হাহা, হ্যাঁ, তারাপদ রায়ের এবার যাইনি আমিও খুব মানিঃ)
এমনিতেও সেপ্টেম্বর মাস পড়লেই রায়বাবুর 'থাকতো একজন কাশের জঙ্গলে' স্মরণ করি।
হুতোর জন্যে অব্যর্থ সলিউশন আছে। আমি ব্যবহার করে খুব ভাল ফল পেয়েছি। এটার নাম "এবার যাইনি"। পয়সার যেমন সাশ্রয় হয়, তেমনি ধনী-ধনী মনে হয়। যেমন এবার আমি নরওয়ে যাইনি। আগেরবার ইটালি যাইনি। উপর্যুপরি অনেক বছর কিলিমাঞ্জারো যাইনি। এখন কিলিমাঞ্জারো না-যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। বয়েস হয় গেছে। বছর তিনেক আগে পরপর দুবছর নিউজিল্যান্ড যাইনি। ২০২১ সালে ভাবছি সাউথ অ্যাফ্রিকা যাবনা।
এটা আমার অরজিনাল আইডিয়া নয়। ঈশ্বর তারাপদ রায়ের আইডিয়াকে আমি একটা ফ্রেমওয়ার্কে দাঁড় করিয়েছি।
(টেক টিম, নামের আগে চন্দ্রবিন্দু দেওয়া যাচ্ছে না। এইসব দিশি পরম্পরা সাপোর্ট না করা কলোনিয়াল চক্রান্ত।)
পরশু না কবে এর মধ্যে দিল্লি এয়ারপোর্টে চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্যে একটা নতুন টার্মিনাল খুললো।
ইশ, আমার যদি একটা প্লেন থাকতো। উনি কী সুন্দর একটা নতুন প্লেন কিনেছেন।
এ বাবা, কাকা নকশাল? এখন ও নকশালবাড়ির বেচু হল? ভালো। উপায়ই বা কী? করেকম্মে খেতে হবে তো! সব জায়গায় লাথখোরদের শেষ আশ্রয় দেশ! ঘটনার বছর পঞ্চাশ পর!!
সেই। স্মার্ট ফোন না থাকলে ট্রেনে না উঠতে দিলে আক্ষরিক ও আপেক্ষিক অর্থে সোস্যাল ডিস্টেন্সিং জবরদস্ত পালন করা হবে বৈকি। :-)
বাইশে সেপ্টেমবার বিলবো আর ফ্রোডো ব্যাগিনস এর জন্মদিন। তাই আজ হবিট দিবস পালন করা হয়।
ন্যাড়াদা কি আজকাল কিছু লিখছে না? আমার এই প্রশ্ন জেগেছে মনের মধ্যে - পড়ে বুঝতে পারব এমন লেখা পেতে তো সাধ হয় নাকি!
@S
অ্যাফ্রিকা নিয়ে বাংলায় একটি সুন্দর বই আছে। শ্যামলকৃষ্ণ ঘোষের 'নাইরোবি থেকে রবি'। লেখক শ্যামলকৃষ্ণ ঘোষ নাকি প্রথম বাঙালি বর্ন ইন অ্যাফ্রিকা। ১৯০৩। জীবনের প্রথম বিশ বছর কিনিয়ায় কাটিয়েছেন।
আপনারা 'দেশ' পত্রিকায় অসীম চট্টোপাধ্যায়ের 'নকশালবাড়িনামা' পড়ছেন ? আমার ভাল লাগছে।
কলকাতাকে আজ লন্ডন মনে হল? তা বেশ! ওটা বিগত ২৬০ বছর ধরে লন্ডনই, আগামী ২৬০ বছরও তাই থাকবে। শুধু সঞ্জয় গান্ধীর তুর্কমান গেট এপিসোডটা মাঝে মধ্যে চালিয়ে শহরটাকে স্যানিটাইজ করে নেবেন। রানি আপনাদের বিলেত থেকে আশীর্বাদ করবেন।
হ্যাঁ। এটা আমারও মনে হয়েছে। সোশ্যাল ডিসটেন্সং স্ট্রিক্টলি চেক করার জন্যে। সেটা হচ্ছেও। সিটেও মার্কিং করা আছে। স্মার্ট ফোন কেন? ফোন ব্যবহার করেনা এমন মানুষও থাকতে পারেন।
হবিট দিবস? না জানিনা তো। আজ মানে ২১ না ২২? গুগল ডডল থেকে এসব জানতে পারা যায়!
"মেট্রো চালু হবার পরে আজ প্রথম চড়লাম। মোবাইল থেকে অ্যাপ নামিয়ে স্লট বুক করে পাস বের করে তবে এন্ট্রি। আমার মোবাইলে অ্যাপ নামেনা। স্পেস ইস্যু। শেষে কিছু অ্যাপ উড়িয়ে নাবলো। পুলিশ কর্তারা"
যাদের স্মার্ট ফোন নেই তারা মেট্রো চড়তে পারবে না?
লণ্ডনে এই জিনিস হলে আর দেখতে হত না।
আজকে আন্তর্জাতিক হবিট দিবস। জান তো?
একটা টই খোলা হোক "চন্ডালদের আফ্রিকা সফর"।
হোক দল @বড়েস
আজ মনে হল কলকাতা is London।
মেট্রো চালু হবার পরে আজ প্রথম চড়লাম। মোবাইল থেকে অ্যাপ নামিয়ে স্লট বুক করে পাস বের করে তবে এন্ট্রি। আমার মোবাইলে অ্যাপ নামেনা। স্পেস ইস্যু। শেষে কিছু অ্যাপ উড়িয়ে নাবলো। পুলিশ কর্তারা যথেষ্ট সাহায্য করছে।
ফেরার সময় কিছুতেই আর স্লট পাইনা। প্রায় পনেরো, কুড়ি বার ট্রাই রে যখন রণে ভঙ্গ দেব ভাবছি তখন পুলিশ ছেড়ে দিল। বলল 'যাইহোক ট্রাই তো করেছেন। না পেলে কি করবেন! বারি বতো ফিরতে হবে।'
তবে London এ কি আর এত আন্তরিকতা মেলে!
আফ্রিকার জন্য একটা দল তৈরী হোক। ২০২২ এর শীতকাল টার্গেট। আমি খুব ভালো আইটেনেররি তৈরী করতে পারি। ওটা ফ্রিতে করে দেব।
ওহ, লুরু চিড়িয়াখানা বা অভয়ারন্যতে একটা ঐ সাফারি মত আছে। বাঘ সিঙ্গি সব ছেড়ে রেখেছে, মাঝে দিয়ে ভ্যানগাড়ি চলে, ভালোই ব্যবস্থা, পশুপাখিগুলো বেশ মোটাসোটা, মনে তেমন দুঃখ নেই বলেই মনে হয়। গোলমেলে হলো ভালুক গুলো। পালে পালে ভালুক যখন তখন নেশা ভাং করে রাস্তার মাঝে চিৎপাত হয়ে স্তূপাকৃতি পড়ে ঘুমোয়, গাড়ি সব আটকে যায়, ড্রাইভাররা হাঁক ডাক করে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু নেশাগ্রস্ত ভালুকের পাল কী আর সোজা কথা।
আফ্রিকা যাওয়ার অসম্ভব ইচ্ছে। কঙ্গো িয়ে শুরু করব। ইউ টিউবে কিছু ডকুমেন্টরি দেখে লোভ হল।
তবে নিজের দেশের জঙ্গলই সেরকম দেখা হয় নাই। এখনো পাশেই সুন্দরবনের যাইনি। গীর, কাজিরাঙ্গা তো দূর অস্ত। :-(
দার্জিলিং এর ক্যাভেনটার্স তো খুব এক্সপেন্সিভ নয়। আমি অবশ্য শেষ গেছি বারো বছর আগে।
গ্লেনারিজএ দাম বেশি। লোকজন দেখেছি কফি আর স্ন্যাক্স নিয়ে অনেকক্ষন বসে থাকে। খাবার দাবার তেমন পোষায় নি। তবে ভুইটা অসাধারণ। ওর থেকে বেটার ভিউ আর বোধয় দুনিয়াতে নেই।
কিলি ট্রেক-ও করতে চাই, শরীর যদি সায় দেয়
তা জানি না, আমিও গত দশ বছর কলকাতার কোনো রেস্তোঁরায় যাইনি, দুয়েকবার টেক আউট করেছি, অজয়নগরের হাজি আলি থেকে বিরিয়ানি নিয়েছিলাম বছর দুই আগে, সে কি ভিড়।
আমারও এককের মতই ইচ্ছে করে, কোন ওয়াইল্ড লাইফ প্রজেক্ট, বাঘ সেন্সাস - এইরকম কিছুতে যোগ দিতে। আলসেমি হেতু কিসুই হয় নাই। অতেব, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো - সাফারি । তবে কোন জঙ্গলে গেলে কিছুটা অন্তত পায়ে হেঁটে ঘুরতে পারলে ভাল লাগে।
মাসাইমারা, গোরাংগোরো ইঃ লিস্টে আছে। হয়তো কখনো । ভারতে অরুণাচল
গুগল করে মেনু বের করে এখন দেখে অবশ্য শস্তাই লাগলো। তবে আমরা যখন শেষ গেছিলাম তখন ফেরার গাড়ি ভাড়া থাকবে কিনা ঐ নিয়েই একটু চিন্তা ছিল, তাই দামী মনে হয়েছিল।
আমিও এখন ঐ হয়তো পনেরো কুড়ি পার্সেন্টে ঢুকেছি আরকি।
ধাবাতে এখন ভীড় কেমন হয়?
এই শালার কোভিড।
জানুয়ারি থেকে টিকিট কাটা। হেলসিংকি যাব জুলাইয়ের গোড়ায় বড়মেয়ের কাছে। তারপর চারজনে ফ্লরেন্স ও রোম ঘুরবো। হোটেলে বুকিং । শেষে আমরা বুড়োবুড়ি একমাস হেলসিংকি থাকবো অপেরা আর মিউজিয়াম দেখবো। হেমিঙ্ওয়ে পাব এবং লেনিন রেস্তোরাঁয় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে সমাজতন্ত্রের জন্য ফোঁৎ ফোঁৎ করে রুমাল দিয়ে নাক মুছবো।
বাল্টিক সমুদ্রের খাঁড়িতে নৌকোয় উঠে গিন্নিকে আবার প্রপোজ করব। সব গেল।
ইতালিতে শোকের আবহ। ফিন এয়ারের ফ্লাইট ক্যানসেল।
আবার কবে প্রভূর ইচ্ছে হয় দেখি!
কোলকাতার ফ্লুরিজে দামটা একটু বেশিই। লোকেশনের জন্য।
কেভেন্টার্স তো সস্তা। কফিটা বেশ ভালই লাগে।
সত্যিকার বড়লোকরা স্পেসে বেড়াতে যায় :-)
অন্য জায়গা ছেড়েই দিলাম, লোকে দেখি দার্জিলিং গিয়ে কেভেন্টার্স, কলকাতায় কোথায় যেন ব্রেকফাস্ট আরো কত কী করে, আমি নিজের পয়সায় জীশান বা বালিগঞ্জ ধাবার ওপরে উঠতে পারলাম না। পরস্মৈপদী, অফিস টফিস ইত্যাদি করে অবশ্য একটু একটু হয়েছে। আপনারা সব বালি যবদ্বীপ আফ্রিকা কামচাটকা বেড়াতে যাবেন, লনে বসে ভিসুবিয়াস দেখবেন আবার বড়লোক বললে রাগ করবেন।
এমনিতে কিছু না, এসব তো হতেই পারে, তবে ধনাঢ্য পাঁচ পার্সেন্ট বললে রাগ করবেন না, এই আরকি।
ইজিপ্টের মিউজিয়ামের ডকু দেখেছি , ফ্যাবিউলাস | পিরামিড টানেনা |
না করেনা। সাফারি টাইপ ব্যাপারস্যাপার এঞ্জয় করিনা। হ্যাঁ , এখন কেও সাভো বা কোন সেরকম রেঞ্জে, ওয়াইল্ড লাইফে প্রজেক্টে ডেকে নিলে চলে যেতুম। বছর দুই অন্তত কাটিয়ে আসা যেত।
আফ্রিকা যাওয়ার ইচ্ছে ওই বই পড়ে ডকু দেখে ছোটবেলায় হত, তারপর জংগল টংগল ঘুরে থেকে, দেখলুম সাফারি একটা আলাদা মেন্টালিটি। স্যুট করে না। সময় নষ্ট মনে হয়।
হ্যাঁ, কিলি ট্রেক এবং মাডাগাস্করের প্রকৃতি দেখার খুব ইচ্ছে করে।
লসাগুদা JSTOR থেকে পেপার নামানোর কী কায়দা? সাই হাব তো ক্যাপচা ক্র্যাক করতে পারছে না!