দই ওয়ালা তো বলে নি। এও একরকম নৈতিক জ য়। :))))
/চাপ
হমমম। পুরো চিপ। বুঝলে হে আটোজ
"কহেদু তুমে ইয়া চুপ রহু, দিল মে মেরে কেয়া হ্যায়....." :)))))
টীকাভাষ্য আর আলাদা গ্রন্থের তফাত না বুঝলে এসব জিনিস চলতেই থাকবে! সঙ্গে কিছু লেজুড়ও ফাউ জুটে যাবে।
ছবিটা দেখে নেবেন। বইটার নাম কে গীতা দিয়েছিল তা যদি বুঝতে পারেন, সে কারণে দেওয়া আর কি।
রঞ্জনবাবু, দুঃখিত আরও একবার আসতে হল। এ তো মাইরি রত্ন প্রসব করেছেন দেখছি! লিখেছেন --- //বলতে চাইছিলাম দু'শতাব্দী আগে শিক্ষিত লোক ছিলেন হাতে গোণা। কিন্তু তার মধ্যে ইংরেজি জানা লোক হাতে গোণা। কিন্তু সংস্কৃত জানা তার কয়েকগুণ।// উরিব্বাস! কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য বিদ্যাসাগরের খোদ ছাত্র, প্রেসিডেন্সির অধ্যাপক। তো তাঁর সংস্কৃত জ্ঞান নিয়ে বিদ্যাসাগরের সার্টিফিকেটটা জানেন তো? তাঁরই যদি এ হাল হয় তবে বাকিদের অবস্থাটা একবার ভাবুন। যাই হোক!
রঞ্জনবাবু, নবদ্বীপ আর ভাটপাড়ার সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতরা হুলিয়ে গীতাচর্চা করতেন বলছেন? মানে সিরিয়াসলি বলছেন? তো একবার অ্যাডাম সায়েবের দ্বিতীয় রিপোর্টটা পড়ে দেখবেন তো বাংলায় বেদান্তের স্কলার সব মিলিয়ে ক'জন ছিলেন। বেশি পুরনো নয়, ১৮৩৭ সাল। নব্যন্যায় বেদান্তকে পাত্তা দিত বলে মনে করেন? যাই হোক।
আর যেটা লিখেছেন --- //বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটন কলেজে বেদান্ত ও সাংখ্যকে কোর্স থেকে বের করতে না পারার আফসোস জনিত যুক্তিটি দেখুন। উনি বলছেন--সাংখ্য ও বেদান্ত ভুল দর্শন, কিন্তু হিন্দুর মননে এমন গেঁথে আছে যে বাদ দেওয়া কঠিন।// ওটা খণ্ডিত ভার্সন, আসল ভার্সনটি কিঞ্চিৎ আলাদা আর কি! যাই হোক।
বেণীমাধব আর হীরকের প্যারোডি পড়ে পিত্তি আচাভুয়া হয়ে গেল।
'খালিশ' মানে কি পিওর?
রঞ্জনদা মন্টো উর্দুতে না পড়ে হিন্দি তে পড়েন কেন?
-- দুটো কারণে।
এক, মন্টোর বা ইসমৎ চুঘতাইয়েরলেখার ভাষাটা খালিশ উর্দূ নয় -- হিন্দুস্থানী; অর্থাৎ হিন্দি+ ঊর্দু। বাক্য, সিন্ট্যাক্স সব হিন্দি, কিছু শব্দ উর্দূ।
দুই, লেখাগুলো দেবনাগরী লিপিতে রয়েছে। তাই পড়তে পারি। নইলে অসম্ভব ছিল। তবে ইকবাল, গালিব বা ফৈজ আহমদ ফৈজের কবিতা বা শেরশায়েরী ( খাঁটি উর্দু) পড়তে গেলে ওই দেবনাগরী লিপিতে পড়ি। কিন্তু অনেক শব্দের ফুটনোটে মানে দেখতে হয়। যেভাবে আমরা সংস্কৃত গীতা বা চন্ডী পড়ি। কিন্তু কিছু শের বা নগমা ওঁরা হিন্দুস্থানিতেও লিখেছেন, তাই রক্ষা!
এস,
সেকী? না জেনে মানে? সঠিক বলেছেন। আমিও এভাবেই দাদুর কাছে ছোটবেলায় গীতা চন্ডী শুনে শুনে । একটু বড় হয়ে নীচে বাঙলায় মানে পড়েছি। এখনও তাই করি।
বলতে চাইছিলাম দু'শতাব্দী আগে শিক্ষিত লোক ছিলেন হাতে গোণা। কিন্তু তার মধ্যে ইংরেজি জানা লোক হাতে গোণা। কিন্তু সংস্কৃত জানা তার কয়েকগুণ। সমস্ত ভদ্রজনের বাড়িতে বাচ্চাদের উপক্রমণিকা এবং সুভাষিতাবলী পড়তে হত । স্কুলে সংস্কৃতের ফার্স্ট পন্ডিত সেকন্ড পন্ডিতের পোস্ট থাকত, এই আর কি!
হুতো,
ঠিক বলেছ। বৃহত্তর বাঙালী সমাজ কথাটা এখানে বাগাড়ম্বর। শিক্ষাই কতটুকু ছিল। পথের পাঁচালির প্রসন্ন গুরুওমহাশয়ের পাঠশালাতেই অক্ষর পরিচয়। কিন্তু নিরক্ষর কৃষক সমাজও পালপার্বণে সংস্কৃত পন্ডিতদের উপরই নির্ভর করত, এমনকি জন্ম-বিবাহ-মৃত্যুতে ক্রিয়াকর্মের জন্যেও। দেখ, বিদ্যাসাগরের সময়ও ইংরেজি জানতেন ক'জন? কিন্তু সংস্কৃত জানা শিক্ষিত সে তুলনায় অনেক। মাইকেল ব্যতিক্রম, বেশিরভাগ ইংরেজিজানারাও আগেই সংস্কৃত শিকেহ নেন। রবীন্দ্রনাথ হোক কি রামমোহন। বঙ্কিম ও বিবেকানন্দের সংস্কৃত জ্ঞান নিয়ে কোন কথা হবে না। অথচ অনেক সংস্কৃত জানা পন্ডিত যাবনিক ভাষা জানতেন না , চাইতেনও না। তারাশংকরের সেই পিতাপুত্র দুই পন্ডিতের ট্র্যাজিক গল্পটা? বা হিউমারে ভরা " আই ডোন্ট নো?" এভাবেই রামায়ণ মহাভারতের গল্প এবং গীতার কিছু শ্লোক মানুষের স্মৃতিতে ঢূকে পড়ে ।
এহ বাহ্য। এই যে বাঙলা অক্ষরে গীতা ও চন্ডী বাঙালীর ঘরে ঘরে? এগুলো সায়েবের ইংরেজি অনুবাদের থেকে বাঙলা? নাকি বাঙলা হরফে সংস্কৃত?
এটাতো লোকশিক্ষা প্রবন্ধের মধ্যেই আছে। সংস্কৃত জানা লোকজন এর সংখ্যা খুব অল্প ছিলো।পণ্ডিত দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো।
আম জনতা গীতার ব্যাখ্যান জানতো কথক ঠাকুর এর মাধ্যমে।এখন ও গ্রামের দিকে বিস্তর কীর্তন,পালার আয়োজন হয়।কথক বা সঞ্চালক সুর করে মানে বুঝিয়ে দেয়।হিন্দিতে যারে কয় প্রবচন।
এলেবেলে,সক্কল কে ইংরেজিতে গীতা পড়িয়ে ছাড়বেন দেখছি।--))