাবে, ট্রাম্পের ল্যাঙ্গোয়েজ কিরকম স্ট্র্যাটেজিকাল ছিল।