এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • কোয়ান্টাম গ্র‌্যাভিটির সন্ধানে 

    dc
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৩৬৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কিছুদিন আগে একটা টইতে নেচার অফ গ্র‌্যাভিটি নিয়ে অল্প একটু আলোচনা হয়েছিল। তখন ভেবেছিলাম এটা নিয়ে আরেকটু লিখলে ভালো হয়। তো আজকে আমার হাতে কিনা অনেক সময় (স্পেস যদিও অল্প), তাই এই টই। বলা বাহুল্য, এই লেখায় নানান ভুল থাকতে পারে - কেউ ধরিয়ে দিলে খুশী হবো। 
     
    বিজ্ঞানী মহলে মোটামুটি কনসেনসাস হলো, এই মুহূর্তে আমাদের জানা সেরা দুটি থিওরি হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স (কিউএম) আর জেনারাল রিলেটিভিটি (জিআর)। কেন? কারন গত প্রায় একশো বছর ধরে দুটো থিওরিকেই নানাভাবে টেস্ট করা হয়েছে, দুটো থিওরিরই নানান প্রেডিকশান বারবার ঠিক প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এই দুটো থিওরি একে অন্যের সাথে মেলেনা - ফলে গত অন্তত তিরিশ চল্লিশ বছর ধরে আমাদের কাছে বিরাট এক সংকট এসে হাজির হয়েছে। 
     
    শুরু করি কিউএম দিয়ে। ক্লাসিকাল মেকানিক্স হলো ডিটারমিনিস্টিক, অর্থাত কোন একটা মুহূর্তে একটা সিস্টেমের সমস্ত পার্টিকলের অবস্থান, ভর, আর গতিবেগ জানা থাকলে সেই সিস্টেমের পুরো ভবিষ্যত ইভোলিউশান বলে দেওয়া যাবে, এমনকি আগে কি অবস্থায় ছিলো তাও পুরো বলে দেওয়া যাবে। কিন্তু কিউএম হলো প্রোবাবিলিস্টিক, অর্থাত সমস্ত পার্টিকলের অবস্থান, ভর, আর গতিবেগ জানা থাকলেও সেই সিস্টেমের ভূত বা ভবিষ্যত বলে দেওয়া যাবে না। এর কারন কোয়ান্টাম লেভেলে একটা পার্টিকলের কমপ্লিমেন্টারি প্রপার্টিস এক সাথে সম্পূর্ণভাবে জানা যায় না, যেমন একই সাথে পোজিশান আর মোমেন্টাম জানা যায়না। একে বলে হাইজেনবার্গের আনসার্টেনটি প্রিন্সিপল। খেয়াল করবেন, এই আনসার্টেনটি মানুষের মেজারমেন্টের অক্ষমতাজনিত নয়, এ হলো আমাদের মহাবিশ্বের প্রপার্টি। আর এই আনসার্টেনটির ফলে উদ্ভব হয় কিউএম এর সবচেয়ে ফান্ডামেন্টাল সমস্যার, যার নাম মেজারমেন্ট প্রব্লেম। সংক্ষেপে এরকমঃ যদি একটা ইলেকট্রন বা ফোটন গানের সামনে দুটো স্লিট রাখা হয় আর তার ওপারে একটা স্ক্রিন, আর যদি একটা একটা করে ইলেকট্রন বা প্রোটন নিক্ষেপ করা হয়, তাহলে অনেক হাজার ইলেকট্রন বা প্রোটন নিক্ষেপ করার পর দেখা যাবে স্ক্রিনের ওপর একটা ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন ফুটে উঠেছে। অনেকটা এরকমঃ 
     
     
    এরকম কেন হচ্ছে? কারন একটা ইলেকট্রন যখন গান থেকে বেরিয়ে স্লিটের মধ্যে দিয়ে স্ক্রিনের দিকে যাচ্ছে, তখন সেটা ওয়েভের মতো, ফলে নিজেই নিজের সাথে ইন্টারফেয়ার করছে, একই সাথে দুটো স্লিটের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করছে, স্ক্রিনের ওপর গিয়ে পড়ছে। কিন্তু যেই স্ক্রিনের ওপর পড়ছে, বা মেজারমেন্ট হচ্ছে, ওমনি সেই ওয়েভের বদলে ইলেকট্রনটা একটা পার্টিকলের মতো হয়ে যাচ্ছে, ফলে স্ক্রিনের কোন একটা পয়েন্টে সেটা পিং করছে। এই ওয়েভ এর ইকুয়েশন প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন শ্রডিংগার, আর এই ইকুয়েশান লেখা হয় ওয়েভ ফাংশান রূপে। মজা হলো, ইলেকট্রনটা ততোক্ষনই ওয়েভ ফর্মে থাকবে যতোক্ষন না সেটাকে মেজার করা হচ্ছে। গান থেকে স্ক্রিন, এই পথের কোথাও যদি মেজার করা হয়, এমনকি স্লিট পেরনোর পরেও, তাহলেও প্রোবাবিলিটি ওয়েভ কোল্যাপ্স করে যাবে, ইলেকট্রনটা ততক্ষনাত পার্টিকলের মতো বিহেভ করবে, ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্নও মিলিয়ে যাবে। কেন এরকম হয়? আমরা এখনও জানিনা। 
     
    যা জানি, তা হলো কিউএম আমাদের আবিষ্কার করা সবচেয়ে অ্যাকিউরেট থিওরি, কিউএম দিয়ে সমস্ত পার্টিকল আর সমস্ত ফোর্স আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি, একটা "ফোর্স" বাদে - গ্র‌্যাভিটি। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আমরা জানি। কারন, আইনস্টাইনের জিআর ফ্রেমওয়ার্কে গ্র‌্যাভিটি আসলে কোন ফোর্স না, স্পেসটাইমের কার্ভেচার মাত্র (অন্যভাবে বললে, একটা এমার্জেন্ট ফেনমেনন)। কিন্তু জিআর এর একটা বড়ো খামতি আছে, তা হলো, এটা কোয়ান্টাম লেভেলে কাজ করেনা। যেখানেই কোয়ান্টাম আনসার্টেনটির অবদান বড়ো হয়ে ওঠে, সেখানেই জিআর অ্যাপ্লাই করা যায় না। এর একটা উদাহরন ব্ল্যাক হোল, যার ভেতরে গ্র‌্যাভিটি এতো শক্তিশালী যে কোয়ান্টাম এফেক্ট উপেক্ষা করা যায় না, ফলে জিআর অ্যাপ্লাই করলে আমরা পাই সিঙ্গুলারিটি, যেখানে স্পেসটাইমের কার্ভেশার ইনফাইনাইট, ফলে গ্র‌্যাভিটিও ইনফাইনাইট। আরেকটা উদাহরন হলো আমাদের পরিচিত ইলেকট্রন, নিউট্রন, প্রোটন, বা অ্যাটোম ইত্যাদি। জিআর এর মতে, এনার্জি বা মাস স্পেসটাইমে কার্ভেচার সৃষ্টি করে, অর্থাত যার এনার্জি বা মাস আছে, তারই গ্র‌্যভিটিও আছে। কিন্তু একটু আগেই আলোচনা করলাম যে কোয়ান্টাম লেভেলে যতোক্ষন না মেজারমেন্ট হচ্ছে ততোক্ষন সবকিছু একটা প্রোবাবিলিটি ওয়েভের মতো আচরন করছে। তাহলে একটা ইলেকট্রন, যা কিনা একটা প্রোবাবিলিটি ওয়েভের মতো ছড়িয়ে আছে, যে ওয়েভের বিস্তৃতি অপরিসীম, তার গ্র‌্যাভিটেশনাল এফেক্ট ঠিক কোথায়? সেটা কি লোকালাইজড নাকি ডিসট্রিবিউটেড? অথচ জিআর এর মতে গ্র‌্যাভিটি লোকালাইজড, কারন এই মহাবিশ্বে কোন ইনফরমেশান বা ইনফ্লুয়েন্স আলোর চেয়ে দ্রুত যেতে পারে না। (আইনস্টাইন স্বয়ং স্পুকি অ্যাকশান অ্যাট আ ডিসট্যান্স এর বিরোধিতা করেছিলেন)। 
     
    মুশকিল হলো, গ্র‌্যাভিটির কোন ওয়েভ ফাংশান আমরা লিখতে পারিনা কারন কিউএম দিয়ে আমরা গ্র‌্যাভিটিকে ব্যাখ্যা করতে পারিনা। কেন? কারন স্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুসারে সমস্ত পার্টিকল দুধরনের - মাস পার্টিকল আর ফোর্স ক্যারিয়ার পার্টিকল (ফার্মিয়ন আর বোসন যথাক্রমে)। যে তিনরকম ফোর্স কিউএম দিয়ে আমরা ব্যখ্যা করতে পারি, অর্থাত ইলেকট্রোম্যাগনেটিজম, স্ট্রং ফোর্স, আর উইক ফোর্স, সেই তিনটেরই ফোর্স ক্যারিইং বোসন পার্টিকল আছে, অর্থাত এই তিনটেই কোয়ান্টাইজড। ফিল্ড থিওরি অনুসারে, মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাথমিক স্ট্রাকচার বা ক্যানভাস বা ব্যাকগ্রাউন্ড হলো স্পেসটাইম ফ্যাব্রিক। এই ফ্যাব্রিক এর ওপর একেকটা ফিল্ড, যেমন ইলেকট্রন ফিল্ড, আর সেই ফিল্ডের ওপর কাজ করে একেকটা ফোর্স ক্যারিয়ার বা ফোর্স এক্সচেঞ্জিং পার্টিকল বা বোসন, যার ফলে ইলেকট্রন বা অন্যান্য পার্টিকল গুলো ফোর্স অনুভব করতে পারে। কিন্তু গ্র‌্যাভিটি যেহেতু সেই ব্যাকগ্রাউন্ড ক্যানভাসের কার্ভেচার মাত্র, তাকে কোয়ান্টাইজ করা বা পার্টিকল এর রূপ দেওয়াও সম্ভব না।  
     
    তাহলে এই সমস্যার সমাধান কি? আমাদের এমন কোন গ্র‌্যাভিটির থিওরি খুঁজে বার করতে হবে যা কিনা কোয়ান্টাম স্কেলেও কাজ করে। নিউটনের গ্র‌্যাভিটেশনাল থিওরি যেমন সাধারন বা ছোট ভরের ক্ষেত্রে কাজ করে কিন্তু বড়ো ভরের ক্ষেত্রে কাজ করে না, তখন তার বদলে জিআর ব্যবহার করতে হয়, ঠিক তেমনি কোয়ান্টাম লেভেলে জিআর এর বদলে এই নতুন থিওরি ব্যবহার করতে হবে। অর্থাত নিউটনের থিওরি ইন দ্য লিমিট অফ লার্জ মাস জিআর, তেমনি জিআর ইন দ্য লিমিট অফ স্মল পার্টিকলস এই নতুন থিওরি। 
     
    এই নতুন কোয়ান্টাম থিওরি অফ গ্র‌্যাভিটি কেমন হতে পারে? বহু দশক ধরে এই নিয়ে কাজ হচ্ছে, কিন্তু নতুন পথের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কেন? এর উত্তর জানতে হলে আমাদের দেখতে হবে কিউএম এ পার্টিকল ইন্টার‌্যাকশান কিভাবে দেখানো হয়। ধরা যাক একটা ইলেকট্রন আর একটা পজিট্রন ধাক্কা খেলো, দুটোই মিলিয়ে গিয়ে পড়ে রইলো একটা ফোটন, আবার খানিক পরে ফোটনটা ডিকে হয়ে চলে এলো একটা ইলেকট্রন আর একটা পজিট্রন। এটা দেখানোর জন্য ফাইনম্যান এক বিশেষ ধরনের ডায়াগ্রাম আবিষ্কার করেছিলেন, যাকে আমরা এখন বলি ফাইনম্যান ডায়াগ্রামঃ 
     
     
    ওপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছি, একটা ইলেকট্রন আর একটা পজিট্রন পরস্পরকে অ্যানাইহিলেট করে তৈরি করলো একটা ফোটন, সেটা একটু পরে ডিকে করে  একটা ইলেকট্রন আর একটা পজিট্রন তৈরি হলো। কিন্তু এখানে একটা ব্যপার আছেঃ কোয়ান্টাম আনসার্টেনটির জন্য, ফোটনটা স্পেসটাইম ভ্যাকুয়াম থেকে খানিকটা এনার্জি চট করে ধার নিয়ে অন্য দুটো পার্টিকল এ ডিকে করে যেতে পারে, কেউ কিছু বোঝার আগেই সেই দুটো পার্টিকল এনার্জি ফেরত দিয়ে আবার একটা ফোটন হয়ে যেতে পারে (এক্ষেত্রে কম্প্লিমেন্টারি প্রপার্টিদুটো হলো টাইম আর এনার্জি)। খানিকটা এরকমঃ 
     
     
    ওপরের ছবিতে মাঝখানের বৃত্তটা হলো ফোটনটার ডিকে আর অ্যানাইহিলেশান। তো মাঝখানে এরকম ডিকে আর অ্যানাইহিলেশান যেহেতু অসীম উপায়ে হতে পারে, তাই যদি শ্রডিংগারের ওয়েভ ইকুয়েশান আমরা অরিজিনাল ফর্মে সলভ করতে যাই তো একগাদা ইনফাইনাইট ইন্টারয়াকশানের সম্মুখীন হবো। তাহলে উপায়? এর সলিউশানও ফাইনম্যানই দেখিয়েছিলেন, রিনর্মালাইজেশান নামের এক বিশেষ উপায় আবিষ্কার করেছিলেন। মুশকিল হলো, যদি ফাইনম্যান ডায়াগ্রামের মধ্যে আমরা গ্র‌্যাভিটেশনাল ইন্টারঅ্যাকশানও দেখাতে যাই, তাহলে সবরকম স্পেসটাইম কম্বিনেশানও দেখাতে হয়, আর তখন রিনর্মালাইজেশান আর কাজ করেনা। 
     
    অর্থাত কিনা কিউএম ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আমরা গ্র‌্যাভিটিকে আনতে পারিনা, গ্র‌্যাভিটন এর মতো এমন কোন পার্টিকল এর ইকুয়েশান লিখতে পারিনা যা কিনা গ্র‌্যাভিটির ফোর্স ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করবে। 
     
    এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রচুর কাজ হয়েছে, এখনও অবধি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে দুটো থিওরি নিয়ে কাজ হয়েছে সেদুটো হলো সুপারস্ট্রিং থিওরি আর লুপ কোয়ান্টাম গ্র‌্যাভিটি বা এলকিউজি। সুপারস্ট্রিং থিওরিস্টদের মতে সব কিছুই স্ট্রিং এর ভাইব্রেশানের ফলে তৈরি হয়েছে - স্পেসটাইম, মাস, ফোর্স ইত্যাদি সবই এগারো ডাইমেনশানে ভাইব্রেশানের ফল। আর এলকিউজিতে চেষ্টা করা হচ্ছে স্পেসটাইমকেও কোয়ান্টাইজ করার, যাতে কিনা রিনর্মালাইজেশান আবার কাজ করতে পারে। দুটোই এখনও ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস, তবে বিজ্ঞানী মহল আস্তে আস্তে এলকিউজির দিকেই ঝুঁকছেন। আর কোয়ান্টাম গ্র‌্যাভিটি অবশেষে যখন আবিষ্কার হবে? তখন এমন সব টেকনোলজি আমরা তৈরি করতে পারবো যা এখন একেবারেই সায়েন্স ফিকশান।  
     
    তথ্যসূত্রঃ বেশ কিছু য়ুটুব ভিডিও, ওয়েবসাইট আর দুয়েকটা বই এর সাহায্য নিয়ে এই লেখা। বিশেষ করে সাবিন হসেনফেল্ডার, আর্ভিন অ্যাশ, আর রজার পেনরোজের নাম উল্লেখ করতে পারি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:২০739486
  • বিজ্ঞান নিয়ে সহজ করে লেখা আদৌ সহজ নয়। আর কোয়ান্টাম নিয়ে লেখার কথা ভাবলেই মাথা ঝিমঝিম করে। তারপরে আবার তার সাথে গ্র‍্যাভিটিকে জুড়ে নেওয়া - অত্যন্ত সাহসের কাজ। ডিসিকে স‍্যালুট এই লেখা নামানোর জন্য। এইবার সংশ্লিষ্ট গুরুরা মন্তব্য দিয়ে এই টইটা এগিয়ে নিয়ে গেলে খুব ভালো একটা কাজ হয়ে থাকবে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৩৩739488
  • এই ত্তো!!! দারুণ। ধন্যবাদ ডিসি।
    শুধু ওই ইয়ং ডাবল স্লিটের ছবিটা, ওখানে ডিফ্র‌্যাকশন হবে কি? ইন্টারফিয়ারেন্স হবে না?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৩৬739489
  • মানে বলতে চাইছি ছবিটার উপরে ডিফ্র‌্যাকশন লেখা। আপনার বক্তব্যে ঠিকঠাক ইন্টারফিয়ারেন্সই আছে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:১৬739490
  • রিনর্মালাইজেশন জিনিসটা বিষয়ে যদি একটু সহজ করে সবিস্তারে বলেন, ভালো হয়। এটা ঠিক কীরকম গাণিতিক কৌশল, জাস্টিফাইই বা করা হয় কীভাবে-এইসব।
  • dc | 2401:4900:1cd0:945a:4cfe:8bad:e0db:***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪০739492
  • &\ ঠিক ধরেছেন, প্রথম ছবির হেডিং এ ভুল আছে। ওটা ডিফ্র‌্যাকশান হবেনা, ইন্টারফেরেন্স হবে। 
     
    রিনর্মালাইজেশানের মূল কথা হলো, ডিকে আর অ্যানাইহিলেশানের যে ইনফাইনাইট পারমুটেশান আছে সেগুলোকে ইগনোর করে ইনিশিয়াল আর ফাইনাল স্টেটের ডিফারেন্সটাকে ক্যালকুলেট করা। এর ফলে পার্টিকলের সেল্ফ-ইন্টার‌্যাকশানগুলো হিসেবে না ধরলেও চলে। এইভাবে ইগনোর কেন করা যায়? কারন প্রতিটা পার্টিকল, ধরা যাক একটা ইলেকট্রন, একা থাকে না। একটা ইলেকট্রনকে ঘিরে থাকে অনেকগুলো ভার্চুয়াল পার্টিকল এর একটা বাবল, যেগুলো অনবরত ভ্যাকুয়াম থেকে এনার্জি নিয়ে তৈরি হচ্ছে, আবার পরক্ষনেই ভ্যাকুয়ামে এনার্জি ফেরত দিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই পার্টিকল ক্লাউডের ঘিরে থাকার ফলে ইলেকট্রনটার নিজের যে মাস আর চার্জ, সেটা পাল্টে যায়। এই পাল্টে যাওয়া প্যারামিটারের ভ্যালুগুলো এক্সপেরিমেন্ট করে জেনে নিয়ে, সেই ভ্যালুগুলো ইকুয়েশানে বসিয়ে ইকুয়েশান সলভ করা যায়। তবে এখন এই টেকনিক কিছুটা বদলেছে, এখন রিনর্মালাইজেশান গ্রুপ নামে একটা ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়।  
  • dc | 2401:4900:1cd0:945a:4cfe:8bad:e0db:***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৬739493
  • জিআর আর কিউএম মেলানোর আরেকটা সমস্যার কথা লিখতে ভুলে গেছি। 
     
    ওপরে লিখেছি, কিউএম হলো নন-ডিটার্মিনিস্টিক, কারন শ্রডিংগারের ওয়েভ ইকুয়েশান, যা দিয়ে আমরা একটা সিস্টেমের পরিবর্তন মাপি, সেটা প্রোবাবিলিস্টিক। জিআর কিন্তু ক্লাসিকাল, অর্থাত কিনা ডিটারমিনিস্টিক। অন্যদিকে, শ্রডিংগারের ওয়েভ ইকুয়েশান হলো গিয়ে লিনিয়ার ইকুয়েশান। কিন্তু জিআর হাইলি নন-লিনিয়ার, বিশেষত যখন গ্র‌্যাভিটি খুব শক্তিশালী, যেখানে আমরা কিউএম আর জিআর মেলানোর চেষ্টা করছি। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৮739494
  • বিভিন্নরকম স্পেসটাইম কম্বিনেশন -এটা নিয়ে একটু সবিস্তারে বলুন ।এটা করলে কেন রিনর্মালাইজেশন কাজ করেনা ?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:০১739499
  • এই যে মেজারমেন্টমাত্র টকাস করে পার্টিকল হয়ে গেল, এই জিনিসটাই কি নন-লোকাল টাইপের একটা ব্যাপার না? মেজারমেন্টের আগে তো তার প্রোব্যাবিলিটি ওয়েভ ছড়িয়ে ভরিয়ে ছিল চতুর্দিকে। ধরুন বি বিন্দুতে মেজারমেন্টের জিনিসপাতি বসিয়েছি, ওইখানে মেজার করলাম, পার্টিকল পেলাম। ওই বি থেকে কিছুটা দূরে এ সি ডি ইত্যাদি বিন্দুগুলোতে ছড়িয়ে থাকা ওয়েভটা ততক্ষণাৎ জানতে পারল কীকরে বি তে ওকে মেপে ফেলেছে? মানে ইন্ফো অমন ইন্স্টানটানিয়াসলি গেল কী করে? আর গেছে তো বটেই, নইলে কোলাপ্স করল কী করে?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:০২739502
  • এই যে ইলেক্ট্রনে ইলেক্ট্রনে ইন্টার অ্যাকশন হচ্ছে, বিনিময় হচ্ছে ফোটন। অর্থাৎ এটা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্টার-অ্যাকশন। তো, এইখানে ফোটনের মাঝখানে যদি ছোটো লুপে লুপে পার্টিকল-অ্যান্টিপার্টিকল হয়, আবার নিকেশ হয়ে ফোটন ফিরে আসে, এটার এফেক্ট রিনর্মালাইজ তো করা যায় কোনো পদ্ধতিতে। কিন্তু স্ট্রং ফোর্সের ক্ষেত্রে কি এই রিনর্মালাইজেশন পদ্ধতি কাজ করবে? সেখানে তো খুব স্ট্রং টান, এক্সচেঞ্জ হয় গ্লুঅন। এরা আবার বেশ অদ্ভুত, একটা গ্লুঅন থেকে রাশি রাশি গ্লুঅন তৈরী হয়। এদের ক্ষেত্রে রিনর্মালাইজ করেটাই বা কী করে?
  • dc | 2401:4900:1f2b:5d93:810c:41f5:2556:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:০১739503
  • বিভিন্নরকম স্পেসটাইম কম্বিনেশান হলো এইরকমঃ শ্রডিঙ্গারের ওয়েভ ইকুয়েশান দিয়ে আমরা একটা পার্টিকলের ইভোলিউশান আন্দাজ করতে পারি। অর্থাত ভবিষ্যতের কোন একটা সময়ে সেই পার্টিকলটা কোথায় অবস্থান করবে তার সম্ভাবনা বার করতে পারি। এইবার মজার ব্যপার  হলো, যেহেতু সম্ভাবনা, কাজেই  ওয়েভ ইকুয়েশানের মতে পার্টিকলটা যেকোন জায়গাতেই থাকতে পারে, স্রেফ কোথাও সম্ভাবনা একটু বেশী, কোথাও একটু কম। ধরুন আপনি ল্যাবরেটরিতে একটা বোতলের থেকে আরেকটা বোতলে ইলেকট্রন পাঠিয়েছে, তাহলে দুটো বোতলের মধ্যে যে স্ট্রেট লাইন পাথ, সেই পাথে ইলেকট্রনটা পাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশী। কিন্তু অন্যান্য জায়গায় পাওয়ারও সম্ভাবনা ক্যালকুলেট করা যায়, এমনকি চাঁদের উল্টোপিঠেও সেই ইলেকট্রনটা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্যালকুলেট করা যায়, বা আমাদের পাশের গ্যালাক্সিতেও সেই ইলেকট্রনটা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্যালকুলেট করা যায়। কাজেই ওপরের ফাইনম্যান ডায়াগ্রামে গ্র‌্যাভিটিকে ধরতে গেলে এই সবরকম স্পেসটাইন কম্বিনেশানগুলোও ধরতে হয়, তখন আর রিনর্মালাইজেশান টেকনিক কাজ করেনা। কেন করেনা ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​বলতে ​​​​​​​গেলে ​​​​​​​অংক ​​​​​​​কষতে হবে, ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​এখানে ​​​​​​​লেখা ​​​​​​​সম্ভব ​​​​​​​না। 
     
    "এই যে মেজারমেন্টমাত্র টকাস করে পার্টিকল হয়ে গেল, এই জিনিসটাই কি নন-লোকাল টাইপের একটা ব্যাপার না"
     
    ঠিক তাই। কোল্যাপ্স অফ ওয়েভ ফাংশান হলো নন-লোকাল বা নন-ডিটার্মিনিস্টিক ব্যপার। ঠিক মেজারমেন্টের মুহূর্তে কি ঘটছে, যার ফলে একটা ডিস্ট্রিবিউটেড প্রোব্যাবিলিটি ওয়েভ কোল্যাপ্স করে গিয়ে একটা লোকালাইজড পার্টিকল হয়ে যাচ্ছে, আর কেন এরকম হচ্ছে, এটাই হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আসল রহস্য। যাকে বলে হার্ট অফ দ্য প্রব্লেম :-)
     
    "কিন্তু স্ট্রং ফোর্সের ক্ষেত্রে কি এই রিনর্মালাইজেশন পদ্ধতি কাজ করবে?"
     
    রিনর্মালাইজেশান পদ্ধতি স্ট্রং ফোর্সের ক্ষেত্রেও অ্যাপ্লাই করা হয়েছে। ফাইনম্যান অরিজিনালি যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন তা উইক ফোর্সের ক্ষেত্রে কাজ করতো, উনি যে কাজের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন তা হলো কোয়ান্টাম ইলেকট্রোডাইনামিক্স বা কিউইডি। পরে এই কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, নাম দেওয়া হয় কোয়ান্টাম ক্রোমোডায়নামিক্স, সেখানে স্ট্রং ফোর্সকেও অন্তর্গত করার কাজ হয়েছে। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪০739504
  • স্পেসটাইম কম্বিনেশন বলতে আমি ফ্ল্যাট স্পেসটাইম, টোরোয়েড স্পেসটাইম, সিলিন্ড্রিকাল স্পেসটাইম, স্ফেরিকাল, ইলিপ্সয়্ডাল, ডুডকাহেড্রাল, ট্যাপখাওয়া টোলখাওয়া স্পেসটাইম ইত্যাদি নানা ধরণের কার্ভেচারওয়ালা জ্যামিতিক স্পেসটাইম কম্বো ভেবেছিলাম। ঃ-)
  • dc | 2401:4900:1f2b:5d93:9d63:19f6:4d4a:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৭739505
  • ওরে বাবা! ফ্ল্যাট স্পেসটাইম নিয়েই আমরা যা নাকানিচোবানি খাচ্ছি, তার মধ্যে আবার টোরয়েড ইত্যাদি আনতে হলে তো হয়ে গেল! :-)
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০২739506
  • নানারকম কার্ভেচার তো হতেই পারে। টোরোয়েডাল মানে ডোনাটের মতন স্পেসটাইম (একবার এক ভদ্রলোক বলেছিলেন দহিবড়ার মত ঃ-) ) বিষয়ে কিছু বিজ্ঞানী কাজ করেন। (ওঁরা দুপুরে ডোনাট(বিলাতে টিলাতে) আর দহিবড়া(ভারতে) খান মনে হয় ঃ-) )
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৮739507
  • মাঝে মাঝে হাসিঠাট্টা হয়ে যাচ্ছে, মাফ করুন।
    এইবারে সিরিয়াস। লুপ কোয়ান্টাম গ্র‌্যাভিটি নিয়ে লিখুন একটু।
  • dc | 2401:4900:1f2b:5d93:810c:41f5:2556:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২১739508
  • লুপ কোয়ান্টাম গ্র‌্যাভিটিঃ 
     
     
  • | 103.76.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩২739509
  • যতক্ষণ মেজারমেন্ট হচ্ছে না ততক্ষণ একটা কণার বিভিন্ন স্থানে থাকার সম্ভাবনা থাকছে, আর যখন মেজারমেন্ট হচ্ছে তখন যেখানে কণাটা রয়েছে, সেটা জানতে পারা যাচ্ছে, অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট অবস্থান ডকুমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে, এর মধ্যে কনসেপচুয়াল বিরোধ বা সমস্যা কোথায়? 
    সমস্যা ইকুয়েশনে, যে, মেজারমেন্টের অবস্থান (ডবল স্লিট পরীক্ষার স্ক্রীণ) স্পেসিফাই করলে সময়ের সাপেক্ষে (ফাংশন হিসেবে) কণাটির অবস্থান বিন্দুগুলিতে ইকুয়েশনটা কনভার্জ করছে না।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:০৬739510
  • সম্ভাবনা নয়, ততক্ষণ সে ওই সবখানেই থাকছে। ডবল স্লিটের পরীক্ষায় ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ন দেখা যায় এমনকি একটা একটা করে ফোটন/ইলেক্ট্রন পাঠালেও, যদি ডিটেক্টর অন করা না থাকে স্লিটে। মানে জানা না যায় কোন স্লিট দিয়ে ঢুকল ওটা। ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ন বলছে দুই স্লিট দিয়েই ঢুকছে। যেই না ডিটেকটর অন করা হবে অর্থাৎ জানা যাবে কোন স্লিট দিয়ে ঢুকল, অমনি আর ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন পাওয়া যাবে না, পার্টিকল প্যাটার্ন পাওয়া যাবে।
  • ওই সবখানেই থাকছে | 136.226.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১৮739511
  • এই সব ভজকট ব্যাপারের জন্যে আমার আর ফিজিক্স হল না! 
    রিয়ালিস্টিকালি একটা পার্টিকেল একসঙ্গে ফিজিকালি একাধিক জায়্গায় আছে - আইডিয়াই বা করি কিভাবে? হলোগ্রাম? 
  • পার্টিকেল না ওয়েভ | 136.226.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩০739512
  • পার্টিকেল না হয়ে যদি ওয়েভ হিসেবে ভাবি, একটা অস্তিত্ব একাধিক যায়্গায় একসঙ্গে থাকার সম্ভাবনা থাকার কথা ভাবা যায়, কিন্তু ফিজিকালি রয়েছে - এইটে কিভাবে ধরব? সেই তো ব্রহ্মই হল! 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৭739513
  • এই তো কোয়ান্টাম জগতের আসল রহস্য।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪৫739514
  • কবি বলেছেন, "ক য়ে আছি খ য়ে আছি, আছি আমি বিসর্গে/ জলে আছি স্থলে আছি, আছি সকল নিসর্গে", এটা অবশ্য বর্ণমালা সম্পর্কে বলেছেন। ঃ-) কোয়ান্টাম এন্টিটিরাও ওরকম । 
  • lcm | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:০১739515
  • "... ফলে নিজেই নিজের সাথে ইন্টারফেয়ার করছে..."
    --- এই অবধি এসে, একটু ইয়ে ... ভাবলাম, নাহ! ... এরপরে এগোতে গেলে একটা কড়া কফি চাই... আচ্ছা কফি কি ওয়েভ... ঢেউ দিয়ে আসছে অজস্র ফেনিল কফি... এসব ভাবতে ভাবতে ...
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৩৯739516
  • তাহলে চিন্তা করুন তাঁদের অবস্থা যাঁরা এন্ট্যাংগলমেন্ট এর এক্সপেরিমেন্ট করছেন। টকাস করে এখানে মাপলেন একটাকে, এটা পার্টিকল হয়ে গেল তো বটেই, অমনি বহুদূরে তার এন্ট্যাংগলড সঙ্গীও পার্টিকল হয়ে গেল। এই দূরত্ব এক মিটার হতে পারে, হাজার মিটার হতে পারে, এক আলোকবর্ষ হতে পারে, হাজার আলোকবর্ষ হতে পারে। আরও অনেক বেশি হতে পারে। কিছু আসে যায় না, টকাস করে দু'জনেই পার্টিকল হয়ে যায়।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:০২739517
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৩৯
    এইটা অসাধারণ হয়েছে। এবার উল্টোটা ভাবো, অন্যখানে কোথাও কেউ গাদা করে মাপামাপি করছে আর এখানে তার ফলে গুছিয়ে পার্টিকল তৈরী হচ্ছে, আর যে দেখছে সে ভূত, ভূত বলে চেঁচিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে কি উড়ন-চাকি দেখেছে বলে রিপোর্ট করতে ছুটছে। laugh
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৫৫739518
  • কিংবা সেই বাক্সের ভিতরে বেড়াল। শ্রোডিংগারের বেড়াল। ধরুন, দুইখান বেড়াল এন্ট্যাংগলড, আছে দুই বাক্সে। একটা এলো আমাদের কাছে, অন্যটা পাচার হয়ে গেল দূরে। যেই না বাক্স খোলা হল, এদিকের বেড়াল ম্যাও করে লাফিয়ে উঠল, বেঁচে আছে। আর ওই দূরের বাক্সের ভিতরে বেড়াল টকাস করে তখনই মরে গেল। এরা দুজনেই আগে বাঁচামরার কম্বিনেশনে ছিল। একটা মাপা হতেই অন্যটাও মাপা হয়ে গেল।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:৪২739519
  • অমিতাভদা, ২৫শে ফেব, ০০ঃ৩৯ , ওই যে বেলুনগুলোকে গুলি করে নামাচ্ছে, ওরা সব ওই নাকি? এলিয়েন এন্ট্যাংগল্ড বেলুন? ঃ-)
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:২৫739520
  • এই যে এন্ট্যাংগল্ড হয়ে থাকা -- সেটা কি সাংখ্যের পুরুষ আর প্রকৃতির মতো? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৫০739521
  • মনে হয় না। সাংখ্যে পুরুষ-প্রকৃতি তো মনে হয় একজন অ্যাকটিভ একজন প্যাসিভ এরকম কিছু ব্যাপার। এন্ট্যাংগল্ড এন্টিটিরা কিন্তু সেরকম না, এরা দু'জনেই একেবারে ইকোয়াল ফুটিং এ থাকে। ধরুন একজোড়া এন্ট্যাংগল্ড পার্টিকল এর সম্মিলিত স্পিন শূন্য, কিন্তু একটার আপ স্পিন ডিটেক্টেড হলেই অন্যটার ডাউন স্পিন ডিটারমিন্ড হয়ে যাবে।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৫২739522
  • সে ত তোমরা পদার্থবিদরা বলতে পারবে! আমি শুধু জানি বেলুন, মিসাইল, বাইডেন সবই কেউ মাপলে পার্টিকল, মানে তাদের কোথায় দেখা গেছে তার রিপোর্ট আছে। না মাপলে ওয়েভ, মানে মায়া, হতে পারে আছে, কিন্তু কোথায় কেউ জানেনা।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন