"যে থেরবাদীরা রক্তগঙ্গা বইয়েচে তারা বুদ্ধিস্ট নয় এসব , চিন্তা করে দেখবেন ,এসব আব্রাহামিক আত্মপ্রবঞ্চনা"
শুধু আত্মপ্রবঞ্চনাই নয়, এ কথাটার বস্তুত কোনো মানেই হয় না । বৌদ্ধধর্ম মানলে রক্তগঙ্গা বয়ান নিষেধ, তার মানে এই নয় যে কোন বৌদ্ধ যদি রক্তগঙ্গা বইয়ে থাকে সে বৌদ্ধ নয় । আবার এও নয় যে এই কাজ করতে তাকে বৌদ্ধধর্ম প্রশ্রয় দিয়েছে।
ঠিক আছে,"ঠিক মতো মানলে " কথাটা বাদ দিন ।
বৌদ্ধধর্মে নিষেধ ।
এবার চলবে?
রাষ্ট্রক্ষমতা দেশের মানুষকে খুন জখম না করেই "চালাতে হয়" ।
ঠিক মতো মানলে? অর্থাৎ মারলে বোঝা যাবে "ঠিক মতো " মানে নি! যাকগে, এসব গোল গোল যুক্তি দিতে থাকুন। এইসব যুক্তি দেবার ব্যাপারে ভক্তদের মধ্যে একটা বেশ সর্বধর্মসমন্বয় দেখা যায়। কাটি। :-)
"আমার শুনে মনে হল একজন বুদ্ধিস্টের কাছে লোক লাগিয়ে মারাটা একজন নন-বুদ্ধিস্টের তুলনায় সহজ। তার ধর্ম তাকে সাহায্য করবে।"
আজ্ঞে না, ঠিক মতো মানলে ধর্ম তাকে ব্লক করবে কারণ বৌদ্ধধর্মে কাউকে কোনোভাবে আঘাত করাই নিষেধ , প্রাণে মারা তো দূরস্থান । বোধসত্ত্বের পাঁচটি শপথের মধ্যে ঐটেই প্রথম শপথ, কাউকে আঘাত করা চলবে না, কায়মনোবাক্যে । অষ্টাঙ্গমার্গের তৃতীয় মার্গটিও ওই একই কথা বলে, সম্মা বাক (সম্যক বাগ্বিধি) , অপ্রয়োজনীয় কটু কথা, লোকের পেছনে কথা বলা, এ সব "চলিবে নাই" , :-)
কাজেই আপনার আগের কোন একটা পোস্টে লিখেছিলেন বৌদ্ধ রাষ্ট্রনেতা মশা না মারুন নিউক্লিয়ার বোম্ব চালাবেন, সে সব ও হবে না, অন্তত ধর্মের বাধা আছে ।
নাঃ। আমার শুনে মনে হল একজন বুদ্ধিস্টের কাছে লোক লাগিয়ে মারাটা একজন নন-বুদ্ধিস্টের তুলনায় সহজ। তার ধর্ম তাকে সাহায্য করবে। অন্য যেকোন ধর্মের মতই।
"তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বা স্বাধীনতার একটা জায়গা থাকবে না? " বোঝা গেছে!"
সে লোকটির ব্যক্তিগত বিশ্বাস হয়তো র্যাশনাল নয়, তাহলেও এইটেই তাঁর বিশ্বাস, সেই জায়গা থেকে তিনি কোনো খাবার খাবেন বা খাবেন না, কোনো আচরণ করবেন বা করবেন না ঠিক করেছেন। এইটুকু ছাড়পত্র তো মানুষকে দিতেই হবে ।
তবে আমার পড়াশোনা সীমিত। বুদ্ধিজম যতটুকু জেনেছি সেটা প্র্যাক্টিসনার দের থেকে শুনে, লামাদের সংগে কথা বলে।
এসব ভালো - মন্দ - পাপ - পুন্য এসব নিয়ে দে আর লিস্ট বদারড। পসচিমীরা বুদ্ধিজমের কন্সেপ্ট এ সাদা - কালো গুড কারমা - ব্যাড কারমা এসবকে জনপ্রিয় করেচে। আমি পারোর এক লামাকে জিগানোয় বলেছিলেন হো হো হেসে ঃ কার্মা ইজ ব্যাড! রান রান, এর থেকে বেরতে হবে, এর আবার গুড ব্যাড কী!! আমি এভাবেই জানি।
না, অন্যে মানে যে কাটচে তার মরাল ইন্টিগ্রিটি তার কাছে। কোন অসুবিধা নেই।
আর ওই " এক্সট্রাপলেশনের " ধারনা টাই এব্রাহামিক মরালিটি ত ঃঃ)))) ওইরকম এক্সট্রাপলেসন করেই ভীগান রা কেঁদে বেড়ায় লোকে কেন বিলাইদের পুষচে এদিকে কুঁকড়োদের ধরে খাচ্চে ঃঃ)))
ওইটা প্রাগম্যাটিক মডেলের চোখে মীনিংলেস। কারন সবার ঝুঁটি " একটা জায়গায়" বাঁধা নেই, কাজেই সব ফাইল একি আপিসের টেবিলে গিয়ে ওঠে এমন ও নয়। আপ্নি যদি আমার ম্রিত্যু চান ত লোক লাগিয়ে কেন, নিজেও মারতে পারেন, শুধু সেই ম্রিত্যুর থেকে যে হিংসার বাইপ্রোডাক্ট তইরি হচ্চে তা যেন কাওকে স্পর্শ না করে।
ম্রিত্যু হিংসা নয়। ম্রিত্যু একটা ঘটনা মাত্র। ম্রিত্যুর বাইপ্রোডাক্ট হল হিংসার পরিবেশ, সেই বিষকে ধারণ করে নেওয়ার খমতা যদি থাকে ত মারুন।
একক, যে ছাগল কাটবে, তার অ্যাটাচমেন্টের কি হবে? অন্য কেউ বধ করলে অসুবিধে নেই? অর্থাৎ এক্সট্রাপোলেট করলে একজন বৌদ্ধ রাষ্ট্রনেতা নিজে হাতে একটা মশাও মারবে না কিন্তু নিউক্লিয়ার ওয়েপন প্রয়োগের আদেশ দিতেই পারে। এতে তার অহিংস নীতি কোথাও ভায়োলেট হচ্ছে না, তাই না?
অরিন, "কোন হিন্দু যদি গোমাংস না খেতে চান, খাবেন না, তিনি যদি বলেন যে "আমি হিন্দু তাই খাচ্ছি না", এর মধ্যে গোঁড়ামির কি হলো? তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বা স্বাধীনতার একটা জায়গা থাকবে না? " বোঝা গেছে!
এহ, এখেনে আবার কেও ভীগান থাগলে পেছন ফুলে সাঁতরাগাছির ওল হবে ঃঃ((
"কার ক্ষেত্রে কতটা প্রায়োগিক সেটাও সে নিজের মতো করে ঠিক করবে | যে ছাগল খায় তাকে গিয়ে : ছাগল যদি খাও তো কুকুর টাকেও খাও না কেন বলা গান্ডুমি , কারণ ওরকম কোনো চূড়ান্ত আব্রাহামিক মোরাল ইন্টিগ্রিটির দায় কারো নেই , পাপ -পুন্যকাতর জনতা ছাড়া , আমার এটাচমেন্ট যে লেভেলে গিয়ে করাপ্টেড হয় সেটাই আমার সীমা . ব্যাস | কাজেই আমি সেই প্রায়োগিক নিষ্ঠুরতা থেকে দূরে থাকবো | কসাইখানা এলেও করবো না দরকার বুঝলে | এবং মাংস ও এনে খাব উদরপূর্তির জন্যে | "
দারুন লিখেছেন ।
"সেটাকে নাকি গোঁড়ামি বলা যাবে না!"
যাক আপনি যে হাসেন জেনে ভালো লাগলো, সারাক্ষন যে রেটে বুদ্ধ ওর বৌদ্ধধর্মের ওপর চোটে আছেন।
না,কোন হিন্দু যদি গোমাংস না খেতে চান, খাবেন না, তিনি যদি বলেন যে "আমি হিন্দু তাই খাচ্ছি না", এর মধ্যে গোঁড়ামির কি হলো? তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বা স্বাধীনতার একটা জায়গা থাকবে না?
হাসালেন মশাই! হিন্দুরাও স্বেচ্ছায় গোরুর মাংস খায় না। এগজ্যাক্টলি কোথায় কে নিষেধ করেছে বেশিরভাগই হিন্দুই তার খোঁজ রাখে না। কিন্তু খায় না। সেটাকে নাকি গোঁড়ামি বলা যাবে না!