এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • রাসের আলো নিভলেই যে গল্পের শুরু

    Ayan Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ৬৮৩ বার পঠিত
  • রাসের আলো নিভলেই যে গল্পের শুরু 
    অয়ন মুখোপাধ্যায়


    রাত একটা পেরিয়ে গেছে। রাসের মেলার ভিড় তখনও কমেনি। আমি, রানা আর অরিন্দম — তিনজন বহুদিন পরে একসাথে মেলার ঢাকের আওয়াজের ভেতর দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম তারপর অনেক রাত্রে বাড়ি ফেরার পথে রাসের ভিড় দেখে মনে হল, গ্রামটা আর আগের মতো নেই। আমাদের শৈশবের শ্রীপুর বলাগড়কে মনে পড়লে আজকের এই ভিড়কে অচেনা লাগে — যেন গ্রামের শরীরে শহরের  ছায়া ঢুকে পড়েছে এবং সেই ছায়াই এখন আসল রূপ নিচ্ছে। জনপদের অন্তর্গঠন বদলে যাচ্ছে — পোশাক আশাক হাঁটার ধরণ, কথার গতি, সম্পর্কের ভঙ্গি, উৎসবের ভাষা সবই আলাদা। গোপনে, অদৃশ্য সুড়ঙ্গ দিয়ে শহর প্রবেশ করেছে এই গ্রামে। তবু এই পরিবর্তনের আড়ালেও কিছু চিহ্ন রয়ে গেছে — রাসের আলোয় সেই চিহ্নগুলোই জেগে ওঠে। মনে হয় আমি কেবল দর্শক নই; আমি একজন সাক্ষী — একটি জনপদের দীর্ঘ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে হাঁটছি। এই মেলার আওয়াজে পুরোনো জনপদের অসংখ্য ছাপ ভেসে ওঠে লোকধর্ম, পুরাণ, নদীপথ, কৃষির রুটিন, মানুষের অর্থনৈতিক সংগ্রাম, উৎসবের মায়াবী যৌথতা। রাস যেন এক লুকোনো সাংস্কৃতিক আর্কাইভ — যেখানে প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনের জীবন খণ্ডিত টুকরো হিসাবে জমে আছে।
     

    লোকধর্মের ভিতরে রাস — জনপদের গভীর শিকড়

    শ্রীপুর–বলাগড়ের রাস উৎসব কখনোই কেবল বৈষ্ণবীয় আচার নয়। এটি লোকধর্ম, সমাজবিন্যাস এবং গ্রামীণ জীবনসংস্কৃতির একটি সহাবস্থান।  অনেকে মনে করেন গ্রামীণ ধর্মচর্চার শক্তি তার অভিযোজন ক্ষমতায়; বৈষ্ণব আখ্যান লোকা চারের হাতে নতুন অর্থ পায়। আমাদের এই রাসের ক্ষেত্রেও একই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় যেমন রাধাকৃষ্ণের রাসলীলা এই উৎসবের মুখ্য বিষয়, কিন্তু মানুষ সেটিকে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করে এসেছে। কারও কাছে এটি কৃষি চক্রের সূচনা, কারও কাছে শীতের আগমনীর সঙ্কেত, কারও কাছে অশুভের বিরুদ্ধে আলোর মঙ্গলধ্বনি।লোকধর্ম কখনো একমাত্রিক নয়—এর নিচে থাকে বহুস্তরের অনুভূতি, স্মৃতি, ভয়, ইতিহাস। তাই রাসের বড়ো মোটিফের ভিতরে জন্ম নেয় আরও অসংখ্য ক্ষুদ্র মোটিফ এটি এক জীবন্ত সাংস্কৃতিক organism এ অঞ্চলের টপোগ্রাফিও রাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নদীর ভাঙন, চর গঠনের ইতিহাস, গ্রাম-স্থানান্তর — সবই মেলার লোকাচার ও বিশ্বাসে স্তর তৈরি করেছে। উৎসবের ভিড়ের মধ্যে এই মাটির ইতিহাসও নীরবে হাঁটে।

    অর্থনীতির নীরব হৃদস্পন্দন — রাসের লুকোনো বাজার

    রাস মানে কেবল আচার নয় — রাস হলো বাজার। ব্রিটিশ আমলের Hooghly Collectorate Papers (1894)–এ স্পষ্টভাবে লেখা “Rash gatherings in the Balagarh–Jirat belt serve not merely as religious congregations but as vital seasonal accelerators of rural trade.” তখন রাসের সময় ধান, গুড়, নারকেল, ছাতু, মাটির পুতুল, রান্নাঘরের সামগ্রী, নৌকার যন্ত্রাংশের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যেত। আজও সেই ঐতিহ্য রয়ে গেছে। রাসের মাঠে হঠাৎ করে জেগে ওঠা এই অস্থায়ী বাজার জনপদের অর্থনৈতিক রক্ত সঞ্চালনে বার্ষিক গতি এনে দেয়। এই অঞ্চলের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। রাসের সময় আমাদের এই অঞ্চলে আলোর আন্দোলনে নতুন ছন্দ তৈরি হয়। মনে হয় নদী নিজেই উৎসবের শব্দে সাড়া দিচ্ছে — তার ঢেউয়ে প্রতিফলিত আলোয় ইতিহাস যেন নীরবে ভেসে বেড়ায়।  রাসের এই ভিড়, এই প্রবাহ, এই স্মৃতিকে বারবার নতুন করে দৃশ্যমান করে তুলছে।

    সমাজের রূপান্তর — ritual inversion-এর moments

    রাস উৎসব সমাজে এক বিশেষ দৃশ্যমানতা সৃষ্টি করে। বছরের অন্য সময় যে মানুষ অদৃশ্য থাকে — পটশিল্পী, বাউল, যাত্রাদল, জাদুকর, হকার — রাসের সময় তারাই জনপদের কেন্দ্রে। নৃতত্ত্বে এটিকে বলা হয় ritual inversion, যেখানে সমাজ নিজের কঠোর কাঠামো কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করে। উল্টোদিকে আমরা অনুভব করি যে ৯০–এর দশকে যেখানে বন্ধু-বান্ধবীরা  হাতে হাত রেখে মেলায় হাঁটা স্বাভাবিক ছিল না। মদ খাওয়া ছিল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সেখানে এখন উৎসবের শরীরী ভাষা বদলেছে — গ্রাম নিজের ভিতরের সংশয় ঝেড়ে আধুনিকতার দিকে সরে এসেছে। কিন্তু এই বদল মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে — হয়তো হঠাৎই দেখা যায়, রাসের ভিড় এক অস্থায়ী সমতা তৈরি করেছে, যেখানে সবাই সমান আলোয় দাঁড়িয়ে থাকে, উৎসবের অন্তর্গত শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে।

    শরীর, অন্ধকার গলি, গোপন আকাঙ্ক্ষা — রাসের অদৃশ্য ভূগোল

    রাসের আলোয় যতটা বোঝা যায়, তার চেয়েও বেশি বোঝা যায় আলো থেকে দূরে সরে গেলে। মেলার বাইরের সরু অন্ধকার গলিগুলো যেন উৎসবের অদৃশ্য মানচিত্র — যেখানে মানুষের মুখ নেই, আছে কেবল শ্বাসের স্পন্দন, ভেজা বাতাস, আর গ্রামজীবনের নীরব অবশিষ্টতা।এই গলিগুলোতে হাঁটলে মনে হয় — উৎসবের উচ্ছ্বাসের পেছনে আরেকটি স্তর আছে, এক নরম নিস্তব্ধ ঘনিষ্ঠতা। দূরে ঢাক বাজে, আলো ঝিলমিল করে; আর গলির স্যাঁতসেঁতে ইটে জমে থাকে মানুষের অচেনা অনুভূতির প্রতিধ্বনি। স্বাবলকত্বের প্রথম পাঠ  যদি সামাজিক ইতিহাস চর্চা হয় তাহলে বিশ্লেষক দের  ভাষায় বলতে হবে Festivals create counter-spaces where youth negotiate desire beyond the gaze of rural surveillance.” এই অচেনা অন্ধকার গলিই সেই counter spaceযেখানে মানুষ নিজের ভিতরের ভূগোল পড়তে শেখে। আলো নয় — অন্ধকারই সেখানে প্রকৃত পথ দেখায়।এই গলির ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, এই রাস মেলা এই জনপদ তার একটা গোপন স্তর খুলে দিচ্ছে — যেখানে মানুষ নিজের দমিয়ে রাখা অনুভূতি, স্মৃতি, আকাঙ্ক্ষাকে অন্যভাবে অনুভব করতে পারে। উৎসবের আলো যতটা উজ্জ্বল, তার সমান্তরাল অন্ধকারও ততটাই গভীর।

    ব্যক্তিগত স্মৃতি ও জনপদের ইতিহাস — দুটি সমান্তরাল  স্রোত

    আজ রাসের ভিড় দেখলে মনে হয় — আমি এক বহুপর্দার আর্কাইভের মধ্যে হাঁটছি। একদিকে নদীর বদল, টালি শিল্পের উত্থান–পতন, নৌকার কারখানা, ইটভাটার ধোঁয়া, জমির বিবর্তন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত স্মৃতি — আলো, অন্ধকার, বন্ধুত্ব, ছেলেবেলার আবেগ, উৎসবের উত্তাপ। ইতিহাস শুধু দলিল নয় মানুষের শরীরে, স্মৃতিতে, গন্ধে, আর্দ্রতায়, আলো–অন্ধকারে লেখা থাকে। দার্শনিক অরিন্দম চক্রবর্তী যেমন বলেছেন “Memory is history’s most intimate hand writing.” রাস সেই hand writing-এর বার্ষিক উন্মোচন বার্ষিক celebration।যেখানে জনপদ তার ভিতরের গোপন গল্প একরাতের জন্য প্রকাশ করে।

    আধুনিক রাস — শহর, শরীর, আলো, স্ক্রিন

    আজকের রাসে নতুন দৃশ্য DJ লাইট, ইউটিউবার, রিল-মেকারদের ভিড়, আধুনিক সাউন্ড-সিস্টেমের গর্জন আর তার পাশে বাউল, কবিগান, কীর্তন, যাত্রাদল — দুটি যুগ পাশাপাশি হাঁটে। গ্রাম এখন এক হাইব্রিড উৎসবের কেন্দ্র — শহরের গতি আর গ্রামের ধীরতা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক নতুন ছন্দ। কিন্তু ভিতরের সুর বদলায় না।রাসের ধুলো, আলো, অন্ধকার, গলির স্যাঁতসেঁতে বাতাস — এগুলো একই থাকে। গ্রাম বদলায়, উৎসব বদলায়, মানুষ বদলায় — তবুও ভিতরের নদী একই থাকে।

    আলো নিভে যাওয়া আর গল্প শুরু হওয়ার মুহূর্ত

    রাস শেষ হলে, আলো নিভে গেলে, ভিড় সরে গেলে — মাটির উপর একটুকরো উষ্ণতা থেকে যায়। এই উষ্ণতাই রাসের প্রাথমিক সত্য — একটি ক্ষণস্থায়ী কিন্তু গভীর মানবিকতা। রাস আমাকে শেখায় মানুষের ভিড়ই জনপদ নয়; মানুষের গোপন আকাঙ্ক্ষা, হতাশা, স্মৃতি, অন্ধকার — এগুলো মিলেই জনপদ তৈরি হয়। রাসের আলো নিভে গেলে যে গল্প শুরু হয় — সেটা আসলে আমাদের নিজেদের গল্প। গ্রামের নয়, শহরের নয় 
    মাঝামাঝি থাকা মানুষের গল্প। যেখানে আলো থেমে যায়, আর শরীর, স্মৃতি, আকাঙ্ক্ষা নিজেদের মতো করে কথা বলতে শুরু করে।এটাই শ্রীপুর বলাগড়ের রাসের প্রকৃত স্পিরিট। এটাই আমাদের জনপদের সংস্কৃতিক আত্মজীবনী।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • লোপামুদ্রা শেঠ | 202.8.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৭735710
  • অনবদ্য একেবারে অন্যরকম একটা ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখানো হয়েছে সাংস্কৃতিক ইতিহাস। এর দলিল যেন এটি
  • প্রিয়তমাসু | ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:২৪735752
  •  ভাল লাগল ৷ কিন্তু "মোটিফ" কেন ? আমি তো "মোটিভ" বলে জানতাম ।
  • @প্রিয়তমাসু | 134.238.***.*** | ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৪৭735754
  • মোটিফ
  • Ayan Mukhopadhyay | ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৪৫735756
  • সাহিত্যে মোটিফ হল একটি পুনরাবৃত্ত গল্প বলার উপাদান, যেমন - কোনো প্রতীকী বস্তু, একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা ক্রিয়া, যা একটি লেখার মূল ধারণাগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে।
  • অমিতাভ মুখার্জী | 2401:4900:3fb6:860c::636:***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৩735767
  • অনবদ্য লেখা। এত সুন্দর ভাবে তথ্য সমৃদ্ধ লেখাযা কিনা এতদঞ্চলের রাসমেলাকে কেন্দ্র করে এক প্রামান্য দলিল বললেও মনে হয় খুব একটা অত্যুক্তি হয় না। অবশ্যই ব্যেতিগত মতামত। ধন্যবাদ লেখককে।
  • অমিতাভ মুখার্জী। | 2401:4900:3fb6:860c::636:***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৩735768
  • ব্যেতিগত টাইপিং ভুল। হবে ব্যেক্তিগত।
  • রাজেশ শেঠ | 117.197.***.*** | ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭735769
  • ভালো লাগলো।  অন্য ভাবনার রসদ পেলাম। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন