এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৭459936
  • একচুয়ালি, বাংলা লেখালেখিতে ব্রাহ্মণ সন্তান দের বর্ণনা অনেক টা বিলিতি কুকুরের বর্ণনার মত। আমরা যেমন, নেড়ির দিকে তাকাই না, কিন্তু এক্টা ল্যাব্রাডর রাস্তায় একা একা ঘুরলে ফিরে তাকাই, খেতে দি, ঠিক সেরকম ঃঃ

    " একটি কিশোর, পরনে ধুতি, খালি গা, আকার- প্রকৃতি দেখিয়া ভদ্রসন্তান বলিয়া বোধ হয় , অথচ মুখ খানি শুকন, যেন একবেলা আহার জোটে নাই, ড্যাশ ড্যাশ গিন্নি ডাকিয়া বলিলেন ঃ তুমি কে গা.....। "

    এই এক প্যাটার্ন ঘুরে ফিরে কত যে লেখায়, দেখা যাবে সে ভাগ্যবিপর্যস্ত ব্রাহ্মনসন্তান। যদিও ওরকম বিপর্যস্ত চারপাশে প্রচুর সন্তান, কিন্তু তারা ত ল্যাব্রাডর নয় ঃঃ))
  • a | 194.193.***.*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২১459935
  • ডিজিটাল মানেই তো আলো আর শব্দকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়্গায় পাঠানো। বাকি ইন্দ্রিয়গুলোকে নিয়ে না ভাবলে চলবা?

    এককবাউএর কথা বুঝিনি, ইউটিউবও তো শেষ পর্যন্ত ২ডি। ৩ডি হলগ্রাম (স্টার ওয়ারস জাতীয় ) হলে তবে ব্যাপারটা জমবে। ৩ডি প্রিন্টারের ইউজ বেড়েছে কিন্তু এখনো তত ব্যপক হয়নি। শখানেক বছরে হয়ে যাবে
  • একক | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:০৬459934
  • ১৮৬০ হলে সাহিত্যে গরিব ব্রাহ্মণ উপস্তিতির সংগে সাজুয্য থাকচে। কারন ১৯০৫ নাগাদ দক্ষিনারঞ্জন বাবু লোককাহিনি যোগার করচেন, সেখানে গরিব ব্রাহ্মণ আচে, সমসাময়িক আরো কাহিনি তেও। অরথাত অন্তত বছর পঞ্চাশ আগ হতে বামুন দের অবস্থা পরতির দিকে যাচ্ছিল।
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৩০459933
  • সরি, ব্রাহ্ম.দের সম্পর্কে আপনাদের ভুল ধারণা আছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাজে তাঁদের প্রাধান্য কমেনি। আমি বারবার যে কাস্ট হায়ারার্কি ও ক্লাস হায়ারার্কি বলছি সেটার সামান্য অভিযোজন হয় মাত্র। পুরনো জমিদারদের থেকে নিষ্কর জমি পেয়ে বিদ্যাচর্চায় বুঁদ হয়ে থাকার বদলে তাঁরা নতুন ভুঁইফোঁড় জমিদারদের সঙ্গী হয়ে ওঠেন। এটাকে কেতাবি পরিভাষায় বলা হয় King-Pundit Nexus। সঙ্গে হেস্টিংস-ওয়েলেসলি-কর্নওয়ালিসের লাগাতার আশকারার ফলে তাঁরা ১৮৬০ পর্যন্ত বাংলায় দাপটে রাজ করেন। ঔপনিবেশিক বিচারব্যবস্থা এ দেশে পুরোপুরি কায়েম হওয়ার পরে তাঁরা প্রশাসন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বটে, কিন্তু বামনাই দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি।

  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:২০459932
  • রঞ্জনবাবু আমার অপার সৌভাগ্য যে আপনি নিজে থেকে আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। ওসব ঝামেলার দরকার নেই। আমি কাল নিজে আপনাকে ফোন করব। আজ খ-কে একটা বিশেষ কারণে ফোন করেছিলাম। শালা ফোন ধরেওনি, রিং ব্যাকও করেনি!

