সরি, ব্রাহ্ম.দের সম্পর্কে আপনাদের ভুল ধারণা আছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাজে তাঁদের প্রাধান্য কমেনি। আমি বারবার যে কাস্ট হায়ারার্কি ও ক্লাস হায়ারার্কি বলছি সেটার সামান্য অভিযোজন হয় মাত্র। পুরনো জমিদারদের থেকে নিষ্কর জমি পেয়ে বিদ্যাচর্চায় বুঁদ হয়ে থাকার বদলে তাঁরা নতুন ভুঁইফোঁড় জমিদারদের সঙ্গী হয়ে ওঠেন। এটাকে কেতাবি পরিভাষায় বলা হয় King-Pundit Nexus। সঙ্গে হেস্টিংস-ওয়েলেসলি-কর্নওয়ালিসের লাগাতার আশকারার ফলে তাঁরা ১৮৬০ পর্যন্ত বাংলায় দাপটে রাজ করেন। ঔপনিবেশিক বিচারব্যবস্থা এ দেশে পুরোপুরি কায়েম হওয়ার পরে তাঁরা প্রশাসন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বটে, কিন্তু বামনাই দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি।
রঞ্জনবাবু আমার অপার সৌভাগ্য যে আপনি নিজে থেকে আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। ওসব ঝামেলার দরকার নেই। আমি কাল নিজে আপনাকে ফোন করব। আজ খ-কে একটা বিশেষ কারণে ফোন করেছিলাম। শালা ফোন ধরেওনি, রিং ব্যাকও করেনি!
এলেবেলে,
তোমার ফোন নাম্বার কি নামে সেভ করেছিলাম সেটা ভুলে গেছি। তাই হয়াটস অ্যাপ করে দাও। কাল দিনের বেলায় কথা বলব, কখন খালি থাকবে টেক্সট করে দিয়ো।
চটলে হবা? ফিপ্লবের সুবিধের জন্য কি দুনিয়া ফরল হবা?
বই কেন, দুদিন পরে ভাসাই উঠে যাবে। আজন্ম লোক সিগ্নিফায়ার সাজিয়ে সাজিয়ে খেলে যাবে হয় নাকি? ফিল চাই বস।
সোস্যাল মেডিয়া উঠবে না। সোস্যাল মেডিয়া নিয়ে বিতর্কটাও ত সোস্যাল মেদিয়াতেই হবে এবং বিজনেস আরো বাড়বে।
এই বই ব্যান হবে, পোড়ানো হবে, সরকার বাধ্যতামূলক নিয়ম চাপাবে এসব লিবেরালদের ওয়েট ড্রিম। এখন খেলা পাল্টে গেছে। সোস্যাল মেডিয়া আসার পর হাক্সলি অরওয়েলকে দশ গোল দিয়ে দিয়েছে। আলাদা লেভেলের দিসট্র্যাকশন।
বইফই অলরেডি উঠে গেছে। বই পুড়িয়ে আর ফসিল ফুয়েল খচ্চা করার মানে হয়না।
খ, আগেই 'গাদা গাদা' শব্দ ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্যে নিজের কান নিজেই মুলে দিলাম। আমি খুবই গানকানা পাবলিক। রবি ঠাকুরের গান আমার চারজন - সুবিনয়, দেবব্রত, কণিকা, সুচিত্রা- ছাড়া অন্য কারও গলায় শোনার আর্জ ফিল করিনি কোনও দিন। আমার অজস্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই এটি অন্যতম, তা নিজেই স্বীকার করি। ফলে ওই কেউ লিঙ্ক দিলে শুনি। তবুও ক্ষমাপ্রার্থী।
বড়েস, //নমঃশূদ্র (লোয়ার কাস্ট হিন্দু) আর মুসলমানদের সঙ্গে দূরাচার শুধু বাঙলাদেশেই হয়েছিল, তাও দেশভাগের আগে আর পরপর? //
না। পূর্ববঙ্গে নমঃশূদ্র-মুসলমান, পশ্চিমবঙ্গে নমঃশূদ্র না থাকার কারণে শূদ্র-মুসলমান। মুসলমানটা কমন ফ্যাক্টর। আর নবদ্বীপের রঘুনন্দন ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণ ব্যতীত প্রত্যেককে শূদ্র বলেছিলেন। সেই নিদান দীর্ঘদিন বজায় থাকে। মধ্যে বৈদ্য রাজবল্লভ টাকা ছড়িয়ে জাতে ওঠেন। নিজের বিধবা মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে নদীয়ারাজ বাউন কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে কেমন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন, সেসব ডকুমেন্টেড। তারও পরে আন্দুলের কায়স্থ রাজা একই ভাবে টাকা ছড়িয়ে 'ক্ষত্রিয়' শ্রেণিভুক্ত হন, মানে শূদ্র থাকলেন না আর কি! এঁরা ছাড়া বাউনরা আর মাত্র যে নয় জাতির থেকে জলগ্রহণ করত (খুব পুণ্যির কাজ কি না!) তাঁরা নবশাখ।
আর আপনি এই কাস্ট হায়ারার্কি আর ক্লাস হায়ারার্কি ভুলে পুরুলিয়ার বিজেপির রমরমা দেখতে থাকুন। আমি 'অস্বস্তিকর' মতুয়া সম্প্রদায়েই আটকে থাকব!