আমার মনে হয় পিনাকী আর সোমরাজ দুজনেই নিজের জায়গায় ঠিক
এ নিয়ে অহেতুক কথায় শুধু কথাই বাড়বে
পর্দা র পিছনে র কথা বলে যারা জল অপ্রয়োজনীয় ভাবে ঘোলা করতে চাইছিলেন তারা নিজেদের যুক্তির জগতে অবশ্যই বিচরণ করতে থাকবেন , সেটাও গুরু তে নতুন কিছু নয়
যেটা বলেছি সেটা অপ্রিয় কথা। তাই শুনতে রুড লেগেছে। সোমরাজকে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে কথাটা বলা নয়। বোঝাপড়া পরিষ্কার করার জন্য বলা। সোমরাজের ক্রাউড ফান্ডিংএর অ্যাপ বানানো নিয়ে কোনোই বক্তব্য নেই। কিন্তু তার সাথে নিউজ পোর্টাল, কনটেন্ট রাইটিং, চ্যাট প্ল্যাটফর্ম জুড়েটুড়ে যে আইডিয়াটা ও রেখেছে তার মধ্যে অনেকটাই গুরুর সাথে ওভারল্যাপিং এবং বিগত দশ বছরের বেশি সময় ধরে গুরু এইধরণের কাজগুলো করছে এবং সেগুলোকে আরও ডেভেলপ করার জন্য ভলান্টিয়ারের খোঁজ করে চলেছে। কাজেই সোমরাজের যদি গুরুর সাথে সিম্বায়োটিক রিলেশনশিপে থাকার কথা মাথায় থাকে তাহলে ওর উচিৎ গুরুর কাজের সাথে ওভারল্যাপিং এরীয়াগুলোতে প্যারালাল ইনিশিয়েটিভ না চালু করে সেই বিষয়ক স্বেচ্ছাশ্রম গুরুতেই দেওয়ার কথা ভাবা। বা সেটা না ভাবলেও সেই সংক্রান্ত কাজের জন্য ভলান্টিয়ারের খোঁজ গুরুতে এসে না করা। সোমরাজ গুরুর সাথে মানসিকভাবে অনেকদিনই আছে। কিন্তু দিল্লির বইমেলা বাদে অন্য কোনো দৈনন্দিন কাজে ওর কোনো ভূমিকা নেই। বহুদিনই। কোনোদিন আমাদের কোনো 'নিউজ পোর্টাল'ধর্মী কাজে বা 'কনটেন্ট রাইটিং'ধর্মী কাজে কোনো হেল্প লাগবে কিনা সেসব খোঁজখবরও নিতে দেখিনি বিশেষ। গুরুর ব্যাকএন্ডে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটা বিশল কর্মযজ্ঞ চলছে গত একবছর ধরে। সেখানেও কোনো ভূমিকা নেওয়ার আগ্রহ চোখে পড়েনি। কাজেই হঠাৎ করে গুরুর সমধর্মী কিছু কাজের জন্য গুরুতেই ভলান্টিয়ারের সন্ধান আমার মত আর একজন ভলান্টিয়ারের চোখে অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ লেগেছে শুধু নয়, গুরুকে একতরফা ব্যবহার করতে চাওয়া বলে আমার মনে হয়েছে। ফলে গুরুর যেমন ব্যবহারকারীর খারাপলাগা নিয়ে ভাবার দায় আছে, গুরুর 'সহযোগী'দেরও গুরুর কাজের নিয়মিত ভলান্টিয়ারদের খারাপলাগা নিয়ে ভাবার দায় আছে বলেই মনে হয়। বিশেষত সেটা যখন কমিউনিটি বেসড ননপ্রফিট পোর্টাল। কোনো পোর্টালই তো শূন্যে টিকে থাকে না। তার পিছনে প্রতিদিনের মেহনৎ থাকে। এটাও 'ব্যবহারকারী'দের বোঝার চেষ্টা করা উচিৎ। এই মেসেজটা কমিউনিকেট করতে চেয়েই নিজের নামে পোস্টটা দিয়েছি। এটা গুরুচণ্ডালির পক্ষ থেকে ফর্মাল মেসেজ নয়। কারুর খারাপ লেগে থাকলে তার দায় ব্যক্তিগতভাবে আমার।
কাবাডি খেলার একটি বহুলপ্রচলিত নিয়ম হলো প্রতিপক্ষকে টোপ দিয়ে নিজের কোর্টে টেনে আনা। সে কিছু বুঝবার আগেই তাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলে ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া। কিছুদিন আগে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের "কালো মোরগ" নামে একটা ছোটগল্প পড়ছিলাম। তাতে লজিকের প্রফেসর গোকুলবাবু একটি লোভনীয় কালো মোরগের পেছনে ধাওয়া করতে করতে টেরই পাননি কখন দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়েছে, আর তিনি জঙ্গলের ওপারে কবরখানায় এসে পড়েছেন। পুরোটাই ছিল আবদুল্লা বলে এক খুনির প্রেতাত্মার প্রতিশোধ নেবার ছল। গোকুলবাবু যখন অনুধাবন করলেন যে তিনি ফাঁদে পড়েছেন ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
অধুনা সদ্য গোঁফ গজানো নব্যবামপন্থীদের কান্ডকারখানা দেখলেও মনে হয় তারা নিজের অজান্তে দক্ষিনপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের জালে একটু একটু করে জড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল বাম আমলে মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, নেতাজী প্রমুখের ব্যক্তিপূজা দিয়ে। তখনও তারা বুঝতে পারে নি বিপদ কোথায় ওঁৎ পেতে রয়েছে। এই অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে অন্ধ বিজেপি বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা কখনো শহীদ মিনারের পাদদেশ গঙ্গার জলে ধোয়াচ্ছে, তো কখনো খনার বচন ভুলভাবে উদ্ধৃত করছে।
অর্থনীতির উৎপাদন ও বিনিময় ব্যবস্থার মূল্য শৃঙ্খলে পুঁজিবাদী শিল্পপতির ভূমিকাকে মান্যতা দেওয়া কতটা দক্ষিণপন্থী বিচ্যুতি এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, গঙ্গোদক ও খনার বচন যে বামপন্থার মৌলিক আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এনিয়ে আশাকরি কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। এরপর মোদীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে বামপন্থীরা কবে যে মনুবাদী টেক্সটের সাহায্য নেবে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
'খোনা' গলা না বলিলে কিছুই হাস্যরস সৃষ্টি হইবেক না।
খনা যেমন জালি, খনার বচনও তেমনই জালি। বিশেষত ফেবু আর হোঅ্যাতে যেই বচনটা ছড়িয়েছে ওটা জালিস্য জালি। বিশদে জানিতে চাহিলে বলিবেন, জানকারি দেওয়া যাইবেক।
এখানে ব্যবসায়িক ব্যাপারটার অ্যাঙ্গেল বোধগম্য হলোনা , অবশ্য পর্দার পেছনে অনেক গল্পই থাকে জ্ঞানী লোকেরা বলেন
ওহ ওকে বুঝলাম। সরি প্রথমে ভুল বুঝেছিলাম
কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম টা তো আমি কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে করছি না।
ইভেন গুরু ও তাদের সোশ্যাল কজের মার্কেটিং চ্যানেল হিসেবে এটা ফ্রি তেই ব্যবহার করতে পারে।
আমি সারা ভারতের এনজিও আর সোশ্যাল ওয়ার্কার দের কেও একই এপ্রোচ করছি।
এক্ষেত্রে আমি পিনাকী র সাথে একমত , উদ্দেশ্য সাধু কিন্তু গুরু র নাম এক্ষেত্রে প্লাটফর্ম এ নিয়ে আসার আগে আমরা যারা দীর্ঘদিন এখানে লিখছি ও বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত তাদের মতামত এর জন্য ওপিনিয়ন পোল করলে কেমন হয় ?
শেষ অবধি গুরুও না ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এ পরিণত হয়
#কমালো
একমাসে দুবার ফিক্সড ডিপোজিট এর সুদ কোমল এস বি আই।গণ হারে লোকজন কে শেয়ার মার্কেট এর দিকে পুশ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন পুরো তেলেভাজা!
@আকাদা
কি যে বলেন , আপনার কাছে আবার ঠাকুরঘর কলা এইসব খেলা খেলবো আমার aukaad কি ?
ধরা যে খাবই সে তো জানা কথা ,
পার্থ নামটা একটা clue ছিল . সোজাসুজি নাম যে করবোনা সেটা ভেবেছিলাম আপনি ধরতে পারবেন
আপনার খোঁচা র পরিবর্তে ওটাও একটা লোচা ছিল
যাকগে পান্তুয়ার জন্য না হয় ধরাই পড়লাম
একদিন পায়ের ধুলো দিন না গরিবের কুটিরে , পান্তুয়া না হয় দোকান থেকে কিনেই খাওয়াবো
ভালো থাকবেন স্যার
বিনীত