  • রঞ্জন | 182.69.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০২459931
  • এলেবেলে,


          তোমার ফোন নাম্বার  কি নামে সেভ করেছিলাম সেটা ভুলে গেছি। তাই হয়াটস অ্যাপ করে দাও। কাল দিনের বেলায় কথা বলব, কখন খালি থাকবে টেক্সট করে দিয়ো।

  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:৪৪459930
  • আমার মনে হয়, লং টাইম পিরিওড ধরে শোসাল ও ইকনমিক উত্থানকে যদি কেও ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারে ত কায়েত রা। শিক্ষা - রোজগার দুদিক থেকেই, ব্যালান্সড গ্রোথ রেট। যাঁরা এসব নিয়ে কাজ করেন, বেটার বলতে পারবেন।
  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:৩৩459929
  • অপদার্থ বলাটা ভুল হবে না কারণ ব্রাহ্মণ রা জাত্যাভিমানের কারণে বিদ্যাদান বা যজমানী ছাড়া কিছু করেনি এক্টা বড় সময়। যার রোজগার ছিল খুবি কম। কাজেই গরিব ব্রাহ্মণ বাস্তবেই প্রচুর ছিল। যে ব্রাহ্মণ্য একসময় মাথার মণি ছিল, জমিদারি বিলপের পর, তা তাদের গলার ফাঁস হয়ে যায়। এটা বাস্তব। একপাল গান্ডুর সমুচিত পরিণতি বলতে পারেন। তবে বাস্তব।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::8c:***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:২০459928
  • ভেবে দেখুন। লেখকদের সমাজের কাস্ট-ইকনমিক রিলেশান নিয়ে আইডিয়া কত কম থাকলে "গরীব ব্রাহ্মণ" নিয়েই গল্প লিখতে হয়। মুসলমান নয়, লোয়ার কাস্ট নয়, ব্রাহ্মণ। অনেস্টলি স্পিকিং ব্রাহ্মণ হয়ে গরীব থাকাটা সেই ব্যক্তির অপদার্থতার লক্ষণ। কয়েক হাজার বছরের প্রিভিলেজ, ইস্কুল-্পাঠশালায় সুযোগের অগ্রাধিকার, একগাদা প্রফেশনে মনোপলি, নাম শুনলেই যে সমাজ এমনিতেই প্রিমিয়াম অফার করে সেখানে গরীব থাকাটা সত্যিই রেয়ার। তাহলে বাকী সমাজের কি অবস্থা ছিল?

    অবশ্যি উচ্চবর্ণ হিন্দু লেখকদের থেকে এর থেকে বেটার আশা করাও উচিত নয়।
  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৪৫459927
  • ওসব গল্পে থাকে। বাংলা গল্পের আদর্শ ওপেনিং ঃ এক গ্রামে এক গরীব ব্রাহ্মণ ছিলেন।
  • PT | 116.193.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩৬459926
  • গরীব ব্রাহ্মণ পুরোহিত কেউ আছেন এখানে? এবার থেকে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন।
  • r2h | 73.106.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:১৪459925
  • ওদিকে ত্রিপুরায় অল্প ক্যাচাল হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতি প্রচন্ড খারাপ। শুরুতে খুবই নিরাপদ ছিল, দু'জন না তিনজন, তাঁরা সুস্থও হয়ে গেছিলেন, তারপর কয়েক সপ্তাহ পর এক ধাক্কায় অনেকটা। কোন আধা সামরিক বাহিনী দিল্লে থেকে এসেছিল, তো ঐ শুরু হলো।
    এবার ব্যাপক অব্যবস্থা, অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই, মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য নাকি এক হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে, হিন্দু জাগরনের ঋতুতে করোনায় মৃত লোকেদের পারলৌকিক ক্রিয়াতে নাকি পুরোহিতদের অনীহা হচ্ছে, তা সেসব যাগ্গে।

