এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তের কথা

    অরিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৭০ বার পঠিত
  • বহুদিন ধরে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের রাজনৈতিক ক্ষমতাহীনতা নিয়ে কিছু কথা চলে বাজারে যার মূল বক্তব্য হল যে এই অংশের সংখ্যার জোর কম আর সংখ্যাগরিষ্ঠতামূলক গণতন্ত্রে তো সংখ্যাই সব, অতএব ... ইত্যাদি। এই কথাগুলো নিতান্তই যে ফালতু, সেটা বলার ঠিক সুযোগ হচ্ছিল না। আজকে আরজি কর আন্দোলনে সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফার পরে রাজ্যের তড়িঘড়ি আলোচনায় বসার উদ্যোগ সেই সুযোগটা করে দিলো।
     
    কথা হচ্ছে প্রতিটা দেশ একটা হায়ারার্কি বেসড রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে আছে, এই পিরামিডিক্যাল কাঠামো ছাড়া বাস্তবে রাষ্ট্রের অন্য কাঠামো আমরা দেখিনি। এই কাঠামোয় নিচের দিকে যে অংশ থাকে (শ্রেনী কথাটা আমি ব্যবহার করবো না) তারা উৎপাদক তাদের কাজটা বেশি কায়িক শ্রমের, আর এর ওপর অংশটা যারা ব্যবস্থাটা পরিচালনা ও দেখাশোনা করে সচল রাখে, তাদের কাজটা বৌদ্ধিক শ্রমের এবং তাদের বলা যেতে পারে পরিচালক (বা তত্ত্বাবধায়ক হয়তো)। আর এই দুটোর ওপর দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র চলে ও অংশীদাররা পয়সা গোনে, এরা মালিক। এগুলো আমরা জানি।
     
    তো সোজা কথাটা হলো যে উৎপাদক (যারা সংখ্যায় বিরাট) ছাড়া যেমন ধান্দা চলবে না, ঠিক তেমনই পরিচালক (যারা সংখ্যায় অনেক কম) ছাড়াও নয়। উৎপাদক অংশকে তবু, ইতিহাস সাক্ষী শোষণ মূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, দীর্ঘদিন বঞ্চিত রেখেও ব্যবস্থা চালানো যায়, কারণ বোধহয় তারা ঐক্যবদ্ধ নয় আর ব্যবস্থার সম্পর্কে তাদের খুব স্বচ্ছ ধারণাও থাকে না, ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পরিচালক অংশ ব্যবস্থাটাকে খুব ভালো চেনে এবং পরিচালনা করে, বৌদ্ধিক চর্চার মধ্যে থাকার কারণে বুদ্ধিমান হয়, ফলে এই অংশকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করে রাখা যায় না, তারা সংগঠিত হয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করবেই, অনেক সময় সিংহাসন বদলে দেওয়ার। আর ঠিক এই কারণেই সংখ্যায় অনেক কম হলেও এদের রাজনৈতিক ক্ষমতা উৎপাদক অংশের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়, হয়তো বেশীই; আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতামূলক গণতন্ত্রেও। ফলে একটি আদর্শ রাষ্ট্র চালনায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে উৎপাদক ও পরিচালক দুই অংশকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে চলতে হবে। যতদিন রাষ্ট্র থাকবে আর রাষ্ট্রের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য বর্তমান থাকবে, এই বাস্তবতারও কোনো পরিবর্তন হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশেই, যেখানে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা রয়েছে, এবং ভারতের কোনো রাজ্যেও যেখানে ব্যবস্থাটি ভালো চলছে, এই অংশটিকে খুশি রেখেই চলছে।
     
    পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও ভদ্রলোক ছিল এই পরিচালক অংশ। বামফ্রন্টের রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে এই অংশটাকে অবহেলা করার ইচ্ছে তৈরি হয়ে থাকলেও হয়তো বাস্তবতা বুঝেই এই অংশকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে চলেনি। রাজ্যে আরএসএস পরিচালিত তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যকে একটা রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে এই পরিচালক অংশটার ভূতপূর্ব সদস্যদের সমাজটাকে, অর্থাৎ বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে, রাজ্য থেকে উৎখাত করে দেওয়ার কর্মকাণ্ড চলেছে। কিন্তু মুশকিল হল যে শ্রমজীবীরা ভোট পার করে দিলেও হাসপাতাল স্কুল কলেজ ব্যাংক ইত্যাদি তো আর চালিয়ে দিতে পারছে না, পারলেও তখন তাদের সেই অংশটি পরিচালক অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়তো, বৌদ্ধিক পেশায় নিযুক্ত হয়ে। যাইহোক এই সময়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকার এই বঙ্গীয় সমাজকে চটানোর মূল্য চোকাচ্ছে। ছত্রভঙ্গ বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত এতদিনে পাল্টা প্রতিবাদ শুরু করেছে, তবে তার পায়ের তলায় জমি অনেকটাই চলে গেছে, সে দেরি করেছে।
     
    এর মধ্যে আরেকটি অশনি সংকেত হলো নব্য প্রযুক্তি, অর্থাৎ ডিজিট্যাল পরিকাঠামো ব্যবহার করে রাষ্ট্রব্যবস্থা চালানোর পদ্ধতি। এই নতুন পদ্ধতিতে সেইভাবে শিক্ষিত কর্মী অতটা লাগে না, মোটামুটি বা সফটওয়ার অপারেটর হতে পারার মত প্রশিক্ষণ থাকলেই অনেকটা হয়ে যায়। সফটওয়ার গুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ লাগে, কিন্তু সেটার কোনো ভৌগোলিক স্থানিকতার বাধ্যবাধকতা নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Guru | 2409:4060:2d94:7e53:166d:76fd:ce70:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১০:০৭538337
  • ভালো বুঝিয়েছেন l তা শিক্ষিত বাঙালীর কি এখন কিছু করা উচিত ? কি করা উচিত ?
  • Guru | 2409:4060:2d94:7e53:166d:76fd:ce70:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১২538338
  • আচ্ছা শিক্ষিত এপার বাংলার বাঙালী কেন বাংলাদেশের মতো একটি বাঙালী জাতীয়তাবাদ তৈরী করতে পারলোনা ? এটা কি এপার বাংলার শিক্ষিত বাঙালীর ঐতিহাসিক ভুল ? দ্বিতীয়তঃ স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করাটা কি শিক্ষিত এপার বাংলার বাঙালীর ভুল হয়েছিলো ? স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটি বা মাড়োয়াড়িরা সরাসরি যোগদান করেনি পরবর্তীকালে তাতে তো তাদের লাভই হয়েছে l তাহলে ? আপনার কি মনে হয় ?
  • পাপাঙ্গুল | 117.97.***.*** | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৫538346
  • @গুরু, মাড়োয়াড়িদের মেবার করদ রাজ্য ছিল মনে হয়। ভারতে ৫০০+ ছোটবড় রাজবংশ ছিল যারা বৃটিশ ভারতের অন্তর্গত ছিল না, সেসব রাজ্যের প্রজারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি।
    গুজরাটিরা অংশ নিয়েছিল তো, মোহনদাস করমচাঁদ, প্যাটেল এদের নাম শোনেননি ? :)
    বৃটিশ ভারতের অংশ ছিল অবিভক্ত বাংলা, অবিভক্ত পাঞ্জাব, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, গুজরাট, মালাবার, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ইত্যাদি মুঘল/ অযোধ্যা ইত্যাদি সাম্রাজ্যের অংশগুলো। এসব জায়গার লোকেদেরই নাম স্বাধীনতার ইতিহাসে পাওয়া যাবে।
    মূল লেখাটা নিয়ে কিছু লেখার আছে, পরে লিখছি।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b4de:5c94:66a4:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৬538347
  • লাল বাল পাল নামে এক ভদ্রলোক ছিল না? ইস্কুলে ইতিহাসে পড়েছিলাম সেও বোধায় কিসব করেছিল, তবে সে কোথাকার লোক জানিনা। 
  • পাপাঙ্গুল | 117.97.***.*** | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২২538348
  • অরিত্র | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৪১538365
  • গুরু ১০:১২, পূর্বপাকিস্তানের কিছু সুবিধে ছিল, দেশে দুটোই জাতি, যারা দুটো বিচ্ছিন্ন দূরবর্তী ভৌগোলিক অংশে বাস করতো। দেশভাগের পরে পূর্ববঙ্গে সমস্যা কমেছিল, মোটামুটি একটা ধর্ম একটা ভাষা সংস্কৃতির মানুষ ছিল এবং পশ্চিম থেকে আগত জনতার সংখ্যা কম। ফলে একটা একতা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়েছিল। এদিকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে অনেক আগে থেকেই অন্য ভাষা সংস্কৃতির মানুষ থাকেন ভালো সংখ্যায়, আর ভাগের পর পূর্ব থেকে অনেক বড় সংখ্যায় মানুষ এসেছিল যারা এই দিকের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ভাবে কিছুটা ভিন্ন, এই দুটো জনগোষ্ঠী ঘটি ও বাঙালের দান্দ্বিক সম্পর্কের একটা চোরাস্রোত এই বাংলার রাজনীতিতে সংস্কৃতিতে তখন থেকেই ক্রিয়াশীল, এখনও কিছুটা বর্তমান। ধর্মের দিক থেকেও দুটো স্পষ্ট গোষ্ঠী এখানে অবস্থিত। যারফলে কোনো সমসত্ব জনগোষ্ঠী এখানে তৈরি হয়নি আর তাই জাতীয়তাবাদ তৈরি হওয়ার জন্য সুবিধেজনক অবস্থানে এই বাংলা ততটা ছিল না। আর তাছাড়া এপারের শিক্ষিত বাঙালি সেটা চেয়েছিল কি না সেটাও প্রশ্ন। চাওয়া ঠিক হত কি না সেটা নিয়েও ঐক্যমত নেই। আমি মনে করি উচিত ছিল এবং পুরোদমে নাহলেও সেটারও একটা চোরাস্রোত বাংলার রাজনীতিতে থেকেছে, আবার সেটাকে ভাঙার স্থানীয় ও সর্বভারতীয় নানান আয়োজনও একইসঙ্গে ক্রিয়াশীল থেকেছে, বিশেষ করে চেতনার স্তরে।
  • অরিত্র | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৩538367
  • গুরু ১০:১২, স্বাধীনতা আন্দোলন ভুল ছিল কি না এরকম একটা প্রশ্ন মনে এসেছিল একবার, কিন্তু একটা পরাজিত জাতি স্বাধীন হতে চাইবে না ওই চরম অত্যাচারের সামনে সেটা হয় নাকি। তবে, আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যে গোটা বাঙালি জাতিই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বা পক্ষে ছিল এটা ভুল ধারণা। সেটা তো ছিল না, পশ্চিম উপকূলে যেমন কিছু লোক কোলা (+বোরেশন) করেছিল, এদিকেও তেমনি কোলা করার লোক ছিল। ওরা ওদিকে পেরেছিল ভালো এদিকে এরা অতটা পারে নি। ওদিকে কোলাকারীরা বেশি বাস্তববাদী ছিল রাজনৈতিক বুদ্ধি এদিকের থেকে ভালো ছিল, ব্যবসার দক্ষতা ও কমিটমেন্ট ভালো ছিল, পণ্য পরিবহন বণ্টনে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং মজবুত নেটওয়ার্ক ছিল, ফলে কোলাতে আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিতে পেরেছিল। এছাড়াও ওদের অন্য কিছু সুবিধে ছিল, পশ্চিম দিকে বন্দর আর যেহেতু উৎপাদন ও শোষণ বেশি পূর্বে হত তাই জুলুমকার্যে ভাগিদার হতে ধর্মসংকট কম অনুভূত হত হয়তো। ইত্যাদি।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৪538369
  • রাজনীতির বিষয়টা কোনো শ্রেণীর নয় , জমির। চিরকাল , সমস্ত দেশেই। রাজ্যে বা রাষ্ট্রের মাথাব্যথা জমি নিয়ে। কারণ সেটার সীমানাই তাকে অন্য থেকে আলাদা করে, সেই জমিতে যারা থাকে তাদের খাজনা ইত্যাদির অধিকার দেয়। আগে ছিল হয় জমির মালিক অথবা মালিকের জমিতে চাষ করে। শিল্পবিপ্লবের পর জমির মালিকদের একাংশ কারখানার মালিক হল। ভাগচাষীদের মধ্যে কেউ কাজ হারিয়ে শ্রমিক হল। তাদের উত্তরপুরুষেরা বংশানুক্রমে লেখাপড়া শিখে করণিক কারণ জমির মালিকানা আর তাদের নেই। উচ্চবিত্তরাও জমি হারিয়ে ফেললে তাদের লেখাপড়া শিখে মধ্যবিত্ত হতে হয় ,  মধ্যবিত্তরা চাকরি হারিয়ে ফেললে নিম্নবিত্ত। নিম্নবিত্তরা লেখাপড়া শিখলে মধ্যবিত্ত হতে পারত এতদিন। আস্তে আস্তে সেটা বন্ধ হচ্ছে। 
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ০০:০৪538372
  • "রাজ্যে আরএসএস পরিচালিত তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে.." এই তথ্য / তত্ত্ব আপনি কোথায় পেলেন? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ০০:০৪538373
  • সেইজন্যেই কে যেন বলেছিল, 'বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী'। কথাটা খুবই যুক্তিযুক্ত।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২৬538429
  • পাপাঙ্গুল, হ্যাঁ, তবে জমি বলতে মনে হয় এখন ভার্চুয়াল জমি বা স্পেসকে ধরতে হবে, অর্থাৎ অর্থনৈতিক বা ব্যবস্থার যে স্পেসটি আছে তার মধ্যে কার অংশীদারিত্ব ও/বা নিয়ন্ত্রণ কতটা। যেমন এখন বহু অভূতপূর্ব ক্ষমতাধর সংস্থার দেখবেন সে অর্থে জমির মালিকানা নগন্য তবু বিশ্বের অর্থনীতি ও রাজনীতির ওপর প্রভাব অপরিসীম। বস্তুত অনেকের সম্পদের ভিত্তি উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতির ওপর বলতে গেলে নির্ভরশীলই নয়, ফাইন্যান্স অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০০538441
  • না ভার্চুয়াল স্পেস তৈরী করার জন্যও জমিতে ফোনের টাওয়ার বানাতে হবে। সেই জমিটা কার দেখতে হবে। 
     
    "বস্তুত অনেকের সম্পদের ভিত্তি উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতির ওপর বলতে গেলে নির্ভরশীলই নয়" - আপনি মনে হয় শেয়ার বাজারের কথা বলছেন , সেটা সম্পদ নয়। অ্যাসেট আর ইকুইটি আলাদা জিনিস।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৩৬538442
  • হ্যাঁ মানে ফিনান্সিয়াল ইন্সট্রুমের্ন্টস। আপনি সেই মার্ক্সিস্ট "উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা" এই গুলোর দিকেই যাচ্ছেন তো না কি, সেটা ধরেই আমি বলছি, এখন কি পুঁজিপতি বা ইনভেস্টর হতে গেলে সে অর্থে জমি লাগে? ধরুন মালিয়া মোদীরা যে ইউকে তে পালায়, সব সময় তো সেই দেশে তাদের জমি থাকে না, বসত বাড়ি হয়তো একটা থাকে, তাদের ইনভেস্ট করার মতো টাকা থাকে, তাই জন্যেই ওখানে সুরক্ষা পায়। ইত্যাদি? কাজেই জমি নেই মানেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই সেরকম তো মনে হচ্ছে না।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০০538446
  • মার্ক্স পড়িনি , ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে কথা বলছি :) 
     
    সে কর্পদকশূন্য অবস্থাতেও এখন অ্যাসাইলাম পাওয়া যায়। তার মানে সে ওই দেশে উচ্চবিত্ত হয়ে গেল বা ক্ষমতার বৃত্তে ঢুকে পড়ল এরকম নয়। মালিয়া মোদীরা যখন এদেশে জমি সম্পত্তি হারিয়ে ফেলল , তখনই তারা পালাতে বাধ্য হল কারণ তারা আর এদেশে উচ্চবিত্ত রইল না। আমি বোঝাতে চাইছি সরকার জমি যাদের হাতে আছে তাদের অগ্রাধিকার দেয় , সে যে বিত্তেরই হোক। 
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৪538447
  • আগে নির্বাসন দেওয়া হত। লখনৌর নবাবকে মেটিয়াবুরুজে , মুঘল সম্রাটকে বার্মায়। তাদের ঠাটবাট , ছড়ি ঘোরানো আর থাকত না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন