@সে ১২ মার্চ ২০২০ ২৩:৪৫ :-)) এটা কলকাতায়?
@আতজ ঃ)))
মা কদিন বেশ লেকচর দেওয়ার স্কোপ পেয়েছিল। 'মদ সাঙ্ঘাতিক জিনিস। একবার ধরলে আর ছাড়ানো যায় না.........' 'একজনের জন্যে পরিবারের নাম ডুববে...........।'
@একলহমা ঃ)))))
আরেকটা মারাত্মক। ঃ))) দুবাইয়ের এক এক্স কলিগ কলকাতায় এলেই দেখা করে এবং তার সঙ্গে পানাহার বরাদ্দ। এরা কয়েক পুরুষের মদখোর পরিবার।
ইনি চিত্রশিল্পী মানুষ। তো একবার এস্প্লেনেডে শ ব্রাদারসে গেলাম। গিজ গিজ করছে লোক। একটা টেবিলে দুজনে বসে বেশ কয়েক ঘণ্টা বসে জগত ভুলে ৬-৭ পেগ খেলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম নেশা জমছে। ভাবলাম বেরিয়েই ওকে ট্যাক্সিতে তুলে আমিও ট্যাক্সি নেব। উঠে দেখি হাঁটার মত প্রায় অবস্থা নেই। যাইহোক হাত ধরাধরি করে বেরলাম।
সে আমায় পরামর্শ দিল 'এ অবস্থায় বাড়ি যেওনা, কেলো হবে। আমার এক আর্টিস্ট বন্ধু রাসবিহারীতে থাকে। মানে নিজের স্টুডিয়ো। সে রাতদিন গাঁজা, মদ খেয়ে সেখানেই পড়ে থাকে। ওখানে রাতটা দিব্যি কাটিয়ে দেব। পরেরদিন সকালে ফ্রেস হয়ে বাড়ি চলে যেও। কাকুকে ফোন করে দাও।'
বাড়িতে ফোন করেছিলাম কিনা মনে নেই। যাইহোক অতি কষ্টে হাত ধরাধরি করে এসপ্ল্যানেড মেট্রোতে দুজনে উঠলাম। চোখ মেলতে কষ্ট হচ্ছে। স্তেশনের পর স্টেশন যাচ্ছে। হঠাৎ চোখ খুলতেই দেখি কালীঘাট স্টেশনে দরজা বন্ধ হয়ে গেল। বন্ধুটি স্টেশনে নেমে গেছে।
আমি উত্তমকুমারে নামলাম। ব্যাপার হল মেট্রো স্টেশন থেকে কি ভাবে বেরলাম সেটা মনে নেই। কারণ পকেটে টোকেন। এটা আমার কাছে এখনো রহস্য!
রাস্তা পেরিয়ে অটো ধরার কথাও মনে নেই।
যেটা মনে আছে অটোতে উঠেছি এবং সহযাত্রী ও চালকের মধ্যে আমার মদ খাওয়াটা আলোচনার বিষয়। একজন বলছে 'কি মাল খেয়েছে দাদা! একে নিয়ে যাবেন কি করে?' ঃ-))))))
সত্যিই অটোচালক 'দাদা, স্টপ এসে গেছে' বলে 'নামুন নামুন' বলে নামিয়ে দিল। এদিকে নেমে তো আমি রাস্তা চিনতে পারছিনা!
অন্ধকার রাস্তা, স্ট্রীট লাইট জ্বলছে না। আমি এবার জোর করে চোখ মেললাম। আচ্ছাসে নিজেকে দুটো চিমটি কাটলাম। এবং এ রাস্তা, ও রাস্তা করে বাড়ি পৌঁছলাম।
বেল দিতেই বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে দরজা খুলে গোল গোল চোখে তাকিয়ে। মা বেরিয়ে এল। আমি বেশ বিরক্ত হয়ে 'তোমরা নিজেদের ঘরের যাও তো'। বাবা মা'কে বলল শুনলাম 'খেয়েছে ভালই' ঃ)))))
নিজের ঘরে ঢুকে সটান বিছানায়। রাতে দুবার বমিও হল।
তারপর ঘুম।
এদিকে সকালে উঠে আমার তো বন্ধুটির জন্যে বেজায় চিন্তা! ঠিক মত তার সেই বন্ধুর স্টুডিয়োতে গেল! নাকি গাড়ি চাপা পড়ল, পুলিশে নিল!
ফোনও বন্ধ।
টিভির চ্যানেল খুলে দেখি কিছু খবর আছে কিনা।
দুপুর দুটো নাগাদ ফোন করতেই ওর বাবা ধরলেন। ছেলে বাড়ি পৌঁছে চান করে, খেয়ে ঘুম দিচ্ছে!
বাড়িতে কদিন সবাই রাগরাগ মুখে আমাকে এড়িয়ে গেল!
আমার কাছে এখনও যেটা রহস্য, আমি টালিগঞ্জ স্টেশনে নেমে মেট্রোর গেট পেরলাম কি ভাবে!
টোকেনটা মেমেন্টো হয়ে এখনও আছে। ঃ-))))))