    ওদিকে কবে কার্ফিউ হবে কবে লকডাউন হবে সেসব নিয়ে খুব কনফিউশন। তো, শুরুতে মেজর খবরের কাগজগুলি খুবই সরকারমুগ্ধ ছিল, কিন্তু এত ঝামেলার মধ্য কিছু খবর তো ছাপতেই হয়, তো অল্প অল্প ছেপেছে। তাতে বিপ্লব দেব রেগে গিয়ে সব খবরের কাগজকে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে (এ এক্কেবারে দিলীপ ঘোষের মত কথা বলে, অ্যাকসেন্ট, কথার টান)।
    তাতে খবরের কাগজগুলি রেগে না গিয়ে আর পারেনি, সবাই মিলে সরকারকে হুড়কো দিতে মনস্থ করেছে, দৈনিক সংবাদ গরম গরম প্রতিবেদন লিখছে।
  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৪৮459924
  • এনারসির গপ্পোটা দ্রুত শুরু করবে মনে হচ্চে। তার আগে, বিরধিদের জেলে ভরার পালা।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৪৬459923
  • করন থাপার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তৃণমূল দিল্লি রায়ট কেসে নাম উঠে আসা তৃণমূল এর সর্বভারতীয় নেতার।
  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৪১459922
  • ভাষা উঠে ত যায় না। পাল্টাবে। ইমোটিকন আর আল্ফাবেট মিলে মিশে এক্টা রূপ নেবে। ফীলিং গুলো কমপ্লেক্স আর ফ্রেযাল হবে, ইমোজি আরো কম্পলেক্স হবে।

    এত হওয়ার ই ছিল। ছাপাখানার পাল্লায় পড়ে একটা আল্ফাবেট সরবস্ব ফেজ গেলো। এবার ছাপাখানা কালচার পেছনে রেখে হাঁটার পালা।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:১৯459921
  • আনোনিমিটির নিকুচি করেছে।After 11 hours of interrogation, the Delhi Police Special Cell has arrested Umar Khalid as a "conspirator" in the Delhi Riots case.

    The fairytale narrative that DP has been spinning criminalising protests in the garb of investigating riots, find yet another victim.

    The fight against draconian CAA and UAPA will go on despite all these horrid measures of intimidation.

    Twitter Storm today, 14th September, 2020, 7pm to 10 pm.

    #StandWithUmarKhalid
    #ArrestKapilMishra
    #FreeAllPoliticalPrisoners
  • r2h | 73.106.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:১৩459920
  • যাহ, হালুইকর আর রাজার গল্প শুরু করে ভাবলাম এইবার হালুইকরের স্ত্রী রাজার মুন্ডু কেটে ফেলবে তারপর তার থেকে ছাপা বই, সমাজ এইসবের কিছু একটা রক্তাক্ত অঙ্ক বেরুবে। শেষে কিনা সিঙাড়া।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৩৩459919
  • *Stop the Witch Hunt of Dissenting Voices!*

    *Release Umar Khalid Immediately!*

    JNUSU condemns the arrest of former JNU Student and activist Umar Khalid by the Delhi Police; falsely implicating him with the North East Delhi Riots after eleven hours of interrogation. Umar Khalid had been questioned before as well and had written an open letter to the Police Commissioner of Delhi regarding the intimidation of one of his acquaintances in the name of questioning on the Delhi riots.

    This comes hot on the heels of reports that the name of Com. Sitaram Yechury (former JNUSU President And CPI(M) General Secretary) Jayati Ghosh (Professor at CESP, JNU and renowned academic ) Yogendra Yadav (Convener, Swaraj Abhiyan and JNU Alumnus) Apoorvanand (Professor, Delhi University) and documentary filmmaker Rahul Roy had been linked with the so called conspiracy in organising Delhi riots, in a so called disclosure statement. Similarly, Kavita Krishnan, General Secretary, AIPWA & Kawalpreet Kaur, AISA Delhi President have also being targeted through questioning and intimidation.

    The JNUSU condemns the continuing witch hunt and targeting of activists. We reiterate that all these actions are a means to criminalise the democratic protest against the CAA-NRC-NPR which is a divisive, discriminatory and communal agenda of the BJP RSS implemented by the Union Government. The Delhi Police reporting to the Union Home Ministry has not only had a tactical understanding with the real perpetrators of the pogroms in North East Delhi but has ensured that activists are incarcerated and maligned in such ways to shift attention away from the real culprits and their actions- such as the open incendiary statements made by Kapil Mishra on the eve of the riots.

    JNU Students Natasha, Devangana, Sharjeel have been already incarcerated along with activists such as Meeran Haider, Gulfisha and a host of others who have been falsely, deliberately and in a show of malicious intent to teach a lesson for democratically opposing the CAA. A lot of of JNU students have also been interrogated & harassed by Delhi Crime Branch in the past several months! The police has by all accounts cooked up a version of events based on clichéd and predictably similar disclosure statements obtained under questionable circumstances from arrested people- a lot of whom were arrested after they went to report about the damages or loss of life in the riots. The biggest giveaway of the bias and partisan attitude of the investigating agencies was an internal memo doing the rounds which specified directions by police officials cautioning against the arrest of alleged rioters of a particular community. The police is also using the modus operandi of slapping the arrested with the UAPA- which was amended to suit the purpose in July when association with any proscribed group is no longer necessary for anybody to be declared liable to be slapped by the draconian act. Filing multiple cases and leaking selective stories to malign people associated with the protests has also been done regularly. Furthermore, dubious statements of confession, which are inadmissible in a court of law, are leaked to the media as admissions of guilt, to create a media frenzy and further perpetuate the witch hunt against dissenting voices.

    We would like to appeal to all progressive sections to stand united and vigilant, and unfazed by such cowardly actions. The spirit of resistance and dissent against the policies of this particular government, its curbing of voices and its anti people policies shall continue to be opposed with greater vigor and such intimidating tactics shall be rejected.

    #ReleaseUmarKhalid
    #ReleaseAllActivists

    RejectCAA-NRC-NPR

    *JNUSU*
  • ফারুন ফাসি | 49.37.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:২৭459918
  • ফি ফারুন ফাসির ফ্যাপার।
  • বইফই | 5.253.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১৬459917
  • চটলে হবা? ফিপ্লবের সুবিধের জন্য কি দুনিয়া ফরল হবা?

    বই কেন, দুদিন পরে ভাসাই উঠে যাবে। আজন্ম লোক সিগ্নিফায়ার সাজিয়ে সাজিয়ে খেলে যাবে হয় নাকি? ফিল চাই বস।

  • সমভুজা-সিঙ্গাড়া-সামোসা | 2a0b:f4c1:2::***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১৫459916
  • ঠাণ্ডা লুচি বারংবার ফেরত পাঠানোয় রাজবাড়ির হালুইকর অনুমতি চেয়েছিলেন রাজসভায় মিষ্টান্ন পাঠাতে। রাজচিকিৎসকের পরামর্শে মধুমেহ রোগাক্রান্ত রাজা অগ্নিশর্মা হয়ে শূলে চড়ানোর হুকুম দিয়েছিলেন হালুইকরকে। অনেক অনুনয় বিনয় করে নিজের প্রাণ রক্ষা করেছেন হালুইকর। রাজা আদেশ দিয়েছেন - হালুইকরকে তিনরাত্রের মধ্যে দেশত্যাগ করতে।

    দ্বিতীয় রাত্রে হালুইকরের স্ত্রী ঠিক করেছে দেশত্যাগের আগে একবার দেখা করবে রাজার সাথে। সেইমতো তৃতীয়দিন সকাল বেলা রাজদরবারে এসে প্রণাম জানালো স্বয়ং রাজামশাইকে। রাজসভায় আসার কারণ জিজ্ঞেস করায়, রাজাকে জানায় - সে নাকি এমনভাবে লুচি তরকারি করতে পারে, যা রাজা আধঘন্টা বাদে খেলেও গরম পাবেন। এজাতীয় লুচি এবং তরকারি নাকি কিছুক্ষণ বাদে খাওয়াই দস্তুর।

    সন্দিহান রাজা কিঞ্চিৎ কৌতূহলী হয়ে হালুইকরের স্ত্রীকে পাঠালেন পাকশালে। জানিয়ে দিলেন যখন রাজসভা থেকে খবর যাবে তৎক্ষণাৎ পাকশাল থেকে খাবার পৌঁছনো চাই। হালুইকরের স্ত্রী মৃদু হেসে মহারাজকে জানিয়েছিলো - খাদ্যদ্রব্য রাজসভায় তৎক্ষণাৎই পৌঁছবে, কিন্তু অনুগ্রহ করে তিনি যেন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে খান - অন্যথায় মহামান্য রাজকীয় জিহ্বা পুড়ে যেতে পারে। বিস্মিত মহারাজের সামনে দিয়ে হাস্যমুখে হালুইকরের স্ত্রী চলে গেল পাকশালে।

    রাজ-পাচক আলুর তরকারি তৈরি করে পাকশালে দাঁড়িয়ে কাঁপছেন, হুকুম এলেই লুচি ভাজতে হবে। ময়দার তাল মাখা রয়েছে হাতের সামনে। হালুইকরের স্ত্রী পাচককে কটাক্ষ করে বসলো ময়দার তাল নিয়ে। লেচি কেটে লুচি বেলে, কাঁচা ময়দার ভেতর লুচির জন্য তৈরি সাধারণ তরকারি ভরে দিয়ে, সমভুজাকৃতি ত্রিভুজের গড়ন বানিয়ে আড়ষ্ঠ রাজ পাচকের সামনে নিজের আঁচল সামলে শুরু করলো চটুল গল্প।

    রাজাজ্ঞা আসতেই তরকারির পুর ভর্তি দশটি ত্রিভুজাকৃতির লুচির ময়দা ফুটন্ত ঘি ভর্তি কড়ায় ফেলে দিয়ে, নিমেষের মধ্যে সোনালী রঙের ত্রিভুজগুলি তুলে নিয়ে স্বর্ণথালায় সাজিয়ে নিজেই চললো রাজসভায়।

    মহারাজ এরূপ অদ্ভুত দর্শন খাদ্যবস্তু দেখে স্তম্ভিত। হালুইকরের স্ত্রী অত্যন্ত বিনীতভাবে জানালো - খাদ্যদ্রব্যটির নাম সমভুজা। মহারাজ যেন সম্পূর্ণ বস্তুটি মুখে না ঢুকিয়ে একটি কামড় দিয়ে দেখেন - ঠাণ্ডা না গরম এবং অনুগ্রহ করে স্বাদটি জানান।

    মহারাজ স্বাদ জানাননি। তিনি তিনছড়া মুক্তো মালা খুলে হালুইকরের স্ত্রীয়ের হাতে দিয়েছিলেন। রাজবাড়ির হালুইকরের দণ্ডাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিলেন। প্রায় ছ'মাস পর হেসে উঠেছিলেন মহারাজ, শান্তি পেয়েছিলো তামাম প্রজাকুল।

    মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার রাজ-হালুইকর, কলিঙ্গ তথা বর্তমান ওড়িষ্যা থেকে আগত গুণীনাথ হালুইকরের ষষ্ঠপুত্র গিরীধারী হালুইকরের স্ত্রী ধরিত্রী দেবী আবিষ্কার করেছিলেন সিঙ্গাড়া।

    শাক্ত সাধক, পরবর্তিকালে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি রামপ্রসাদ, স্বয়ং সন্ধ্যাহ্নিক সেরে প্রতিসন্ধ্যায় বসতেন একথালা সিঙ্গাড়া নিয়ে।

    দোলপূর্ণিমার সন্ধ্যায়, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দরবার থেকে বাইশটি সুসজ্জিত হস্তী ভেট নিয়ে গিয়েছিলো উমিচাঁদের কাছে - বাইশটি স্বর্ণথালা ভর্তি বাইশশোটি সিঙ্গাড়া।

    ভারতীয় খাদ্য হিসেবে সিঙ্গাড়ার সাথে রবার্ট ক্লাইভের প্রথম সাক্ষাৎ হয়, এই মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রেরই সৌজন্যে।

    সিঙ্গাড়ার জন্য ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে। নাম ভুলে গেছে তাঁর প্রধান হালুইকরের স্ত্রী ধরিত্রী বেহারার।

    ইংরিজিতে বলে, কমন সেন্স মেকস্ আ ম্যান আনকমন। ধরিত্রীদেবী সাধারণ বুদ্ধি খাটিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন এই অসাধারণ খাদ্যদ্রব্যটির, যেটি সেই ১৭৬৬ সাল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা তথা সারা ভারতে।

    ঐতিহাসিকদের মতে, এর বহু আগে, নবম শতাব্দীতে পারস্যের অধিবাসীরা যব এবং ময়দার তালের সঙ্গে গাজর কড়াইশুঁটি রসুন ও মাংস মেখে সেঁকে খেতো, যাকে বর্তমান সিঙ্গাড়ার জনক হিসাবে ধরা হলেও, সুদূর পারস্য থেকে ভারতবর্ষে এসেও তাঁরা ময়দার তালে মাংসের কুঁচি ঢুকিয়ে সেঁকেই খেতেন। এরও বহুপরে তাঁরা ভারতবর্ষের উত্তরপূর্ব উপকূলে বিভিন্ন মশলা সহযোগে তৈরি আলুর তরকারি, ময়দার ভেতর ঢুকিয়ে ঘিয়ে ভাজার পদ্ধতিতে চমৎকৃত হ'ন।

    ডায়বেটিক পেশেন্টদের ঘন ঘন খিদে পায়। চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নত হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, অনেকক্ষণ অন্তর একসাথে প্রচুর পরিমানে না খেয়ে, ক্যালোরি মেপে কিছুক্ষণ অন্তর অল্পসল্প খাবার খেতে। কিন্তু সেযুগে ডাক্তারবাবুদের হৃদয় ছিলো বিশাল। মধুমেহ রোগীরা তখন তেল ঘি মশলা, ভাজা খেলেও তাঁরা রাগ করতেন না। নিশ্চিতভাবেই আজকের যুগে ডাক্তার বাবুরা আঁতকে উঠবেন যদি দেখেন কোনো ডায়াবেটিক পেশেন্ট প্রতিঘন্টায় সিঙ্গাড়া ওড়াচ্ছেন, তবু, আঁটকানো যায়নি সিঙ্গাড়াকে।

    শহুরে অভিজাত পরিবারের বৈঠকখানায় মোটা গদির সোফায় বসা অতিথির থালাই হোক বা প্রত্যন্ত গ্রামের জরাজীর্ণ চায়ের দোকানের সামনে নড়বড়ে বাঁশের বেঞ্চে রাখা তেলচিটে কালো ভাঙ্গা বেতের চুবড়ি - বিকেল সাড়ে চারটেই হোক বা সকাল পৌনে দশটা, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রধান হালুইকরের স্ত্রীর উদ্ভাবনটি সর্বত্র সর্বদা সর্বগামী।

    যা রাজসভায় রাজ-সম্মুখে পরিবেশিত হয়, তার কৌলীন্য প্রশ্নাতীত হবে - এই তো স্বাভাবিক।

    ভাষাবিদদের মতে, সমভুজা--> সম্ভোজা--> সাম্ভোসা--> সামোসা।
    মতান্তরে, সমভুজা--> সম্ভোজা--> সিভুসা--> সিঁঙুরা(নদীয়ার কথ্যভাষার প্রভাবে)--> সিঙ্গাড়া।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০১459915
  • ফারিদিকে গাদা গাদা ফতামতঃ-)))

    অভ্যু তো আর কাজে মন দেয় না, নইলে এই অবদান টা তার হাতে গড়া টই য়ে তুলে দিয়ে ফানব্রস্থে যেতাম

    ঃ-))))

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৫৯459914
  • সেটাই বক্তব্য ছিল। আগে গণতন্ত্র কে ক্যাপিটালিজম এর কানজাম্পশন ডিমান্ড জেনারেটর মনে করা হত। এখন যেহেতু রাজনৈতিক এমপাওয়ারমেন্ট কে লোকে এমপাওয়ারমেন্ট মনে করে না, গ্যাজেট অ্যাকসেস আর নগদ কে মনে করে, তাই এই মতামত কে আজকাল বুদ্ধিমানে রা, মানে প্রচন্ড রা, ফতামত বলেন, বই কে ফই এর মত।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:২৩459913
  • চায়নাতে আচে। একাধিক এবং হাইলি পপুলার। সেখানে ওই ছপি শেয়ার আর মন কেমন হয় ঃঃ)) এবংং পুরো রাস্ট্র নিয়ন্ত্রিত। আস্তে আস্তে ফেবু - ইন্সটা ও তাই হবে বাকি দেশগুলোতে । রাজামশাইরা চান না, লোকে তার বেশি কিচু করুক।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:১২459912
  • :-))))চীনে আর রাশিয়া য়, তুরস্কে প্রাক্টিক্যালি নেই। সৌদিতে তথৈবচ। আমাদের আসামে দিল্লি তে সাংঘাতিক মনিটরিং। মানুষ কি তাহলে ব ইয়ের মত সোশাল মিডিয়া কেও রিজেক্ট করছে, দুটি ফ্যাশনটিপ, দুটি মনকৈমনে মানুষের দার্শনিক রাজনৈতিক সমস্যা মিটে তো যাচ্ছে অলরেডি। বুদ্ধি মানদের এখন খালি চাইলে সারভেলেন্স আর মাইনিং টুল লেখা উচিত। আত্মগোপনের প্রথম স্টেপ তো নেওয়া হয়ে গেছে আনোনিমিটিতে।
  • বইফই | 5.253.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২৩459911
  • সোস্যাল মেডিয়া উঠবে না। সোস্যাল মেডিয়া নিয়ে বিতর্কটাও ত সোস্যাল মেদিয়াতেই হবে এবং বিজনেস আরো বাড়বে।

  • একক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২০459910
  • যে উড়তে শেখেনি তার পা কেটে নিলে কি কাঁধ সুরসুর করে ডানা গজাবে ঃঃ))) আমরা পিছিয়ে আছি সময়ের চে, অনেক অনেক।

    দেখুন আমাদের শব্দের ধারণা গুলো কত স্থবির। আমরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক যাকে বলছি তা আদতে এনালগ ও ডিজিটাল , এই মাত্র। কিন্তু ফোটগ্রাফি, ভিডিওর দুনিয়া যতটা এগিয়েচে, ডাইমেনশনের ব্যপ্তি তে, তার তুলনায় লেখার দুনিয়া সিসু একদম সিসু।

    হাঁই হাঁই করে সব " ডিজিটাইয" করার বিরোধী নই, অফ্লাইন কন্টেন্ট গুলো অনলাইনে পড়ার সুবিধে পাব, কিন্তু ওগুলো ত কোনোভাবেই ডিজিটাল কন্টেন্ট না। হবেও না। ডাইমেনশনের পারথক্য থেকেই যাবে। ওগুলো টুডি।

    একটা সময় অব্ধি লেখকদের মধ্যে টেক্নলজির পরিবর্তন ও সেই পথে নীরিক্ষার চল ছিল। যেভাবে ফিল্ম ও ভিডিও এডিটিং এর পাশাপাশি সাহিত্যে, ( আধুনিক) নন লিনিয়ারিটি আসে। কোরতেজার এক্টা জম্পেশ পরীক্ষা করলেন। এখানে কেটে ওখানে জোড়া নিয়ে লোকে ব্যাপক হারে ভাবতে শুরু করল। যদিও টু ডি।

    তারপর, কত কত বছর পেরিয়ে গ্যাল, নতুন টেক্নলজি এল, এদিকে লেখকদের চূড়ান্ত গর্তবাসী মনভাব, ইন্টারনেট এর মূল কথা যে, দুই এর বেশি ডাইমেনশন তইরী সেটাই আসচে না। সেই একটা টু - ডি লেখা লিখে " ডিজিটাইজ" করে আমরা ভাবচি, কী না হয়ে গ্যালো। কিসসু হল না। সেই সময়ে কোরতেজার রা যেটুকু সচেতন ছিলেন, টেক্নলজির ইম্প্যাক্ট কে বোঝা নিয়ে আমরা এই সময়ে, তার শতাংশ নই।

    ফিকশন রাইটার রা তবু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলচেন টু - ডি প্রজেকশন করে করে ; নন ফিকশনের অবস্থা হয়েচে, এলিফ্যান্ট ইন, এলিফ্যান্ট গ্রাস আউট। লোকে উইকি থেকে পড়চে থ্রি - ডি, মাল্টাকে টু ডি তে প্রজেক্ট করার সময় তার, কবি বা গপ্প লেখকের মত সিংগল ভিউ দেখানোর সুজোগ নেই, এবার থ্রি ডি হাতি টাকে চেপ্টে চেপ্টে টু ডি তে আনতে গিয়ে, হাইপারস্পেসিফিক হয়ে যাচ্ছে, ফোকাসের বাইরে নয়, কিন্তু একি প্লেনে থাকায় বাইরে মনে হচ্চে এমন প্রচুর তথ্য, পাঠক বিভ্রান্ত, লেখক হতাশ।

    এই ত হাঁড়ির হাল। এর সংগে ডিজিটাইজের কতটুকু সম্পক্ক ঃঃ(( লেখার মিডিয়াম টাই থ্রি ডি হওয়া দরকার, নন- লিনিয়ার রাইটিং এর পরের ধাপ। যেখানে, এক্টা গল্প মানে, এক্টা পলিহেড্রন। পাঠক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পড়বে।

    আমাদের জেনেরেশন টা বোধহয় এখনো ওভারহয়েমড, এই ইন্টারনেট ব্যাপারটা নিয়ে, তাই এর শক্তিকে আমরা খেয়ে হজম করার জায়গাতেই পৌছচ্ছি না। হতাশ নই, খানিক বিরক্ত বলা যায়।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১৭459909
  • ঠিক। অন্তত ভেজা পাজামায় শত্রু নিরূপন ঠিক ই হয়েছে, সোশাল মেডিয়া। তো সোশাল মেডিয়ায় সবার আগে বন্ধ করা উচিত বুক রিভিউ। নিউ মেডিয়ায় সবার আগে বন্ধ করা উচিত ইবুক। তার পরে পরের টেকনোলোগি এসে সোশাল মেডিয়া তুলে দিতে পারলেই নিশ্চিন্ত।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • বইফই | 5.253.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:০২459908
  • এই বই ব্যান হবে, পোড়ানো হবে, সরকার বাধ্যতামূলক নিয়ম চাপাবে এসব লিবেরালদের ওয়েট ড্রিম। এখন খেলা পাল্টে গেছে। সোস্যাল মেডিয়া আসার পর হাক্সলি অরওয়েলকে দশ গোল দিয়ে দিয়েছে। আলাদা লেভেলের দিসট্র্যাকশন।

    বইফই অলরেডি উঠে গেছে। বই পুড়িয়ে আর ফসিল ফুয়েল খচ্চা করার মানে হয়না।

  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৪৫459907
  • , আগেই 'গাদা গাদা' শব্দ ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্যে নিজের কান নিজেই মুলে দিলাম। আমি খুবই গানকানা পাবলিক। রবি ঠাকুরের গান আমার চারজন - সুবিনয়, দেবব্রত, কণিকা, সুচিত্রা- ছাড়া অন্য কারও গলায় শোনার আর্জ ফিল করিনি কোনও দিন। আমার অজস্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই এটি অন্যতম, তা নিজেই স্বীকার করি। ফলে ওই কেউ লিঙ্ক দিলে শুনি। তবুও ক্ষমাপ্রার্থী।

    বড়েস, //নমঃশূদ্র (লোয়ার কাস্ট হিন্দু) আর মুসলমানদের সঙ্গে দূরাচার শুধু বাঙলাদেশেই হয়েছিল, তাও দেশভাগের আগে আর পরপর? //

    না। পূর্ববঙ্গে নমঃশূদ্র-মুসলমান, পশ্চিমবঙ্গে নমঃশূদ্র না থাকার কারণে শূদ্র-মুসলমান। মুসলমানটা কমন ফ্যাক্টর। আর নবদ্বীপের রঘুনন্দন ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণ ব্যতীত প্রত্যেককে শূদ্র বলেছিলেন। সেই নিদান দীর্ঘদিন বজায় থাকে। মধ্যে বৈদ্য রাজবল্লভ টাকা ছড়িয়ে জাতে ওঠেন। নিজের বিধবা মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে নদীয়ারাজ বাউন কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে কেমন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন, সেসব ডকুমেন্টেড। তারও পরে আন্দুলের কায়স্থ রাজা একই ভাবে টাকা ছড়িয়ে 'ক্ষত্রিয়' শ্রেণিভুক্ত হন, মানে শূদ্র থাকলেন না আর কি! এঁরা ছাড়া বাউনরা আর মাত্র যে নয় জাতির থেকে জলগ্রহণ করত (খুব পুণ্যির কাজ কি না!) তাঁরা নবশাখ।

    আর আপনি এই কাস্ট হায়ারার্কি আর ক্লাস হায়ারার্কি ভুলে পুরুলিয়ার বিজেপির রমরমা দেখতে থাকুন। আমি 'অস্বস্তিকর' মতুয়া সম্প্রদায়েই আটকে থাকব!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত