"মাছ খেতে ইচ্ছা আছে, অথচ গুরুর বারণ। তাই ভেজ মাছ খাব, এটা গোঁড়ামি ছাড়া কিছুই নয়।"
এক্ষেত্রে (বৌদ্ধ সংঘের ক্ষেত্রে), গুরু বলে কেউ নেই কিন্তু খেয়াল রাখবেন। যাঁরা মাছ খাচ্ছেন না,তাঁরা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেছেন, কেউ জোর জবরদস্তি করে নি । কাজেই গোঁড়ামির প্রশ্ন টি ওঠার কোন সঙ্গত কারণ নেই ।
নাঃ, আপত্তি আর কি ? দুদিন পরে সারা দেশই তো ভেজ হয়ে যাবে। তবে কিনা মাছ খেতে ইচ্ছা আছে, অথচ গুরুর বারণ। তাই ভেজ মাছ খাব, এটা গোঁড়ামি ছাড়া কিছুই নয়। এসব ভন্ডামির একদম উপযুক্ত ওষুধ হচ্ছে জর্জ কার্লিন।
"কিন্তু মাছ না ধরলে নৌকো চলতে পারবে না"
দারুন কনসেপ্ট !
"বুদ্ধ ফুদ্ধের বাণীতে ঋদ্ধ হবার পরেও ভেতরে ভেতরে মাছ মাংস খাবার আছে শতগুণ।"
তাতে অসুবিধে কিসের ?
কেউ কোথাও বলেছে নাকি যে কেউ যদি মাছ মাংস না খান, তাঁর মাছ মাংসর স্বাদ গ্রহণ অবধি চলবে না? মানুষ ই তো রান্না করা নানা রকম করে বানায়, কেউ যদি তাদের লিমিটেশানের মধ্যে নতুন খাবার তৈরী করে আপনার আপত্তি তা ঠিক কোথায়?
*লোভ
তারপর নিরামিষ খাবার কত ভাল তাই নিয়ে দু কলি হল। এদিকে নিরামিষ খাবার বানায় আমিষের কপি করে। অর্থাৎ বুদ্ধ ফুদ্ধের বাণীতে ঋদ্ধ হবার পরেও ভেতরে ভেতরে মাছ মাংস খাবার আছে শতগুণ। অগত্যা মাছের মত ভেজ মাছ, ডিমের মত ভেজ ডিম। ভেগানদের জ্বালায় যেকোন খাবারে ভেজ শব্দটা থাকলেই গা গুলোয়।
মনু যদি নারীকে বেদপাঠের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তবে হঠী বিদ্যালঙ্কারের আবির্ভাব কীভাবে হয় রঞ্জনবাবু?
আড়াই হাজার বছর আগে বৌদ্ধধর্মের বিকাশ হচ্ছে প্রতিবাদী আন্দোলনের একটা হালকাপুলকা ধারা হিসেবে। তাহলে প্রতিবাদের আঙিনা থেকে নারীরা বাদ। শুধু শ্রমণ হওয়াতেই তাঁদের সার্থকতা?
ওফ, রঞ্জনদা ঠিক কমিউনিজম এনে ঢুকিয়েছেন। দেখুন কমিউনিস্টরা যত খুনোখুনি করেছে, তার দায় কমিউনিজমেরই। কমিউনিজমের থিয়োরিতেই গন্ডগোল আছে, নইলে বারবার ডিক্টেটর তৈরি হত না। সেরকমই ধর্মের নামে খুনোখুনি করলে ধর্মের দায় অবশ্যই থাকে। এবার ধর্ম আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয় বলে আপনি তক্কো করতে পারেন। কিন্তু আমি আরো এক ধাপ পিছনে তক্কো করেছি। বুদ্ধর একটা প্রায় এম্পেরিক্যাল সায়েন্টিস্ট গোছের স্ট্যাটাস তৈরি হয়েছে। অথচ লোকটা স্রেফ আরেকটি ধর্মগুরু। বুদ্ধ নিজেই বলে গেছেন ওনার কথা শেষকথা নয় আর হজরত বলে গেছেন উনিই শেষকথা, এসবের আদৌ কোন অর্থ নেই। বুদ্ধকে সর্বত্র ভগবান হিসেবেই পুজো করে এবং বুদ্ধের মত অত বিরাট বিরাট মূর্তি যীশু ছাড়া অন্য কারোর বোধায় নেই। আর বাকী রইল রবীন্দ্রনাথের পদ্য। এত বাজে পদ্য জাস্ট ভাবা যায় না। আম্বানি আদানিরা হাত উল্টে দিল, ভিক্ষুণীকে বার খাইয়ে সমাজসেবায় নামানো হল। বুদ্ধ গ্যাঁট হয়ে বসে বসে দেখলেন। আর এই পড়ে বুদ্ধকে বাহবা দিতে হবে। আরে বলেছি তো আগেই, পকেটে পয়সা থাকলে জগতটা মায়া ভাবতে দিব্যি লাগে। পয়সা না থাকলেই বুদ্ধ হাওয়া। সব ধর্মই আসলে গাঁজা। বুদ্ধের দর্শন হচ্ছে মানুষকে অর্গানাইজ হতে না দেওয়া। এটা বললেই আবার কমিউনিজম ভাববেন না দয়া করে, যেকোন আন্দোলনেই লোক জড়ো করাটা প্রথম ধাপ।
@এলেবেলে।
মরেচে! আড়াইহাজার বছর আগে বৌদ্ধসঙ্ঘে নারীদের স্থান! আজকের হিসেবে যথেষ্ট নয়। আরে আমেরিকা ইংল্যান্ড কানাডায় মেয়েরা ভোটাধিকার পেল কবে যেন?
কিন্তু যদি অন্য ধর্মের সঙ্গে তুলনা করেন--ধরুন ব্রাহ্মণ্যধর্মের-- তাহলে বোলব বেটার। মনুর হিসেবে নারীর বেদপাঠে অধিকার নেই, কারণ কোন নারীর পৈতে হয়না ,সে দ্বিজ নয়। কিন্তু বৌদ্ধ সংঘে নারী ও পুরুষ শ্রমণকে আলাদা থাকতে হত অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ ছিল, তবু শাস্ত্রচর্চায় নারী ও পুরুষ শ্রমণের অধিকারে খুব তফাৎ ছিল বলে জানিনে। আমার ভুল হতে পারে। এবার আপনি শুধরে দিন ।
আর 'ভালো' মন্দ' এই উপাধি গুলো আপেক্ষিক। আমি শুধু কি ছিল তাতে আগ্রহী।