টইপত্তরে আমার আজ সকালে একটা লেখা পাঁচ বার দেখাচ্ছে, চারটে ডিলিট করে দিন প্লিজ!
"আমার একটা জিনিস মনে হয়, ভুলও হতে পারি, সিরিয়াস লেখকদের একাংশ কি এখনও নেট ঠেকগুলিকে জ্যাঠা ছোকরাদের আড্ডা ভেবে যথাযথ ওজন দেন না, ঐ জন্যে কম কম লেখেন? অনেক লম্বা লেখা, পর্বে ভেঙে দিতে হবে - এরকম ব্যাপার অনেক সময় হয়, এবং আমি প্রায়শই তাতে বিস্মিত হই এই ভেবে যে পাঠককে অত আতুপুতু করার তো কিছু নেই, লম্বা লেখা কষ্ট করে পড়বে। "
আসলে এই যে "জ্যাঠা ছোকরাদের আড্ডায়" আলোচনা সবচেয়ে জোরদার চলে, সেখানে যে সিরিয়াস লেখকদেরও আলোচনায় একটা ভূমিকা থাকতে পারে, ও তাঁদের দীর্ঘায়িত লেখাগুলোকে কেন্দ্র করে জ্যাঠা ছোকরাদের আড্ডা জমতেও পারে, সেই বোধটা তৈরী করার জন্য একটা "কিলার অ্যাপ" চাই | সেটা বোধহয় কোথাও নেই।
গুরুচণ্ডালীর ব্যাপারটা বিবেচনা করছি |
এই মুহূর্তে টইপত্তরে বহু ভাল ভাল প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজারে ডান দিকের কলামে ওপর থেকে নীচে পর পর চারটে সাংঘাতিক প্রাসঙ্গিক এবং সুন্দর লেখা, কিন্তু কেউ যে পড়ে বা লেখাগুলোকে কেন্দ্র করে একটি আলোচনার ইকোসিসটেম তৈরী হয় আমি দেখিনি (দময়ন্তীর লেখাটায় কিছুটা হয়েছে অবশ্য)। অথচ, ভাটিয়ালি দেখুন, একটা নদীর মতন, ক্রমাগত প্রবহমান আলোচনার ক্ষেত্র।এই দুটো সিস্টেমকে যুক্ত না করতে পারলে, আমার মনে হয় এনগেজমেন্টের এই তারতম্য বহু লেখককে লিখতে নিরুতসাহিত করে (ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে তো করেই, আমি লিখতে বসে ভাবি, ধুর, কি হাবিজাবি লিখছি, এ সব লেখা কেউ পড়বে না, তার চেয়ে ভাটিয়ালিতে দু একটা হালকা কমেন্ট করাই বরং ভাল)। কারণ লিখলে যদি লেখাগুলো ক্রমাগত অবহেলিত হতে থাকে, কেউ কমেন্ট না করেন, কেউ আলোচনার সূত্রপাত না করেন, বা লেখক পাঠকের চিন্তার আদান প্রদানের একটা প্ল্যাটফর্ম না হোক, নিদেনপক্ষে একটা স্ট্রিম তৈরীও না হয়, তাহলে লেখা পণ্ডশ্রম, বরং চুপচাপ দেখে যাওয়াই বরং ভাল।
অথচ দেখুন, কন্ট্রোভারসিয়াল, ;-), তাহলেও এলেবেলের বিদ্যাসাগর নিয়ে লেখার সূত্রে আমরা কতটা Rich আলোচনা পেলাম ভাটিয়ালিতে। এই দ্রুত প্রবাহিত নানা প্রশাখায় বিভক্ত চিন্তার আদান প্রদান কি তিনি টইপত্তরে কি বুবুভায় লিখলে হত? জানিনা, হয়ত হত, আগের টইতে বুবুভায় লেখা আর ভাবের আদান প্রদান দেখছি, দেখে আমার মনে হয়েছে, আগে তো হয়েছেই, ইদানীং সাইটের interaction এর গতিপ্রকৃতি দেখে আমার ধারণা, এখন আর হবে না | এরকম ভাবার কারণ, টইএর সেই importance হযত নেই, যার জন্য তিনি লেখাটিকে টইতে নিয়ে যাওয়ায় বিরক্ত হলেন (তাঁর বিরক্ত হওযার অন্য কারণ থাকতে পারেই, তাহলেও)। যেন টই চিন্তার ও লেখা প্রকাশের ভাগাড়, ভাটিয়ালির জমজমাট আড্ডা থেকে টইপত্তরে লেখা নিয়ে যাওয়া মানে আসর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার মতন ব্যাপার!
এটা কি ছোট ছোট ক্যাপসুলার, চটজলদি চিন্তার স্নাপশট বড় লেখার থেকে অনেক বেশী "চোখ টানে" বলে? না কি, আমরা সবাই , সময়ের দিক থেকে গরীব হয়ে গেছি বলে? না কি, অন্য কিছু?
বড় লেখা ছোট ছোট "ক্যাপসুলার" ফর্মে দেওযার পক্ষে বিপক্ষে অনেক রকম যুক্তি থাকতে পারে, আজকালকার দিনে একটা গোটা বইকে একটা লেখায় লিখে দেওয়া যায়, টেকনোলজির দিক থেকে সে আর এমন কি? আবার দেখুন, প্রকাশনার তরফে পাঠককে কিছুটা তো আতুপুতু করতেই হবে, কারণ অনেকটা লম্বা লেখা ধৈর্য ধরে সবাই পড়বেন এটা আশা করা মনে হয় একটু বেশী হয়ে যাবে। সে তুলনায়, ছোট করে লেখাগুলো আসুক, পরের পর্বের জন্য একটা প্রত্যাশা তৈরী হোক, সেটাও হতে পারে।
PT, আপনি কি নিজে টাইমস অফ ইণ্ডিয়ার রিপোর্ট টা পড়েছেন?
//ইন্ডিপেন্ডেন্ট রেকর্ড লেবেল এর যুগ ফেরাতে হবে মশাই। পাবলিশিং এ। এই কাজটা কঠিন , এটা করার চেষ্টা করতে হবে আর কি? //
বুঝলাম এবং যথারীতি হতাশা আরও বাড়ল। ধরুন এখানে সঞ্জয় মুখো তানভির মোকাম্মেলের তিন-তিনটে বইয়ের রিভিউ করেছেন। কম্বিনেশনটাই মারাত্মক মানে সঞ্জয়-্মোকাম্মেল। মানে এ জিনিস নিয়ে বলার সম্ভবত সেরা লোক। তো আমি লেখাটা ওয়ার্ড ফাইলে কপি-পেস্ট করে দেখলাম সব মিলিয়ে ৮২৮ টা শব্দ এবং একটি মন্তব্য। তো গুরু কি বুক রিভিউ-এর জন্য বিগ হাউসের মতো শব্দসংখ্যা বেঁধে দিয়েছে? জানি না। তবে তা যদি না হয় (মানে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি) তবে সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টা চরম নৈরাশ্যজনক।
বা ধরুন বিশ্বেন্দু নন্দর প্রবন্ধটা। ৯৭৪টা শব্দ। এখন বিশ্বেন্দুদাকে আমি অত্যন্ত কাছ থেকে চিনি। এই বিষয়ে তাঁর এর দশগুণ লেখার ক্ষমতা আছে। এখনও অবধি শূন্য মন্তব্য। এবং বিশ্বেন্দুদা এই ফরম্যাটে একদমই সড়গড় নন। ফলে পাঠকের উত্তর দেওয়া তাঁর পক্ষে প্রায় নামুমকিন। ফলে হতাশা ক্রমে বাড়িতেছে।
ওরে বাবা , ক্যাপিটালিজম হল বেহ্মদত্যির মত। বিশ্বাস কর বা না কর, তেঁনাঁরাঁ আচেন।
*abar
... er jon oto koster typing ure zete na debar moto seyana ke banalo ?
li chara abae ke?
ক্যাপিটালিজমের পেটের মধ্যে বেশি সময় থাকলে অনেকগুলো প্রচলিত অভিজ্ঞতার প্রজ্ঞার বাণী ভুলে যেতে হয় - হোটেল ক্যালিফোরনিয়া -ইউ ক্যান নেভার লিভ
যেমন এক। স্বাস্থ্য সংক্রামক নয়, কিন্তু ব্যাধি ,,,
ইয়ট মালিকদের পৃথিবীতে একথা মনে রাখা লাগে না
কিন্তু সারা বিশ্বের গ্রাম্য বা শহুরে নিম্ন মধ্যবিত্ত একথা ভুলতে পারে না
সে নিজে সরাসরি বিপদে না পড়লেও ,,,
খ, মতে না-ই মিলতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে বিকল্প রাস্তাটা বলুন। দেখি সেটা আদতে কী। কিংবা অরিনবাবুর মতো গুরুই বাম্ফন্টের বিকল্প উন্নততর বাম্ফন্ট বলেন কি না।
স্যার (আজ থেকে আর পিটিস্যার বলব না। এ গোঁয়ারগোবিন্দের এই বিনীত অনুরোধটুকু রাখবেন দয়া করে), মহাশ্বেতাও তো যে আসে আসুক সিপিএম যাক দলে ছিলেন। আপনার তো তাঁদের ওপর হেব্বি খার। তো মহাশ্বেতা কি সাহিত্যিক বলে ছাড় পেলেন? কিন্তু মহাশ্বেতাই কেন? সাহিত্য চর্চা করেছেন অথচ আবাপ-র ধামা ধরেননি তেমন ধরলে তো অনেক নামই এসে যায় - অমিয়ভূষণ থেকে অসীম রায় হয়ে অরুণেশ ঘোষ পর্যন্ত (কেবল 'অ'-এ আটকে রইলাম)। বাকিদের তো সেই হয় আজকাল নয় প্রতিক্ষণের পোঁ ধরতে হল। তাহলে?
কুচবিহারের ঘুঘুডাঙ্গা (যদ্দূর মনে পড়ে) গ্রামের বাসিন্দা অরুণেশ ঘোষ একদা একটি চমৎকার বাক্য লিখেছিলেন --- প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও শেষ পর্যন্ত অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেয়। তো মহাশ্বেতা কি সমস্ত ছকের বাইরে?