@r2h হ্যাঁ, ইউজার খানিক বাড়লেই আমাদের 'রিপোর্ট টু অ্যাডমিন' অপশন চালু করতে হবে, অ্যাবিউজ ডিটেক্ট করার জন্য কিছু শব্দে ফিল্টার লাগাতে হবে, হয়ত ফুলটাইম অ্যাডমিনও রাখতে হতে পারে। কিন্তু মনেহয় সেই স্টেজে পৌঁছোতে গেলে অন্তত ৫০০০০ ইউজার হতে হবে।
@Arjun, এটা কেন হচ্ছে বলতে পারব না। lcm দা বলতে পারবে।
দ্বিতীয় ফেসবুক হয়ে ওঠা না, ফেসবুককে কমপিট করা, অন্তত, ফেসবুকের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ যে অডিয়েন্স আছে তাদের ফেসবুক অভ্যাসকে ডিসরাপ্ট করা - এরকম বোধয় ভাবা যেতে পারে।
এসবের চাপও আছে অবশ্য। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ওঠা মানে, আমি একটা চাপ দেখতে পাই, মান এবং কিছু রীতি মেন্টেন করা। প্রাচীনকালে একসময় গরিমা নিয়ে একটা বিতর্ক হয়েছিল, বা লোকজন বাড়ি গাড়ি কিনে দামি দোকানে খেয়ে আপডেট দেওয়ার ট্রেন্ড নিয়ে কিছু কথা হয়েছিল। সেগুলো আমার কাছে মনে রাখার বিষয় বলে মনে হয়। তো একটা মাত্রার ওপর অডিয়েন্স বাড়লে নানানরকম অপ্রত্যাশিত জিনিসও হবে।
চলতে চলতে শেখা আরকি।
'গুরু'র ওয়েবপেজ ওপেন করলেই 'website you are visiting may be harmful' বলছে কেন? @পিনাকী মিত্র
আগেও জানতে চেয়েছিলাম।
ফেসবুক হল মর্জিনা। সবার দেয়ালেই "উফ কী লিখেছেন, অনেক আদরবাসা, আপনিই পারেন, উলিবাবালিবাবালি" টাইপ মার্ক করে দেবার কায়্দা দেখিয়ে সবকিছু ঘেঁটে দিয়েছে। এবার বার কর চল্লিশ চোর ব্যাটারা কোনটা আলির বাড়ি। পুরোটাই নাটকের জায়গা হয়ে গিয়েছে ফেবু, কোনোকিছুই সেখানে বিশ্বাস করার উপায় নেই, শুধু নাটক দেখে যাওয়া ছাড়া।
এখন গুর্চ যদি সেইরকমই একটা প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে চায়, তাহলে কোনো কথা নেই। জয় মর্জিনা। ঃ-)
হ্যাঁ, লেখার সংখ্যা বাড়বে। আমরা সম্পাদিত সেকশনে যদি একটও লেখা বের না করি, তাহলেও লেখার সংখ্যার বিস্ফোরণ হবে। একেবারেই এই জন্যে প্রিয় লেখককে ফলো, বুকমার্ক, ইত্যাদি।
ফেসবুককে কতটা কম্পিট করা যাবে জানা নেই। ওরা গ্লোবাল, আমরা লোকাল, এ তফাৎ তো থেকেই যাবে। আবার ব্যক্তি হিসেবে গুরুর ব্যবহারকারীরা, যেমন আমার মত লোকজন, তো অনেকটা গ্লোবালও বটে। আমার তো অনেক অবাঙালি, বিদেশি বন্ধুবান্ধব আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য ফেসবুকে রয়ে যেতেও হবে। কিন্তু তার পরেও ব্যাবসার জন্য ম্যানিপুলেট করে না, লোকের ডেটা যাকে তাকে বেচে দেয় না, লোককে শুধু ক্রেতা হিসেবে ট্রীট করে না - এরকম একটা সোশাল মিডিয়ার প্রয়োজন তো সময়ের দাবী। আমরা না করলেও কাল অন্য কেউ করত। আমরা করলেও কাল অন্য কেউ করবে। উইকিপিডিয়াই তো চেষ্টা করছে এরকম একটা কমিউনিটি সাপোর্টেড সোশাল মিডিয়া নামানোর। আমাদেরটা বাঙালির জন্য স্পেসিফিক একটা কিছু হয়ে থাকল।
সাঁতারু আরতী সাহার জন্মদিন উপলক্ষে গুগল ডুডল।
গুরু অল্টার্নেট সোস্যাল মিডিয়া হিসেবে ইমার্জ করতে চাইলে ফেসবুককেই কমপিট করতে হবে তো। অসংখ্য লোক, অসংখ্য লেখা আসবেই। আপনি কি ফেসবুকে সবার সমস্ত লেখা পড়ার বা দেখার চেষ্টা করেন? ফলো করা বুকমার্ক করা, সেভ করা, ট্যাগ করা, মেনশন করা এসব ফিচার আসবেই। ক্রমশ দেখবেন লগ ইন না করলে ইনফর্মেশন বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন। তখন লগিন করে সিলেক্টেড জিনিসপত্রে নিজেকে আবদ্ধ করবেন। এই তো জীবন কালীদা।
ধরুন ব্লগস্পট। হাজার কোটি লোক দিনে হাজার কোটি পোস্ট করছে। সব কি পড়ছেন, বা পড়তে/দেখতে চান আদৌ? কিছু সিলেক্টেড ব্লগ আছে যেগুলোতে সাবস্ক্রাইব করেছেন বা বুকমার্ক করে রেখেছেন। সেরকমই। তার মানে একেবারেই এই নয় যে, যে কটা আপনি পড়ছেন তার বাইরে ব্লগারে, ওয়েবপ্রেসে এ ফেসবুকে আর ভালো লেখা নেই, বরং উল্টোটাই।
এবার কথা হল, ফেসবুককে কম্পিটিশন দিয়ে গুরু কী অ্যাচিভ করতে চায়? সেটা একটা পরিচালন পদ্ধতির ফিলোজফিতে ঢুকে যাবে যেটা বর্তমানে এই সাইটের গতিবিধি ও লক্ষ্যকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ধরা যাক ক্রাউড ফান্ডিং করার মত কিছু বেশি রিসোর্সকে উৎসাহী করবে। ধরা যাক নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুললে তাতে বেশি সাবস্ক্রাইব ও ভিউ হবে। নানারকম। একই সাথে ধরুন এই সাইট একটা সাংস্কৃতিক ফিলোজফিকে প্রোমোট করবে যার অনুসারী বা র্যাদার যাতে অ্যাফেক্টেড লোকসংখ্যা বাড়লে রীডারবেস বাড়লে ছাপা বা ইবইপত্রের টেকারস বাড়বে। ব্রডার সেন্সে দেখলে কিছু বেসিক ফিলোজফিতে সমভাবাপন্ন মানুষজনকে কানেক্ট করবে যা সমাজ বা সোসাইটিকে আরেকটু বেশি বসবাসযোগ্য করে তুলতে পারবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠান দিনের শেষে যেখানে পোঁছে যেতে চায়। এই মুহূর্তে বাংলাভাষাভাষী মানুষ বেশিটাই আনন্দবাজারীয় সংস্কৃতিতে অ্যাফেক্টেড বলে যদি ভাবি, গুরুচন্ডালীয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে সেভাবেই যত বেশি সম্ভব মানুষকে অ্যফেক্ট করাটাই ধরতে পারেন অ্যাজেন্ডা।
আসলে অ্যাজেন্ডা প্রভৃতি ল্যালা ম্যানিফেস্টোতেই লেখা আছে, কি আছে সেটা ভুলে গেছি বলে খানিক থিওরাইজ করলাম।
এলসিএম, আপনার ০০.৫৬-র আগে ওটা ০০.৫১তে ঠিক করে দেওয়া আছে। শারদীয় দেশ লেখা দেখেছেন নাকি শুধু আর্কাইভ করেই শান্তি? সংকলিত জিনিসের ভিড় শুধু...
বাই দ্য ওয়ে, আপানারটা উদা. ছিল এবং ঠাট্টা ছিল, যদিও ভুলটাও ছিল।
জুয়ান জ্যাং র পেন্টিং টা কোথাকার? কি চমৎকার !
২০০৯ এ কেদারনাথ গেছিলাম, দীপাবলির কয়েকদিন আগে। রাস্তা ভয়ংকর খারাপ ছিল। ঘোড়ায় চড়ে যাওয়া। কিন্তু একটা দারুণ দুর্গমতা উপভোগ করেছিলাম। কিছুদিন আগে ফবুতে কেদারনাথের ছবি দেখলাম। বেশ বাঁধানো পথ। সাফ সুতরা।
কাশ্মীরের শংকরাচার্যে কয়েক হাজার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। উপরে উঠে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন কিন্তু রাস্তা গাছ, গাছালিতে ঘেরা, পাথুরে পথ।
হ্যাঁ একক, এই পরিব্রাজকরা স্বতন্ত্র। কিন্তু মানসিকতায় মিল আছে। গোষ্ঠীগতভাবে আর পরিব্রজন চলছে না, গ্রাম শহর গড়ে মানুষ যাযাবর জীবন পরিত্যাগ করে সুখেশান্তিতে বাস করছে। কিন্তু সবাই কি আর মানাতে পারে? যাযাবর জীন কারুর কারুর মধ্যে একটু হয়ত প্রবল। এমনিতে এঁরাও মানিয়ে নেন অনেকেই, কেউ কেউ কাজ খোঁজেন ঘুরে বেড়াবার। মানে একটা রফা করা আরকি। ঘরের মধ্যে খাঁচাখাঁচা লাগে, কষ্ট হয়, তাই কাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ঃ-)
বুকমার্ক করে রাখুন না।
দেখুন, কর্তৃপক্ষ, একটা কথা আছে যদি কিছু মনে না করেন। সাইটে লেখার বন্যা আসছে, ফেসবুকের মতন অবস্থা হচ্ছে। কোনো একটা লেখা চোখ বুলিয়ে ইন্টারেস্টিং মনে হল, একটু ফুরসৎ হলে তরিবৎ করে পড়ব মনে করে রাখলাম। ও মা, পড়ার ফুরসৎ করে আসতে আসতে সেই লেখা কোথায় তলিয়ে গেল। পড়া, ভাবা, তারপরে কমেন্ট---এইসবের জন্য তো একটা সময়ের পরিসর লাগে। পড়াই হল না, মন্তব্য করব কী! ব্যাপারটা বেশ আত্মিক সঙ্কটের। একটা নির্বাচনী ছাঁকনি মনে হয় প্রয়োজন। কিন্তু তাতে আবার গণতান্ত্রিক থাকে না জিনিসটা, মুক্তচিন্তায় বাধা পড়ে। এ এক উভয়সংকট।
কিন্তু, যাযাবর রা মাস মাইগ্রেশান করত। পশুরাও করে। আফ্রিকার গ্রেট মাইগ্রেশান দেক্তে বেলুনে চেপে হুলাহুলি পড়ে যায়।
পরিব্রাজক ব্যাপারটা কিন্তু ইন্ডিভিজুয়াল। এইখানেই মজা। এরা সম্ভবত মেসেঞ্জার ছিলেন। রাজতন্ত্রের হাত ধরে উত্থান। যাযাবরদের মত অতটা প্রাচীন না।
সে কিন্তু যে সে বাঁদর নয়, সে হল বানররাজ সুন উখোং। ছাতায় বা চেয়ারে থাকবে কেন, সাথে সাথে হেঁটে যেত। এই জার্নি টু দ্য ওয়েস্টের ৩৪ খন্ডের চিনা কমিক্স সিরিজ আছে বিদেশি ভাষা প্রকাশনা বেইজিং থেকে ছাপা আর বাংলায় অনুবাদ করা।
এই যেমন, আনন্দবাজার লিখেছে, "শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা" - এই যে লিংক ( https://www.anandabazar.com/events/pujabarshiki/ ) এতে তেমন কিস্যু ভুল নেই - সো নো চেঞ্জ নিডেড -- সিম্পল
অনন্ত যাত্রী এঁরা। এঁদের কাহিনি শুনলেই সেই প্রাচীন যাযাবর জনগোষ্ঠীকে মনে পড়ে যারা একজায়্গায় বেশিদিন থাকতেন না, কিছুদিন পর পর তাঁবুতাঁবা গুটিয়ে গোটা দল নতুন নতুন জায়্গায় চলে যেতেন। পৃথিবীটা ছিল একটা বেড়ানোর জায়গা । নিত্যই তাই হাসিমুখ ছিল তাঁদের। ঃ-)
ওটা একধরনের রাকস্যাক। এখনো পাহাড়ের দিকে এর মডারন ভারশন পাবেন। পেছনে জিনিসপত্র রাখা হয়, ওপরে ছাতার মত হয়ে রোদ জল আটকায়। সাম্নে ভিস্তি টাইপ পানিয়ের বোতল। কুল্কাল হাঁটবেন পিঠে বেঁধে, তেস্টা পেল্র ঢুকুঢুকু।
এলেবেলে,
"...তারা কার পরে শারদীয় হয় আর কার পরে শারদীয়া..."
পরে নয়, আগে - "পত্রিকা"-র আগে, বিশেষণ হিসেবে। পত্রিকার কোনো জেন্ডার নেই।
এইসব পরিব্রাজকেরা আশ্চর্য লোক। পায়ে হেঁটে পাহাড়পর্বত মরুভূমি প্রান্তর সব পার হয়ে চলে যেতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলছেন আর চলছেন---মানে যাকে বলে সুপারহিউম্যান এঁরা।
এটা মনে হয় ডুনহুয়াং গুহাচিত্র। এনাকে কেন্দ্র করে আশ্চর্য সব গল্প আছে। ঐ ছাতা বা চেয়ারটায় নির্ঘাত একটা বাঁদর বসবাস করত, সে এক ভারি মিষ্টি গল্প, journey to the west এ পড়েছিলাম।
কার পরে আগে
আরে হুয়েন সাং এর পিঠে লাগানো ওটা ছাতা। ছবিতে এমন করে এঁকেছে যেন খুড়োর কল, সামনে বুদ্ধের মুখ ঝুলছে, তাইতে প্রেরণা পেয়ে মাইল মাইল হেঁটে চলছে। তবে হুয়েন সাং এর ছবি দেখেই নাকি খুড়োর কল আঁকা।
লিংকে http / https খুঁজে না পেলে শেষে .jpeg থাকলেও দেখায় না।
কিন্তু টিম, শেয়াল বিষয়ক কবিতা আর কই? ঃ-)
আকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১: ৩৯
আমার রেগে থাকতে বয়ে গেছে! কিছু লোক আছেন যাঁরা এলেবেলে যদি বলে, সে বাঁচার জন্য অক্সিজেন জরুরি মনে করে - তো তাতেও তাঁরা বলবেন ধুস, অক্সিজেন! সিওটু বুইলেন সিওটু নিই আমরা।
তারা কার পরে শারদীয় হয় আর কার পরে শারদীয়া - সেটাও জানে না। বদলে ডিক্সনারি ছুঁড়ে বলে নো চেঞ্জ নিডেড! (এটা এলসিএম-এর উদা. দিয়ে বললাম! আমার রেগে থাকার আলাদা টার্গেট অডিয়েন্স আছে!!)
ধরুন 'মান্যতা'। এটা ভুল। ভুল মানে যাচ্ছেতাই ভুল। ওটা বাংলায় নেই-ই। তবু গলার জোরে জেতার বাসনা! ক্ষমা চাওয়া? হে হে, ওটা তো কেবল এলেবেলেকে চাইতে হবে! এক লাইন লিখে ভুল স্বীকার না করলে 'ডিসগাস্টিং' নিক বেরোবে!!
এখন কেউ কেউ যদি লাগাতার দাবি করে যায় তোমরা খাবে নিমের পাঁচন, আমরা খাব মিশ্রী - তাহলে এই হায়ারার্কির লেজ মুচড়ে দেওয়া হবে এবং সঙ্গে একটি রবির চুনিন্দা ফুল ফের আলগোছে ছুঁড়ে দেওয়া হবে! সিম্পুল!!
প্রিভিউ এলো না jpeg বলে? একী তব বিবেচনা।
দাদুর বেতের আরামকেদারা পিঠে নিয়ে আমরা হিউয়েনসাং সাজতাম, আর ভাবতাম আরেকটু বড় হলে যখন কাঠের চেয়ারটা তুলতে পারবো তখন সাজটা আরো রিয়ালিস্টিক হবে।
এই ছবিটা ভালো তবে একটু রাগী মত, আবার পায়ের কাছে একটা লোলুপ বাঘ শেয়াল না খাটাশ।