আবার মিথ্যের বেসাতি খুলে বসা হয়েছে।আগের বারে লিখেছিল,বামের ভোট রামে যায় নি।এমনি এমনি,বামেদের ভোট ভোট 17পার্সেন্ট কমেছিল আর বিজেপির ভোট 22পার্সেন্ট বেড়েছিল।
মাথায় অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছে না বোধায়।
ভাবলুম অ্যাপ হয়ে সুবিধে হল। তা না আরো জটিল হয়ে গেল। কিছুই খুঁজে পাই না, কেবল পাই (পাল ইপ্সিতার) এর বকাঝকা খাই কিছু খুঁজে না পেয়ে :-(
এইসব পুঁথির অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের লেখা। যাঁরা সেসময় টোল চতুষ্পাঠীতে পড়তেন। এবং এঁদের সংস্কৃতজ্ঞান এবং বানাম জ্ঞান প্রাচীন শিক্ষার গৌরবোজ্জ্বল দিকটি আমাদিগের সামনে তুলিয়া ধরে না। একই পুঁথিতে একবার 'পৃথিবী' আরেকেবার 'পৃতিবি'। একবার ইচ্ছা, তো আরেকবার ইতশা। উচ্চারণ অনুযায়ী বানান একক বা ব্ল্যানকির লীলা হতে পারে, তাইবলে ওঁনাদেরও একই ব্যাপার! অ্যাঁ! এই যে আমরা অ্যাডাম সায়েব ইস্তক অ্যাত কথা শুনে আসছি! এই শিক্ষার্থীরা প্রায়শই পুঁথির শুরুতে সংস্কৃত শ্লোক লিখে দিতেন। দেখা গেছে প্রায় কোনো শ্লোকই শুদ্ধ নয়। অকারণে ঈ-কার ং আর ঃ ইউজ করা। এবার এটাকে ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচ বা ডিসিপ্লিনের অভাব বলা যাবে না, কেননা এঁরা অন্য ব্যাপারে ছিলেন খুব খুব পার্টিকুলার। যেমন, 'জিতু হালদারের দোকানঘরের পিড়ায় পশ্চিমমুখে বসিয়া পুস্তক লিখিলাম ইতি।' বুঝে দেখুন সুধী।
বাক আপ এলেবেলে! দ্যাটস দ্য স্পিরিট! দেশভাগের এক বছর আগে ১৯৪৬ সালে যারা এপারে এসেছেন-- তাঁরা আমাদের মতই।
আর এই পোস্ট থেকে বিদ্যাসাগর, রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ --সবার সম্বন্ধে তোমার তেতো কমেন্টের পেছনের দৃষ্টিভঙ্গীটা বুঝতে পারছি ।
একটাই অনুরোধ, আমি বাবুর বদলে 'দা জুড়লে বেশি খুশি হই। আর ইস্যু নিয়ে বিতর্কে আমাকে একদম ছাড় দেবেনা। আমার লজ্জা লাগে, অস্বস্তি হয় । আমি সম্মানের নই , ভালোবাসার ভিখারি। সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে--স্বামীস্ত্রী/ ভাইবোন/ বাপ-ছেল্মেয়ে -- বন্ধুকেই খুঁজি। ওটাই মানব সম্পর্কের কোর এলিমেন্ট বোলে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস।
একটু সেন্টি হয়ে গেলাম কি? (মেলোড্রামা আমার পচ্ছন্দ--বৌয়ের অবজার্ভেশন)।
প্রাচীন পুঁথি তো সিংহভাগই পদ্য। সেখানে দাঁড়ি বাদে অন্য যতিচিহ্ন না থাকলেও চলে যায়। গদ্যের জায়গাগুলো, মানে পুঁথি গুলোর পুষ্পিকাতে লিপিকররা যে ভাষা লিখে গেছেন, সেটা পড়ে বহুক্ষেত্রে কিছু বোঝা যায় না, বা সহজবোধ্য নয়, পাঠকের আন্দাজের তো ব্যাপারই নেই। যেমন, শ্রীমতির মানভঞ্জন - এই পুঁথির পুষ্পিকাতে লেখা 'সঅক্ষর মিদং শ্রী চৈতনে সেন সাকীম বাষুদেবপুর পরগণে বালিগড়ি সরকার সেলামাবাদ ফাড়ি গোরগঞ্জ এই পুস্তক নিজের হৈল জে চুরি করিবেন সে সাষুড়ে হইবেক ইতি সন ১২২৪ সাল তারিখ ১০ বেলা ভাদ্র বেলা দণ্ড তিন থাকিতে সায় হৈল শ্রী রাম মোনশ খুড়ার চালায় বসিয়া সায় হৈল জল সেই উক্তে ঝিম ২ পড়ে।' মোটামুটি আন্দাজ করা যায় যে অমুক জায়গায় ১২২৪ সালের ১০ই ভাদ্র এই পুঁথি লিপিকর লিপিবদ্ধ করেছেন। লিপিটি পবিত্র হিসেবে ডিক্রি জারি হচ্ছে, কেননা যে চুরি করিবেক সে সাষুড়ে হইবেক। এইসবই সায় হইল মানে সাব্যস্ত হইল, বাট হোয়াট ইজ 'জল সেই উক্তে ঝিম ২ পড়ে'? এইটা সম্ভবতঃ এরকম যে আগেকার সময়ে পুঁথি রচনাকালে বৃষ্টি পড়া কে ঈশ্বরের সার্টিফিকেশন হিসেবে ধরা হ'ত। যেকারণে ঝিম ঝিম করে বৃষ্টি পড়ছে বলে আনন্দের চোটে লিপিকর সেটা তুলে দিয়েছে পুঁথিতে। একটানা পড়ে গেলে এইটার আলাদা উদ্দেশ্য কী বোঝা যায় না। এখন এরকম নয় যে ছোটো বাক্য লেখার নিদর্শন ছিল না। যেহেতু লিপিকররা, যিনি পাঠ করছেন তাঁর কথা শুনে লিখতেন, একটানা হয়ত বলে যাচ্ছেন এবং যখন যেমন থামছেন সেই বিরতির মাপ অনুযায়ী লিপিকর দাঁড়ি ফেলেছে। তাই উচ্চারণ ভঙ্গি ধরা পড়ত, এখানে পাঠকের আন্দাজের পক্ষে পয়েন্টস সেরকম নেই। এবাদে বানানের গোলমালেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে পাঠোদ্ধারে গোলমাল হয়।
পদ্য ব্যতীত অন্য যে ধরণের বাক্যরীতি পাওয়া যায়, সেখানে জটিল বাক্য কিছু নেই। যেমন,
তুমি কে। আমি কে। আমি জিব।
কোন জিব। তটস্থ জিব। থাক কথা।
ভাণ্ডে। ভাণ্ড কি রূপে হইল। তত্ত্ব বস্তুতে
হৈল। কি কি তত্ত্ব বস্তু। পঞ্চ ভূতাত্ম।
ইত্যাদি (আপ্তজিজ্ঞাসা, ১২৫৪)
এখানে বাক্যের ভঙ্গী দিয়ে যতিচিহ্নের প্রয়োজন সিদ্ধ হচ্ছে। এধরণের বাণীমূলক রচনাতে খুব কিশু দরকারও থাকে না। রবীন্দ্রনাথ সম্ভবতঃ এইরকম কিছুকে ইঙ্গিত করেছিলেন। কিন্তু এই দিয়ে খুব বেশী কিছু হয় না। যতিচিহ্ন বিহীন এই ধরণের প্রাচীন পুঁথির ভাষায় যদি গদ্য রচনা হ'ত তাহলে পাঠককে সেই আন্দাজ দেওয়া ও বাক্যপথে বাঁকে বাঁকে গাইড করা এসব বিচ্ছিরি রকম চাপের। ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স আছে। ঃ)
বিদ্যাসাগর এই উপকারটি করে বাঁচিয়েছেন।
বোধি,
কণিকা ম্যামের নাতি (শোভন ও পৃথার ছেলে, নামটা ভুলে গেছি) আজকাল প্রফেশনালি গাইছে, শুনেছ? টেকনিক্যালি খুব ভালো। কিন্তু অন্যরকম গায়কী। কণিকা ঘরানার নয় । আমার অবশ্য একনম্বর লাগে--প্রয়াত বিক্রম সিং। আর মোহন সিং যখন "প্রভাতে বিমল আনন্দে" গান, কি বোলব?
আমি গুরুতে প্রথম দিন থেকে মানে যে সময়ে আমাকে কেউ চিনত না, আমি কোথায় থাকি, কী নাম, কী করি-টরি - অ্যানোনিমিটি থাকার পরেও যখন সেই নিয়ে কারও কৌতূহল ছিল না; সেই দিন থেকে যে তিনজনকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে 'বাবু' সম্বোধন করে এখনও সে অভ্যেস ছাড়তে পারিনি - তাঁরা হলেন কল্লোলবাবু, শিবাংশুবাবু এবং রঞ্জনবাবু। খুবই খারাপ লাগছে আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে বলে।
এখন কথাটা আমি কোন প্রসঙ্গে বলেছিলাম? রঞ্জনবাবু 'ময়মনসিংহের লোক' শব্দদ্বয় উল্লেখ করার পরে। মানে এখনও বরিশালের, পাবনার, ময়মনসিংহের মানুষ বলার যে স্বাভাবিক প্রবণতা পূর্ববঙ্গের মানুষদের আছে, তাকে সামান্য ঠাট্টা করে বলা। তার এমতি অর্থ হবে সেটা বুঝতে পারিনি। আর তাঁকে রেসিস্ট বা কাস্টিস্ট মন্তব্য করার দুর্দশা যেন আমার এ জীবনে না আসে।
প্রসঙ্গত আমি গর্বিত ঘটস-ও নই, নিন্দিত বাঙালও বলা যাবে কি না জানি না। আমি ঘোল। ঠাকুরদা ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত নদীয়ার কুষ্টিয়ার আজইল গ্রাম থেকে তাঁর নবদ্বীপের মামাবাড়িতে সমস্ত কিছু ছেড়ে চলে আসেন। নবদ্বীপের শিরোমণি মামারা তাঁকে তাঁদের বাড়ি সংলগ্ন জমিতে মাথা গোঁজার আশ্রয় দেন। এখনও আমি সেই বাড়িতেই থাকি। বাবা তখন নাইন, পিসি ক্লাস ফোর।
কিন্তু পূর্ববঙ্গের মানুষরা কি ধোওয়া তুলসিপাতা ছিলেন (এর সঙ্গে রঞ্জনবাবুর কোনও সম্পর্কই নেই)? আমি আমার পূর্বপুরুষদের বিরুদ্ধে দ্রোহে ফেটে পড়ছি। তাঁরা কি চরম ব্রাহ্মণ্যবাদী ছিলেন না? মুসলমান বিদ্বেষী ছিলেন না? নমঃশূদ্র বিদ্বেষী ছিলেন না? যতদিন ওই বঙ্গে ছিলেন ততদিন দাপটে রাজ করেছেন। যাঁরা এখানে ফরিদপুরের, তাঁরা জানবেন গুরুচাঁদ ঠাকুরকে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা পাঠশালায় পড়তেই দেননি। ফলে তাঁকে মক্তবে ভর্তি হতে হয়। তাঁদের সংখ্যা কত ছিল? ১৮৮১-৮২র সেন্সাস অনুযায়ী ১.৫ কোটি। তাঁদের শিক্ষার জন্য, সামাজিক ট্যাবু ভাঙার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা কোন বাঙিটা ফাটিয়েছিলেন?
কিন্তু যেই বঙ্গভঙ্গ হচ্ছে অমনি তাদের কথা মনে পড়ল। মুসলমানদের হাতে রাখি বেঁধে দেওয়ার নৌটঙ্কিবাজি শুরু হল। তারা পাত্তা দিয়েছিল আমাদের ঠাকুরদাদের? দেশটা ভাগ কাদের জন্য হল? কাদের জন্য নমঃশূদ্র-মুসলমান জোট হল? সেই জোটের সম্পর্কে আমাদের কী মানসিকতা ছিল? শুধু ব্রিটিশকে দোষ দিলে হবে? আমরা সাধুপুরুষ?
এবারে নিখাদ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শুনুন। গত তিরিশ-একতিরিশ বছর আমি একটি 'কলোনি' এলাকায় চাকরি করি। সেখানে আমার ৪০% ছাত্র মুসলমান, ২৫% ছাত্র নমঃশূদ্র। আমি 'কলোনি' মানসিকতা দেখে দেখে বুড়ো হয়ে গেলাম। পাড়ার নাম ঢাকাপাড়া, বরিশাল পাড়া, পাবনা পাড়া, ত্রিপুরা পাড়া। আরও শুনবেন? দুই পাড়ায় চরম রেষারেষি, তীব্র মুসলমান বিদ্বেষ এখনও যথেষ্ট উপ্ত। নদীয়ার দু-দুটো লোকসভার সিটে বিজেপি এমনি এমনি জেতেনি। কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত শক্তিনগরের নাম শুনেছেন? একদা নকশালদের ঘাঁটি ছিল। সেখানে পাবনার মানুষ অবিকল তাঁর পূর্ববঙ্গের বসতির মতো বসতি স্থাপন করেছে। অন্য জেলার হিন্দুরা ঢুকতে অবধি পারেনি, মুসলমান তো নামুমকিন। কাজেই সবাইকে রঞ্জনবাবু-কল্লোলবাবুকে দিয়ে রিপ্লেস করতে চাইলে সেটা নিরেট বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
এগুলো তেতো সত্য, এর জন্য আমি নিজে আমার পূর্বপুরুষকেও রেয়াত করতে রাজি নই এবং তার সঙ্গে রঞ্জনবাবুর মতো মানুষকে হাস্যকর বাইনারি ঘটি-বাঙালে খোপবন্দি করার দুর্মতি নেই। রঞ্জনবাবু কোথাকার মানুষ সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র উৎসাহীই নই। মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করি, ওই বাউনগিরির ১০৮।
আরে আরে! নো ঝগড়া!
আমি নিশ্চিত এলেবেলে আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপের সুবাদে চিমটি কাটার উদ্দেশে কমেন্টটি করেছেন। অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয় ।
এই দেখুন না, হানু আমায় "টেকো বুড়ো" বলল! আপনারা কেউ প্রটেস্ট করেননি। জানি, আপনারা ওর মোটিভকে ভুল বোঝেননি। ঠিকই করেছেন। চুপি চুপি জানিয়ে দিই --ক'দিন আগে ফোনেও এটা বলেছে এবং সঙ্গে ব্যাটম্যান ফিলিমের ওই জোকারের মত বিচ্ছিরি হ্যা-হ্যা করে হেসেছে।
@এলেবেলে,
আমার বাবা রিটায়ারের সময় ভিলাইয়ে দু'বন্ধুতে মিলে আধাএকর জমি কিনে খালি পূববঙ্গের কলীগদের বসিয়ে কলোনী বানাতে চেয়েছিল। আমরা দু'ভাই প্রতিবাদ করে বলি--ঘেট্টো বানিও না। সেফটির জন্যে স্থানীয় ছত্তিশগড়ি মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে ওদের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ালেই হবে।
আর বাঙাল-ঘটি নিয়ে একটা ফরমাইশি হাল্কা লেখা কয়েকবছর আগে দিল্লির পূজো সংখ্যা আউটলুকের পাতায় বেরিয়েছিল। সেটা নাহয় নির্মল আনন্দের জন্যে টই পত্তরে পোস্ট করে দিচ্ছি।
এবারে একাধিক ব্যক্তির একই অভিযোগের (সময়ানুসারে) একটাই উত্তর ---
১. ম | 2601:247:4280:d10:192c:b86b:a4aa:4e71 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:২৯
//"এবং রঞ্জনবাবুর কথাতে মনে হল পূর্ববঙ্গের মানুষদের এই ঘেটো মানসিকতা এখনও মনের গহনে বর্তমান!"
এই বাক্যটির লেখকের মানসিক দৈন্যের পরিচয় পেয়ে বাক্যহারা হয়ে গেলাম! এর আগেও এনারাইদের সম্পর্কে ওনার বক্তব্যে চমৎকৃত হয়েছি, কিন্তু এটা পড়ে আশ্চর্য হতেও ভুলে গেলাম!
ছি://
২. বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.110.141.114 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৩০
//এলেবেলে | 202.142.71.209 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪০
এলে, এই উল্লেখিত কমেন্ট টি আউটরাইট রেসিস্ট। আপনার দিক থেকে কৃষ্ণা প্রার্থনা আশা করব। আমার ধারণা সেটা করে ফেলতে পারলে আপনার ই হালকা লাগবে, কারণ নোয়িং টেকো বুড়ো, হি উইল স্টিল ফাইন্ড আ ওয়ে টু বি নাইস।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.110.136.183 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৫২459734
এবং আশা করা যিয় তখন লোকজন এ পক্ষ সে পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন, তখন তে কোন গালাগালের সঙ্গে, বুলিং বা টন্টের সঙ্গে রেসিস্ট মন্তব্যের তুলনা করবেন না, এমনকি দ্বিতীয় টি অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে, ইন আ জেস্ট করা কমেন্ট মনে হলেও, রেসিস্ট পজিশন, এর ক্যাটিগোরি টি আলাদা।//
৩. S | 2405:8100:8000:5ca1::372:9224 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৫৩459735
//এলেবেলেবাবুর এই মন্তব্যটা ঠিক বুঝিনি। যদি সবাই যেটা মনে করছে সেটাই হয়, তাহলে সত্যিই অত্যন্ত আপত্তিজনক।
তবে এনারাইদের নিয়ে যত গাল দেওয়া যায়, আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, ততই কম হয়। এই দুটো গোষ্ঠির মধ্যে লাইনটানাকে আজকাল ফলস ইকুইভ্যালেন্স বলে।//
যেহেতু এনারাই প্রসঙ্গটা এসেছে, সঙ্গে একটা জোরালো 'ছিঃ' আছে এবং তিনিই যেহেতু এ বিষয়ে আমাকে প্রথম অভিযুক্ত করেছেন, তাই সবার আগে নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে নেওয়া ভালো।
আমার এনারাই বা এনারাই নন, তাঁদের কারও প্রতি কোনও অসূয়াজনিত বিদ্বেষ কোনও কালে ছিল না, নেই এবং থাকবে না। কারণ থাকারই কোনও কারণ নেই। প্রথম যখন এই কথাটা বলেছিলাম, তখন 'সম্ভবত' জীবনানন্দের লাইন কোট করে বলেছিলাম সব এনারাই এনারাই নন, কেউ কেই এনারাই। এখন কী সব কল-ফল এসে গেছে, ফলত দেখে নেওয়া যেতে পারে।
এখন এই কথাটাই বা হঠাৎ আসল কেন? সেটা বিবৃত করা দরকার। নাহলে দাড়িদাদুর 'একের কথা অন্যের মানে' কেস হচ্ছে আর কি। বিশেষত খ এবং বড়েস অভিযোগ করেছেন মানে সেটা সিরিয়াস ইস্যু। তো আমার নিজের একাধিক ক্ষেত্রে মনে হয়েছে অন্তত ভাটে এই এনারাইদের একটা ঘেটো মানসিকতা মনের গভীরে নিহিত আছে এবং সেটা নিছকই মনে হওয়া-সঞ্জাত নয়।
এখন সুরুচি সংঘের কিংবা নাকতলা উদয়ন সংঘের দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা তো বহুদিন হল মাটির সঙ্গে যোগাযোগরহিত, ফলে তাদের ওই ভুলে মেরে দেওয়া মাটি নিয়ে একটা আদিখ্যেতা এই সময়টায় চাগিয়ে ওঠে। তাই বিকট বাঁকুড়ার ঘোড়া কিংবা হাঁড়িকলসি তাঁদের প্যান্ডেলে 'ইন্সটলড' হয় এবং তাঁরা 'ড্রিঙ্ক' করে সামান্য টিপসি অবস্থায় আড়ি অথবা ঝাড়ি মেরে থাকেন। এবং এই থাকবন্দি অবস্থা বা হায়ারার্কিটা সবাই নতমস্তকে মেনে-টেনে ঠাকুর দেখবেন, আন্দো করবেন এমনটাই আশা করেন।
এখন হয়েছে কি, আমি তো একে 'চাঁড়াল' তায় নবদ্বীপের 'গেঁয়ো ভুত' মানে যাকে বলে 'টোটাল ধুর'। ফলে আমাদের রাসে 'মাল' খেয়ে লোড হয়ে সব ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থেকে তাঁদেরই প্যান্ডেলে চাঁড়ালের মতো আন্দো করছি, নাচানাচি করছি (যদিও ঝাড়িও মারছি না এবং কারও পা-ও মাড়িয়ে দিচ্ছি না) মানে সোজা কথায় তাঁদের সযত্ননির্মিত হায়ারার্কিকে চরম দুয়ো দিচ্ছি আর কি, এটা তাঁদের ইন্সটলড প্যান্ডেলের পক্ষে ঠিক মানানসই 'লাগছে' না। কারই বা ভালো লাগে? ফলে সেন্টার স্টেজে কেন ব্যাটা নাচবে? তাই মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে গাধার পিঠে উল্টো করে চাপিয়ে দাও ব্যাটাকে দূর করে মার্কা ফতোয়া মাঝেমধ্যেই ভেসে ওঠে।
এই সংখ্যাটা বড্ড কম এবং তাঁদের থাকবন্দি মানসিকতাকে পাত্তা দিতে বয়েই গেছে।
নাঃ, পরের দু'জনের অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আরেকবার লিখতেই হচ্ছে।
এলেবেলে,
আমি ঠিক জানিনা, তবে ভাতঘুম তাড়াতে গিয়ে ভাবছি। একই শব্দের একাধিক ব্যাসবাক্য ও সমাস হতেই পারে, অর্থভেদে এবং কোথায় জোর দিচ্ছি তা বুঝে। কিন্তু বর্তমান উদাহরণে?
১ যদি তোমার কথা মেনে প্রাজ্ঞদর্শী শব্দের অর্থ 'প্রাজ্ঞব্যক্তি দর্শন করেন যাহা ' ধরা যায় তাহলে ব্যাসবাক্য প্রাজ্ঞব্যক্তির দর্শন হয়ে সমাসটি ষষ্ঠী তৎপুরুষ হবে। এবং তার আগে 'প্রাজ্ঞ' শব্দের সমাস নির্ণয় করতে হবে -অজ্ঞ/বিজ্ঞের মত সেটাও বহুব্রীহি হবে বলেই মনে হয়।
এক্ষেত্রে 'দর্শী' যোগে এটা বহুব্রীহি-- মানে ওই বহুদর্শী/ভূয়োদর্শীর মত-- হবে বলেই মনে হয়।
আন্দাজে ঢিল ছুঁড়লাম। পালটা ঢেলা খাওয়ার অপেক্ষায় , যাতে ঘুম পালায়।
২ শোন, বহুপ্রতীক্ষিত ২৬শে সেপ্টেম্বর এগিয়ে আসছে। আমি অপেক্ষায় আছি। একটি জিনিসকে নানা দিক থেকে দেখতে পছন্দ করি। তায় বৌদ্ধ ক্ষণিকবাদে বিশ্বাসী। তোমার দেওয়া অসম্ভব ভালো সব তথ্য আমাকে ঋদ্ধ করবে--আশা রাখি। বিদ্যাসাগরের ভাবমূর্তিতে একটু চিড় ধরতেই পারে, কিন্তু ভেঙে পড়বেনা বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ 'কেসি'র মত আমারও বিশ্বাস উনি যা করে গেছেন তার পাল্লা যা করেননি বা ভুল করেছেন তার থেকে অনেক ভারি।
ধর, কাল যদি আমার মেয়েরা জানতে পারে যে ওদের বাবা নিয়মিত সোনাগাছি যায় বা অন্য শহরে আর একটি সংসার প্রতিপালন করছে ( ডিঃ ইহা একটি কাল্পনিক উদাহরণ্মাত্র)--- তাতে ওদের চোখে আমার হাইট অনেকখানি কমবে, কিন্তু সম্পর্ক ছিন্ন হবেনা বলেই আমার ধারণা।
:|: | 174.254.192.170 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৫
//আরে এলেবেলেবাবু, ২০টা৫৭, ভুয়োদর্শী মানে সত্য দেখতে পান যিনি, রূপ দেখতে পান যিনি তিনি রূপদর্শী আর সেই অর্থে আপনা কথার ব্যাখ্যা হয় প্রাজ্ঞকে দেখতে পান যিনি। তো, সেই অর্থ প্রয়োগ করে আবার লেখাটার, মানে সামগ্রিকভাবে আপনার ঐ প্যারাটার মানে একটু ক্যামন যেন হয়ে যাচ্ছে।//
আগেই করজোড়ে অনুরোধ করি, অনেক বলা-কওয়ার পরে নামটা যখন নিচ্ছেনই তখন কেবল নামটাই নিন, ল্যাজটুকু ছেঁটে দিন।
প্রথমত বানানটা 'ভূয়োদর্শী' এবং তার অর্থ 'বহুদর্শন' (বঙ্গীয় শব্দকোষ)। সেই অর্থে বহুদর্শনক্ষম ব্যক্তি, মানে যিনি একজন ব্যক্তিকে বা বস্তুকে বহুদিক থেকে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতাশালী। এর সঙ্গে 'সত্য দেখতে' পাওয়া বা না পাওয়ার সম্পোক্কো থাকতেও পারে, না-ও পারে।
দ্বিতীয়ত, সব শব্দের সমাস কি একই রকম হবে এমন কোনও নিয়ম আছে? প্রাজ্ঞ ব্যক্তি দর্শন করেন যাহা - মানে এমনটা হবেই না বলছেন? তো বুলাও সমাসজ্ঞ ব্যক্তিদের। তাঁহারা যাহা বলিবেন, তাহা আমরা উভয়েই যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন করিয়া মানিয়া লইব।
//খুব খুশী হয়েছি এখন আপনি কি এবং কী-এর পার্থক্য জানেন দেখে। নমস্কার।//
এ মা, ১২ই সেপ্টেটাও জানতাম তো! আদাব।
আমি সকালে খুব ব্যস্ত ছিলাম, মানে সামান্য অক্সিজেন নেওয়ার নেশায় ভাটে আসার কারণে কাল সামান্য ফাঁকিবাজিই হয়ে গিয়েছিল নিজের কাজে। তো এতক্ষণে অনলাইন হয়ে বেশ কিছু মন্তব্য দেখলাম। বলা বাহুল্য, তিনটে বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে বলে আমি সময়ের পারম্পর্য রক্ষা করে এক এক করে যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তার প্রথম দুটোতে সুর সামান্য হালকা থাকবে, যদিও তৃতীয়টায় আমার প্রিয়তম যতিচিহ্নটি ব্যাভার করা থেকে বিরত থাকব।
রেডি, অনিমা, গো...
kc | 188.70.46.238 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৭
//এলেবেলে বাবু, কিন্তু তাই বলে রবি ঠাকুর যাঁর কাছ থেকে বাংলায় পাংচুয়েশনের দীক্ষা নিলেন, তাকেই কাটবেন রবি ঠাকুরের ছুরি ধার নিয়ে? বলি কত্তা, ধম্মে সইবে?//
এ একেবারে যাকে বলে সাধ করে সেমসাইড গোল খাওয়া! বস্তুতপক্ষে দাড়িদাদু বিদুকে বিভিন্ন বিষয়ে এমন ভো কাট্টা করে ছেড়েছেন যে কহতব্য নয়। এখন বিদ্যাসাগরচরিতটা ছিল নেহাতই গ্যালারি শো। এমারেল্ড থিয়েটারে গুচ্ছের লোকের সামনে কিছু ভালো ভালো কথা বলতে হবে, ফলে সে হিসেবে সেটাকে ট্রিট করাই ভালো। এখন বাঙালি যদি সেটাকেই পরম সত্য বলে মনে করে তাহলে কিছু বলার নেই।
একটু নমুনা দিই। ওই ভাষণের এই দুটো অংশ ব্যাপক চালু।
১. বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যভাষার উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সুবিভক্ত, সুবিন্যস্ত, সুপরিচ্ছন্ন এবং সুসংযত করিয়া তাহাকে সহজ গতি এবং কার্যকুশলতা দান করিয়াছেন।
২. বাংলাভাষাকে পূর্বপ্রচলিত অনাবশ্যক সমাসাড়ম্বরভার হইতে মুক্ত করিয়া, তাহার পদগুলির মধ্যে অংশযোজনার সুনিয়ম স্থাপন করিয়া, বিদ্যাসাগর যে বাংলা গদ্যকে কেবলমাত্র সর্বপ্রকার-ব্যবহার-যোগ্য করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন তাহা নহে, তিনি তাহাকে শোভন করিবার জন্যও সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। গদ্যের পদগুলির মধ্যে একটা ধ্বনিসামঞ্জস্য স্থাপন করিয়া তাহার গতির মধ্যে একটি অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত রক্ষা করিয়া, সৌম্য এবং সরল শব্দগুলি নির্বাচন করিয়া, বিদ্যাসাগর বাংলা-গদ্যকে সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতা দান করিয়াছেন।
মানে এখান থেকেই লোকে মনে করেন দাড়িদাদু শুধু বিদুর গদ্যরীতিরই ভক্ত ছিলেন না, তাঁর প্রবর্তিত (!) যতিচিহ্নেরও ব্যাপক পাখা ছিলেন।
এবার শোকেসের দাদু নন, তাঁর গুদামে ঢুকুন।
সঞ্চয়িতার প্রুফ রিডার জীবনময় রায়কে ১৯৩১-এর ৫ নভেম্বর তিনি জানান, ইদানীং পাঠককে যে ‘চিহ্ন-মৌতাতে পেয়ে বসেছে’ তিনি তাকে আশকারা দিতে রাজি নন। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, ‘প্রাচীন পুঁথিতে দাঁড়ি ছাড়া আর কোনো উপসর্গ’ না থাকায় ভাষা যেমন ‘নিজেরই বাক্যগত ভঙ্গীদ্বারাই নিজের সমস্ত প্রয়োজন সিদ্ধ করত’, তেমনি ‘পাঠকের আন্দাজ ছিল পাকা, বাক্যপথে কোথায় কোথায় বাঁক তা সহজেই বুঝে নিত’। বরং ইংরেজদের আসার ও ছাপাখানার জন্য এমন ‘হাকিমী সাহেবিয়ানা’ এসেছে যার ফলে লেখক ধরে নেয় তাঁর ‘পাঠক আফিমখোর’।
কী বুঝলেন? বিদুর অতিরিক্ত মাত্রায় যতিচিহ্ন ব্যবহারকে প্রশংসা করছেন? তাঁর কাছে পাংচুয়েশনের দীক্ষা নিচ্ছেন? ওই কারণে আমি ইমোজি ব্যবহারই করি না! মানে সাইটে দিতে পারি না সে ঠিক আছে, ফেবুতেও দিই না। মানে বাক্য লিখে পাঠককে কান ধরে বুঝিয়ে দিতে হবে যে 'বাপু ইহা হাসির বাক্য, সুতরাং হাসো তো দিকি' আমি এই অবস্থানকে সমর্থন করি না।
কিংবা ধরুন ওই ভাষণটাতে এটা আছে --- সংস্কৃতকলেজের কর্ম ছাড়িয়া দিবার পর বিদ্যাসাগরের প্রধানকীর্তি মেট্রোপলিটান ইনস্টিস্ট্যুশন্।
তো এটাকে বেদবাক্য মনে করতেন নাকি দাদু? তিনি তো ওখানেই তাঁর আপত্তিটা লিপিবদ্ধ করে গেছেন --- সুবোধ ছেলেগুলি পাস করিয়া ভালো চাকরি-বাকরি ও বিবাহকালে প্রচুর পণ লাভ করে সন্দেহ নাই, কিন্তু দুষ্ট অবাধ্য অশান্ত ছেলেগুলির কাছে স্বদেশের জন্য অনেক আশা করা যায়। বহুকাল পূর্বে একদা নবদ্বীপের শচীমাতার এক প্রবল দুরন্ত ছেলে এই আশা পূর্ণ করিয়াছিলেন।
কী বুইলেন কত্তা! দাদুর গোডাউনে এত ধারালো মাঞ্জাওয়ালা সুতো মজুত আছে যে বিদুর ঘুড়ি বলে বলে ভো কাট্টা করে দেওয়া যাবে!!
বোধিদার যে লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারি (মানে যেগুলো আমার এলেমের মধ্যে আরকি). সে গুলো বড় ভালো লাগে।
এই ভিশুয়াল কোয়ালিটির কথায় একককে প্ৰবল ক। ধর নিশীথ রাতের বাদল ধারা গানটা। ওই গানের সংগীতায়োজন, অর্ণবের, অসাধারণ। একেবারে ধরে গানের মধ্যে চুবিয়ে দেয়, এত ইন্টেন্স আবহ।
ওই অ্যালবামেরই আরেকটা কোন গান যেন, এসরাজ ছিল। আমিও গানের কিছুই বুঝিনা, কিন্তু এরকম লোককেও সাহানা খুব ভালো ভাবে গানের গল্পটা বলতে পেরেছেন।