এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফিল্ডার - ১৫ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ জুলাই ২০২২ | ৭৪৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •  
      
     
    গলির মধ্যে গাড়ি ঢুকল না । গলির মুখে গাড়ি থেকে নামলেন দীপেনবাবু । সঙ্গে সুরেশ জানা । 
    গলির খানিকটা ভিতরে অনেক পুরনো দোতলা বাড়িটা । একতলায় দুঘর ভাড়াটে আছে । তার মধ্যে  একঘর হল ইরাবানরা । সেখানে ইরাবান আর ইরাবানের মা থাকে । দোতলায় বোধহয় বাড়িওয়ালা থাকে । 
    দরজাটা খোলাই ছিল । ভিতরে দেখা গেল একজন রোগা চেহারার বয়স্কা মহিলা স্টোভে কি রান্না করছেন । দরজার একপাশে দাঁড়িয়ে দুহাত জড়ো করে সুরেশ জানা সবিনয়ে বলল, 'মাসীমা এটা কি ইরাবানের বাড়ি ? '
    ইরাবানের মা গৌরীদেবী স্টোভের শিখা কমিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন । দরজার কাছে এগিয়ে এসে সন্দেহ ও শঙ্কাজড়িত দৃষ্টিতে সুরেশের দিকে তাকিয়ে মৃদু কন্ঠে বললেন, ' হাঁ... '
    এবার পাশ থেকে সরে দীপেনবাবু সামনে এলেন । বুকের কাছে দুহাত জড়ো করে বললেন, ' দিদিভাই আপনি আমাদের চিনবেন না .... যদি কিছু মনে না করেন .... আপনি কি ইরাবানের মা ? ' 
    গৌরীদেবী জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে দীপেনবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর বললেন, ' হাঁ ... '
    ---- ' নমস্কার দিদিভাই ... আমার নাম দীপেন মল্লিক .... '
    শুনে ইরাবানের মায়ের মুখের চিন্তাকূল ভাব কেটে গেল ।  
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা .... বুঝতে পেরেছি ... উদয়ন ক্লাবের ওই ... যেখানে পল্টু খেলে ...আপনার নাম অনেক শুনেছি পল্টুর কাছে ... আজ তো কোথায় যেন খেলতে গেছে ....'
    ----- ' হ্যা ... দিদিভাই ঠিকই ধরেছেন ... আমরা মাঠ থেকে আসছি ... আজ আপনার ছেলে সেঞ্চুরী করেছে ...'
    ----- ' ও ... ' তিনি নিরুত্তাপ স্বরে বললেন । খেলা নিয়ে তার কোন আবেগ আছে বলে মনে হল না । তারপর হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়ে বললেন , ' আরে ... আপনারা বাইরে দাঁড়িয়ে কেন ? আসুন আসুন..... ভেতরে আসুন ...'
    দীপেন বাবু এবং সুরেশ জানা ঘরের ভিতরে ঢুকে দুটো চেয়ারে বসলেন । গৌরীদেবী খাটের একপাশে বসলেন । বললেন, 'একটু চা করি ... '
    দীপেনবাবু বলে উঠলেন, ' না দিদিভাই... আজ আর চা খাব না ...ওসব অন্য আর একদিন হবে ....আমরা তো ঘরেরই লোক ... প্রায়ই আসব ... '
    গৌরীদেবী একটু চুপ করে রইলেন । তারপর বললেন , ' পল্টু এল না ? খেলা তো শেষ হয়ে গেছে ... '
    ----- ' হ্যা ... দিদিভাই ... খেলা শেষ হয়ে গেছে । ইরাবান আমাদের জিতিয়েছে .... তারপর ...মানে ... '
    ----- ' কি ? ' গৌরীদেবীর দৃষ্টি প্রখর হয়ে ওঠে ।
    ----- ' ও একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে । সামান্য ব্যাপার । বোধহয় কোন ভাইরাল ইনফেকশান হবে । কিন্তু  আমরা কোন রিস্ক নিতে চাইনি । হাসপাতালে ভর্তি করেছি ... '
    ----- ' ও মা ... সে কি গো ! কি হয়েছে ওর ? মাগো ... আমি আর বাঁচব না ... '
    ----- ' না না .... দিদিভাই আপনি অত ভেঙে পড়বেন না .... তেমন কিছু হয়নি .... সামান্য জ্বর জারি হয়ত । হাসপাতালে ভর্তি করেছি কারণ আমরা কোন ঝুঁকি নিতে চাইনি  .... '
    ----- ' হাসপাতালে ভর্তি .... তার টাকা ... '
    গৌরীদেবীকে বেশ বিভ্রান্ত দেখায় । দীপেনবাবু এ কথাটার জন্য তৈরি ছিলেন । হাসপাতালের প্রসঙ্গ এলে খরচের কথাটাই সবার আগে মাথায় আসে । তিনি ভদ্রমহিলাকে আশ্বস্ত করে বললেন, ' ও চিন্তাটা আমার ওপর ছেড়ে দিন । ক্লাবের হয়ে যখন খেলতে গেছে , ও দায়িত্ব ক্লাবের । বলছি যে , আমি কাল সকালে হসপিটালে যাব ... আপনি যদি যেতে চান আমার সঙ্গে যেতে পারেন ... ' 
    ----- ' ঠিক আছে .... এখন ও ভাল আছে তো ? '
    ----- ' একদম ঠিক আছে ... কোন চিন্তা করবেন না ... এই তো এরা হসপিটাল থেকে আসছে ... শুধু একটু উইকনেস আছে .... তাই তো সুরেশ ? ' 
    সুরেশ মাথা নেড়ে বলল, ' হ্যা স্যার ... ঠিক তাই ... '
    দীপেনবাবু বললেন , ' তা'লে ওই কথাই রইল দিদিভাই ... কাল সকালে ন'টা নাগাদ এসে পড়ব আমি ... '
    তারপর কি চিন্তা করে বললেন , ' আপনার একা থাকতে অসুবিধা হবে নিশ্চয়ই ... আপনি আজ আমার বাড়িতে চলুন বরং... তারপর ওখান থেকেই নয় কাল সকালে ... '
    ----- ' না না .... আমার কোন অসুবিধা হবে না । আমি তো প্রায়ই একা থাকি ... পল্টু যখন অফিসের কাজে বাইরে যায় .... '  

      পরের দিন সকাল দশটা নাগাদ দীপেনবাবু আর সুরেশ জানার সঙ্গে ইরাবানের মা গৌরীদেবী হাসপাতালে গেলেন । পাঁচতলায় কেবিনে রেখেছে ইরাবানকে । ওরা গিয়ে দেখল 
    ইরাবান বেডে বসে খবরের কাগজ পড়ছে । গৌরীদেবী প্রায় ছুটে গিয়ে ছেলের কাছে গিয়ে পড়লেন । 
    ----- ' পল্টু ...তোর কি হয়েছে বাবা .... তুই এখানে কেন ? '
    ইরাবান বিছানা থেকে নেমে মাকে জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে বলল, ' কিছু হয়নি মা ... একটু নিশ্বাসের কষ্ট হচ্ছিল ... মাঠে  দৌড়োদৌড়ি একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল ...তাই বোধহয়... এখানে ভর্তি করে দিলেন দীপেন বাবু ...  । এখন ভাল আছি ... ' 
    দীপেনবাবুর দিকে ফিরে বলল, ' কালকের ম্যাচটার রেজাল্ট কি হল ? ফোন করতে পারিনি ... মোবাইল ছিল না কাছে .... '
    ----- ' ও: ... বলা হয়নি ... পঁয়তাল্লিশ রানে জিতেছি আমরা ... ওরা একশ আট রানে অল আউট । স্পিনাররা সবাই দুর্ধর্ষ বোলিং করেছে । তবে ম্যাচটা আমরা একতরফা জিতেছি টোপাইয়ের ফিল্ডিং-এর জন্য । এককথায় আনবিলিভেবল .... ছটা ক্যাচ নিয়েছে । তার মধ্যে তিনটে অবিশ্বাস্য ... '
    ইরাবানের মুখ খুশিতে ঝলমল করতে লাগল ।  
    বলল, ' এই ছেলেটা শুধু ফিল্ডিং -এর জোরে একটা টিমকে জেতাতে পারে .... আমি জানতাম ও পারবে ... '
    ----- ' শুধু টোপাই নয় , তোমার ব্যাটিং - এর কথাটা তো ভুলে গেলে চলবে না । এই কন্ডিশানের উইকেটে এই জাতের ব্যাটিং আমি ক্লাব ক্রিকেটে কখনও দেখিনি ... হ্যাটস অফ টু ইউ ইরাবান .... '
    গৌরীদেবীর মনে হল তার ছেলের খেলার প্রশংসা করা হচ্ছে । তিনি খুশিমাখা চোখে একবার ইরাবানের, একবার দীপেন বাবুর মুখের দিকে তাকাতে লাগলেন । 
    ইরাবান বলল, ' একটা কথা ভুলে যাচ্ছেন স্যার ... সন্ময়ের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া আপনার টিম দাঁড়াতে পারবে না .... আমরা কেউ কিছু করতে পারব না সন্ময় রক্ষিতের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া ... অসাধারণ গেম পড়ার ক্ষমতা , যা আমাদের কারো নেই .... '
    ----- ' সেটা আমি ভালভাবেই জানি .... তাই তো ওকে বেঁধে রেখেছি । কোথাও পালাতে দিইনি । অন্য কেউ হলে কাল ইনিংস ডিক্লেয়ারই করত না ... কিন্তু ও ওর ইনটুইশান থেকে আগে  থেকেই জানত রেজাল্ট কি হতে চলেছে ... মার্ভেলাস ! '
    ---- ' এইরকম ক্যাপ্টেন্সি কন্টিনিউ করতে পারলে আমরা ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছবই... সে আমি থাকি আর না থাকি ... টোপাই তো রয়েছেই .... ' 
    শুনে গৌরীদেবী চমকে উঠলেন । ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন ফ্যালফ্যাল করে ।
    দীপেনবাবু বললেন, ' থাকি আর না থাকি মানে ? তোকে কোথাও যেতে দিলে তো ? কাস্টমসের চাকরির কথা বলছিস তো ? আমি সব খবর রাখি ... আমরা কিছু করতে পারি কি না পারি দেখ আগে .... '
    ----- ' আরে ... দীপেনদা .... আমায় ভুল বুঝছেন ... আমি ওসব বলতেই চাইনি ... আমি বলছিলাম যে ... '
    এইসময় সাদা অ্যপ্রন পরা একজন ডাক্তারবাবু ঢুকলেন । চল্লিশের নীচে বয়স ‌। বোধহয় রাউন্ডে বেরিয়েছেন । 
    ইরাবানকে জিজ্ঞাসা করলেন, ' কি প্লেয়ার স্যার .... কেমন আছেন এখন ? '
    ----- ' এখন ঠিক আছি ... আমাকে মিছিমিছি এখানে রেখেছেন । কাইন্ডলি জেনারেল বেডে দিয়ে দিন । খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে ... '
    ----- ' হ্যা নিশ্চয়ই .... কাল সকালে রিপোর্টগুলো এসে গেলে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে জেনারেলে .... '
    ডাক্তারবাবু ইরাবানের ব্লাড প্রেসার মাপলেন ।
    বললেন , ' এখনও  নরমাল হয়নি .... হানড্রেড অ্যন্ড ফিফটি টু বাই হানড্রেড । যখন আনা হয়েছিল দুশোর ওপর ছিল ওপরেরটা ... কি করে হল ... সেটাই জানার দরকার .... আর একটু দেরি করলে স্ট্রোক হয়ে যেত .... যাক, রিপোর্টগুলো আসুক তারপর স্টেপ নেওয়া যাবে .... '
     একজন নার্স এলেন থার্মোমিটার নিয়ে । ডাক্তারবাবু অনেকক্ষণ সময় দিতে লাগলেন । 
    কেবিনের পেশেন্ট বলে কথা । টাকায় কথা বলে ..... 
    ডাক্তারবাবু আলোকবিন্দু চক্রবর্তী বললেন, ' পেশেন্টের তো একটা হিস্ট্রি আছেই । এখন, অফ লেট কার্সিনোমা কোন গ্রেডে আছে সেটা দেখতে হবে । যাই হোক, দুদিনের মধ্যে কমপ্লিট 
    রিপোর্ট পেয়ে যাব । ট্রিটমেন্টের ত্রুটি হবে না । ডোন্ট ওয়ারি ... '

      দীপেনবাবুরা আরও আধঘন্টার মতো থাকলেন হাসপাতালে । তারপর বেরিয়ে এলেন ওখান থেকে । গৌরীদেবীকে এখন অনেক স্বাভাবিক দেখাচ্ছে । ইরাবান যে এরকম একটা ব্যবস্থাপনার মধ্যে আছে এতে তিনি যথেষ্ট  আশ্বস্ত বোধ করছেন । দীপেনবাবু গাড়িতে বসে গৌরীদেবীকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন , ' দিদিভাই ... দেখুন আপনি একা থাকতে পারবেন তো ? আমি বলছি , যে ক'দিন 
    ইরাবান হাসপাতালে থাকে ততদিন আপনি আমার বাড়িতে থাকুন ... ওকে মনে হয়, টেস্টগুলো হয়ে গেলেই  ডিসচার্জ করে দেবে ।তারপর না হয় আবার ফিরে যাবেন ... আমার মনে হয় সেটাই বেটার হবে ... '
    কিন্তু ইরাবানের মা কিছুতেই রাজি হলেন না এ প্রস্তাবে । বললেন,  ' না না ... আমার কোন অসুবিধা হবে না । দেখি ক'দিন ... তারপর যদি পল্টুকে বেশিদিন ওখানে থাকতে হয় ... তখন তো আপনি রইলেনই ... কিছু মনে করবেন না ... পল্টুর কি হয়েছে জানি না ... ওর যদি কিছু ... মায়ের মন তো সবসময়ে কু ডাকে ... কি বলব ... আমি আর বাঁচব না ... '
    ----- ' আরে আরে ... এসব কি বলছেন ... আপনার ছেলে দু চারদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে আপনার কাছে ফিরে আসবে । তাছাড়া আমাদেরও তো ইরাবানকে দরকার , নইলে
    আমরা জিতব কি করে ... আমাদের তো ওকে চাইই চাই..ই .... আপনি কিচ্ছু ভাববেন না ... '
    কথাগুলো বলে চলন্ত গাড়িতে মাথা পিছনে হেলিয়ে চোখ বুজে একটা শ্বাস ফেলে মনে মনে বললেন, ' হায় ভগবান ... কথাগুলো যেন সত্যি হয় ...'

       টোপাই ফুরফুরে মনে যেন চাঁদের মাটিতে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরল সেদিন খেলার শেষে। ঘরে ঢুকে দেখল , মা ঘরে বসে টিভি সিরিয়াল দেখছে । বেশ জমাটি দৃশ্য চলছে । নায়কের প্রেম বঞ্চিত খলনায়িকা আসল নায়িকাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য রান্নাঘরে ঢুকে একটা ছোট শিশি খুলে খাবারে কি যেন মেশাবার উদ্যোগ নিচ্ছে । পরের দৃশ্যে  বিবাহোত্তর 'ভাত কাপড়' সংক্রান্ত কোন মনোহরা দৃশ্যের বহুল ব্যবহৃত মশলা চলে এল।
    টোপাই ঝট করে ঘরে ঢোকায় মিনতির সিরিয়ালে ফেলে রাখা অখন্ড মনোযোগ ব্যহত হল । মিনতি টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে
    টোপাইয়ের উদ্দেশ্যে বলল, ' দাঁড়া... এই সিনটা দেখে নিই ... শয়তানটা মনে হয় এবার ধরা পড়বে ... '
    সুতরাং টোপাইকে মিনিট সাত আট অপেক্ষা করতে হবে । সে সেই ফাঁকে বাথরুমে ঢুকে চান করে এল । এসে দেখল এর পরের সিরিয়ালটা শুরু হয়েছে । দুর্ধর্ষ ক্রিকেটার নায়িকা ব্যাট করছে । প্রত্যেকটা ডেলিভারি হাফভলি পড়ছে অফ অ্যন্ড মিডলের ওপর । আর নায়িকা পা বলের লাইন থেকে দূরে রেখে লাগাতার মিড অনের ওপর দিয়ে বল তুলে যাচ্ছে । ছটা বলে একই শট দেখানো হল । শটগুলো চার হল , না ছয় হল বোঝা গেল না । টোপাইয়ের মতে প্রত্যেকটা শটই লং অন ফিল্ডারকে ক্যাচিং প্র্যাকটিস দেওয়া হল । নায়ক কিন্তু স্ত্রীর সাফল্যে খুশিতে ডগমগ হয়ে ঘনঘন হাততালি দিতে লাগল । 
    ----- ' কিরে কি হল , জিতেছিস ? '
    ----- ' হ্যা মা.... দারুন জিতেছি আজকে ... ইরাবানদা দুর্দান্ত সেঞ্চুরী করেছে । আমি ছটা ক্যাচ নিয়েছি .... '
    মিনতির মুখে যেন খুশির পাঁচশো ওয়াটের আলো পড়ল । 
    ----- ' তাই ? '
    ---- ' হ্যা মা.... দীপেন স্যার বলল পুরো আসলটা শোধ হয়ে গেছে । এখন শুধু সুদটা বাকি ... সেটা পরের ম্যাচে শোধ করবি .... স্যার কি যে বলে না মা ..... হাঃ হাঃ হাঃ .... তবে একটা খারাপ জিনিস হল ... আমি আর ইরাবানদা যখন ব্যাট করছিলাম , ইরাবানদা মাঠে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল .... দুবার এরকম হল .... তাও সেঞ্চুরীটা করল ... ওফ্... কি প্লেয়ার .... '
    ----- ' ওমা ... সে কি রে ! তারপর ? '
    ----- ' হসপিটালে পাঠিয়েছে দীপেন স্যার .... মনে হয় ভাল হয়ে যাবে .... ভাল হাসপাতাল ... '
    ----- ' মাগো .... তাই যেন হয় ঠাকুর ... '  
    ----- ' দীপেন বাবুর মতো ওরকম মানুষ আর হবে না .... যা হয়ে গেছে ,হয়ে গেছে .... কি খাবি বল ? '
    ----- ' খুব সিঙাড়া খেতে ইচ্ছা করছে .... দাঁড়াও নিয়ে আসছি রাধাগোবিন্দ সুইটস থেকে ...'
    ----- ' ঠিক আছে যা .... দুটো বেশি আনিস । রুকু আর সমর্পিতা এক্ষুণি আসবে । মোবাইল রিচার্জ করতে গেছে .... '
    দুরন্ত ফিল্ডার ভাস্কর ধরের দুপায়ে কেমন ঝিম ধরে গেল । বুকের চাতালে ভোরের আলোয় ক'টা চড়ুই অকারণেই নেচে বেড়াতে লাগল ।
       ( পরের পর্বে সমাপ্য )
    **********************************************************************************

         

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২৪ জুলাই ২০২২ ১৫:৪৩510231
  • चटपट!
  • Anjan Banerjee | ২৪ জুলাই ২০২২ ১৮:৩০510237
  • জরুর 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন