A -Z, যেটা লিখলেন।ইংরেজি হলো ক্ষমতার ভাষা।একদম খাঁটি কথা। যাঁরা ইংরেজির বিপক্ষে বলে,তাঁরা অন্যকে ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন না করার জন্যই বলেন।
এদিক থেকে দেখতে গেলে হিন্দি ও ধীরে ধীরে ক্ষমতার ভাষা হয়ে উঠছে। আস্তে আস্তে গুজরাটি,পাঞ্জাবী,মারাঠি ভাষা গুলোর ওপর কতৃত্ব শুরু করে দিয়েছে।এইসব ভাষা নিজেদের স্বতন্ত্রতা দিনকে দিন হারাচ্ছে। এখন বাংলা, ও ড়িয়া,তামিল,তেলুগু এই সব ভাষা গোষ্ঠী যদি নিজেদের স্বতন্ত্রতা কে বেশি মূল্য দিতে চায়,তাহলে হিন্দি ভাষার চাপিয়ে দেওয়া এই নীতির বিরুদ্ধে সবরকম প্রস্তুতি নিতে হবে।নতুবা,ক্ষমতার ভাষা হিসাবে হিন্দিকে মেনে নেওয়া ছাড়া গতি নেই।
"এগ প্ল্যান্ট বলে মূলত আমেরিকায়।ইওরোপে বেগুনকে অবার্জিন বলে।"
এগ প্ল্যান্ট বলে সাদাটে গোলাকার দেখতে বেগুনকে, যেগুলোকে দেখতে বড় ডিমের মতন। আসলে তো বেগুনের উৎস মূলত দক্ষিণ ভারতে, আরবীরা তাকে বানজিন বলত নাকি, সেখান থেকে পর্তুগীজ অবারজিন কথাটা এসেছে, ইউরোপ, ইংল্যাণ্ডের রান্নার বইতে অবারজিন কথাটারই উল্লেখ দেখেছি, যদিও এগপ্ল্যান্ট কথাটা প্রায় সর্বত্র চলে।
কার্ড (মানে আমাদের দই) আর ইওগার্ট কিন্তু ঠিক এক বস্তু নয়, :-)
এগ প্ল্যান্ট বলে মূলত আমেরিকায়।ইওরোপে বেগুনকে অবার্জিন বলে।ভারতে বোধ হয়, ব্রিঞ্জল ই চালু আছে।
ভারতে আমরা দই কে কার্ড বলি।সারা বিশ্ব ইওগার্ট বলে জানে।কি জানি কোত্থেকে কার্ড কথাটা এলো! ওখানকার ইংলিশ স্পিকিং লোকজন তো কার্ড কি বুঝতেই পারে না।
"উঠেছিলেন না উনি? লিখেওছেন?"
না না, প্রচুর লিখেওছেন (ভিউ ফ্রম দা সামিট অসামান্য লেখা)
":D", চমৎকার!
মাত্র এই ক'জন? লিস্ট-টা আরেকটু বাড়াতে হবে যে ।
নিয়াও মার্শ, কিরি তে কানাওয়া, এডমান্ড হিলারি, রিডার্ড হ্যাডলি কিউই ফ্রুট, কিউই বার্ড সবার লেখা পড়েছি।
ও | পিঙ্ক ফ্লয়েড কি আমেরিকান না ভারতীয়?
@Atoz, ইংরেজি "রাজ"ভাষা বললেন বলে মনে হল সব ইংরেজী এক নয়। বিলেত আমেরিকার ইংরেজী আর বাকী কমনওয়েলথ দেশগুলোর ইংরেজী একভাবে লোকে দেখে না।
সমসাময়িক কালে নাহাইও মার্শ আর আগাথা ক্রিস্টি রহস্য উপন্যাস লিখতেন, দুজনের লেখার স্টাইল এররকমের, নহাইও মার্শ নিউজিল্যাণ্ডের মানুষ (থাকতেন যদিও লণ্ডনে, লিখতেন নিউজিল্যাণ্ডের পটভূমিকায় গোয়েন্দা রডরিক এলেনের কীর্তি কলাপ), কজন চেনেন বলতে পারবেন? ক'জন অস্ট্রেলিয়ান ইংরেজী সাহিত্যিকের লেখা লোকে পড়েছেন?
@রঞ্জনবাবু, "ব্রিঞ্জল বার্তাকু" লিখেছেন। আজকালকার দিনে ভারতে ছেলেপুলেরা মনে হয় "ব্রিঞ্জল এগপ্ল্যাণ্ট" বলবে। আজকাল বহু ভারতীয়কে colour এর বানান color লিখতে দেখি, আর মার্কিন কায়দায় উচ্চারণ করে। শুনতে বদখৎ লাগে, কিন্তু ওইভবে করে দেখেছি।
@অরিন ও এতোজ,
চার বছর বয়েসে (১৯৫৪) বাবার চাকরির সুবাদে গেলাম হাজারিবাগ জেলার ( ঝারখন্ডে) পাহাড়ের গায়ে বোকারো পাওয়ার হাউস। মার্কিন কুলজিয়ান কোম্পানির সহযোগে গড়ে উঠছে। কোলকাতা থেকে আনা হল ইংরেজি শেখার 'ওয়ার্ড বুক' , কার্সিভ রাইটিং মকশো করার বই এবং নামতা শেখার ধারাপাত।
দুলে দুলে পড়তে হত ঃ
"ব্রিঞ্জল বার্তাকু, প্লোম্যান চাষা,
পামকিন লাউকুমড়ো, কিউকাম্বার শসা"।
ধারাপাতে পড়তাম কড়াকিয়া, গণ্ডাকিয়া, পণকিয়া এবং শুভংকরের আর্যা। সে এক টর্চার। একবছরের মাথায় মুক্তি পেলাম কোলকাতায় এসে গার্লস স্কুলে ইনফ্যান্ট ক্লাসে ভর্তি হয়ে। আনন্দ পেলাম দাদুর ঢাউস কাশীরাম দাসী মহাভারত রাজসংস্করণে । তাতে ছিল পয়ার ছন্দের দোলা এবং রবিবর্মার অনুকরণে কিছু আর্টপ্লেট। একটা সাদা কালো ছবি সুর্যকন্যা তপতী ও রাজা সম্বরণ --দুজনে দুজনকে দেখছেন--আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। শিশুবয়সেও খানিকটা টের পেয়েছিলাম - 'আমার সর্বনাশ'।
""দুপাতা জার্মান পড়ে "---এইরকম কোনো হ্যাটা কিন্তু কোনোদিন শোনা যায় না। মনে হয় সম্ভ্রমের চোখে দেখা হত"
নিশ্চয়ই তাই হবে। তবে ইংরেজী "রাজ"ভাষা হবার সুবাদেও এই ধরণের কথা চালু হয়ে থাকতে পারে। মনে করুন, "মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসী পড়ে তাঁতী", হঠাৎ ফারসী নিয়ে কেন রে বাবা? অথচ সংস্কৃত নিয়ে কেউ বলবে না | আজকাল হয়ত হিন্দি নিয়ে অমন কথাবার্তা লোকে বলতে পারে | অন্তত কিছু বাঙালীর মুখে আজকাল অদ্ভুত রকমের হিন্দি মেশানো বাংলা শুনে তাই মনে হয় |
ইংরেজীর ওপরে শিক্ষিত শহুরে বাঙালীর ফেটিশ, মনে হয় উনবিংশ শতক থেকেই , যেমন "পমকিন লাউ কুমড়ো, প্লোম্যান চাষা ", ইত্যাদি বাগবিধি, তারপর ধরুন ট্রানসলেশনের প্রতিযোগিতা আগে হত, এখন কতটা হয় জানিনা। তারপর যারা একটু ইংরেজ ঘেঁষা হত, তাদের নিয়ে নানারকমের কেন যেন সামাজিক "হ্যাটা" দেওয়া হত ("টেঁশো" ইত্যাদি উপাধি, তারপরে "সপ্তপদী" মনে আছে?) | মনে হয় তুলনায় যাঁরা ফ্রেঞ্চ শিখতেন, তাঁদের কেন যেন বাঙালি dilettante রা ভারি সম্ভ্রমের চোখে দেখতেন (এখনো মনে হয় কর্তারা তাই দেখেন), ফলে "দু পাতা ফ্রেঞ্চ পড়িচিস" টাইপের মন্তব্য করার কারো সাহসই মনে হয় হত না) |
দুপাতা পড়ে, না, দুপাতা পড়ার অভিযোগ করে? মনে হয় এর সঙ্গে "দু" এর সম্পর্ক। দু পাতা, দু পেগ, দু মুখো, দু চ্ছাই ...
আচ্ছা বলুনতো, শ্রীযুক্ত অমর্ত সেন বাবু মহাশয় শান্তিনিকেতনে এত্তো অশান্তির পরও মুখে
কুলুপ এঁটে বসে আছেন কেন?
এব্যাপারে ভালোমন্দ কিছু বলা ওনার কি নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?
রঞ্জনবাবু, আজ তো দেখছি ডবল তোফা! নজ্জা-নজ্জা মুখে বলেই ফেলি ভারতীয় সময় অনুযায়ী আমার জন্মদিন বিগত হওয়ার আর ১৮মিনিট বাকি আছে। আজই সকালে খ-এর পাঠানো বিনয় ঘোষের পাঁচ খণ্ড প্লাস আপনার এই কবিতা মিলিয়ে আজকের দিনটা জম্পেশ সেলিব্রেট করলাম। অনেক ধন্যবাদ।
(১)
'বর্তমান মুক্তকচ্ছ, ভবিষ্যৎ হোঁচটেতে ভরা'।
দু'পাতা ইংরেজি পড়ে যত নাস্তিকের দল আজ
ধরা দেখে সরা।
চৈতন্যের তিরোধান, যীশুবাবা মিরাকলে
করিছে কোশ্চেন!
অনন্তশয্যায় বিষ্ণু ত্যক্ত হয়েঅবশেষে
উঠিয়া বসছেন।
(২)
বানরে কি গাহে গীত, জলে ভাসে শিলা?
মূর্খে কি বুঝিবে বল দেবতার লীলা।
মূঢ় জীব শাস্ত্রবাক্যে না কর সংশয়।
ভাট- তর্কে মতি তব হউক অক্ষয়।
অদ্যাপিহ সেই লীলা খেলে গোরা রায়,
কোন কোন ভাগ্যবানে দেখিবারে পায়।
যেমন দেখেছে তারে এই দুটি ভাই,
নবদ্বীপে ছিল যারা জগাই-মাধাই।
এ'পাড়ায় তাহাদের আছে গুহ্যনাম,
সত্যকথা কি বলিব, বিধি মোরে বাম।
গুরুর আদেশে সাজে নাস্তিকের দল
প্রমোদে মাতিয়া ওঠে বাজায়ে বগল।
কিন্তু প্রতি রাত্রে তারা রুদ্ধদ্বার গৃহে,
কাঁদিয়া আকুল হয় ভক্তিরসে, দোঁহে।
একজন এলেবেলে, অন্য এক 'রায়'।
--খামোখা গৌরাঙ্গ মোরে রাখো রাঙ্গা পায় ।।