বুদ্ধদেব বসু সৃষ্টিশীল সাহিত্যিক হিসেবে যতটা না প্রতিভাবান ছিলেন তার চাইতে অনেক বেশী বহুমাত্রিক। খুব দক্ষ সাহিত্য নির্বাচক ছিলেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই বিশিষ্ট সম্পাদক। তার সাথে সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক এবং একজন ,literary historianও বটে। An acre of green grass এবং modern bengali prose নামে একটি প্রবন্ধও আছে তাঁর। পরের দিকে বেশ ডাকসাইটে অ্যাকাডেমিশিয়ান। যাদবপুরে খুললেন তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ, একটি নূতন ডিসিপ্লিন। একদম প্রথম থেকেই ঐ বিভাগটি বু ব'র জন্যে হিউম্যানিটিজের আর পাঁচটা বিভাগ থেকে অনেক বেশী আন্তর্জাতিক ছিল। বু ব নিজেও পঞ্চাশের দশকে ফুলব্রাইট ফেলো।
'তিথিডোর' বাদ দিলে ওঁর আর কোন উপন্যাস সেরকম জনপ্রিয় বা সমাদৃত হয়নি। রম্যরচনা, শিশু সাহিত্য ইত্যাদিগুলো ছুঁয়েও যায়নি। বরং 'মহাভারতের কথা' একদম শেষের দিকে লেখা অনেক বেশী অ্যাপ্রিসিয়েটেড হয়েছে।
ভারতীয় ইতিহাসে বিভিন্ন Anglo war হয়েছিল। Anglo Maratha war, Anglo Afghan war ইত্যাদি। এই war গুলো ডিটেলে স্টাডি করা খুব দরকার।
শান্তনু-দা'র সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা আছে। আমারও পুরো জানা হয় নাই। :-)
দিল্লীর ন্যাশনল আর্কাইভে গত বছর কয়েকবার যেতে হয়েছিল কাজে। ওখানে রাজপুতানার ওল্ড ম্যাপ মজুত আছে। এক বিদেশী গবেষককে দেখছিলাম ম্যাপ ঘাঁটতে।
রাজপুতানার ইতিহাস রিভিজিট করার খুবই প্রয়োজন। জয়পুরে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে 'রাজস্থান স্টাডিজ' বিভাগও হয়েছে। ডিসেম্বরে একটি হেরিটেজ গ্রুপ রাজস্থানের ফোকলোর নিয়ে একটা অনুস্থান করেছিল আই সি সি আরে। তবে ছেলেটি বড্ড সাজগোজ করে নিজেকে দেখাতে বেশী ব্যস্ত ছিল। :-)
'রাজপুত এবং মুসলিমদের মধ্যে ঐতিহাসিক বিদ্বেষ' খুব গভীরে কিনা জানিনা মুঘল আমলে রাজপুতরাই ছিল ডিফেন্সে। আকবর ও যোধাবাঈয়ের বিবাহ সে সম্পর্কে আরো মজপুত করেছিল বলেই মনে হয়।
তবে রাজপুত, মরাঠারা পুরনো শত্রু। মহারাণী গায়ত্রী আত্মজীবনীতে লিখেছেন মান সিং ২য়'র সঙ্গে তাঁর যখন বিবাহ হয় তখন কোচবিহার রাজবংশের হাই প্রফাইল ওয়েস্টার্ন বিহেবিহারের চাইতেও গায়ত্রীর মরাঠা মাতুল বংশ গায়েকওয়াঢ়দের নিয়ে জয়পুরী রাজবংশের সমস্যা হয়েছিল। ঘোর আপত্তি উঠেছিল। কিন্তু সেই সময় দেশের সব রাজ পরিবার ব্রিটিশদের ভৃত্যস্বরূপ তাই এ আর বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
'রক্তপলাশে' অবধি ঠিক আছে। 'রক্তজবা' র সঙ্গে কালীর মুখ ভেসে ওঠে, এখনি ট্যাগড হলেন বলে !!
'উনিশে মে' পত্রিকার সম্পাদক শান্তনু-দা' 'গঙ্গারিডি' তাঁর লাস্ট নেম হিসেবে ব্যবহার করেন। পারিবারিক সূত্রে 'গুপ্ত'। উনি বলেছিলেন বঙ্গদেশের প্রাচীন সভ্যতার নাম 'গঙ্গারিডি'।