এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 108.162.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১২:৩৪432751
  • কিছুকাল আগেও যারা বিজেপিকে ভিকাশ আর অর্থনীতির উন্নতি হবে এই অ্যাজেন্ডায় ভোট দিত, তারাই এখন সেসব ছেড়ে সোজা হিন্দুত্ব আর দেশভক্তির নামে সমর্থন করে যাচ্ছে। মাইনরিটিদের ঘৃণা করা, কাস্ট সিস্টেম, অন্য জাতকে স্টিরিওটাইপিং আর সন্দেহের চোখে দেখা, কাশ্মীর নিয়ে সেনসিটিভিটি, পাকিস্তানকে সবৎ শেখানোর ইচ্ছে, কোনও কারণ ছাড়াই মেরা ভারত মহান এগুলো কিন্তু চিরকালই ছিল। তবে একটা প্রচ্ছন্ন মুখোশ অন্তত লোকে পড়ে থাকত। সেটা খসে গেছে। আশে পাশের অনেক লোকের আসল চেহারাটা সামনে চলে এসেছে।
  • r2h | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১২:২৫432750
  • সমস্যা বোধয় আরো গুরুতর। বিজেপি, একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে, খুব ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাল ক্ষমতা থেকে চলে যেতেই পারে।
    কিন্তু এই যে ঘৃণা, অবিশ্বাস, বজ্রমুষ্টির সংস্কৃতি তৈরী হয়ে গেল সেটা চাপ। তৃতীয়টা থেকে তাও মুক্তি সম্ভব, ওটা মোটামুটি একটা রাজনৈতিক বা নীতিগত স্ট্যান্ড সরকারের, কিন্তু সাধারন মানুষের মধ্যে, অন্য মানুষকে ঘৃণা করাটা খারাপ কিছু নয়, পিঠে কাঁটাতারের দাগ হাসির বস্তু, কাটাতাঁরে ফেলানির লাশ নিতান্তই কোল্যাটারাল, রাষ্ট্রের কাছে মানুষের দাম কিছু না - এইসব বিশ্বাস ফ্লন্ট করার সংস্কৃতিটা, সভ্যতা ব্যাপারটাকেই বেশ কিছুটা পিছিয়ে দিলো।
  • S | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১২:১৯432749
  • বিকল্প রাস্তা একটা দরকার। এই মুহুর্তে একটা বড় সংখ্যক ভারতবাসীকে বিজেপি ভালই ভক্তির জালে ফাঁসিয়ে রেখেছে। আর প্রচুর রিসোর্স রয়েছে বিজেপি আর তার বন্ধু শিল্পপতিদের কাছে। এই রিসোর্সটাকে যদি কোনওভাবে আটকানো যেত, তাহলে ভাক্তদেরও ভক্তি চলে যায়। তখন বিকল্প রাস্তাও একটা বেড়িয়ে আসবে।
  • Rajkumar Raychaudhuri | ০২ মার্চ ২০২০ ১২:১৪432748
  • আর ভালো লাগছে না। এই অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে মেরে ফেলতে চাইছে যদি ভোট না দেওয়া হয়। বিকল্প রাস্তা কি?
  • অরিন | ০২ মার্চ ২০২০ ১২:১১432747
  • রাজনৈতিক ঘেরাটোপের বাইরে বলতে অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের বা যুবক যুবতীদের কথা বলতে চাইছেন মনে হল। লেখাটাতে এক শ্রেণীর যুব সম্প্রদায়ের কথা বলেছেন ঠিকই, তবে এরা ছাড়াও বেশ একটা বড় সংখ্যায় যুবকবৃন্দ আছে তারা কিন্ত প্রধান সেবকের ভক্ত, এরকম একটা প্রবন্ধে এই লোকগুলোর কথা এড়িয়ে যাওয়ার কোন সঙ্গত কারণ নেই।
  • g | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১১:৪৯432746
  • অমিত একদম পাক্কা কথা বলেছে। এই নতুন জেনারেশন এর স্ট্যাণ্ড আপ কমেডিয়ান রা সিরিয়াস ভালো কাজ করছে।
  • PM | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১১:৩৫432745
  • ঐশি ঘোষ " রাজনৈতিক দলের ঘেরাটোপের বাইরে" ? SFI না ?
  • Amit | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১১:০৭432744
  • গত শুক্কুরবার ব্রিসবেন এ কুনাল কামরা র লাইভ শো দেখে এলাম। দারুন করেছে ছোকরা, মোদী কে পুরো ধুয়ে দিয়েছে। ছেলে টার সাহস আছে। এই বাজারে দাঁড়িয়ে মোদিকে ওপেন স্টেজ এ দাঁড়িয়ে গালাগাল করা সত্যি ক্যালিবারে লাগে।

    আমরা দুজন ছাড়া বাঙালি আর কেও ছিলই না , ম্যাক্সিমাম বোম্বে র পাবলিক পুরো হল ভর্তি করে দিয়েছিলো। দেখে সব থেকে যেটা ভালো লাগলো, ৯০-% ইয়ং লোকজন এ ভর্তি, আর ওরা সবাই আন্টি বিজেপি জোক গুলো দারুন ভাবে সাপোর্ট করলো। একটা দুটো পাঞ্জাবি পাবলিক মাঝখানে ফালতু আওয়াজ মারছিলো টেম্পো টা নষ্ট করার জন্যে, কিছুক্ষন পরে বাকি সবাই ও দুটোকে পুরো খিস্তি মেরে চুপ করিয়ে দিলো, একটু পরেই মাল দুটো হল থেকে কেটে পড়লো এখানে সুবিধা হবে না বুঝে।

    শো এর পরে ওর সাথে পার্সোনালি কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু অর্গানাইজার রা বললো এর আগে দু একটা শো তে কিছু চাড্ডি পাবলিক ওকে ফিজিক্যালি হ্যারাস করার চেষ্টা করেছে, তাই আজকাল এভোয়েড করে। ঠিক ই করেছে।

    এই মোদী শাহ এর তৈরী করা শ্বশান এ মরা পোড়ানো একদিন থামবে হয়তো, যেমন জার্মানি তে থেমেছিল। তখন মনে থাকবে যে এই কুনাল কামরা, ভারুন গ্রোভার, সঞ্জয় রাজোরিয়া, আকাশ ব্যানার্জী, রাভিশ কুমার - এরা এবং আরো অনেকে নিজের প্রাণের ভয় থাকা সত্ত্বেও মুখ খুলে দরকারি কথা গুলো বলার চেষ্টা করেছিল। সবাই অর্ণব গোস্বামী র মতো মোদির পা চাটে নি।
  • বজরঙ্গী | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১০:৩৬432742
  • "দেয়ার ইজ প্লেস ফর আ্যঙ্গার, প্রোটেস্টস" - খুবই একমত।
  • একলহমা | ০২ মার্চ ২০২০ ১০:২৩432741
  • lcm | 162.158.255.63 | ০২ মার্চ ২০২০ ১০:০৯
    ক্ক
  • | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১০:১৯432740
  • অরণ্য ঠিক ই বলেছে, নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষ , মানুষ কে রক্ষা করে দেন, এর থেকে ভাল কি ই বা হতে পারে, তবে আমার আজকাল পার্সোনাল কাইন্ডনেস এর স্টোরি বেশি চর্চা করতে ইচ্ছে করে নি। পোলিটিকাল সিস্টেমের, জুডিশিয়ারি র , ন্যুনতম আকাউন্টেবিলিটি তৈরি করার অন্তু তার্কিক লড়াই টা ছাড়তে ইচ্ছে করে না। তে পুলিশ দাঙ্গা য় আমবুলেন্স আস্তে দেয় না তার পছন্দের টিম সুবিধা পাচ্ছে বলে, বা অর্ধ মৃত যুবকদের রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে বলে তাকে প্রশ্ন করা বন্ধ করতে ইচ্ছে করে না। বজরঙ্গী ভাইজান মডেলে তাছাড়া রক্ষনশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করা মুশকিল, মূসলমানদের এক্সপেনডীবল করাও ঠেকানো মুশকিল, যথা কেজরী। তাই এসব আলোচনা দরকার তবে দেয়ার ইজ প্লেস ফর আ্যঙ্গার, প্রোটেস্টস ইত্যাদি।
  • lcm | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১০:০৯432739
  • আফগানিস্তানে এখন ইন্টারেস্ট নেই তো, কারও নেই, আমেরিকা-রাশিয়া-চায়না কারো নেই, সেইজন্যেই তো ছেড়ে দিচ্ছে, কারণ এখন তো ২০২০ -- এখন নর্থ পোলে ইটারেস্ট, রাশিয়ার নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড আইসব্রেকার গুলো দপদপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করছে যে ইউএসএ-র যথেষ্ট আইসব্রেকার নেই --- সময় পাল্টাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পাওয়ার ইকুয়েশন বদলাচ্ছে।
  • Amit | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ১০:০৮432738
  • সমস্যা হলো মাল্টি পার্টি ডেমোক্রেটিক সিস্টেম এ এটার কোনো রকম সমাধান নেই। হাজার টা রিজিওনাল পার্টি সবাই ১-২ % ভোট কেটে নিতে পারে যেটা পুরোটাই উসেলেস।

    কিন্তু সেইটার সুযোগে মাত্র ৩০-৩৫ % পেয়েও একটা অল ইন্ডিয়া পার্টি অবসোলুট মেজরিটি পেয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে যেটা এখন হচ্ছে।
  • lcm | 172.68.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:৪৯432737
  • ২০১৯ এ বিজেপি অনেকে সিট্ পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থন বলতে যা বোঝায় তা পায় নি। যদিও জেতা সিটের সংখ্যা (৩০৩/৫৪৫) দেখলে উল্টো মনে হয়। ২০১৪ তে আরও কম জনসমর্থন ছিল।

    ভাল করে দেখা যাক। ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি, এর মধ্যে রেজিস্টার্ড ভোটার ৯১ কোটির মতন, এবং এদের মধ্যে ২০১৯-এ ভোট দিতে এসেছিলেন ৬০ কোটি মানুষ । তার মানে এই ৬০ কোটি মানুষের সিদ্ধান্তেই সব ঠিক হয়েছে। তো, এই ৬০ কোটি মানুষের ৩৭% ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে, মোট ২২ কোটির মতন। তাহলে ভাবুন - ১৩০ কোটির দেশের লোকের ২২ কোটির ভোট পেয়ে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে । ঠিক আছে, মোট জনসংখ্যার হিসেবে ধরা ঠিক নয় (মাইনর পপুলেশন যারা ভোট দেয় না তাদের বাদ দেয়া উচিত) --- ৯০ কোটি রেজিস্টার্ড ভোটারই ধরা যাক - তাদের মধ্যে ২২ কোটির ভোট বিজেপি পেয়েছে, অর্থাৎ প্রতি ১০ জন ভোটাধিকারী নাগরিকের ২.৫ জনের ভোট বিজেপি পেয়েছে। এটাকে তো সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন বলা যায় না।
    এটা বিজেপির চেয়ে ভাল কেউ জানে না। বিজেপি জানে যারা ভোট দিতে যাবে তাদের ২৫% এর ভোট পেলেই অনেক সিট জেতা যায় - যদি বাকি ৭৫% ভোটকে অনেক টুকরোতে ভেঙে ফেলা যায়, এবং এই ভেঙে ফেলাটাকে গ্যারান্টিড করা যায়। তাই, তাদের সেটাই পলিসি - বিভাজনের রাজনীতিতে, কনস্ট্যান্ট এফোর্ট যাতে বিরোধী পার্টি/জনমত/চিন্তা সবকিছুকে টুকরো করে ফেলা যায় - এর কবল থেকে গান্ধী, নেহেরু, রবীন্দ্রনাথ, হিন্দু-মুসলিম, দলিত-উঁচুজাত, বাঙালি-অবাঙালি কোনো হিসেবকেই তারা বাদ দিচ্ছে না। কারণ, এটাই তাদের পলিসি। ভোটে জেতার চাবিকাঠি। এই যে এনআরসি/সিএএ -- এই সব --- সবকিছু বিভাজনের পলিসি।
  • স্পেস | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:৪৭432736
  • প্রতিবাদ করার স্পেস? বইমেলায় যা হলো তার পরও? কাল গোলি মারো সালোকো বলে মিছিল করেছে, তারপর এফআইআর হয়েছে, কিন্তু মিছিল তো হয়ে গেল।
    আর কোন রকম ডিসরাপশন না করে সেফটি ভাল্ভ প্রতীকী প্রতিবাদের সময় কি আর আছে?
  • S | 108.162.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:৩৪432735
  • আমেরিকার অর্থনীতির একটা বড় ফ্যাক্টর হল ইনভেস্টার কনফিডেন্স। যেটা আমেরিকার সবরকম হেজেমনির উপর নির্ভর করে। সেটা কমলে ইনভেস্টার কনফিডেন্স কমবে। লোকে অত সস্তায় আর ধার দেবেনা।
  • S | 108.162.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:২৯432734
  • আফঘানিস্তানে কিস্যু নেই? তাইলে এত লোকের ওখানে ইন্টারেস্ট কেন? একটু অন্যরকম ভাবুন। বিশেষ করে যখন ইয়োরোপ আর আমেরিকাতে ক্রমশঃ সব বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে।

    রাশিয়াই সিরিয়াতে আইসিসকে ঠান্ডা করেছে। আমেরিকা তো ওখানে কনফিউজ্ড হয়েই রইলো চিরকাল। এইবার ম্যাপটা একটু দেখুন। সিরিয়া থেকে আফঘানিস্তানের মধ্যে এক ইরাকেই এখনও আমেরিকার একটু প্রভাব আছে। সেটাও কমবে। ওদিকে এম্বিএসের সঙ্গে পুতিনের সখ্যতা খুব বেশি। পুরো মিডল ইস্ট আর এদিকে ভেনেজুয়েলা আর সেন্ট্রাল আমেরিকা - সব বড় তেলের দেশগুলোর উপর আমেরিকার কন্ট্রোল কমছে, রাশিয়া কন্ট্রোল বাড়ছে। তেল ছাড়াও ঐ দ্রব্যটির চাষও এই জায়্গাগুলোতেই হয়।
  • অর্জুন | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:২৮432733
  • চিরকাল জানতাম কং, সিপিএম বিরোধী পক্ষ। হঠাৎ তারা এক হয়ে গেল। যারা কংগ্রেসকে সাপোর্ট করত, যেমন আমার পরিবার, পুরো কংগ্রেসি, তারা শকড। আগে পলিটিক্যাল কার্টুনগুলোই ছিল সব কং, সিপিএমের এনমিটি নিয়ে। 

    সিপিএমকে আশ্রয় করে কংগ্রেস প্রচুর ভোট হাতছাড়া করেছে।  কমন ফ্যাক্টর একটাই- মমতা বিরোধিতা। 

    দুটো দলই কৃপাপাত্র অতিদীন। 

  • lcm | 172.68.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:১৮432732
  • রাশিয়া কিসুই করে নি, সিরিয়াতেও তেমন কিছুই করে নি। টেকনিক্যালি ১৯৭৯-এর পর রাশিয়া একমাত্র ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া নেওয়া ছাড়া কিছু করে নি, সেটাও একটা ভোট করে করেছিল। একদম সরাসরি এনক্রোচমেন্ট নয়।

    রাশিয়া আফগানিস্তান এসে আবার দখল করবে - এখন এটি একটি স্পেকুলেশান মাত্র।

    গত শতাব্দীতে মিডল ইস্টে যে ওয়ার্ল্ড ইন্টারেস্ট ছিল (এনার্জি/ তেল/ গ্যাস) -- সেই ইকুয়েশন এখন অনেক বদলে গেছে।
  • অর্জুন | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:১৪432731
  • No NRC movement টা অনেক অংশে দিকভ্রান্ত। এটা অনেকের কাছে এখন মমতা বিরোধী মঞ্চ হয়ে উঠেছে তাই অচিরেই এর ফোকাসটা নষ্ট হয়ে যাবে। আর বিজেপি এতে পাচ্ছে সুযোগ।  আঞ্চলিক দল গুলোর শক্তি খর্ব করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে বিজেপি। তাই আঞ্চলিক দলগুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ওরা উদ্যত। ওরা দেখাতে চাইবে আঞ্চলিক দলগুলো ওদের চামচা। আঞ্চলিক দলগুলোর ওপর আস্থা, বিশ্বাস যাতে উঠে যায় এবং মানুষ নিরুপায় হয়ে বিজেপিকে বাছে। 

    আর এই সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী প্রচণ্ড গুজব রটায়। ওটা একটা ইনফ্লুয়েনশিয়াল ইন্ডাস্ট্রি। TMC, AAP= BJP এটা এখনো প্রমাণিত হয়নি। শুধু শুধু তেঁতে কিচ্ছু লাভ নেই। প্লাস বিজেপি আই টি সেল। 

    এখন বেশ কিছু মিছিলে সামনে থাকা কয়েকজন নিজেদের মধ্যে সিধান্ত নিয়ে হঠকারি কিছু কাজ করছে যাতে পুরো ব্যাপারটা মিনিংলেস হয়ে যাচ্ছে। দিল্লী দাঙ্গার প্রতিবাদে মৌলালী থেকে এন এন ব্যানার্জি রোড যাওয়ার সময় হঠাৎ ওয়েলিংটনের মোড়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করল। কি না তারা বিজেপি অফিসে যাবেই। সেটা কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল না। পুলিশ ব্যারিকেড দিল। এরপর ব্যারিকেড ভেঙে, পুলিশকে ধাক্কা মেরে, পরিষ্কার দেখলাম একজন পুলিশের গায়ে হাত তুলল। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে আটকে দিল। মিছিলের বাকী অংশ কিংকর্তব্য বিমুঢ়! সকলে বিরক্ত। কয়েকজন বলেই ফেলল 'পুলিশ যা করেছে বেশ করেছে।' অথচ এন এন ব্যানার্জি রোডে গিয়ে পথসভা হওয়ার প্ল্যান ছিল। সেদিন শিক্ষাজগতের অনেকে এসেছিল।   

    আমি এটা বুঝতে পারছিনা,  এ রাজ্যে প্রতিবাদ করার স্পেস পাচ্ছি। আমি সেই স্পেসটার সদ্ব্যবহার করতে চাই। সোজা কথা। বিজেপি স্টেট গুলোয় সেই স্পেস টুকুও নেই। নো এন আর সি মুভমেন্ট যদি বর্তমান রাজ্য সরকার বিরোধী মঞ্চ হয় তাহলে সেটার সেখানেই মৃত্যু এবং তাতে বিজেপি'র আরো বেশী সুযোগ করে দেওয়া। আমাদের রাজনৈতিক জায়গাটা এখন খুব খারাপ।  প্রশাসনকে পাশে না পেলে আন্দোলন করতে পারবেন? ২০১১য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামদলকে ৩৪ বছর বাদে তাদের মসনদ থেকে হটিয়েছিল, সে শোধ তুলতে তারা এমন অনেক কিছু করছে যার জন্যে বিজেপি extra সুবিধে পাচ্ছে।  হাসির ব্যাপার হল তৃণমূলকে হটালে বাম- কং আসবে না। আসবে বিজেপি। এর চাইতেও সোজা অংক আর নেই। বামদল তৃণ'র বিরোধী পক্ষ হোক। বাম প্রাসঙ্গিক হোক।  বিজেপি উবে যাক। এটাই চাই।

    এসব কারণে ১৯শে ডিসেম্বর রামলীলা থেকে যে জনস্রোত হেঁটেছিল তারা অনেকেই আর এই মুভমেন্টে আর নেই, থাকতে চাইছে না। 

    কংগ্রেস, সিপিএমের জোট না ভাঙলে ওদের অস্তিত্ব সংকটেই থাকবে। ওদের ইণ্ডিভিজ্যুয়ালি এক্সিসট করতে হবে। 

    এখন দেশময় দলমত নির্বিশেষে অ্যান্টি- বিজেপি হতেই হবে। বিজেপি নিশ্চিহ্ন হোক, তারপর নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করা যাবে। 

      

  • lcm | 172.68.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:০৫432730
  • আফগানিস্তান দিয়ে কিস্যু নেই । কোনো দরকারও নেই। অলরেডি স্থলপথে ট্রেন চলছে : চায়না-মাদ্রিদ রেল -

    as of 2016, at least 12 Chinese cities and 9 European ones were connected by similar trains

    https://en.wikipedia.org/wiki/Yiwu%E2%80%93Madrid_railway_line
  • lcm | 172.68.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৯:০০432729
  • চায়না-ইউরোপ রেলপথ তো - ফ্রেইট চালু



  • b | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৮:৪২432728
  • @এলেবেলে,
    ধন্যবাদ।
    কবিতাটার সাল তারিখ পাওয়া যাবে?
  • PM | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৮:৩৪432727
  • আফ্গানিস্তান থেকে আমেরিকা সরে যাওয়া মানে চীনের পাক আফ্গন হয়ে সেনট্রাল এসিয়া হয়ে স্থলপথে ইউরোপ যাবার রাস্তা পাকা। মানে ওবোর ইন ফুল সুইঙ্গ ।

    ট্রম্প এর ভোট এ যেতার জন্যে শর্ট টার্ম ট্যাকটিকাল চুক্তি হিসেবে ঠিক আছে-- কিন্তু আমেরিকার লং টার্ম গোল কি অ্যাচিভ হবে এই চুক্তিতে --সেটা একেবারেই ক্লিয়ার নয়।
  • S | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৮:২১432726
  • আফঘানিস্থান নিয়ে চিরকাল সবার এত উৎসাহের কারণটা বলে দিতে হবে? বোঝো। তাইলে এতদিন ধরে দ্রিবাবু কি লিখলেন?
  • Amit | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৮:১৪432725
  • আফগানিস্তান এ রাশিয়া তো অলরেডি হাত পুড়িয়েছে ৭০-৮০ এ। আবার ? আর ওদের লাভ টা কোথায় ?
  • PM | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৮:০৩432724
  • "প্ল্যান হল পুরো মিডল ইস্ট আর সেন্ট্রাল এশিয়া রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়া। এইবারে আফগানিস্থানে রাশিয়ান আনফিশিয়াল আর্মি ঢুকবে। কারণ তো জানেনই।" -- এইটার একটু ভাব সম্প্রসারন করুন S--- কোনো লিন্ক আছে?
  • | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৭:৫৬432723
  • ও ঠিক বলেছ , কিন্তু এই কথা বলতে তো হবে।
  • | 162.158.***.*** | ০২ মার্চ ২০২০ ০৭:৫০432722
  • আকা, একদম রে। একদম ফেরা র পরিকল্পনা করিস না। আমি আটস্ কে সবসময় বারন করি। একেতো চাকরি বাকরি নেই তায় সোসাইটি গাধার গাঁড়ে। আর অশিক্ষার একটা উত্তরোত্তর বেড়েই চলা সেলিব্রেশন আর পোশায় না। পু রোনো দের মধ্যে ওর সঙ্গে যোগাযোগ আছে, আমার মেয়ে একটু আত্রেয়ি পিসির ভক্ত। আমার প্রবলেম হল কিছুতেই কোনধরনের বিদেশ, ভারতীয় অন্য শহর কিস্যু ভাল্লাগেনা। কিন্তু এই ইনসুলারিটির মূল্য বেশ বেশিই। যোগ্যতার সমস্যা আমার ছিল, সেটা ঘষে মেজে তবু কিছু সুযোগ যে পাইনা বা অন্ণত কিছু দিন আগে অবদি পাইনি তা না। কিন্তু কিছু তেই কোথাও মন টেকে না। এটা ঠিক স্বদেশপ্রেম না, একধরনের পাঁঠামো। মাইনডলেস অভ্যাসের আরাম। আর একটা হল দুই য়ের অধিক পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছি, বাইরে থাকলে আরো বেশি সাহায্য করা যেত কিন্তু সেটাও হয়ে ওঠে নি। তারাও কুঁতে চলছে ন। একটা অবশ্য হতে পারে আমি বাইরে ও খুব আলাদা কোন কাজ করিনি বলে আর ও পোহায় না। এক ই বাল যদি করব তাইলে অত ইংরেজি আর বলব কেন:-))))))) ইত্যাদি:-))))))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত