এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ইনসুয়িং ইয়র্কার - ২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯০০ বার পঠিত
  • শাম্ব পাল আর সেন্টু সেন-কে দিয়ে বোলিং ওপেন করাল প্রত্যয়। বোর্ডে অল্প রান। মৈনাক উইকেট নেওয়া বোলার হলেও ওকে প্রথমে আনল না প্রত্যয় কারন শাম্ব আর সেন্টু একদম জায়গায় বল রাখে। মারার জায়গা দেয় না ব্যাটসম্যানকে। তাছাড়া বল একটু পুরনো হলে হয়ত মৈনাক রিভার্স সুয়িং পেতে পারে এই হিসেবও হয়ত মাথায় ছিল।

    দীপশিখাকে কিন্তু প্রত্যয়ের এই সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। সে বাঁশের একটা খুঁটি ধরে একটা পা আড়আড়ি করে দাঁড়িয়ে রইল।

    সে যাই হোক, প্রত্যয়ের ছক কিন্তু একেবারেই দাঁড়াল না।

    প্রতি ওভারে তিনের একটু বেশি দরকার। টাইট্যানিকের তাড়াহুড়া করার দরকার নেই। কিন্তু ওরা বোধহয় হয় তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করতে চাইছিল, বিপক্ষকে দুরমুশ করে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা তুঙ্গে নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে।

    দু ওভারে পঁচিশ রান হয়ে গেল। মোট চারটে বাউন্ডারি এবং বাকি কটা সিঙ্গলস। হাঁকপাঁক না করে অনায়াসে করল।

    কিন্তু তৃতীয় ওভারেও শাম্বর হাতে বল তুলে দিল। দলের অধিনায়ক সম্ভবত রান আটকাবার জন্য এদের ওপরই ভরসা রাখছে। দীপশিখা অস্থিরতা অনুভব করতে লাগল। এখনই যদি ম্যাচ বেরিয়ে যায় পরে আর স্ট্রাইক বোলার এনে কি লাভ হবে। তার আর কতটুকু সুযোগ থাকবে !

    প্রথম বল শাম্ব করতে চেয়েছিল অফ অ্যান্ড মিডলে ইয়র্কার। পড়ে গেল পায়ের ওপর লেগ স্টাম্পে। মিড উইকেট দিয়ে অনায়াস ফ্লিক এবং চার। স্লিপ সমেত সাতজন ফিল্ডার অফের দিকে। পরের বল শাম্ব পিচে ঠুকল। এঁটেল মাটির সঙ্গে বালি মিশিয়ে ঢালা উইকেট।

    কোন গতি নেই। তার ওপর বলও তেমন উঠল না। পাটা উইকেটে এটা কোন ব্যাটসম্যানকে উপহার বলা যায়। ব্যাটসম্যান ছবির মতো পুল মারল। আবার চার।

    প্রত্যয় কুন্ডু উইকেটের পেছন থেকে শশব্যস্ত হয়ে হেঁটে এসে বোলারের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। একটা স্লিপকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল স্কোয়্যার লেগ বাউন্ডারিতে আর কভার পয়েন্ট ফিল্ডারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল লং অনে যাতে লেগে বল গেলে দুজন দুদিক থেকে দৌড় লাগাতে পারে।

    সৌভাগ্যক্রমে শাম্ব বাকি চারটে বলে কোন রান দিল না। প্রত্যয়কে এতেই বেশ খুশি দেখাতে লাগল। পিঠ চাপড়ানি টনিকমূলক নানারকম আওয়াজ দিতে লাগল তার ছেলেদের জন্য। টাইট্যানিকের তিন ওভারে তিরিশ। বাকি আর একশ চব্বিশ রান সাতচল্লিশ ওভারে। ওভার পিছু আড়াই রানের মতো।

    দীপশিখার মনে হল প্রত্যয় আবার সেন্টুকে বল ছুঁড়তে চলেছে। সে দ্রুত টুয়েলভথ ম্যান মনসিজকে তোয়ালে আর জলের জলের বোতল দিয়ে মাঠে পাঠাল আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে।

    প্রত্যয় মৈনাককে বল দিয়ে বলল, ‘নেক্সট ওভারে তোকে আনতামই। ওদের কয়েকটা ওভার খাইয়ে নিতে চেয়েছিলাম আগে। তাছাড়া বল একটু পুরনো হলে তোরই সুবিধে। উইকেট একদম পাটা কিন্তু। মুশ্কিল আছে গেমটা ধরা। ট্রাই কর.....’
    — ‘ঠিক আছে .... দেখি .....’

    টাইট্যানিকের দুটো ব্যাটসম্যান ফুরফুরে মেজাজে ছিল। ইনিংসের এইরকম চাপহীন পরিস্থিতিতে এরকমই হয়।
    মৈনাক যথারীতি রান আপের দাগ কাটল কুড়ি পা মেপে।
    ডিপ স্কোয়্যার লেগ আর লং অন সরিয়ে আবার সেকেন্ড স্লিপ এবং কভার পয়েন্ট করে দিল মৈনাক। লেগের দিক প্রায় ফাঁকাই রইল। শুধু মিড অন এবং ফাইন লেগ রইল। ধরে নেওয়া যায় ব্যাটসম্যানকে সব বলই অফের দিকে খেলাতে চায়।
    প্রথম বল অফ স্টাম্পের বাইরে। ব্যাটসম্যান ব্যাট তুলে ছেড়ে দিল। তার কোন তাড়াহুড়ো নেই। নিশ্চিন্তে ব্যাট করছে। দ্বিতীয় বল..... দীপশিখার অতি প্রিয় মৈনাকের পোষা অস্ত্র ইনসুয়িং ইয়র্কার। বাতাসে ধনুকের মতো ডানদিকে বাঁক নিয়ে ব্যাটসম্যানের বুটের ডগায় গিয়ে ছোবল মারল মিডল স্টাম্পের সামনে। ওপনিং পার্টনারশিপ ভেঙে গেল। দীপশিখা লাফ দিয়ে উঠল।

    সাতষট্টি বছর বয়স্ক সম্বুদ্ধ সিংহরায় স্থান কাল পরিস্থিতি ভুলে হাততালি দিতে লাগলেন। প্রায় বিয়াল্লিশ বছর আগে টিভি-তে দেখা ইমরান খানের একটা ডেলিভারি আচমকা ভেসে উঠল তার সামনে। ধনুকের মত ডানদিকে বাঁক খাওয়া একটা লাল ইনসুয়িং ডেলিভারি নীচু হয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ গতিতে আছড়ে পড়ল দিলীপ বেঙ্গসরকারের বুটের ডগায়।

    তিন নম্বর দীর্ঘক্ষণ প্যাড পরে বসে থাকার পর ব্যাট করতে নেমেছে। পার্থপ্রতিম রায়। ফিলহাল ক্লাব ক্রিকেটের বিরাট কহলি বলে পরিচিত। বিপক্ষ দল তার উইকেটটাই সবচেয়ে মূল্যবান মনে করছে ইদানীং।

    প্রথম বল। এটাও ইনসুয়িং ছিল। সাবলীলভাবে সুয়িং কভার করে মিড অনের পাশ দিয়ে বল পুশ করল। নিখুঁত টাইমিং এবং বাউন্ডারি। প্রত্যয় আবার একটা লং অন খাড়া করতে যাচ্ছিল। মৈনাক হাত নেড়ে বারণ করল।

    ওভারের চতুর্থ বল। অফস্টাম্পের ওপর একটু কম লেংথের বল। পার্থ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাটসম্যান নয়। সে সবসময় ব্যস্ত এবং চটপটে। চটপটে পায়ে অফস্টাম্পে সরে গিয়ে ড্রাইভ মারতে চাইল এক্সট্রাকভারের পাশ দিয়ে। মৈনাকের ক্রসসিম ডেলিভারি সিমে পড়ার দু সেকেন্ড পরে শৈল্পিক ইনসুয়িং হয়ে ভেসে এল পার্থর ব্যাট এবং প্যাডের অতি সঙ্কীর্ণ ছিদ্র দিয়ে। একটা লাবন্যময় আওয়াজ হল— খটাং..... । লেগস্টাম্প মাটি থেকে উপড়ে গিয়ে প্রায় পাঁচফুট দূরে জমিতে ওলটপালট খেতে লাগল।

    সম্বুদ্ববাবু বোধহয় ভুলে গেলেন যে টাইট্যানিক ভিন্টেজ তার নিজের ক্লাব। তিনি আবার আত্মহারা হয়ে হাততালি দিতে লাগলেন। বার দুই স্বগতোক্তি করলেন, ‘ঠিক সেই আটাত্তরের ইমরান খান। অপূর্ব .... এক্সেলেন্ট ....’

    তার সাঙ্গপাঙ্গরা তার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল। দীপশিখা দুহাত বুকের কাছে এনে মুঠো করে দাঁড়িয়ে রইল মুখে কোন কথা না বলে। ওভারের শেষ বল। খুব সাবধানে ব্যাকফুটে খেলল নতুন ব্যাটসম্যান।

    পরের ওভারে শাম্বই আবার আসল বল করতে। উদ্দেশ্য একটা দিকে টাইট স্ক্রু মেরে অন্যদিকে মৈনাককে বিপক্ষের ইনিংস ভাঙার রাস্তা করে দেওয়া।

    যে স্ট্রাইক নিচ্ছে তার নামের পাশে এখন ছাপ্পান্ন রান। বেশ পরিণত ব্যাটসম্যান । অযথা ঝুঁকি না নিয়ে দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের মধ্যে স্ট্রাইক বিনিময় করতে লাগল। ভাবল, অকারণ মারধাক্কার দরকার কি। আর কতক্ষণেরই বা ব্যাপার।

    শেষ বলেও একটা সিঙ্গল হল। সেট হওয়া ব্যাটসম্যান সতীন্দর ভাটিয়া মৈনাককে খেলবে।

    মসৃন গতি, ছন্দময় বোলিং অ্যাকশানে স্টাম্পের কাছে শরীর নিয়ে ডেলিভারি রাখল। অফস্টাম্পের ওপর মাপা আউটসুইং। সতীন্দর খেলতে গেল এবং সম্পূর্ণ পরাস্ত হল। মৈনাক মাথায় হাত দিল কিন্তু কট বিহাইন্ডের আবেদন করল না। পরের বল ..... ঠি ক আগেরটার রিপ্লে। একই ভাবে ভাটিয়া খেলতে গেল এবং হাবুডুবু খেল।সেট ব্যাটসম্যান সতীন্দর ভাটিয়া ধাতস্থ হবার জন্য গ্লাভস খুলে ব্যাট বগলে নিয়ে লেগের দিকে পায়চারি করে এল মনে মনে কি সব বিড় বিড় করতে করতে।

    আবার নতুন করে গার্ড নিল। তারপর ধীরে সুস্থে স্টান্স নিল ক্রিজের দু ইঞ্চি বাইরে।

    ওভারের তৃতীয় বল। মৈনাক ছোটা শুরু করেছে। সম্বুদ্ধবাবু সম্মোহিতের মতো তাকিয়ে রইলেন। দীপশিখা চেয়ারে একবার বসছে, একবার উঠছে। রিজার্ভের ছেলেগুলোর চোখ প্রত্যাশায় চকচক করে উঠছে। দীপশিখা বুকের কাছে হাত রেখে চোখ বুজে আপনমনে অস্ফূটে বলল, ‘ মৈনাক ..... একটা মাপা ইনসুয়িং ইয়র্কার ......’

    উড়ন্ত শুভ্র বলাকার মতো বোলিং ক্রিজ পর্যন্ত কুড়ি পা ভেসে এল মৈনাক। সাদা বলের প্রায় মিশে থাকা সেলাই। অদ্ভুত একটা ক্রসসিম ডেলিভারি ছিটকে গেল মৈনাকের দুটো আঙুল আর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের মধ্যে থেকে। অফস্টাম্পের এক ফুট বাইরে থেকে বল বাঁক নিতে শুরু করল একশ পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার গতিতে। সতীন্দর ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে অল্প ব্যাট লিফট করল বলটাকে মিট করার জন্য । ঠি ক ব্যাটের ডগায় বলটা পড়ে ঠি করে গেল ব্যাটের তলা দিয়ে মিডল স্টাম্পে বেলের ঠি ক নীচে ...... খড়াং .....। দীপশিখা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
    সম্বুদ্ধবাবু আবার উনিশশো আটাত্তর সালের ইমরান খানের বোলিং-এর কথা বললেন অাপনমনে। অন্য কেউ তার হাবভাব কথাবার্তা কিছুই ঠি ক আন্দাজ করতে পারছিল না। তারা বেশ আতান্তরে পড়ে গেল তাদের কর্ত্তাকে নিয়ে।সতীন্দর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে মাটিতে ব্যাটের ঠ্যাকা দিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগল।

    মোটে সাত ওভার খেলা হয়েছে। মাত্র একশ দশ রান বাকি। আস্কিং রেট আড়াইয়েরও কম। হাতে সাত উইকেট। এইরকম আরামদায়ক অবস্থাতেও ভিনটেজ টাইট্যানিকের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইতে শুরু করল।

    সম্বুদ্ধ সিংহরায় কিন্তু একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে গ্যাঁট হয়ে বসে রইলেন একদিকের উইকেটের পিছন থেকে ‘বলের কারেক্ট মুভমেন্ট’ লক্ষ্য করার জন্য।

    টাইট্যানিকের সাত নম্বর ব্যাটসম্যান একজন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সে খেলে দিল। মাটি কামড়ে পড়ে রইল মৈনাকের সুইংয়ের হামলা সামলে। পঁয়ত্রিশ রান করল অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে। কিন্তু একা কুম্ভ কতক্ষণ দূর্গ রক্ষা করবে ! এর মধ্যে আট উইকেট পড়ে গেছে। টাইট্যানিক কিন্তু কড়া ধাতের দল। তারা এত সহজে নুয়ে পড়ার পাত্র নয়।এখনও লড়ে যাচ্ছে। সাত নম্বরকে দুর্ভেদ্য দেখাচ্ছে। কিন্তু এখনও তেত্রিশ রান বাকি। হাতে প্রচুর ওভার।

    অফ স্পিনার সংকেত পালিত বল করতে এল। সাত নম্বর ব্যাটসম্যান প্রথম বলে স্টেপ আউট করল। লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা। দীপশিখা দাঁত দিয়ে নখ কাটতে লাগল । এ সময়ে স্পিনার আনা প্রত্যয়ের ভুল কিনা ওসব ভাবার মানসিক অবস্থায় এখন নেই সে। পরের বলেও স্টেপ আউট করতে যাচ্ছিল ব্যাটসম্যান। কিন্তু লেংথ কম থাকায় ব্যাটে পেল না।উইকেট ধীর গতির থাকায় পেছিয়ে আসার সময় পেল। কভার দিয়ে চালাল। বাউন্ডারিতে অভিক দত্ত টহল দিচ্ছে।

    সে দৌড় লাগাল বলের দিকে। অভিক দুর্দান্ত ফিল্ডার। সাত নম্বরের জানা ছিল না। সে এক রান নিয়ে দ্বিতীয় রান নেবার জন্য ছুটল পড়ি কি মরি করে নিজের স্ট্রাইক রাখবার জন্য। হল না। অভিক ছুটন্ত অবস্থায় নিখুঁত বল পাঠাল প্রত্যয়ের গ্লাভসে। উইকেটকিপার যখন বেল ফেলছে ব্যাটসম্যান তখন ক্রিজ থেকে অন্তত দেড়ফুট বাইরে। ব্যাট বাড়িয়ে মরীয়া হয়ে শরীর ছুঁড়েও শেষ রক্ষা হল না।

    ন উইকেটে একশ পাঁচ। এখনও পনের ওভার বাকি আছে। সংকেতের এই ওভারটা আটকে দিল টাইট্যানিকের এগার নম্বর ব্যাটসম্যান।

    খেলার আর কিই বা বাকি আছে টাইট্যানিকের জন্য। তবু ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। কিভাবে কি হয় কিছুই বলা যায় না। সুতরাং প্রত্যয় কুন্ডু ঝুঁকি নিল না। শত্রুর শেষ রাখতে নেই।বোলিং রান আপের দিকে যেতে লাগল মৈনাক ঘোষাল।

    প্রথম তিনটে বল ব্যাটসম্যানকে নাজেহাল করে স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল ব্যাটসম্যানের কপাল জোরে । কিন্তু টেল এন্ডার আর কতক্ষণ ধৈর্য ধরবে । সে তার স্বাভাবিক প্রবণতা অনুযায়ী চতুর্থ বলে ক্রশব্যাটে হাতুড়ি চালাল। ব্যাটে বলে হলে কি হত বলা মুশ্কিল। হল না এবং মিডল স্টাম্প উড়ে গেল। এটা একেবারেই ইনসুয়িং নয়, ইয়র্কারও নয়। সিধে সাধা ডেলিভারি। সব জায়গায় সব অস্ত্র বার করার কথা নয়।

    মৈনাক পেল আট উইকেট, একটা সংকেত পালিত আর একটা রান আউট।

    মাঠের বাইরে থেকে দীপশিখারা মাঠের ভিতর ছুটে আসছে।

    সম্বুদ্ধ সিংহরায় ম্যানেজার পরিমল কাঞ্জিলালকে বললেন, ‘ওই পেসারটার বাড়ির ঠিকানাটা চাই.... একটু তাড়াতাড়ি .... বুঝলে কিনা .... ‘

    ( পরের পর্বে সমাপ্য )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১০ জানুয়ারি ২০২২ ০০:১৬502586
  • জব্বর! চালিয়ে খেলুন ভাই!
  • Anjan Banerjee | ১০ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৫502587
  • চেষ্টা করছি । সঙ্গে থাকুন ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন